রাশেদ নিজাম ও শাহরিয়ার হাসান
ঢাকা: ঠিক পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশের মানুষ দেখেছিল পথভ্রষ্টের বিকৃত এক রূপ। এই দেশেরই একদল তরুণ ভুলপথের দীক্ষা নিয়ে হামলা চালিয়েছিল গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত হোলি আর্টিজান বেকারিতে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে জঙ্গিদের নৃশংস সেই হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২২ জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগ ছিলেন বিদেশি নাগরিক।
হোলি আর্টিজানের পর জঙ্গি দমনে জোরেশোরে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগ গত ৫ বছরে ৫৪৬ জন বিভিন্ন সংগঠনের জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করেছে। অন্তত ২০টি অভিযানে মারা গেছেন ৬৩ জন জঙ্গি।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২ হাজার ৫৫১ জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শুধু হোলি আর্টিজান হামলা–পরবর্তী সময়ে তাদের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে ১ হাজার ৪১৬ জন।
বাহিনীটির কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন ১৬ জন। এ ছাড়া অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট (এটিইউ) গত ২ বছরে ৭১টি অভিযান চালিয়ে ১১৯ জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে।
তাহলে কি একেবারেই নিয়ন্ত্রণে জঙ্গিরা? উগ্রবাদীদের নিয়ে একটি গোয়েন্দা সংস্থার সবশেষ প্রতিবেদন অবশ্য বলছে ভিন্ন কথা। দেশে যেকোনো স্থানে বড় ধরনের হামলা করে আবারও আলোচনায় আসতে চায় আইএস মতাদর্শের জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি। এ জন্য তারা এঁকেছে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি হামলার পরিকল্পনার ছক। চলতি বছরেই পুলিশের ওপর শক্তিশালী আইইডি (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বিস্ফোরণ ঘটানোর মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় তা সম্ভব হয়নি। তবে নতুন নতুন পরিকল্পনা আটছে নিষিদ্ধঘোষিত এই সংগঠনটি। জঙ্গিদের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে করা একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে মিলেছে এসব তথ্য।
সংগঠনটির নতুন আমির নিজেদের অর্থায়নে তৈরি ড্রোন দিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার পাশাপাশি কথিত ইসলামবিদ্বেষী নেতা, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের লক্ষ্য করে হামলা করার পরিকল্পনা করেছেন।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের শেষের দিকে নব্য জেএমবির হাল ধরেছেন মাহাদী হাসান জন। যাঁর সাংগঠনিক নাম আবুল আব্বাস আল বাঙালি। তিনি তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে যাবতীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। তবে সামরিক প্রধান হিসেবে কাজ করছেন দেশে অবস্থান করা আবু আহসান হাবিব আল বাঙালি ওরফে লায়ন, যিনি পাঁচ সদস্যের শুরা বোর্ডেরও প্রধান। সর্বোচ্চে এ বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন রফিক রুহাম (বাংলার মুখপাত্র), আবু দুজানা আল বাঙালি, আবু আদনান আল বাঙালি, আবু উনাইস আল বাঙালি।
জঙ্গিদের এসব পরিকল্পনা নিয়ে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জঙ্গিদের যত পরিকল্পনায় থাকুক না কেন, তাদের সব কার্যক্রম আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। তা ছাড়া অনলাইননির্ভর এই জঙ্গিদের এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কোনো সংগঠনের যোগাযোগের তথ্য আমাদের কাছে নেই।’
নব্য জেএমবির পরিকল্পনা নিষিদ্ধঘোষিত এই জঙ্গি সংগঠনের আমির হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর আবুল আব্বাস আল বাঙালি বেশ কিছু হামলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। কোনো একটি হামলা সফল করে নিজেদের সক্ষমতা জানান দিতে চায় নব্য জেএমবি। অর্থসংকটের কারণে তা বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে। তবে গোয়েন্দাদের শঙ্কা, অদূরভবিষ্যতে তারা এই হামলা চালাতে পারে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করে সাংগঠনিক কাজে নিহত ও গ্রেপ্তার হওয়া সদস্যদের প্রতিশোধ নেওয়া, সংগঠনের অর্থায়নে ড্রোন তৈরি করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা করা, তথাকথিত ইসলামবিদ্বেষী নেতা বিশেষ করে আওয়ামী লীগের কর্মীদের টার্গেট করে হামলা করা, কেবল নেটওয়ার্ক সিস্টেম হ্যাক করে জঙ্গিদের দাওয়াত প্রচার চালানো, খ্রিষ্টান মিশনারি গির্জা, হিন্দু-বৌদ্ধ ধর্মের বিশেষ ব্যক্তি, দরবারি আলেম (সরকারি বেতনভুক্ত), এনজিওকর্মীদের টার্গেট করে হামলা করা। তা ছাড়া দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র কেনার পরিকল্পনার কথাও এই প্রতিবেদনে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জঙ্গিরা ২০২২ সালের মধ্যে ঘাঁটি প্রস্তুত করে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের কোনো একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা করতে চায়। ২০২৪ সালের রমজান মাসের মধ্যে আরাকানে (মিয়ানমার) হিজরত করে সেখানের কোনো সামরিক ঘাঁটিতে হামলার মধ্য দিয়ে প্রকাশ্যে আসারও পরিকল্পনা করেছে তারা।
সিটিটিসির উপকমিশনার পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছরের ১৭ মে নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠনের সামরিক শাখার ‘ইদাত সেল’ নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড মোড়ে পুলিশ ট্রাফিক রুমের সামনে একটি শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সে উদ্যোগ সফল হয়নি। পরবর্তী সময়ে ডিএমপির বোম ডিসপোজাল ইউনিট সেটি নিষ্ক্রিয় করে দেয়। সংগঠনটির সামরিক শাখার সদস্যরা ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের জেলায় এমন বেশ কয়েকটি হামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের দাবি, দেশে জঙ্গিদের এ মুহূর্তে বড় কোনো হামলার সক্ষমতা নেই। জঙ্গিদের চেয়ে র্যাব এগিয়ে রয়েছে। আন্তর্জাতিক কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে দেশের জঙ্গিদের যোগসূত্র নিয়ে গোয়েন্দাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
র্যাবের মহাপরিচালক আরও বলেন, তাঁদের ভূমিকার কারণে উগ্রবাদে জড়িত ১৬ জন তরুণ–তরুণী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। সবার পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। অভিভাবকদের অনুরোধ করে তিনি বলেন, ‘আপনার সন্তান কোথায় কী করছে, মোবাইল ফোনে কী দেখছে, সেটি আপনাদের নজর দিতে হবে।’
অপ্রচলিত ও আধুনিক অ্যাপে যোগাযোগ বার্তা, ছবি ও ভিডিও আদান–প্রদানের জন্য সর্বাধুনিক সব মাধ্যম ব্যবহার করছে জঙ্গিরা। তারা ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো বার্তা আদান–প্রদান মাধ্যমগুলো একেবারেই বাদ দিয়েছে। টেলিগ্রাম, সিগন্যালের পাশাপাশি টাম টাম, জেল্লো, রকেট, উইকার মি ও প্লাস মেসেঞ্জার এখন তাদের যোগাযোগের বড় মাধ্যম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ এড়াতে অপ্রচলিত এবং নতুন এসব অ্যাপ ব্যবহারের মূল কারণ। ভিসিএম নামে একটি করপোরেট বার্তা আদান–প্রদানের মাধ্যমেরও খোঁজ পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
যোগাযোগের জন্য জেলখানা নিরাপদ জঙ্গিরা আপাতত জেলখানাকেই নিরাপদ যোগাযোগের জায়গা বলে মনে করছেন। সংগঠনের আমির আবুল আব্বাস আল বাঙালি, শুরা সদস্য আবু রুহাম ও আবু আহসান হাবীবের সঙ্গে কারাগারে থাকা সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইরে থেকে তাঁরা নিয়মিত জেলে থাকা সদস্যদের কাছে বিকাশ, নগদসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ পাঠান। শুরা সদস্য আবু রুহাম তাঁর পরিচিত লোক দিয়ে নানা কৌশলে বন্দী জঙ্গিদের কাছে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল পৌঁছে দেন এবং বিভিন্ন নিরাপদ অ্যাপস (টেলিগ্রাম, সিগন্যাল)–এর মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। কারাগারে বসে মোবাইল ব্যবহার করছেন এমন দুজন জঙ্গির নাম উঠে আসে গোয়েন্দাদের তদন্তে। তাঁরা হলেন এমডি সাদ, আবু রাহিক (খালেদ)।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে শতভাগ নিশ্চিত উত্তর দিতে পারেননি আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করি জঙ্গিদের হাতে কোনোভাবেই যেন মোবাইল ফোন না পৌঁছায়। কোনো কারারক্ষী কিংবা কর্মকর্তা যদি এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকেন, কঠোর শাস্তির আওতায় আসবেন। দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উগ্রবাদ মোকাবিলায় সুপারিশ কারাগারে আরও নজরদারি বৃদ্ধি করা এবং জামিনে থাকা উগ্রবাদীদের ওপর নজরদারি বাড়াতে সুপারিশ করা হয়েছে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে। বলা হয়, পার্বত্য অঞ্চলে পুলিশি তৎপরতা বাড়াতে হবে এবং সন্দেহভাজনদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। মিয়ানমার সীমান্তে পুলিশের নজরদারি বাড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন গোয়েন্দারা। পাশাপাশি উগ্রবাদবিরোধী কার্যক্রম ও সামাজিক আন্দোলন বেগবান করা দরকার বলেও মত দেওয়া হয়।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদারের মতে, সরাসরি আক্রমণে হয়তো জঙ্গিরা এখন যাচ্ছে না। কিন্তু তারা নতুন কৌশল তৈরি করে রাখছে। আমাদের বাহিনীগুলো সেভাবে নিজেদের প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না সেটা দেখতে হবে।
ঢাকা: ঠিক পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশের মানুষ দেখেছিল পথভ্রষ্টের বিকৃত এক রূপ। এই দেশেরই একদল তরুণ ভুলপথের দীক্ষা নিয়ে হামলা চালিয়েছিল গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত হোলি আর্টিজান বেকারিতে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে জঙ্গিদের নৃশংস সেই হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২২ জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগ ছিলেন বিদেশি নাগরিক।
হোলি আর্টিজানের পর জঙ্গি দমনে জোরেশোরে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগ গত ৫ বছরে ৫৪৬ জন বিভিন্ন সংগঠনের জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করেছে। অন্তত ২০টি অভিযানে মারা গেছেন ৬৩ জন জঙ্গি।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২ হাজার ৫৫১ জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শুধু হোলি আর্টিজান হামলা–পরবর্তী সময়ে তাদের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে ১ হাজার ৪১৬ জন।
বাহিনীটির কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন ১৬ জন। এ ছাড়া অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট (এটিইউ) গত ২ বছরে ৭১টি অভিযান চালিয়ে ১১৯ জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে।
তাহলে কি একেবারেই নিয়ন্ত্রণে জঙ্গিরা? উগ্রবাদীদের নিয়ে একটি গোয়েন্দা সংস্থার সবশেষ প্রতিবেদন অবশ্য বলছে ভিন্ন কথা। দেশে যেকোনো স্থানে বড় ধরনের হামলা করে আবারও আলোচনায় আসতে চায় আইএস মতাদর্শের জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি। এ জন্য তারা এঁকেছে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি হামলার পরিকল্পনার ছক। চলতি বছরেই পুলিশের ওপর শক্তিশালী আইইডি (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বিস্ফোরণ ঘটানোর মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় তা সম্ভব হয়নি। তবে নতুন নতুন পরিকল্পনা আটছে নিষিদ্ধঘোষিত এই সংগঠনটি। জঙ্গিদের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে করা একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে মিলেছে এসব তথ্য।
সংগঠনটির নতুন আমির নিজেদের অর্থায়নে তৈরি ড্রোন দিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার পাশাপাশি কথিত ইসলামবিদ্বেষী নেতা, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের লক্ষ্য করে হামলা করার পরিকল্পনা করেছেন।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের শেষের দিকে নব্য জেএমবির হাল ধরেছেন মাহাদী হাসান জন। যাঁর সাংগঠনিক নাম আবুল আব্বাস আল বাঙালি। তিনি তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে যাবতীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। তবে সামরিক প্রধান হিসেবে কাজ করছেন দেশে অবস্থান করা আবু আহসান হাবিব আল বাঙালি ওরফে লায়ন, যিনি পাঁচ সদস্যের শুরা বোর্ডেরও প্রধান। সর্বোচ্চে এ বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন রফিক রুহাম (বাংলার মুখপাত্র), আবু দুজানা আল বাঙালি, আবু আদনান আল বাঙালি, আবু উনাইস আল বাঙালি।
জঙ্গিদের এসব পরিকল্পনা নিয়ে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জঙ্গিদের যত পরিকল্পনায় থাকুক না কেন, তাদের সব কার্যক্রম আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। তা ছাড়া অনলাইননির্ভর এই জঙ্গিদের এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কোনো সংগঠনের যোগাযোগের তথ্য আমাদের কাছে নেই।’
নব্য জেএমবির পরিকল্পনা নিষিদ্ধঘোষিত এই জঙ্গি সংগঠনের আমির হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর আবুল আব্বাস আল বাঙালি বেশ কিছু হামলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। কোনো একটি হামলা সফল করে নিজেদের সক্ষমতা জানান দিতে চায় নব্য জেএমবি। অর্থসংকটের কারণে তা বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে। তবে গোয়েন্দাদের শঙ্কা, অদূরভবিষ্যতে তারা এই হামলা চালাতে পারে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করে সাংগঠনিক কাজে নিহত ও গ্রেপ্তার হওয়া সদস্যদের প্রতিশোধ নেওয়া, সংগঠনের অর্থায়নে ড্রোন তৈরি করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা করা, তথাকথিত ইসলামবিদ্বেষী নেতা বিশেষ করে আওয়ামী লীগের কর্মীদের টার্গেট করে হামলা করা, কেবল নেটওয়ার্ক সিস্টেম হ্যাক করে জঙ্গিদের দাওয়াত প্রচার চালানো, খ্রিষ্টান মিশনারি গির্জা, হিন্দু-বৌদ্ধ ধর্মের বিশেষ ব্যক্তি, দরবারি আলেম (সরকারি বেতনভুক্ত), এনজিওকর্মীদের টার্গেট করে হামলা করা। তা ছাড়া দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র কেনার পরিকল্পনার কথাও এই প্রতিবেদনে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জঙ্গিরা ২০২২ সালের মধ্যে ঘাঁটি প্রস্তুত করে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের কোনো একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা করতে চায়। ২০২৪ সালের রমজান মাসের মধ্যে আরাকানে (মিয়ানমার) হিজরত করে সেখানের কোনো সামরিক ঘাঁটিতে হামলার মধ্য দিয়ে প্রকাশ্যে আসারও পরিকল্পনা করেছে তারা।
সিটিটিসির উপকমিশনার পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছরের ১৭ মে নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠনের সামরিক শাখার ‘ইদাত সেল’ নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড মোড়ে পুলিশ ট্রাফিক রুমের সামনে একটি শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সে উদ্যোগ সফল হয়নি। পরবর্তী সময়ে ডিএমপির বোম ডিসপোজাল ইউনিট সেটি নিষ্ক্রিয় করে দেয়। সংগঠনটির সামরিক শাখার সদস্যরা ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের জেলায় এমন বেশ কয়েকটি হামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের দাবি, দেশে জঙ্গিদের এ মুহূর্তে বড় কোনো হামলার সক্ষমতা নেই। জঙ্গিদের চেয়ে র্যাব এগিয়ে রয়েছে। আন্তর্জাতিক কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে দেশের জঙ্গিদের যোগসূত্র নিয়ে গোয়েন্দাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
র্যাবের মহাপরিচালক আরও বলেন, তাঁদের ভূমিকার কারণে উগ্রবাদে জড়িত ১৬ জন তরুণ–তরুণী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। সবার পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। অভিভাবকদের অনুরোধ করে তিনি বলেন, ‘আপনার সন্তান কোথায় কী করছে, মোবাইল ফোনে কী দেখছে, সেটি আপনাদের নজর দিতে হবে।’
অপ্রচলিত ও আধুনিক অ্যাপে যোগাযোগ বার্তা, ছবি ও ভিডিও আদান–প্রদানের জন্য সর্বাধুনিক সব মাধ্যম ব্যবহার করছে জঙ্গিরা। তারা ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো বার্তা আদান–প্রদান মাধ্যমগুলো একেবারেই বাদ দিয়েছে। টেলিগ্রাম, সিগন্যালের পাশাপাশি টাম টাম, জেল্লো, রকেট, উইকার মি ও প্লাস মেসেঞ্জার এখন তাদের যোগাযোগের বড় মাধ্যম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ এড়াতে অপ্রচলিত এবং নতুন এসব অ্যাপ ব্যবহারের মূল কারণ। ভিসিএম নামে একটি করপোরেট বার্তা আদান–প্রদানের মাধ্যমেরও খোঁজ পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
যোগাযোগের জন্য জেলখানা নিরাপদ জঙ্গিরা আপাতত জেলখানাকেই নিরাপদ যোগাযোগের জায়গা বলে মনে করছেন। সংগঠনের আমির আবুল আব্বাস আল বাঙালি, শুরা সদস্য আবু রুহাম ও আবু আহসান হাবীবের সঙ্গে কারাগারে থাকা সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইরে থেকে তাঁরা নিয়মিত জেলে থাকা সদস্যদের কাছে বিকাশ, নগদসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ পাঠান। শুরা সদস্য আবু রুহাম তাঁর পরিচিত লোক দিয়ে নানা কৌশলে বন্দী জঙ্গিদের কাছে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল পৌঁছে দেন এবং বিভিন্ন নিরাপদ অ্যাপস (টেলিগ্রাম, সিগন্যাল)–এর মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। কারাগারে বসে মোবাইল ব্যবহার করছেন এমন দুজন জঙ্গির নাম উঠে আসে গোয়েন্দাদের তদন্তে। তাঁরা হলেন এমডি সাদ, আবু রাহিক (খালেদ)।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে শতভাগ নিশ্চিত উত্তর দিতে পারেননি আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করি জঙ্গিদের হাতে কোনোভাবেই যেন মোবাইল ফোন না পৌঁছায়। কোনো কারারক্ষী কিংবা কর্মকর্তা যদি এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকেন, কঠোর শাস্তির আওতায় আসবেন। দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উগ্রবাদ মোকাবিলায় সুপারিশ কারাগারে আরও নজরদারি বৃদ্ধি করা এবং জামিনে থাকা উগ্রবাদীদের ওপর নজরদারি বাড়াতে সুপারিশ করা হয়েছে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে। বলা হয়, পার্বত্য অঞ্চলে পুলিশি তৎপরতা বাড়াতে হবে এবং সন্দেহভাজনদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। মিয়ানমার সীমান্তে পুলিশের নজরদারি বাড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন গোয়েন্দারা। পাশাপাশি উগ্রবাদবিরোধী কার্যক্রম ও সামাজিক আন্দোলন বেগবান করা দরকার বলেও মত দেওয়া হয়।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদারের মতে, সরাসরি আক্রমণে হয়তো জঙ্গিরা এখন যাচ্ছে না। কিন্তু তারা নতুন কৌশল তৈরি করে রাখছে। আমাদের বাহিনীগুলো সেভাবে নিজেদের প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না সেটা দেখতে হবে।
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১৭ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
২১ ঘণ্টা আগেবৈবাহিক জীবনে টানাপোড়েন, তাতে যুক্ত হয় সন্দেহ। সেই সন্দেহই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাসলিমা আক্তারের জীবনে। রাজধানীর কলাবাগানে স্বামীর দায়ের কোপে হয়েছেন খুন। হত্যার পর স্ত্রীর লাশ ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন নজরুল ইসলাম।
৬ দিন আগেদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা নিষ্পত্তির আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলার শুনানি শেষে ২০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রায়ের দিন নির্ধারণ করেন।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
ঠিক পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশের মানুষ দেখেছিল পথভ্রষ্টের বিকৃত এক রূপ। এই দেশেরই একদল তরুণ ভুলপথের দীক্ষা নিয়ে হামলা চালিয়েছিল গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত হোলি আর্টিজান বেকারিতে।
০১ জুলাই ২০২১জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
২১ ঘণ্টা আগেবৈবাহিক জীবনে টানাপোড়েন, তাতে যুক্ত হয় সন্দেহ। সেই সন্দেহই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাসলিমা আক্তারের জীবনে। রাজধানীর কলাবাগানে স্বামীর দায়ের কোপে হয়েছেন খুন। হত্যার পর স্ত্রীর লাশ ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন নজরুল ইসলাম।
৬ দিন আগেদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা নিষ্পত্তির আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলার শুনানি শেষে ২০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রায়ের দিন নির্ধারণ করেন।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
সালমান শাহের মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় দেওয়া আদালতের রায়ের বিরুদ্ধের তাঁর মা নীলা চৌধুরী দ্বিতীয় দফায় যে রিভিশন মামলা করেছিলেন, তা মঞ্জুর করে আজ এই আদেশ দিলেন আদালত।
রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, আদেশে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তাই অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
নীলা চৌধুরীর এ রিভিশন মামলার শুনানি শেষে গত ১৩ অক্টোবর আদালত আদেশের জন্য ২০ অক্টোবর দিন করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে রমনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
পরের বছর ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে আবার আদালতে মামলা করেন তাঁর বাবা। ওই সময় সিআইডিকে অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়।
ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলা হয়।
কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে রিভিশন মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে।
২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবার রিভিশন মামলা করে বাদীপক্ষ।
রিভিশন মামলায় বলা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তে বারবার তাঁর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে বলা হচ্ছে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যাকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
ভক্তদের মানববন্ধন
এদিকে সালমান শাহর ভক্তরা সকাল থেকে আদালত এলাকায় হাজির হন। হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের দাবি জানান তাঁরা। এ সময় তাঁরা সালমান শাহ হত্যার বিচার চেয়ে স্লোগান দেন।
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
সালমান শাহের মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় দেওয়া আদালতের রায়ের বিরুদ্ধের তাঁর মা নীলা চৌধুরী দ্বিতীয় দফায় যে রিভিশন মামলা করেছিলেন, তা মঞ্জুর করে আজ এই আদেশ দিলেন আদালত।
রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, আদেশে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তাই অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
নীলা চৌধুরীর এ রিভিশন মামলার শুনানি শেষে গত ১৩ অক্টোবর আদালত আদেশের জন্য ২০ অক্টোবর দিন করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে রমনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
পরের বছর ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে আবার আদালতে মামলা করেন তাঁর বাবা। ওই সময় সিআইডিকে অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়।
ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলা হয়।
কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে রিভিশন মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে।
২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবার রিভিশন মামলা করে বাদীপক্ষ।
রিভিশন মামলায় বলা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তে বারবার তাঁর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে বলা হচ্ছে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যাকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
ভক্তদের মানববন্ধন
এদিকে সালমান শাহর ভক্তরা সকাল থেকে আদালত এলাকায় হাজির হন। হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের দাবি জানান তাঁরা। এ সময় তাঁরা সালমান শাহ হত্যার বিচার চেয়ে স্লোগান দেন।
ঠিক পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশের মানুষ দেখেছিল পথভ্রষ্টের বিকৃত এক রূপ। এই দেশেরই একদল তরুণ ভুলপথের দীক্ষা নিয়ে হামলা চালিয়েছিল গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত হোলি আর্টিজান বেকারিতে।
০১ জুলাই ২০২১দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১৭ ঘণ্টা আগেবৈবাহিক জীবনে টানাপোড়েন, তাতে যুক্ত হয় সন্দেহ। সেই সন্দেহই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাসলিমা আক্তারের জীবনে। রাজধানীর কলাবাগানে স্বামীর দায়ের কোপে হয়েছেন খুন। হত্যার পর স্ত্রীর লাশ ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন নজরুল ইসলাম।
৬ দিন আগেদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা নিষ্পত্তির আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলার শুনানি শেষে ২০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রায়ের দিন নির্ধারণ করেন।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈবাহিক জীবনে টানাপোড়েন, তাতে যুক্ত হয় সন্দেহ। সেই সন্দেহই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাসলিমা আক্তারের জীবনে। রাজধানীর কলাবাগানে স্বামীর দায়ের কোপে হয়েছেন খুন। হত্যার পর স্ত্রীর লাশ ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন নজরুল ইসলাম।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বংশালের নবাবপুর রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
ডিসি মাসুদ আলম বলেন, নজরুলের স্ত্রী তাসলিমার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর পারিবারিক কলহ চলছিল। নজরুলের ধারণা ছিল, তাঁর স্ত্রী অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন। পাশাপাশি সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার আশঙ্কাও করতেন তিনি। এসব সন্দেহ থেকেই তাসলিমাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন নজরুল।
গত রোববার রাতে বাসায় ফিরে নজরুল দেখেন, ফ্ল্যাটের তিনটি লকের মধ্যে দুটি খোলা। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে স্ত্রী তাসলিমাকে হত্যা করেন। পরে গামছা দিয়ে লাশ বেঁধে বিছানার চাদর ও ওড়না মুড়িয়ে ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন। আলামত গোপনের জন্য রক্তমাখা তোশক উল্টে দেন, মেঝে ধুয়ে ফেলেন এবং নিজের জামাকাপড় ধুয়ে ফেলেন।
পরদিন সকালে সন্তানদের জানান, তাদের মা অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। বড় সন্তান দেয়ালে রক্তের দাগ দেখে সন্দেহ করে। এরপর নজরুল দুই সন্তানকে নানার বাড়ি পাঠানোর কথা বলে রাজধানীর আদাবরে ফুফুর বাসায় রেখে পালিয়ে যান।
তাসলিমার ছোট ভাই নাঈম হোসেন জানান, বোনের কোনো খোঁজ না পেয়ে তিনি সন্তানদের সঙ্গে সোমবার সন্ধ্যায় কলাবাগান থানায় অভিযোগ দেন। অভিযোগের পর পুলিশ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে ডিপ ফ্রিজ খুললে মাছ-মাংসের নিচে কাপড়ে মোড়ানো তাসলিমার লাশ উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় তাসলিমার ভাই নাঈম হোসেন বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তায় নজরুলের অবস্থান শনাক্ত করে মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ডিসি মাসুদ আলম বলেন, নজরুলের সন্দেহই এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। মামলার তদন্ত চলছে।
বৈবাহিক জীবনে টানাপোড়েন, তাতে যুক্ত হয় সন্দেহ। সেই সন্দেহই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাসলিমা আক্তারের জীবনে। রাজধানীর কলাবাগানে স্বামীর দায়ের কোপে হয়েছেন খুন। হত্যার পর স্ত্রীর লাশ ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন নজরুল ইসলাম।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বংশালের নবাবপুর রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
ডিসি মাসুদ আলম বলেন, নজরুলের স্ত্রী তাসলিমার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর পারিবারিক কলহ চলছিল। নজরুলের ধারণা ছিল, তাঁর স্ত্রী অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন। পাশাপাশি সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার আশঙ্কাও করতেন তিনি। এসব সন্দেহ থেকেই তাসলিমাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন নজরুল।
গত রোববার রাতে বাসায় ফিরে নজরুল দেখেন, ফ্ল্যাটের তিনটি লকের মধ্যে দুটি খোলা। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে স্ত্রী তাসলিমাকে হত্যা করেন। পরে গামছা দিয়ে লাশ বেঁধে বিছানার চাদর ও ওড়না মুড়িয়ে ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন। আলামত গোপনের জন্য রক্তমাখা তোশক উল্টে দেন, মেঝে ধুয়ে ফেলেন এবং নিজের জামাকাপড় ধুয়ে ফেলেন।
পরদিন সকালে সন্তানদের জানান, তাদের মা অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। বড় সন্তান দেয়ালে রক্তের দাগ দেখে সন্দেহ করে। এরপর নজরুল দুই সন্তানকে নানার বাড়ি পাঠানোর কথা বলে রাজধানীর আদাবরে ফুফুর বাসায় রেখে পালিয়ে যান।
তাসলিমার ছোট ভাই নাঈম হোসেন জানান, বোনের কোনো খোঁজ না পেয়ে তিনি সন্তানদের সঙ্গে সোমবার সন্ধ্যায় কলাবাগান থানায় অভিযোগ দেন। অভিযোগের পর পুলিশ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে ডিপ ফ্রিজ খুললে মাছ-মাংসের নিচে কাপড়ে মোড়ানো তাসলিমার লাশ উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় তাসলিমার ভাই নাঈম হোসেন বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তায় নজরুলের অবস্থান শনাক্ত করে মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ডিসি মাসুদ আলম বলেন, নজরুলের সন্দেহই এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। মামলার তদন্ত চলছে।
ঠিক পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশের মানুষ দেখেছিল পথভ্রষ্টের বিকৃত এক রূপ। এই দেশেরই একদল তরুণ ভুলপথের দীক্ষা নিয়ে হামলা চালিয়েছিল গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত হোলি আর্টিজান বেকারিতে।
০১ জুলাই ২০২১দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১৭ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
২১ ঘণ্টা আগেদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা নিষ্পত্তির আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলার শুনানি শেষে ২০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রায়ের দিন নির্ধারণ করেন।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা নিষ্পত্তির আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলার শুনানি শেষে ২০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রায়ের দিন নির্ধারণ করেন। রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ওবায়দুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। এ ঘটনায় প্রথমে অপমৃত্যুর মামলা করেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরের বছর ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যার অভিযোগে আবার মামলা করেন তিনি। তখন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত অপমৃত্যু ও হত্যার মামলার একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ বলে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি।
ওই বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়। তবে প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ বলা হয়। কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে হত্যা মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে। ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। এরপর ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করে বাদীপক্ষ।
রিভিশন মামলায় বলা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু বারবার তদন্তে তাঁর মৃত্যুকে অপমৃত্যু মামলা হিসেবে বলা হচ্ছে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যার ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
দেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা নিষ্পত্তির আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলার শুনানি শেষে ২০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রায়ের দিন নির্ধারণ করেন। রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ওবায়দুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। এ ঘটনায় প্রথমে অপমৃত্যুর মামলা করেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরের বছর ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যার অভিযোগে আবার মামলা করেন তিনি। তখন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত অপমৃত্যু ও হত্যার মামলার একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ বলে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি।
ওই বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়। তবে প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ বলা হয়। কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে হত্যা মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে। ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। এরপর ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করে বাদীপক্ষ।
রিভিশন মামলায় বলা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু বারবার তদন্তে তাঁর মৃত্যুকে অপমৃত্যু মামলা হিসেবে বলা হচ্ছে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যার ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
ঠিক পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশের মানুষ দেখেছিল পথভ্রষ্টের বিকৃত এক রূপ। এই দেশেরই একদল তরুণ ভুলপথের দীক্ষা নিয়ে হামলা চালিয়েছিল গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত হোলি আর্টিজান বেকারিতে।
০১ জুলাই ২০২১দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১৭ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
২১ ঘণ্টা আগেবৈবাহিক জীবনে টানাপোড়েন, তাতে যুক্ত হয় সন্দেহ। সেই সন্দেহই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাসলিমা আক্তারের জীবনে। রাজধানীর কলাবাগানে স্বামীর দায়ের কোপে হয়েছেন খুন। হত্যার পর স্ত্রীর লাশ ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন নজরুল ইসলাম।
৬ দিন আগে