নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: মুনিয়ার ‘আত্মহত্যা প্ররোচনা’ মামলার তদন্তে কূল কিনারা পাচ্ছে না পুলিশ। তদন্তে এবার আলোচনায় এসেছে মূল অভিযুক্ত বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের মা ও তাঁর স্ত্রীর নাম। মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, মুনিয়া যে ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন সেই ফ্ল্যাট মালিক ও তাঁর স্ত্রীর লিখিত জবানবন্দিতে আনভীরের মা ও স্ত্রীর নাম উঠে এসেছে। তাদের ধারণা মুনিয়ার আত্মহত্যা’ প্ররোচনায়’ তাদের সম্পৃক্ততাও থাকতে পারে।
পুলিশের গুলশান বিভাগের কোন কর্মকর্তার এ বিষয়ে সরাসরি মুখ খুলছেন না। তবে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক পদস্থ এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই ফ্ল্যাটের মালিক ও তাঁর স্ত্রী বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম বলেছেন। যারা কোন না কোনভাবে মুনিয়ার ‘আত্মহত্যা প্ররোচনার’ সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। তাঁদের মধ্যে আনভীরের মা ও স্ত্রীর নামও রয়েছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গুলশানে মুনিয়া যে ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন সেই বাসাটি ইব্রাহীম আহমেদ রিপন নামে এক ব্যবসায়ীর শাশুড়ির। ইব্রাহীম আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী শারমিন ফ্ল্যাটটি দেখভাল করেন। তাঁরা আমাদের যে তথ্য দিচ্ছেন আমরা সেসব তথ্য যাচাই বাছাই করছি।
মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি মামলা তদন্তে আনভীরের পরিবারের বেশ কয়েকজন নাম এসেছে। তাঁরা মুনিয়ার এই মৃত্যুর বিষয়ে জানতো। আমরা পুলিশকে আগেই বিষয়গুলো জানিয়েছিলাম। এমনকি মামলার এজাহারেও লিখেছিলাম’ আনভীরের মা বিষয়টি জানতে পারলে মুনিয়াকে মেরে ফেলবে’। কিন্তু তাঁরা তো আবার দেশের বাহিরে। মামলা তদন্তেও কোন অগ্রগতি নেই। আমরা দুই-এক দিনের মধ্যে ঢাকাতে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবো।
মামলার এজাহার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়। এজাহারের এক প্যারাতে উল্লেখ্য আছে ‘গত ২৩ এপ্রিল সায়েম সোবহান আনভীর মুনিয়াকে হঠাৎ বকাঝকা করেন। মুনিয়া কেন ফ্ল্যাট মালিকের বাসায় গিয়ে ইফতার করেছে এবং ছবি তুলেছে। ফ্ল্যাট মালিকের স্ত্রী সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছে। এটা আবার পিয়াসা দেখেছে। পিয়াসা মালিকের স্ত্রীর ফেসবুক ফ্রেন্ড ও পরিচিত। পিয়াসা আনভীরের মাকে সব বলে দেবে। আর আনভীরের মা বিষয়টি জানতে পারলে মুনিয়াকে মেরে ফেলবে।’
পুলিশ ওই সূত্র বলছে, মামলার তদন্তের স্বার্থে আমরা পিয়াসা কেও জেরা করেছি। পিয়াসা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন তিনি মুনিয়ার আত্মহত্যার তিন থেকে চারদিন আগে আনভীরের মা ও স্ত্রীর কাছে মুনিয়ার কথা বলেছেন। এরপর আনভীরের পরিবার মুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কিনা তা সে জানে না।
মামলার বাদী নুসরাত জাহান বলছেন, ঘটনার দিন সকালে তাদের দ্রুত ঢাকায় আসতে বলেছিলেন মুনিয়া। কেন এত ভয় পেয়েছিলেন? কেন একটি ‘দুর্ঘটনা’ ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে পারলেই পরিষ্কার হতো সবকিছু।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলাটির তদন্তে সময় লাগবে। গুরুত্ব দিয়ে মামলার তদন্ত চলছে। প্রতিদিনই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও লিখিত জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে। তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছেন।’
এদিকে পুলিশ এ মামলায় আনভীরের পরিবারের সম্পৃক্ততা পেলেও সত্য মিথ্যা যাচাই করার কোন সুযোগ থাকছে না। কেননা মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের তিনদিন পর একটি চার্টার্ড ফ্লাইট দেশ ছেড়েছেন সায়েম সোবহান আনভীরের মা-স্ত্রীসহ পরিবারের আট সদস্য। তাছাড়া মুনিয়ার ‘আত্মহত্যা প্ররোচনা’ মামলার প্রধান অভিযুক্ত সায়েম সোবহান আনভীরকেই এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করেনি পুলিশ। এমনকি পুলিশ এটাও জানেন না আনভীর এখন কোথায় আছেন?
এ বিষয়ে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী এসব প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি।
গত ২৬ এপ্রিল গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া ‘আত্মহত্যা’য় প্ররোচনার অভিযোগ এনে দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়িক গ্রুপ বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামি হিসেবে আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ২৭ এপ্রিল পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্য মহানগর হাকিম তা মঞ্জুর করেন।
তবে ঘটনার এক মাস পূর্ণ হতে চললেও এখন পর্যন্ত পুলিশ পরিষ্কার করে কিছু বলছেন না। মুনিয়ার পরিবারের অভিযোগ, আসামি দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হওয়ায় মামলা থেকে দায়মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ মুনিয়ার পরিবারের।
ঢাকা: মুনিয়ার ‘আত্মহত্যা প্ররোচনা’ মামলার তদন্তে কূল কিনারা পাচ্ছে না পুলিশ। তদন্তে এবার আলোচনায় এসেছে মূল অভিযুক্ত বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের মা ও তাঁর স্ত্রীর নাম। মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, মুনিয়া যে ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন সেই ফ্ল্যাট মালিক ও তাঁর স্ত্রীর লিখিত জবানবন্দিতে আনভীরের মা ও স্ত্রীর নাম উঠে এসেছে। তাদের ধারণা মুনিয়ার আত্মহত্যা’ প্ররোচনায়’ তাদের সম্পৃক্ততাও থাকতে পারে।
পুলিশের গুলশান বিভাগের কোন কর্মকর্তার এ বিষয়ে সরাসরি মুখ খুলছেন না। তবে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক পদস্থ এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই ফ্ল্যাটের মালিক ও তাঁর স্ত্রী বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম বলেছেন। যারা কোন না কোনভাবে মুনিয়ার ‘আত্মহত্যা প্ররোচনার’ সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। তাঁদের মধ্যে আনভীরের মা ও স্ত্রীর নামও রয়েছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গুলশানে মুনিয়া যে ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন সেই বাসাটি ইব্রাহীম আহমেদ রিপন নামে এক ব্যবসায়ীর শাশুড়ির। ইব্রাহীম আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী শারমিন ফ্ল্যাটটি দেখভাল করেন। তাঁরা আমাদের যে তথ্য দিচ্ছেন আমরা সেসব তথ্য যাচাই বাছাই করছি।
মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি মামলা তদন্তে আনভীরের পরিবারের বেশ কয়েকজন নাম এসেছে। তাঁরা মুনিয়ার এই মৃত্যুর বিষয়ে জানতো। আমরা পুলিশকে আগেই বিষয়গুলো জানিয়েছিলাম। এমনকি মামলার এজাহারেও লিখেছিলাম’ আনভীরের মা বিষয়টি জানতে পারলে মুনিয়াকে মেরে ফেলবে’। কিন্তু তাঁরা তো আবার দেশের বাহিরে। মামলা তদন্তেও কোন অগ্রগতি নেই। আমরা দুই-এক দিনের মধ্যে ঢাকাতে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবো।
মামলার এজাহার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়। এজাহারের এক প্যারাতে উল্লেখ্য আছে ‘গত ২৩ এপ্রিল সায়েম সোবহান আনভীর মুনিয়াকে হঠাৎ বকাঝকা করেন। মুনিয়া কেন ফ্ল্যাট মালিকের বাসায় গিয়ে ইফতার করেছে এবং ছবি তুলেছে। ফ্ল্যাট মালিকের স্ত্রী সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছে। এটা আবার পিয়াসা দেখেছে। পিয়াসা মালিকের স্ত্রীর ফেসবুক ফ্রেন্ড ও পরিচিত। পিয়াসা আনভীরের মাকে সব বলে দেবে। আর আনভীরের মা বিষয়টি জানতে পারলে মুনিয়াকে মেরে ফেলবে।’
পুলিশ ওই সূত্র বলছে, মামলার তদন্তের স্বার্থে আমরা পিয়াসা কেও জেরা করেছি। পিয়াসা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন তিনি মুনিয়ার আত্মহত্যার তিন থেকে চারদিন আগে আনভীরের মা ও স্ত্রীর কাছে মুনিয়ার কথা বলেছেন। এরপর আনভীরের পরিবার মুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কিনা তা সে জানে না।
মামলার বাদী নুসরাত জাহান বলছেন, ঘটনার দিন সকালে তাদের দ্রুত ঢাকায় আসতে বলেছিলেন মুনিয়া। কেন এত ভয় পেয়েছিলেন? কেন একটি ‘দুর্ঘটনা’ ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে পারলেই পরিষ্কার হতো সবকিছু।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলাটির তদন্তে সময় লাগবে। গুরুত্ব দিয়ে মামলার তদন্ত চলছে। প্রতিদিনই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও লিখিত জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে। তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছেন।’
এদিকে পুলিশ এ মামলায় আনভীরের পরিবারের সম্পৃক্ততা পেলেও সত্য মিথ্যা যাচাই করার কোন সুযোগ থাকছে না। কেননা মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের তিনদিন পর একটি চার্টার্ড ফ্লাইট দেশ ছেড়েছেন সায়েম সোবহান আনভীরের মা-স্ত্রীসহ পরিবারের আট সদস্য। তাছাড়া মুনিয়ার ‘আত্মহত্যা প্ররোচনা’ মামলার প্রধান অভিযুক্ত সায়েম সোবহান আনভীরকেই এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করেনি পুলিশ। এমনকি পুলিশ এটাও জানেন না আনভীর এখন কোথায় আছেন?
এ বিষয়ে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী এসব প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি।
গত ২৬ এপ্রিল গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া ‘আত্মহত্যা’য় প্ররোচনার অভিযোগ এনে দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়িক গ্রুপ বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামি হিসেবে আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ২৭ এপ্রিল পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্য মহানগর হাকিম তা মঞ্জুর করেন।
তবে ঘটনার এক মাস পূর্ণ হতে চললেও এখন পর্যন্ত পুলিশ পরিষ্কার করে কিছু বলছেন না। মুনিয়ার পরিবারের অভিযোগ, আসামি দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হওয়ায় মামলা থেকে দায়মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ মুনিয়ার পরিবারের।
সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১০ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১১ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
১৮ দিন আগেমালয়েশিয়ায় জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পর তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ উর রহমান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১৮ দিন আগে