জাহিদ হাসান, যশোর
যশোর শহরের রেলস্টেশন এলাকার ২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম। তিন যুবক দৌড়ে দৌড়ে মো. জুম্মান (২৬) নামের একজনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করছেন। একপর্যায়ে দৌড়াতে না পেরে মাটিতে পড়ে যান জুম্মান। পথচারীরা তাঁকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটে গত শনিবার সন্ধ্যায়।
আগের দিন গত শুক্রবার সকালে শহরতলির বালিয়াডাঙ্গা মানদিয়া জামে মসজিদের পেছন থেকে আগুনে পোড়া এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ বলছে, হত্যার পর পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় ওই ব্যক্তির মুখ। অপরাধমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের এ চিত্র যেন যশোরে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। শহরে হঠাৎ চুরি, ছিনতাই, খুনোখুনি বেড়ে গেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, চলতি বছরের দেড় মাসে যশোরে ১০টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে ঘটছে খুনের ঘটনা। এর মূলে রয়েছে পক্ষ-বিপক্ষের দ্বন্দ্ব, আধিপত্য বিস্তার, মাদক কারবার, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র বিক্রিসহ নানা কারণ। খুন ছাড়াও শহরে চাঁদাবাজি, বোমাবাজি, অর্ধডজন ছুরিকাঘাত, ছিনতাই ও চুরিসহ অসংখ্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
তবে যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন বলছেন, অন্য সময়ের চেয়ে যশোরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন অনেক ভালো।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘যশোরে আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রধান কারণ কিশোর গ্যাং। বছরখানেক আগে কিশোর গ্যাংয়ের বিষয়ে প্রশাসনকে সতর্ক করেছিলাম। এখন সেই কিশোর গ্যাং ভয়বহ রূপ ধারণ করেছে। প্রায় দিনই হত্যাকাণ্ড, ছুরিকাঘাত, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এসব কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করছেন আমাদের ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। আর এসবের মূলে রয়েছে মাদক বেচাকেনা। দ্রুত এই কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে যশোর শহরে বসবাস করা কঠিন হয়ে যাবে।’
পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে যশোর রেলস্টেশন এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে মো. জুম্মান নামের এক যুবক নিহত হন। তিনি শহরের শংকরপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। এলাকায় সন্ত্রাসীদের তালিকায় নিহত জুম্মানের নাম রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা রয়েছে।
শুক্রবার সকালে যশোর শহরতলির বালিয়াডাঙ্গা মানদিয়া জামে মসজিদের পেছনে একটি পরিত্যক্ত স্থান থেকে মহসীন হোসেন (৪০) নামের একজনের পোড়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি যশোর সদরের নুরপুর গ্রামের মছি মণ্ডলের ছেলে। পুলিশ বলছে, মহসীন সুদের কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষরা তাঁকে হত্যা করতে পারে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত বা কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
গত ২৬ জানুয়ারি যশোর শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক মোড়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সোলায়মান হোসেনকে। এলাকায় মাদকের কারবার এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে খুন হয়েছেন তিনি। সূত্রমতে, ঘটনার দিন ২৬ জানুয়ারি মাদক কারবারিরা প্রথমে সোহাগকে খোঁজ করেন। তাঁকে না পেয়ে তাঁর ভাই জসিম শিকদারকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। জসিমকে ঠেকাতে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সোলায়মান। নিহত সোলায়মান শহরের টিবি ক্লিনিক এলাকার আব্দুল হকের ছেলে।
এদিকে শহরের বিভিন্ন স্থানে রাত নামলেই ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বস্ব খোয়াতে হয়েছে অনেক পথচারীকে। শুক্রবার শহরের সিটি কলেজপাড়ার বাসিন্দা শ্রমিক ইউনিয়নের ইজিবাইকচালক সুশান্ত কুমারকে ছুরিকাঘাত করেন ছিনতাইকারীরা। এ সময় ইজিবাইকটিও ছিনিয়ে নেন তাঁরা।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) যশোরের সভাপতি অধ্যক্ষ শাহীন ইকবাল বলেন, যশোর শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নজিরবিহীন অবনতি ঘটেছে। শহরের নিরাপত্তা নিয়ে সাধারণ নাগরিকেরা উদ্বিগ্ন। কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতাও বেড়েছে।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র বেলাল হোসাইন বলেন, অন্য সময়ের চেয়ে যশোরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন অনেক ভালো। যেসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে, তা পারিবারিক কলহের জেরে। হত্যাকাণ্ডের পর জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দফায় দফায় পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
যশোর শহরের রেলস্টেশন এলাকার ২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম। তিন যুবক দৌড়ে দৌড়ে মো. জুম্মান (২৬) নামের একজনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করছেন। একপর্যায়ে দৌড়াতে না পেরে মাটিতে পড়ে যান জুম্মান। পথচারীরা তাঁকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটে গত শনিবার সন্ধ্যায়।
আগের দিন গত শুক্রবার সকালে শহরতলির বালিয়াডাঙ্গা মানদিয়া জামে মসজিদের পেছন থেকে আগুনে পোড়া এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ বলছে, হত্যার পর পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় ওই ব্যক্তির মুখ। অপরাধমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের এ চিত্র যেন যশোরে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। শহরে হঠাৎ চুরি, ছিনতাই, খুনোখুনি বেড়ে গেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, চলতি বছরের দেড় মাসে যশোরে ১০টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে ঘটছে খুনের ঘটনা। এর মূলে রয়েছে পক্ষ-বিপক্ষের দ্বন্দ্ব, আধিপত্য বিস্তার, মাদক কারবার, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র বিক্রিসহ নানা কারণ। খুন ছাড়াও শহরে চাঁদাবাজি, বোমাবাজি, অর্ধডজন ছুরিকাঘাত, ছিনতাই ও চুরিসহ অসংখ্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
তবে যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন বলছেন, অন্য সময়ের চেয়ে যশোরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন অনেক ভালো।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘যশোরে আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রধান কারণ কিশোর গ্যাং। বছরখানেক আগে কিশোর গ্যাংয়ের বিষয়ে প্রশাসনকে সতর্ক করেছিলাম। এখন সেই কিশোর গ্যাং ভয়বহ রূপ ধারণ করেছে। প্রায় দিনই হত্যাকাণ্ড, ছুরিকাঘাত, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এসব কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করছেন আমাদের ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। আর এসবের মূলে রয়েছে মাদক বেচাকেনা। দ্রুত এই কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে যশোর শহরে বসবাস করা কঠিন হয়ে যাবে।’
পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে যশোর রেলস্টেশন এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে মো. জুম্মান নামের এক যুবক নিহত হন। তিনি শহরের শংকরপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। এলাকায় সন্ত্রাসীদের তালিকায় নিহত জুম্মানের নাম রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা রয়েছে।
শুক্রবার সকালে যশোর শহরতলির বালিয়াডাঙ্গা মানদিয়া জামে মসজিদের পেছনে একটি পরিত্যক্ত স্থান থেকে মহসীন হোসেন (৪০) নামের একজনের পোড়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি যশোর সদরের নুরপুর গ্রামের মছি মণ্ডলের ছেলে। পুলিশ বলছে, মহসীন সুদের কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষরা তাঁকে হত্যা করতে পারে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত বা কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
গত ২৬ জানুয়ারি যশোর শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক মোড়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সোলায়মান হোসেনকে। এলাকায় মাদকের কারবার এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে খুন হয়েছেন তিনি। সূত্রমতে, ঘটনার দিন ২৬ জানুয়ারি মাদক কারবারিরা প্রথমে সোহাগকে খোঁজ করেন। তাঁকে না পেয়ে তাঁর ভাই জসিম শিকদারকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। জসিমকে ঠেকাতে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সোলায়মান। নিহত সোলায়মান শহরের টিবি ক্লিনিক এলাকার আব্দুল হকের ছেলে।
এদিকে শহরের বিভিন্ন স্থানে রাত নামলেই ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বস্ব খোয়াতে হয়েছে অনেক পথচারীকে। শুক্রবার শহরের সিটি কলেজপাড়ার বাসিন্দা শ্রমিক ইউনিয়নের ইজিবাইকচালক সুশান্ত কুমারকে ছুরিকাঘাত করেন ছিনতাইকারীরা। এ সময় ইজিবাইকটিও ছিনিয়ে নেন তাঁরা।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) যশোরের সভাপতি অধ্যক্ষ শাহীন ইকবাল বলেন, যশোর শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নজিরবিহীন অবনতি ঘটেছে। শহরের নিরাপত্তা নিয়ে সাধারণ নাগরিকেরা উদ্বিগ্ন। কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতাও বেড়েছে।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র বেলাল হোসাইন বলেন, অন্য সময়ের চেয়ে যশোরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন অনেক ভালো। যেসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে, তা পারিবারিক কলহের জেরে। হত্যাকাণ্ডের পর জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দফায় দফায় পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
ধর্ষণের শিকার নারীর ছবি বা পরিচয় সংবাদ মাধ্যম কিংবা ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে কেউ প্রকাশ করলেই পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করতে পারবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারায় বর্ণিত এই অপরাধ আমলযোগ্য হওয়ায় জড়িত অভিযোগে কোনো ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে আটক করা যাবে।
১ দিন আগেসাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
১০ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৯ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫