Ajker Patrika

বাবার সঙ্গে বন্ধুত্বের সুযোগে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৩, ১৮: ০৯
বাবার সঙ্গে বন্ধুত্বের সুযোগে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বালুর গর্ত থেকে ১৭ এপ্রিল উদ্ধার করা হয় সাত বছরের শিশু মারিয়ার অর্ধগলিত লাশ। তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করার জন্য বালুর গর্ত করে পুঁতে রাখা হয়। ভাওয়ার ভিটি গ্রামের হামিদ সিটি রিয়েল এস্টেটের প্রিয় প্রাঙ্গণ প্রকল্পের সীমানা দেয়ালের পাশে পুঁতে রাখা হয়েছিল লাশ। 

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার রোকন (২৫) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রোকন ভাওয়ার ভিটি গ্রামের রতনের বাড়ির ভাড়াটিয়া আমির আলীর ছেলে। তাঁর গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার কুলিয়া মধ্যপাড়া। 
শিশু মারিয়া ভাওয়ার ভিটি গ্রামের পলাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া শামীম শেখের মেয়ে। 

১৩ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় মারিয়া। তাকে কোথাও না পেয়ে বাবা শামীম শেখ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির সূত্র ধরে রোকনকে আটক করে পুলিশ। 

১৭ এপ্রিল রাত সাড়ে তিনটার দিকে রোকনের দেওয়া তথ্যে মারিয়ার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। 

পরদিন রোকন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, রোকন আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন, মারিয়ার বাবা শামীম শেখ ও তাঁর গ্রামের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় তাঁদের বন্ধুত্ব ছিল। মারিয়া তাঁকে চাচা ডাকত। ১৩ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আম পেড়ে দেওয়ার কথা বলে মারিয়াকে নিয়ে তিনি প্রিয় প্রাঙ্গণ প্রকল্পে যান। কড়া রোদ থাকায় ওই সময় এলাকা ছিল নির্জন। রোকন মারিয়াকে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করেন। মারিয়া অজ্ঞান হয়ে গেলে গায়ের কাপড় খুলে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর লাশ গুম করতে বালুর মধ্যে গর্ত করে লুকিয়ে রাখেন। 

রোকন আরও স্বীকার করেন, মারিয়ার কানে স্বর্ণের দুল ছিল। মৃত্যুর পর সেটি খুলে নিয়ে তিনি স্থানীয় একটি স্বর্ণের দোকানে বিক্রি করে দেন। 

১৭ এপ্রিল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় নিয়মিত মামলা করেন মারিয়ার বাবা। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হওয়া এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলার বাদী থানায় জিডি করার পরপরই তাঁরা তদন্তে নেমে পড়েন। চার দিনের মাথায় রোকনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটন করেন। 

তদন্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান আরও জানান, রোকন ১৮ এপ্রিল আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়ে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। মারিয়ার কানের দুল স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলমকেও গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত