কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় রক্সি পেইন্টের এরিয়া ম্যানেজার লোকমান হোসেন হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২। গতকাল রোববার সাভারের একটি বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ভেড়ামারা থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, ভেড়ামারা শহরের রেলগেট দক্ষিণ পাড়া এলাকার মৃত দাউদ খন্দকার ওরফে মতিয়ার রহমানের ছেলে ও দর্পণ হার্ড ওয়ারের মালিক দর্পণ আলী (৬০) ও তাঁর ছেলে সোহানুর রহমান সোহান (২২)।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানানো হয়। র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ইলিয়াস খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ইলিয়াস খান জানান, গত ৩ আগস্ট কুষ্টিয়া ভেড়ামারা সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের গলির পাশে পলিথিন দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় একটি অজ্ঞাত পরিচয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ভেড়ামারা থানা-পুলিশ। পরবর্তীতে মৃতদেহটি রক্সি পেইন্ট কোম্পানি লিমিটেডের কুষ্টিয়া অঞ্চলের এরিয়া ম্যানেজার লোকমান হোসেনের বলে শনাক্ত করেন তাঁর স্ত্রী।
লোকমান হোসেন গত ১ আগস্ট কুষ্টিয়া শহরে তার ভাড়া বাসা হতে কোম্পানির মালের অর্ডার নেওয়া ও বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য ভেড়ামারা এলাকার উদ্দেশ্যে বের হন। ওই দিন বিকেলে তার স্ত্রী লোকমান হোসেনের মোবাইলে কল দিলে ফোন বন্ধ পান। এরপর থেকে নিখোঁজ হন তিনি। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে লোকমানের স্ত্রী গত ২ আগস্ট ভেড়ামারা থানায় তাঁর স্বামীর খোঁজ চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে ৩ তারিখ সকালে স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভেড়ামারা পাইলট হাই স্কুলের পাশ থেকে লোকমানের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে লোকমানের স্ত্রী জিন্নাত আরা টুম্পা বাদী হয়ে ৩ আগস্ট ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ইলিয়াস খান জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই হত্যার মোটিভ উদ্ধার এবং আসামিদের ধরতে কাজ শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১২ এর একটি দল সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় আসামি দর্পণের বোনের বাসা ঢাকার সাভার থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত আসামি সোহানুর রহমান সোহানের দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডের স্থান দর্পণ হার্ড ওয়ারের ভাড়াকৃত গোডাউন হতে হত্যাকারীদের রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামলার আসামি সোহানুর রহমান সোহান হত্যাকাণ্ডে তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, নিহত লোকমান হোসেন ভেড়ামারা শহরের দর্পণ হার্ডওয়্যারের নিকট কোম্পানির বকেয়া বিল আদায়ের জন্য যান। কিন্তু টাকা না দিয়ে দোকানের মালিক দর্পণ আলীর ছেলে আব্দুল আউয়াল র্যাভেন হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা মতো র্যাভেনের ছোট ভাই সোহান লোকমান হোসেনকে তাঁদের ভাড়াকৃত গোডাউনে হত্যার উদ্দেশ্যে লোকমানকে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা ভেড়ামারা কাচারিপাড়া এলাকার শেরেগুল ইসলামের ছেলে প্রান্ত ইসলাম সাব্বির (২২) ও একই এলাকার তাহাজের ছেলে শুভর (২৪) সহযোগিতায় লোকমানকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এরপর তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরদিন লোকমানের স্ত্রী ওই দোকানে লোকমানের খোঁজ নিতে গেলে, দর্পণ আলী জানান তার স্বামী গতকাল টাকা নিয়ে সেখান থেকে চলে গেছেন।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় রক্সি পেইন্টের এরিয়া ম্যানেজার লোকমান হোসেন হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২। গতকাল রোববার সাভারের একটি বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ভেড়ামারা থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, ভেড়ামারা শহরের রেলগেট দক্ষিণ পাড়া এলাকার মৃত দাউদ খন্দকার ওরফে মতিয়ার রহমানের ছেলে ও দর্পণ হার্ড ওয়ারের মালিক দর্পণ আলী (৬০) ও তাঁর ছেলে সোহানুর রহমান সোহান (২২)।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানানো হয়। র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ইলিয়াস খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ইলিয়াস খান জানান, গত ৩ আগস্ট কুষ্টিয়া ভেড়ামারা সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের গলির পাশে পলিথিন দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় একটি অজ্ঞাত পরিচয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ভেড়ামারা থানা-পুলিশ। পরবর্তীতে মৃতদেহটি রক্সি পেইন্ট কোম্পানি লিমিটেডের কুষ্টিয়া অঞ্চলের এরিয়া ম্যানেজার লোকমান হোসেনের বলে শনাক্ত করেন তাঁর স্ত্রী।
লোকমান হোসেন গত ১ আগস্ট কুষ্টিয়া শহরে তার ভাড়া বাসা হতে কোম্পানির মালের অর্ডার নেওয়া ও বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য ভেড়ামারা এলাকার উদ্দেশ্যে বের হন। ওই দিন বিকেলে তার স্ত্রী লোকমান হোসেনের মোবাইলে কল দিলে ফোন বন্ধ পান। এরপর থেকে নিখোঁজ হন তিনি। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে লোকমানের স্ত্রী গত ২ আগস্ট ভেড়ামারা থানায় তাঁর স্বামীর খোঁজ চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে ৩ তারিখ সকালে স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভেড়ামারা পাইলট হাই স্কুলের পাশ থেকে লোকমানের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে লোকমানের স্ত্রী জিন্নাত আরা টুম্পা বাদী হয়ে ৩ আগস্ট ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ইলিয়াস খান জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই হত্যার মোটিভ উদ্ধার এবং আসামিদের ধরতে কাজ শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১২ এর একটি দল সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় আসামি দর্পণের বোনের বাসা ঢাকার সাভার থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত আসামি সোহানুর রহমান সোহানের দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডের স্থান দর্পণ হার্ড ওয়ারের ভাড়াকৃত গোডাউন হতে হত্যাকারীদের রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামলার আসামি সোহানুর রহমান সোহান হত্যাকাণ্ডে তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, নিহত লোকমান হোসেন ভেড়ামারা শহরের দর্পণ হার্ডওয়্যারের নিকট কোম্পানির বকেয়া বিল আদায়ের জন্য যান। কিন্তু টাকা না দিয়ে দোকানের মালিক দর্পণ আলীর ছেলে আব্দুল আউয়াল র্যাভেন হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা মতো র্যাভেনের ছোট ভাই সোহান লোকমান হোসেনকে তাঁদের ভাড়াকৃত গোডাউনে হত্যার উদ্দেশ্যে লোকমানকে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা ভেড়ামারা কাচারিপাড়া এলাকার শেরেগুল ইসলামের ছেলে প্রান্ত ইসলাম সাব্বির (২২) ও একই এলাকার তাহাজের ছেলে শুভর (২৪) সহযোগিতায় লোকমানকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এরপর তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরদিন লোকমানের স্ত্রী ওই দোকানে লোকমানের খোঁজ নিতে গেলে, দর্পণ আলী জানান তার স্বামী গতকাল টাকা নিয়ে সেখান থেকে চলে গেছেন।
রাজধানীর মগবাজারের আবাসিক হোটেলে সন্তানসহ দম্পতির মৃত্যুর কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে খাবারে বিষক্রিয়া বলেই মনে করছে পুলিশ ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। এজন্য মৃত সৌদি প্রবাসী মনির হোসেনের চাচাতো চাচা ও ঢাকার হাসনাবাদে মনিরের বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলামকে সন্দেহ করছে পুলিশ।
১ দিন আগেরাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশ থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (২৮ জুন) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পুলিশ ও আয়োজকদের সহায়তায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৪ দিন আগেরাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলমান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে দেশীয় অস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। পরে উপস্থিত জনতা তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৪ দিন আগেপুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি) মো. ইকবাল বাহারকে একটি হত্যা মামলায় আজ শনিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ইকবাল বাহারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শাহিনুর বেগম নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায়...
১০ দিন আগে