Ajker Patrika

যুবদল নেতা ধোনি হত্যায় ১ জন গ্রেপ্তার, ৮ জনের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২২, ১১: ৪৩
Thumbnail image

যশোরে যুবদল নেতা বদিউজ্জামান ধোনি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আল আমিন ওরফে চোর আল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৬। আল আমিন শহরের টিবি ক্লিনিক এলাকার রইস উদ্দিনের ছেলে। এর আগে বুধবার রাতে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত বদিউজ্জামানের ভাই মনিরুজ্জামান মনি।

আল আমিন ওরফে চোর আল আমিনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান। তিনি জানিয়েছেন, আজ বৃহস্পতিবার আল আমিনকে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হবে।

যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মনিরুজ্জামান জানান, বুধবার (১৩ জুলাই) রাতে বদিউজ্জামান ধোনি হত্যার ঘটনায় আটজনকে অভিযুক্ত করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন নিহতের ভাই মনিরুজ্জামান মনি। নিহত ধোনি শহরের চোপদারপাড়া আকবরের মোড় এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক ফুড গোডাউনের সামনে আশ্রম রোডের আব্দুল আলীমের ছেলে আকাশ (২৫), মোহাম্মদ ফরিদের ছেলে রায়হান (২৪), শংকরপুর চোপদারপাড়া আকবরের মোড়ের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে শামীম আহমেদ মানুয়া (৪৮), টিবি ক্লিনিক ফুড গোডাউনের পাশের মিরাজুল বিশ্বাসের ছেলে মন্টু ওরফে অপূর্ব ওরফে আলী রাজ (২২), টিবি ক্লিনিক এলাকার রইস উদ্দিনের ছেলে আল আমিন ওরফে চোর আল আমিন (২৫), আফসারের ছেলে মিলন (২৪), শংকরপুর হারান কলোনির উত্তর পাশের বাবু মীরের ছেলে ইছা মীর (২০) এবং চোপদারপাড়া রোডের মৃত হুজুর ইয়াসিনের বাড়ির পাশের লাভলুর ছেলে রিজভী (২৬)।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, কিছুদিন আগে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন একই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী যুবলীগের কর্মী ইয়াসিন আরাফাত। ইয়াসিনের শ্বশুর যশোর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি শামীম আহমেদ মানুয়ার সঙ্গে যুবদল নেতা ধোনির রাজনৈতিক বিরোধ ছিল। ইয়াসিন খুনের পেছনে ধোনির হাত আছে সন্দেহে তাঁকে আসামি করা হয়। এরপর থেকে মানুয়া ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ধোনিকে খুনের পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ধোনিকে তাঁর বাড়ির সামনে প্রকাশ্যে খুন করেন মানুয়ার ভাগনে রায়হান ও তাঁর সঙ্গীরা।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেছেন, ‘ধোনি হত্যাকাণ্ডের পরপরই আসামি আটকের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। আশা করি আসামিরা দ্রুতই আটক হবে।’

এদিকে চোপদারপাড়া আকবরের মোড়ের আকবর আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম বুধবার (১৩ জুলাই) রাতে কোতোয়ালি থানায় অপর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শামীম আহমেদ মানুয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্তরা হলেন মানুয়ার ভাগনে রায়হান ও আলীমের ছেলে আকাশ।

শফিকুল ইসলাম লিখিত অভিযোগে বলেন, আকবরের মোড়ে তাঁর একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আছে। যুবদল নেতা বদিউজ্জামান ধোনি খুন হওয়ার কিছু সময় আগে তিনি ওই স্থান থেকে চলে যান। মূলত আসামিরা তাঁকে খুঁজতেই সেখানে যান এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। তাঁকে না পেয়ে বদিউজ্জামান ধোনিকে খুন করেন।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১২ জুলাই) দুপুরে নিজ বাড়ির সামনে সন্ত্রাসীদের চাপাতি, ছুরি, ক্রিসসহ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন যুবদল নেতা বদিউজ্জামান ধোনি।

ধোনি হত্যার আসামি গ্রেপ্তার ও মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় যশোর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে যশোর জেলা পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত