অনলাইন ডেস্ক
সেলিব্রেটি ব্রিটিশ কুমির বিশেষজ্ঞ অ্যাডাম ব্রিটন। প্রখ্যাত এ প্রাণিবিদ বিবিসি ও ন্যাশনাল জিওগ্রাফির মতো প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। পশুপ্রেমী হিসেবেই তাঁকে চেনেন দর্শকেরা। অথচ এই ব্রিটনের যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে অন্তত ৪২টি কুকুর। এর মধ্যে ৩৯টিই মারা গেছে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাশবিকতা ও শিশু নির্যাতন সামগ্রী ব্যবহারের সঙ্গে সম্পৃক্ততার ৬০টি অভিযোগ স্বীকার করেছেন ব্রিটন। অস্ট্রেলিয়ার এক আদালতের তথ্য অনুসারে, ব্রিটন কয়েক ডজন কুকুরকে মারা না যাওয়া পর্যন্ত নির্যাতন করার ভিডিও ধারণ করেন। সেসব নির্যাতনের ভিডিও অনলাইন প্রকাশ করেন। ভিডিওতে তাঁকে পশুদের ওপর শিশু নির্যাতনের সামগ্রী ব্যবহার করতে দেখা যায়।
গতকাল সোমবার নর্দার্ন টেরিটরির সুপ্রিম কোর্টের এক শুনানিতে কৌঁসুলি ব্রিটনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো উপস্থাপন করেন। পরে তাঁর শাস্তি ঘোষণা করা হবে।
ব্রিটনের অপরাধগুলোর বিবরণ এতই বীভৎস এবং সুস্পষ্ট বর্ণনামূলক ছিল যে শুনানির সময় বিচারক উপস্থিত দর্শকদের সতর্ক করে দেন। প্রধান বিচারপতি মাইকেল গ্রান্টকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মামলার বিবরণী শুনে ‘স্নায়বিক বিপর্যয়’ হতে পারে—এমন আশঙ্কায় বিচারক নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও নিম্ন আদালতের কর্মকর্তাদের এজলাসের বাইরে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
কৌঁসুলিরা আদালতকে জানান, ব্রিটনের অন্তত ২০১৪ সাল থেকে পশুর প্রতি ‘ধর্ষকামী যৌন আগ্রহ’ ছিল। তিনি নিজের পোষা প্রাণীদের নির্যাতন করতেন এবং অন্যদেরও তাঁদের পোষা কুকুর তাঁর কাছে রাখতে রাজি করাতেন।
ব্রিটন অস্ট্রেলিয়ার অনলাইন কেনাবেচার প্ল্যাটফর্ম ‘গামট্রি’ ব্যবহার করে কর্মজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। যারা কাজ বা ভ্রমণের জন্য পোষা প্রাণী রাখার জায়গা পাচ্ছিলেন না, তিনি তাঁদের সঙ্গে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে প্রাণীগুলো নিজের কাছে আনতেন। সেই মালিকেরা পরে তাঁদের পোষা প্রাণীর খোঁজখবর চাইলে ব্রিটন মিথ্যা গল্প শোনাতেন এবং পুরোনো ছবি পাঠাতেন।
বাস্তবে ব্রিটন তাঁর বাড়ি সংলগ্ন খালি জায়গায় একটি শিপিং কনটেইনারে প্রাণীদের নির্যাতন করতেন। সে কনটেইনারে সেসব নির্যাতনের ভিডিও রেকর্ড করার যন্ত্রপাতি ছিল। ব্রিটন এটিকে তাঁর ‘টর্চার রুম’ বলে আদালতের কাছে উল্লেখ করেন। তিনি ছদ্মনাম ব্যবহার করে অনলাইনে এসব ভিডিও শেয়ার করতেন।
এমনই একটি ভিডিও নর্দার্ন টেরিটরি পুলিশের কাছে পৌঁছালে পুলিশ ২০২২ সালের এপ্রিলে ব্রিটনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ১৮ মাসে ব্রিটনের নিষ্ঠুরতার শিকার ৪২টি কুকুরের ৩৯টিই মারা গেছে।
গ্রেপ্তারে পর থেকে ব্রিটন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। আগামী ডিসেম্বরে সাজা ঘোষণার সময় তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে।
ব্রিটনের জন্ম যুক্তরাজ্যের পশ্চিম ইয়র্কশায়ারে। ২০ বছর আগে তিনি কুমির নিয়ে কাজ করতে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি দেন। প্রাণিবিদ্যায় পিএইচডিধারী ব্রিটন (৫১) এই ক্ষেত্রে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার জন্য সারা বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছেন। চার্লস ডারউইন বিশ্ববিদ্যালয়েও গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।
সেলিব্রেটি ব্রিটিশ কুমির বিশেষজ্ঞ অ্যাডাম ব্রিটন। প্রখ্যাত এ প্রাণিবিদ বিবিসি ও ন্যাশনাল জিওগ্রাফির মতো প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। পশুপ্রেমী হিসেবেই তাঁকে চেনেন দর্শকেরা। অথচ এই ব্রিটনের যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে অন্তত ৪২টি কুকুর। এর মধ্যে ৩৯টিই মারা গেছে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাশবিকতা ও শিশু নির্যাতন সামগ্রী ব্যবহারের সঙ্গে সম্পৃক্ততার ৬০টি অভিযোগ স্বীকার করেছেন ব্রিটন। অস্ট্রেলিয়ার এক আদালতের তথ্য অনুসারে, ব্রিটন কয়েক ডজন কুকুরকে মারা না যাওয়া পর্যন্ত নির্যাতন করার ভিডিও ধারণ করেন। সেসব নির্যাতনের ভিডিও অনলাইন প্রকাশ করেন। ভিডিওতে তাঁকে পশুদের ওপর শিশু নির্যাতনের সামগ্রী ব্যবহার করতে দেখা যায়।
গতকাল সোমবার নর্দার্ন টেরিটরির সুপ্রিম কোর্টের এক শুনানিতে কৌঁসুলি ব্রিটনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো উপস্থাপন করেন। পরে তাঁর শাস্তি ঘোষণা করা হবে।
ব্রিটনের অপরাধগুলোর বিবরণ এতই বীভৎস এবং সুস্পষ্ট বর্ণনামূলক ছিল যে শুনানির সময় বিচারক উপস্থিত দর্শকদের সতর্ক করে দেন। প্রধান বিচারপতি মাইকেল গ্রান্টকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মামলার বিবরণী শুনে ‘স্নায়বিক বিপর্যয়’ হতে পারে—এমন আশঙ্কায় বিচারক নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও নিম্ন আদালতের কর্মকর্তাদের এজলাসের বাইরে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
কৌঁসুলিরা আদালতকে জানান, ব্রিটনের অন্তত ২০১৪ সাল থেকে পশুর প্রতি ‘ধর্ষকামী যৌন আগ্রহ’ ছিল। তিনি নিজের পোষা প্রাণীদের নির্যাতন করতেন এবং অন্যদেরও তাঁদের পোষা কুকুর তাঁর কাছে রাখতে রাজি করাতেন।
ব্রিটন অস্ট্রেলিয়ার অনলাইন কেনাবেচার প্ল্যাটফর্ম ‘গামট্রি’ ব্যবহার করে কর্মজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। যারা কাজ বা ভ্রমণের জন্য পোষা প্রাণী রাখার জায়গা পাচ্ছিলেন না, তিনি তাঁদের সঙ্গে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে প্রাণীগুলো নিজের কাছে আনতেন। সেই মালিকেরা পরে তাঁদের পোষা প্রাণীর খোঁজখবর চাইলে ব্রিটন মিথ্যা গল্প শোনাতেন এবং পুরোনো ছবি পাঠাতেন।
বাস্তবে ব্রিটন তাঁর বাড়ি সংলগ্ন খালি জায়গায় একটি শিপিং কনটেইনারে প্রাণীদের নির্যাতন করতেন। সে কনটেইনারে সেসব নির্যাতনের ভিডিও রেকর্ড করার যন্ত্রপাতি ছিল। ব্রিটন এটিকে তাঁর ‘টর্চার রুম’ বলে আদালতের কাছে উল্লেখ করেন। তিনি ছদ্মনাম ব্যবহার করে অনলাইনে এসব ভিডিও শেয়ার করতেন।
এমনই একটি ভিডিও নর্দার্ন টেরিটরি পুলিশের কাছে পৌঁছালে পুলিশ ২০২২ সালের এপ্রিলে ব্রিটনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ১৮ মাসে ব্রিটনের নিষ্ঠুরতার শিকার ৪২টি কুকুরের ৩৯টিই মারা গেছে।
গ্রেপ্তারে পর থেকে ব্রিটন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। আগামী ডিসেম্বরে সাজা ঘোষণার সময় তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে।
ব্রিটনের জন্ম যুক্তরাজ্যের পশ্চিম ইয়র্কশায়ারে। ২০ বছর আগে তিনি কুমির নিয়ে কাজ করতে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি দেন। প্রাণিবিদ্যায় পিএইচডিধারী ব্রিটন (৫১) এই ক্ষেত্রে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার জন্য সারা বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছেন। চার্লস ডারউইন বিশ্ববিদ্যালয়েও গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৬ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৫ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫