Ajker Patrika

মাদারগঞ্জে নববধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ, পলাতক স্বামী 

প্রতিনিধি, মাদারগঞ্জ (জামালপুর) 
মাদারগঞ্জে নববধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ, পলাতক স্বামী 

জামালপুরের মাদারগঞ্জে মোর্শেদা আক্তার (১৯) নামে এক নববধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার রাতে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী ও তাঁর পরিবার পলাতক রয়েছেন। 

মোর্শেদা বগুড়ার কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের ইন্দুরমারা চরের ছালেক আকন্দের মেয়ে। সে উপজেলার গুনারীতলা মধ্যপাড়ার জদুর মণ্ডলের ছেলে সোহাগের স্ত্রী। 

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোর্শেদা আক্তারের সঙ্গে এক মাস আগে সোহাগের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক দিন পর থেকেই সোহাগ পরকীয়া শুরু করেন। এ নিয়ে মোর্শেদা কিছু বললে তাঁকে প্রায় অমানবিক শারীরিক নির্যাতন চালাতো সে। তাঁকে ঠিকমতো তিনবেলা খাবার দিত না। এ নিয়ে প্রতিবেশীরা কিছু বলতে আসলে তাঁদেরও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করত সোহাগ।

এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত সোহাগ এর আগেও একটি বিয়ে করেছিল। নির্যাতন সইতে না পেরে তাঁর আগের স্ত্রী সংসার ছেড়ে চলে যায়। এ অবস্থায় গতকাল দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হলে মোর্শেদাকে ব্যাপক মারধর করে সে। মারধরের একপর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাঁর স্বামী। এরপর হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যা বলে চালাতে ঘরের আড়ার ওপর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে প্রতিবেশীদের মাঝে প্রচার করা হয় মোর্শেদা ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। 

মাদারগঞ্জে বিয়ের এক মাসের মাথায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, পলাতক স্বামীএ বিষয়ে মোর্শেদার মা সুন্দরী বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকে পরকীয়ার জেরে আমার মেয়েকে প্রায় মারধর করত সোহাগ। মেয়ে বাবার বাড়ি আসলে চাইলে তাঁকে আসতে দিত না। তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আজ সোমবার সকালে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই। 

রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মাদারগঞ্জ সার্কেলের এএসপি স্বজল কুমার সরকার ও মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাহবুবুল হক। এ সময় ওসি বলেন, খবর পেয়ে ওই নববধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জামালপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে হত্যার কারণ জানা যাবে। 

ওসি আরও বলেন, নিহতের বাবা বাদী হয়ে আজ একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আসামিদের ধরতে সর্বোচ্চ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত