Ajker Patrika

বাবা আমাকে বলেন— মা ভুল করেছি, ক্ষমা করে দিও: আদালতে চিত্রনায়িকা শিমুর মেয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাবা আমাকে বলেন— মা ভুল করেছি, ক্ষমা করে দিও: আদালতে চিত্রনায়িকা শিমুর মেয়ে

বাবা জেলে যাওয়ার দুদিন পর আমাকে ফোন করে বলেছিলেন, মা আমি ভুল করেছি আমাকে ক্ষমা করে দিও।— পারিবারিক কলহের জেরে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়ে শিমুর মেয়ে অজিহা আলিম রিদ আদালতকে এ কথা বলেন।

আজ বৃহস্পতিবার বাবা খন্দকার সাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তাঁর বন্ধু এসএমওয়াই আবদুল্লাহ ফরহাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন অজিহা। তাঁকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। কিন্তু জেরা শেষ না হওয়ায় ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শফিকুল ইসলাম বাকি জেরার জন্য আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

শিমুর মেয়ে অজিহা (১৯) আদালতে মা ও বাবার সম্পর্ক এবং মাকে হত্যা করার পরের ঘটনা বর্ণনা করেন।

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি একই আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী শিমুর ভাই হারুন অর রশিদ। আজ মেয়ে অজিহা সাক্ষ্য দেওয়ার আগে হারুন অর রশিদের বাকি জেরা শেষ করেন আইনজীবীরা।

এর আগে গত বছর ২৯ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. শহীদুল ইসলাম দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে চিত্রনায়িকা শিমুকে খুন করেন তাঁর স্বামী নোবেল। আর এই খুনে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেন বন্ধু ফরহাদ।

অভিযোগপত্র আরও বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের আলামত নষ্ট করতে নোবেলকে সহায়তা করেন তাঁর বন্ধু ফরহাদ।

অভিনেত্রী শিমু কলাবাগানের বাসা থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর গত বছর ১৭ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে বস্তাবন্দি মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর শিমুর ভাই হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় স্বামী নোবেল ও তাঁর বন্ধু ফরহাদসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে নেয়। পরে তাঁরা পৃথক ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে নোবেল বলেন, ঝগড়ার পর তিনি স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। নোবেল সারা রাত লাশের সঙ্গেই ছিলেন এবং পরদিন সকালে বন্ধু ফরহাদকে তাঁর গ্রিন রোডের বাড়িতে ডাকেন। পরে বন্ধুর সহায়তায় কেরানীগঞ্জে লাশ ফেলে দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত