নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর পল্লবীতে হামলা করে রাকিব নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গুরুতর আহত করার ঘটনায় পাঁচ কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এরা হলো মো. রমজান (২০), আল আমিন (২০), ইসমাইল হোসেন ওরফে পপকন (১৮), বিজয় (১৭) ও মো. ইয়াসিন আরাফাত ওরফে সাইমন (১৭।
র্যাব বলছে, এরা ‘কিশোর গ্যাং জুনিয়র গ্রুপের’ সদস্য, যার দলনেতা রমজান। ‘সালাম না দেওয়ায়’ দ্বন্দ্বের জের ধরে তারা রাকিবের ওপর হামলা চালায়। রমজান সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। তার বাবা এলাকায় ফেরি করে মুরগি বিক্রি করেন।
রাজধানীর মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, আশুলিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৪-এর অধিনায়ক ডিআইজি মোজাম্মেল হক জানান।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মিরপুর পল্লবীর সি ব্লক এলাকায় এসএসসি পরীক্ষার্থী রাকিবের (১৬) উপর হামলা চালায় রমজান ও তার সহযোগীরা।
ডিআইজি মোজাম্মেল বলেন, ‘হামলাকারীরা পেছন থেকে রাকিবের পিঠের নিচের অংশে চাকু দিয়ে গুরুতর আহত করে। তারা রাকিবের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। হামলায় গুরুতর আহত রাকিবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।’
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, রাকিবের মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শরীরের নিচের অংশ পুরোপুরি অবশ হয়ে গেছে। সে হাসপাতালের সিসিইউতে ‘জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে’ আছে।
র্যাব-৪-এর অধিনায়ক বলেন, ‘হামলার আগে পাঁচ বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছিল রাকিব। ষষ্ঠ পরীক্ষার দিন অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে পরীক্ষার হলে নেওয়া হয়। কিন্তু পরীক্ষা চলাকালে অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়।’
এ ঘটনায় রাকিবের বাবা আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে পল্লবী থানায় বাদী হয়ে রমজান, আল আমিন, বিজয়, ছোট রমজান, পপকন ও হাসিবসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করে স্থানীয়রা।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, পল্লবী এলাকায় ‘সিনিয়র’ ও ‘জুনিয়র’ নামে দুটি ‘কিশোর গ্যাং’ সক্রিয়। এরা মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, ছোটখাটো ছিনতাই, মাদক সেবনসহ এলাকায় নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িত। দুই গ্রুপ সব সময় হাঙ্গামা জড়ায়। আহত রাকিব সিনিয়র গ্রুপের সদস্য। ঘটনার কয়েক দিন আগে মিরপুর-১২ নম্বরের ডি ব্লকে জুনিয়র গ্রুপের সদস্য রমজান, আল আমিন, বিজয়, ইয়াসিনসহ পাঁচ-ছয়জন ধূমপান করছিল। তখন পাশ দিয়ে সিনিয়র গ্রুপের কয়েকজন সদস্য যাচ্ছিল। তাদের দেখেও জুনিয়ররা সালাম দেয়নি। এ কারণে সিনিয়ররা তাদের মারধর করে।
তিনি বলেন, এ ঘটনার রেশ ধরে ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে পল্লবীর সেকশন-১২, সি ব্লকের কাটা গলিতে জুনিয়র গ্রুপের ১২-১৫ জন একা পেয়ে রাকিবের পথ রোধ করে। এদের মধ্যে রমজান ‘হত্যার উদ্দেশ্যে’ রাকিবকে পেছন থেকে পিঠে উপুর্যপুরি চাকু দিয়ে আঘাত করে; আল আমিন, বিজয় ও ইয়াসিনসহ অন্য আসামিরা তাকে মারধর করে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়।
রাজধানীর পল্লবীতে হামলা করে রাকিব নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গুরুতর আহত করার ঘটনায় পাঁচ কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এরা হলো মো. রমজান (২০), আল আমিন (২০), ইসমাইল হোসেন ওরফে পপকন (১৮), বিজয় (১৭) ও মো. ইয়াসিন আরাফাত ওরফে সাইমন (১৭।
র্যাব বলছে, এরা ‘কিশোর গ্যাং জুনিয়র গ্রুপের’ সদস্য, যার দলনেতা রমজান। ‘সালাম না দেওয়ায়’ দ্বন্দ্বের জের ধরে তারা রাকিবের ওপর হামলা চালায়। রমজান সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। তার বাবা এলাকায় ফেরি করে মুরগি বিক্রি করেন।
রাজধানীর মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, আশুলিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৪-এর অধিনায়ক ডিআইজি মোজাম্মেল হক জানান।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মিরপুর পল্লবীর সি ব্লক এলাকায় এসএসসি পরীক্ষার্থী রাকিবের (১৬) উপর হামলা চালায় রমজান ও তার সহযোগীরা।
ডিআইজি মোজাম্মেল বলেন, ‘হামলাকারীরা পেছন থেকে রাকিবের পিঠের নিচের অংশে চাকু দিয়ে গুরুতর আহত করে। তারা রাকিবের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। হামলায় গুরুতর আহত রাকিবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।’
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, রাকিবের মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শরীরের নিচের অংশ পুরোপুরি অবশ হয়ে গেছে। সে হাসপাতালের সিসিইউতে ‘জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে’ আছে।
র্যাব-৪-এর অধিনায়ক বলেন, ‘হামলার আগে পাঁচ বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছিল রাকিব। ষষ্ঠ পরীক্ষার দিন অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে পরীক্ষার হলে নেওয়া হয়। কিন্তু পরীক্ষা চলাকালে অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়।’
এ ঘটনায় রাকিবের বাবা আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে পল্লবী থানায় বাদী হয়ে রমজান, আল আমিন, বিজয়, ছোট রমজান, পপকন ও হাসিবসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করে স্থানীয়রা।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, পল্লবী এলাকায় ‘সিনিয়র’ ও ‘জুনিয়র’ নামে দুটি ‘কিশোর গ্যাং’ সক্রিয়। এরা মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, ছোটখাটো ছিনতাই, মাদক সেবনসহ এলাকায় নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িত। দুই গ্রুপ সব সময় হাঙ্গামা জড়ায়। আহত রাকিব সিনিয়র গ্রুপের সদস্য। ঘটনার কয়েক দিন আগে মিরপুর-১২ নম্বরের ডি ব্লকে জুনিয়র গ্রুপের সদস্য রমজান, আল আমিন, বিজয়, ইয়াসিনসহ পাঁচ-ছয়জন ধূমপান করছিল। তখন পাশ দিয়ে সিনিয়র গ্রুপের কয়েকজন সদস্য যাচ্ছিল। তাদের দেখেও জুনিয়ররা সালাম দেয়নি। এ কারণে সিনিয়ররা তাদের মারধর করে।
তিনি বলেন, এ ঘটনার রেশ ধরে ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে পল্লবীর সেকশন-১২, সি ব্লকের কাটা গলিতে জুনিয়র গ্রুপের ১২-১৫ জন একা পেয়ে রাকিবের পথ রোধ করে। এদের মধ্যে রমজান ‘হত্যার উদ্দেশ্যে’ রাকিবকে পেছন থেকে পিঠে উপুর্যপুরি চাকু দিয়ে আঘাত করে; আল আমিন, বিজয় ও ইয়াসিনসহ অন্য আসামিরা তাকে মারধর করে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়।
সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
৯ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১০ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
১৭ দিন আগেমালয়েশিয়ায় জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পর তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ উর রহমান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১৭ দিন আগে