Ajker Patrika

রাজারবাগ পিরের মামলা সিন্ডিকেটে সরকারি আইন কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯: ১১
রাজারবাগ পিরের মামলা সিন্ডিকেটে সরকারি আইন কর্মকর্তা

কথিত পির দিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে ঢাকার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও নানাজনকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করার প্রমাণ মিলেছে। ওই সিন্ডিকেটের মূল হোতা এক সরকারি আইন কর্মকর্তা। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অ্যাসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. ফেরদৌস। তিনি রাজারবাগ পিরের মুরিদ। মিথ্যা মামলার এই সিন্ডিকেটে তাঁর সহযোগী হিসেবে রয়েছে হামিদা বেগম, মিনু বেগম, সোনিয়া আক্তার, নাহিদা আক্তার রত্না ও লালন। 

সম্প্রতি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পক্ষ থেকে আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে এই সিন্ডিকেটের বিষয়টি জানা গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে অনুসন্ধান শেষে ওই প্রতিবেদন দাখিল করেন সিআইডি কর্মকর্তা জহিরুল হক কবির। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভুক্তভোগী বিভিন্ন ব্যক্তি, ঘটনা ও সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে রাজারবাগ পির সিন্ডিকেটের মিথ্যা মামলার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। চক্রের সদস্যদের করা একাধিক মামলার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, তদন্তে জানা যায়, রাজারবাগ দরবার শরীফের পির দিল্লুর রহমান তাঁর মুরিদদের দিয়ে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। এই সিন্ডিকেট সারা দেশে মিথ্যা মামলা দিয়ে লোকজনকে নানাভাবে হয়রানি করে। পির দিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নেয়, তদবির করে ও সাক্ষ্য দেয় তাদেরই সিন্ডিকেট সদস্যরা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। এই সিন্ডিকেটের মূল লক্ষ্য—মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে ভূমি দখল ও অর্থ হাতানো। সিন্ডিকেট সদস্যরা প্রথমে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। পরে অর্থ বা জমির বিনিময়ে আপস করে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পির সিন্ডিকেটের মিথ্যা মামলায় দীর্ঘ সময় কারাবরণ করেছেন এমন অন্তত পাঁচজনের ঘটনা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

এর মধ্যে সোহেল চৌধুরী মেরিন একাডেমির রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক প্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট। দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে তালাক দেন। এরপর ওই সিন্ডিকেট বিভিন্ন জেলায় তাঁর বিরুদ্ধে সাতটি মামলা করে। ভুয়া ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার হয়ে নয় মাস জেল খাটেন। শ্বশুর তাঁর বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ কয়েকটি মামলা করেন। আশুলিয়া থানায়ও নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়। মামলাগুলোর বাদী সিন্ডিকেটে ছিলেন হামিদা বেগম। ঢাকায় তাঁর নামে মামলা করেন পির দিল্লু রহমান নিজে। 

সোহেল চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি চক্র সারা দেশে মিথ্যা মামলা দিয়ে লোকজনকে হয়রানি করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ চক্রের হোতা এপিপি ফেরদৌস ও তাঁর মুহুরি। টাকা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব মামলায় আপস করলেও বর্তমানে ঢাকায় মানহানি ও নারী–শিশুর মামলা চলছে।’ 

আরেক ভুক্তভোগী মো. কমিন শাহ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনের কুলির সর্দার। তাঁর ছেলে বিয়ের পরপরই বৃত্তি পেয়ে কানাডায় পিএইচডি করতে যান। এরপর দুই মাস পর ছেলের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। আর এর সূত্র ধরেই এপিপি ফেরদৌসের সহযোগিতায় সারা দেশে ১১টি মামলা হয় কমিন শাহের বিরুদ্ধে। কমিন শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকার কাফরুল থানার একটি হত্যা মামলায় সাজা হয়েছে ৩০ বছর। যেখানে আসামির নাম ইকবাল। আমি বারবার বলেছি আমার নাম কমিন শাহ, তারপরও সাজা দিয়েছে। টাকা দিয়ে মানবপাচারের তিন মামলায় আপস করেছি। যশোরের একটিতে খালাস পেয়েছি। এখনো সাতটি মামলা আছে বিস্ফোরক আইনের। সব মামলাই রাজারবাগ পিরের মুরিদেরা করেছে।’ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মামলার বিষয়টি আইনজীবী ফেরদৌস ও তাঁর মুহুরি সাহেদ দেখে বলে জানান তিনি। 

ভুক্তভোগী বদরুল ইসলাম শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক। কলেজের জমি ক্রয় ও উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ হয়। পরে সহযোগী অধ্যাপক আবু নাঈম মো. রাফি তাঁর নিকটাত্মীয় শাহ আলমকে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানব পাচার আইনে মামলা করান। শাহ আলম পির দিল্লুর রহমানের মুরিদ। মামলার বাদী কুলছুমা আক্তার। বদরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইন সচিব, পুলিশের আইজি, ডিবি, সিআইডি, ডিজিএফআই, এনএসআই ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে আবেদন করেন তিনি। 

পরবর্তীতে ডিবি বিষয়টি তদন্ত করে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদী ও সাক্ষীদের ঠিকানার তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি। একটি চক্র সত্য গোপন করে এই মামলা করেছে। এ ছাড়া ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা বলে জরু মিয়া, শাহ আলম ও জামাল মিয়াকে দিয়ে আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ানো হয়েছে। 

বদরুল ইসলাম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে আইনজীবী ফেরদৌস, তাঁর জামাতা অ্যাডভোকেট শরীফ ও মুহুরি সাহেদ। একটি মামলা হয়েছে। তবে আরও অনেক মামলা হতে পারে। 

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একরামুল আহসান কাঞ্চনের পৈতৃক ২৫ শতাংশ জমির দখল নিয়ে কথিত পির দিল্লুর রহমানের সঙ্গে বিরোধের সূচনা হয়। এরপর পির সিন্ডিকেট দেশের বিভিন্ন জেলায় তাঁর বিরুদ্ধে ৪৯টি মামলা করে। এর মধ্যে ৩৬টি মামলায় তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। কাঞ্চন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখনো মানব পাচার, ধর্ষণ, নাশকতা, হত্যা চেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৩টি মামলা চলমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিন্ডিকেটের লালন যশোরে ও নাহিদা আক্তার রত্না খুলনায় মানব পাচার মামলা দিয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এপিপি ফেরদৌস ও তাঁর মুহুরি সাহেদের নির্দেশনায় এসব হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। 

ঢাকার আশুলিয়ার মাহবুবুর রহমান খোকনের চাচাতো বোন পির দিল্লুর রহমানের স্ত্রী। সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে পির সিন্ডিকেট তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় চারটি মামলা করে। আর তার বড় ভাই সোহরাব হোসেন ও ভাইয়ের ছেলে হামীম সায়মনের বিরুদ্ধে দেওয়া হয় পাঁচটি মামলা। এ ছাড়া খোকনের ফুপাতো ভাই হাবিবুল্লাহ, ভায়রা ওমর ফারুক ও ভাতিজা শাহ আলমের বিরুদ্ধে একটি করে মামলা দেয় পির সিন্ডিকেট। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং মানব পাচার আইনে মামলা করা হয় রোজিনা আক্তারকে দিয়ে। রোজিনা সিন্ডিকেট সদস্য মুহুরি সাহেদের ভাড়াটিয়া। 

এর আগে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) একটি প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। সেখানে বলা হয়, রাজারবাগ পির ও তাঁর অনুসারীরা জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছে। 

এ ছাড়া হাইকোর্টে সিআইডি একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। যেখানে বলা হয়, একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় নানা অভিযোগে করা ৪৯ মামলার মূল হোতা রাজারবাগ পির দিল্লুর রহমান। সম্পত্তি হস্তান্তর না করায় পির এবং তার অনুসারীদের সঙ্গে একরামুলের শত্রুতা সৃষ্টি হয়। এর জেরেই মামলা। 

এসব অভিযোগ ও সিআইডির প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্য চাইলে এপিপি ফেরদৌস আজকের পত্রিকার কাছে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। সিআইডির প্রতিবেদন সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি। 

মাঝে মাঝে পিপির দায়িত্ব পালন করেন এপিপি আজাদ রকিব আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এপিপি ফেরদৌস রাজারবাগ পিরের মুরিদ এটা সত্য। তবে তাঁর ভুয়া মামলা সিন্ডিকেটের বিষয়টি আমার জানা নেই। কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

এই সিন্ডিকেটে একজন সরকারি আইন কর্মকর্তা জড়িত থাকার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি রিপোর্টটি দেখিনি, আগে দেখে নিই। অপরাধ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিদেশ থেকে আসা পার্সেলের নামে প্রতারণা, ব্যবসায়ীর ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল তরুণ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিদেশ থেকে আসা পার্সেলের নামে প্রতারণা, ব্যবসায়ীর ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল তরুণ

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।

এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।

পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।

ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জুয়া, প্রতারণায় জড়িত ৫০ হাজার মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জুয়া, প্রতারণায় জড়িত ৫০ হাজার মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব স্থগিত

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।

সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।

সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।

১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’

অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।

সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ১০
আজ সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলন করে সিআইডি। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলন করে সিআইডি। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।

গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।

সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।

এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র‍্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।

তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।

সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।

অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।

সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর হত্যা মামলা করার নির্দেশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১৯: ৫৮
চিত্রনায়ক সালমান শাহ। ছবি: সংগৃহীত
চিত্রনায়ক সালমান শাহ। ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।

সালমান শাহের মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় দেওয়া আদালতের রায়ের বিরুদ্ধের তাঁর মা নীলা চৌধুরী দ্বিতীয় দফায় যে রিভিশন মামলা করেছিলেন, তা মঞ্জুর করে আজ এই আদেশ দিলেন আদালত।

রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, আদেশে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তাই অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

নীলা চৌধুরীর এ রিভিশন মামলার শুনানি শেষে গত ১৩ অক্টোবর আদালত আদেশের জন্য ২০ অক্টোবর দিন করেন।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে রমনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।

পরের বছর ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে আবার আদালতে মামলা করেন তাঁর বাবা। ওই সময় সিআইডিকে অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়।

ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলা হয়।

কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে রিভিশন মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে।

২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবার রিভিশন মামলা করে বাদীপক্ষ।

রিভিশন মামলায় বলা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তে বারবার তাঁর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে বলা হচ্ছে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যাকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

ভক্তদের মানববন্ধন

এদিকে সালমান শাহর ভক্তরা সকাল থেকে আদালত এলাকায় হাজির হন। হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের দাবি জানান তাঁরা। এ সময় তাঁরা সালমান শাহ হত্যার বিচার চেয়ে স্লোগান দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত