কলারোয়া সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বাড়ির চিলেকোঠা থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থেকে কারও প্রতি কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
তবে, চিরকুটটি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। চিরকুটটিতে লেখা ছিল—‘...বাবা মা তোমরা আমাকে ক্ষমা করো। আমি তোমাদের ভালো মেয়ে হতে পারলাম না, ভালো বউ হতে পারলাম না, ভালো মা হতে পারলাম না, ভালো বউ মা হতে পারলাম না, ভালো প্রেমিকা হতে পারলাম না, এসব আমি আর সহ্য করতে পারছি না।’
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের খাসপুর উত্তরপাড়া গ্রামের বজলুর রহমানের দ্বিতল ভবনের চিলেকোঠায় ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।
নিহত গৃহবধূর নাম লিপি খাতুন (৩৬)। তিনি লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের খাসপুর উত্তরপাড়া গ্রামের হাসানুজ্জামান বজলুর স্ত্রী। হাসানুজ্জামান বজলু পেশায় ইটভাটার ম্যানেজার। তাঁদের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছেলে রয়েছে।
লিপি খাতুনের মা শাফিয়া খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জামাই মেয়ের মধ্যে খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। মেয়ের কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, তা আমরা জানি না। মৃত্যুর খবর শুনে আমরা এসে দেখলাম মেয়ের গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় চিলেকোঠায় ঝুলছে। তবে এই মৃত্যুর বিষয়ে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নাই আমাদের।’
লিপি খাতুনের স্বামী হাসানুজ্জামান বজলু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে খাওয়া-দাওয়া করে বাইরে গিয়েছিলাম। স্ত্রীর সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে আমার কোনো মতবিরোধ ছিল না। সন্ধ্যা ৭টা ২৩ মিনিটে আমার ভাই আসাদুজ্জামান বাড়ি থেকে কল দিয়ে আমাকে জানায়, আমার লিপি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ছুটে এসে দেখি চিলেকোঠায় লিপির মরদেহ ঝুলছে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ নামিয়েছে। তবে কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে, তা সম্পূর্ণ অজানা।’
এদিকে এ বিষয়ে লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি রহস্যজনক। তবে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক ছিল। কী কারণে যে সে আত্মহত্যা করেছে বা এর পেছনে কোনো কারণ আছে কি না, তা গৃহবধূ ও তার স্বামী এ দুই পরিবারের কেউ বলতে পারছে না।’
এই ঘটনায় কলারোয়া থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় বজলুর রহমানের বাড়ির চিলেকোঠায় গৃহবধূর মৃতদেহ ঝুলছিল। তার পায়ের পাশে একটা বস্তা পড়ে ছিল। প্রাথমিক সুরতহাল করা হয়েছে। অনুমান করে কিছু বলা যাবে না। তবে মরদেহ ময়নাতদন্তে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে মূল রহস্য জানা যাবে।’
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি বিশেষ টিম পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে পাওয়া কাগজে লেখা একটি চিঠি ও মৃত্যুর ঘটনাটি নিয়ে গভীর তদন্ত চলছে। মেয়ে বা ছেলে উভয় পরিবার থেকে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বাড়ির চিলেকোঠা থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থেকে কারও প্রতি কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
তবে, চিরকুটটি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। চিরকুটটিতে লেখা ছিল—‘...বাবা মা তোমরা আমাকে ক্ষমা করো। আমি তোমাদের ভালো মেয়ে হতে পারলাম না, ভালো বউ হতে পারলাম না, ভালো মা হতে পারলাম না, ভালো বউ মা হতে পারলাম না, ভালো প্রেমিকা হতে পারলাম না, এসব আমি আর সহ্য করতে পারছি না।’
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের খাসপুর উত্তরপাড়া গ্রামের বজলুর রহমানের দ্বিতল ভবনের চিলেকোঠায় ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।
নিহত গৃহবধূর নাম লিপি খাতুন (৩৬)। তিনি লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের খাসপুর উত্তরপাড়া গ্রামের হাসানুজ্জামান বজলুর স্ত্রী। হাসানুজ্জামান বজলু পেশায় ইটভাটার ম্যানেজার। তাঁদের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছেলে রয়েছে।
লিপি খাতুনের মা শাফিয়া খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জামাই মেয়ের মধ্যে খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। মেয়ের কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, তা আমরা জানি না। মৃত্যুর খবর শুনে আমরা এসে দেখলাম মেয়ের গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় চিলেকোঠায় ঝুলছে। তবে এই মৃত্যুর বিষয়ে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নাই আমাদের।’
লিপি খাতুনের স্বামী হাসানুজ্জামান বজলু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে খাওয়া-দাওয়া করে বাইরে গিয়েছিলাম। স্ত্রীর সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে আমার কোনো মতবিরোধ ছিল না। সন্ধ্যা ৭টা ২৩ মিনিটে আমার ভাই আসাদুজ্জামান বাড়ি থেকে কল দিয়ে আমাকে জানায়, আমার লিপি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ছুটে এসে দেখি চিলেকোঠায় লিপির মরদেহ ঝুলছে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ নামিয়েছে। তবে কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে, তা সম্পূর্ণ অজানা।’
এদিকে এ বিষয়ে লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি রহস্যজনক। তবে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক ছিল। কী কারণে যে সে আত্মহত্যা করেছে বা এর পেছনে কোনো কারণ আছে কি না, তা গৃহবধূ ও তার স্বামী এ দুই পরিবারের কেউ বলতে পারছে না।’
এই ঘটনায় কলারোয়া থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় বজলুর রহমানের বাড়ির চিলেকোঠায় গৃহবধূর মৃতদেহ ঝুলছিল। তার পায়ের পাশে একটা বস্তা পড়ে ছিল। প্রাথমিক সুরতহাল করা হয়েছে। অনুমান করে কিছু বলা যাবে না। তবে মরদেহ ময়নাতদন্তে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে মূল রহস্য জানা যাবে।’
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি বিশেষ টিম পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে পাওয়া কাগজে লেখা একটি চিঠি ও মৃত্যুর ঘটনাটি নিয়ে গভীর তদন্ত চলছে। মেয়ে বা ছেলে উভয় পরিবার থেকে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
১ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪