টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব মিয়ার বিরুদ্ধে ঘরে ঢুকে এক নববধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার ওই নববধূ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে সাকিব মিয়া ও তাঁর দুই সহযোগীর নামে মামলা করেছেন।
আদালতে করা মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী বাসাইল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ নেয়নি বলে উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় কেউ মামলা করতে থানায় আসেনি বলে জানান বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।
সাকিব মিয়া (২৪) বাসাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে। মামলায় অন্য দুই আসামি হচ্ছেন বাসাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত হাকিম মিয়ার ছেলে সাইদুল মিয়া (৩০) ও একই গ্রামের জুয়েল মিয়ার ছেলে মো. শাহেদ (২৫)।
ভুক্তভোগীর আইনজীবী মোহাম্মদ মোশাররফ খান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহবুবুর রহমান দ্রুত ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বাসাইল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (১৪ মে) দিবাগত রাতে খাবার খেয়ে ওই নববধূ ও তাঁর স্বামী ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব ও তাঁর দুই বন্ধু ওই নববধূর স্বামীকে ডেকে বাইরে আনেন। এ সময় সাকিব জানান, তাঁর এক স্বজন অসুস্থ, তাঁকে দেখতে যেতে হবে। এ জন্য তিনি নববধূর স্বামীর মোটরসাইকেলটি চেয়ে নেন। পার্শ্ববর্তী বাড়ির প্রতিবেশী হওয়ায় নববধূর স্বামী ঘর থেকে মোটরসাইকেলটি বের করে দেন।
কিছু দূর যাওয়ার পর সাকিব আবার তাঁর স্বামীকে ডাকেন এবং মোটরসাইকেলটি স্টার্ট করে দিতে বলেন। তাঁর স্বামী মোটরসাইকেলটি স্টার্ট দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই ফাঁকে সাকিব ঘরে ঢুকে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে নববধূকে ধর্ষণ করেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মুখের বাঁধন খুলে গেলে তিনি চিৎকার শুরু করেন। এ সময় স্বামী ও আশপাশের লোকজন এসে সাকিবকে হাতেনাতে আটক করেন। অন্য সহযোগীরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সাকিবকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান। এ বিষয়ে কাউকে জানালে বা মামলা করলে হত্যারও হুমকি দেন তাঁরা।
স্থানীয়রা জানান, ওই নারীর মাত্র তিন মাস আগে বিয়ে হয়েছে। সাকিব উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মতিয়ার রহমান গাউসের ভাতিজা হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পাচ্ছে না। ভুক্তভোগীর পরিবার চরম আতঙ্কে রয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে কথা বললে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কামরান খান বিপুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমন ঘটনায় ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’
তবে ভিন্ন কথা বলছেন অভিযুক্ত সাকিবের চাচা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মতিয়ার রহমান গাউস। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই ধর্ষণের ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ ওই গৃহবধূকে দিয়ে এই ধর্ষণ মামলাটি করিয়েছে।’
টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি হয়েছে। বিচারক মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে থানায় পাঠিয়েছেন।’
এদিকে এ বিষয়ে কথা বলতে সাকিব মিয়ার ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি।
টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব মিয়ার বিরুদ্ধে ঘরে ঢুকে এক নববধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার ওই নববধূ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে সাকিব মিয়া ও তাঁর দুই সহযোগীর নামে মামলা করেছেন।
আদালতে করা মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী বাসাইল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ নেয়নি বলে উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় কেউ মামলা করতে থানায় আসেনি বলে জানান বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।
সাকিব মিয়া (২৪) বাসাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে। মামলায় অন্য দুই আসামি হচ্ছেন বাসাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত হাকিম মিয়ার ছেলে সাইদুল মিয়া (৩০) ও একই গ্রামের জুয়েল মিয়ার ছেলে মো. শাহেদ (২৫)।
ভুক্তভোগীর আইনজীবী মোহাম্মদ মোশাররফ খান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহবুবুর রহমান দ্রুত ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বাসাইল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (১৪ মে) দিবাগত রাতে খাবার খেয়ে ওই নববধূ ও তাঁর স্বামী ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব ও তাঁর দুই বন্ধু ওই নববধূর স্বামীকে ডেকে বাইরে আনেন। এ সময় সাকিব জানান, তাঁর এক স্বজন অসুস্থ, তাঁকে দেখতে যেতে হবে। এ জন্য তিনি নববধূর স্বামীর মোটরসাইকেলটি চেয়ে নেন। পার্শ্ববর্তী বাড়ির প্রতিবেশী হওয়ায় নববধূর স্বামী ঘর থেকে মোটরসাইকেলটি বের করে দেন।
কিছু দূর যাওয়ার পর সাকিব আবার তাঁর স্বামীকে ডাকেন এবং মোটরসাইকেলটি স্টার্ট করে দিতে বলেন। তাঁর স্বামী মোটরসাইকেলটি স্টার্ট দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই ফাঁকে সাকিব ঘরে ঢুকে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে নববধূকে ধর্ষণ করেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মুখের বাঁধন খুলে গেলে তিনি চিৎকার শুরু করেন। এ সময় স্বামী ও আশপাশের লোকজন এসে সাকিবকে হাতেনাতে আটক করেন। অন্য সহযোগীরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সাকিবকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান। এ বিষয়ে কাউকে জানালে বা মামলা করলে হত্যারও হুমকি দেন তাঁরা।
স্থানীয়রা জানান, ওই নারীর মাত্র তিন মাস আগে বিয়ে হয়েছে। সাকিব উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মতিয়ার রহমান গাউসের ভাতিজা হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পাচ্ছে না। ভুক্তভোগীর পরিবার চরম আতঙ্কে রয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে কথা বললে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কামরান খান বিপুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমন ঘটনায় ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’
তবে ভিন্ন কথা বলছেন অভিযুক্ত সাকিবের চাচা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মতিয়ার রহমান গাউস। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই ধর্ষণের ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ ওই গৃহবধূকে দিয়ে এই ধর্ষণ মামলাটি করিয়েছে।’
টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি হয়েছে। বিচারক মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে থানায় পাঠিয়েছেন।’
এদিকে এ বিষয়ে কথা বলতে সাকিব মিয়ার ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৪ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৭ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৮ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১১ দিন আগে