নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুই বছর ধরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাঁধ, ঢাকা উদ্যান এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল ব্রেভ ডেঞ্জার স্ট্রং কিং (বিডিএসকে) নামের একটি গ্যাং। এই গ্যাংয়ের প্রধান শ্রীনাথ মণ্ডল ওরফে হৃদয় ওরফে হিটার হৃদয় (২২)। তাঁর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ২০-২৫ জন কিশোর-তরুণ।
বিডিএসকে গ্রুপের লিডার হৃদয় ওরফে হিটার হৃদয় স্থানীয় একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। সন্ত্রাসী এই গ্রুপ পরিচালনার পাশাপাশি লেগুনার হেলপার হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
মোহাম্মদপুর, আদাবর ও বেড়িবাঁধ এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদকের কারবারসহ আধিপত্য বিস্তার করে ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছিলেন তিনি। মূলত গ্রুপটি টাকার বিনিময় নানা ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাত।
গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, বেড়িবাঁধ, সদরঘাট ও ফরিদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ‘ব্রেভ ডেঞ্জার স্ট্রং কিং (বিডিএসকে) ’ সন্ত্রাসী গ্রুপের নেতা হৃদয়সহ তাঁর আট সহযোগীকে দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আটক অন্যরা হলেন বিডিএসকে গ্রুপের সমন্বয়ক মো. রবিন ইসলাম ওরফে এসএমসি রবিন (২০), মো. রাসেল ওরফে কালো রাসেল (২৫), মো. আলামিন ওরফে ডিশ আলামিন (২১), মো. লোমান ঘাড় ত্যাড়া লোমান (২১), মো. আশিক ওরফে হিরো আশিক (১৯), মো. জোবায়ের ইসলাম ওরফে চিকনা জোবায়ের (১৯) এবং মো. সুমন ওরফে বাইট্টা সুমন (২০)।
অভিযানে তাঁদের মোহাম্মদপুরের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি চাপাতি, ১টি রামদা, ১টি চায়নিজ কুড়াল, ৪টি চাকু (বড় ও ছোট), ২টি হাঁসুয়া, ১টি কাঁচি এবং ১টি লোহার রড উদ্ধার করা হয়।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে রাজধানীর আদাবর থানাধীন তিনরাস্তার মোড় এলাকায় এক ব্যক্তিকে জখম করে মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ ছিনতাইকারীরা নিয়ে যায়। ভুক্তভোগীকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। একইভাবে কিছুদিন আগে একই এলাকার এক কলেজ শিক্ষার্থীর কাছ থেকেও একই কায়দায় মোটা অঙ্কের টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’
এসব ঘটনার তদন্তে নেমে র্যাব বিভিন্ন সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে ৮-১০ জনের একটি দলকে শনাক্ত করে। এরপর গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে বিডিএসকে গ্রুপের খোঁজ পায়। গ্রুপের নেতা হৃদয় ওরফে হিটার হৃদয়কে শনাক্ত করে আটক করতে অভিযান শুরু করে র্যাব।
র্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, ‘আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাদের গ্রুপে ২০-২৫ জন সদস্য রয়েছে। লিডার হৃদয় দুই বছর আগে গ্যাংটি গঠন করেন। এই গ্রুপের সদস্যরা আগে সবুজ বাংলা গ্রুপ, টপ টেন গ্রুপ ও ভাই বন্ধু গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত ছিল।’
র্যাবের তথ্য অনুযায়ী, এই গ্রুপের সদস্যরা ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবেও কাজ করতেন। মাদক সেবন, মাদকের কারবার, ইভ টিজিং, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপ্রীতিকর ভিডিও শেয়ারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমের সঙ্গেও তাঁরা জড়িত।
হৃদয়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় একাধিকবার কারাভোগও করেছেন।
দুই বছর ধরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাঁধ, ঢাকা উদ্যান এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল ব্রেভ ডেঞ্জার স্ট্রং কিং (বিডিএসকে) নামের একটি গ্যাং। এই গ্যাংয়ের প্রধান শ্রীনাথ মণ্ডল ওরফে হৃদয় ওরফে হিটার হৃদয় (২২)। তাঁর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ২০-২৫ জন কিশোর-তরুণ।
বিডিএসকে গ্রুপের লিডার হৃদয় ওরফে হিটার হৃদয় স্থানীয় একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। সন্ত্রাসী এই গ্রুপ পরিচালনার পাশাপাশি লেগুনার হেলপার হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
মোহাম্মদপুর, আদাবর ও বেড়িবাঁধ এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদকের কারবারসহ আধিপত্য বিস্তার করে ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছিলেন তিনি। মূলত গ্রুপটি টাকার বিনিময় নানা ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাত।
গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, বেড়িবাঁধ, সদরঘাট ও ফরিদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ‘ব্রেভ ডেঞ্জার স্ট্রং কিং (বিডিএসকে) ’ সন্ত্রাসী গ্রুপের নেতা হৃদয়সহ তাঁর আট সহযোগীকে দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আটক অন্যরা হলেন বিডিএসকে গ্রুপের সমন্বয়ক মো. রবিন ইসলাম ওরফে এসএমসি রবিন (২০), মো. রাসেল ওরফে কালো রাসেল (২৫), মো. আলামিন ওরফে ডিশ আলামিন (২১), মো. লোমান ঘাড় ত্যাড়া লোমান (২১), মো. আশিক ওরফে হিরো আশিক (১৯), মো. জোবায়ের ইসলাম ওরফে চিকনা জোবায়ের (১৯) এবং মো. সুমন ওরফে বাইট্টা সুমন (২০)।
অভিযানে তাঁদের মোহাম্মদপুরের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি চাপাতি, ১টি রামদা, ১টি চায়নিজ কুড়াল, ৪টি চাকু (বড় ও ছোট), ২টি হাঁসুয়া, ১টি কাঁচি এবং ১টি লোহার রড উদ্ধার করা হয়।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে রাজধানীর আদাবর থানাধীন তিনরাস্তার মোড় এলাকায় এক ব্যক্তিকে জখম করে মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ ছিনতাইকারীরা নিয়ে যায়। ভুক্তভোগীকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। একইভাবে কিছুদিন আগে একই এলাকার এক কলেজ শিক্ষার্থীর কাছ থেকেও একই কায়দায় মোটা অঙ্কের টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’
এসব ঘটনার তদন্তে নেমে র্যাব বিভিন্ন সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে ৮-১০ জনের একটি দলকে শনাক্ত করে। এরপর গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে বিডিএসকে গ্রুপের খোঁজ পায়। গ্রুপের নেতা হৃদয় ওরফে হিটার হৃদয়কে শনাক্ত করে আটক করতে অভিযান শুরু করে র্যাব।
র্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, ‘আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাদের গ্রুপে ২০-২৫ জন সদস্য রয়েছে। লিডার হৃদয় দুই বছর আগে গ্যাংটি গঠন করেন। এই গ্রুপের সদস্যরা আগে সবুজ বাংলা গ্রুপ, টপ টেন গ্রুপ ও ভাই বন্ধু গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত ছিল।’
র্যাবের তথ্য অনুযায়ী, এই গ্রুপের সদস্যরা ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবেও কাজ করতেন। মাদক সেবন, মাদকের কারবার, ইভ টিজিং, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপ্রীতিকর ভিডিও শেয়ারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমের সঙ্গেও তাঁরা জড়িত।
হৃদয়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় একাধিকবার কারাভোগও করেছেন।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৬ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৭ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৯ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫