Ajker Patrika

জাবিতে ছাত্রীর বিরুদ্ধে ছাত্রকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

জাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৮: ৫৫
Thumbnail image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে এক ছাত্রকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত সাড়ে আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ছাত্রী প্রীতিলতা আবাসিক হলে থাকেন। তিনি নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা নিপা বলেন, ‘আমরা ছয়জন বন্ধু বটতলার রাস্তায় বাম পাশ দিয়ে হাঁটছিলাম। তখন দুজন অপরিচিত মেয়ে ডান পাশ দিয়ে আমাদের ঔদ্ধতভাবে অতিক্রম করছিল। আবার তারা উচ্চৈঃস্বরে বলছিল রাস্তায় সাইড দিয়ে চলতে পারেন না। তখন আমাদের একজন বলল, রাস্তা তো ফাঁকা আছে। এ সময় একটি মেয়ে অসংলগ্ন উচ্চবাচ্য শুরু করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর এসব সহ্য করে আমরা স্থান ত্যাগ করি।’  

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী কাজী বিজয় বলেন, ‘এই ঘটনার আধা ঘণ্টা পরে অভিযুক্তের বন্ধু বটতলার একটি খাবারের দোকানে আমাদের ডাকে ৷ এ সময় আমরা ঘটনার বিবরণ বর্ণনা করছিলাম। কিন্তু আকস্মিকভাবে অভিযুক্ত ছাত্রী পেছন থেকে এসে আমার সহপাঠীকে গালে থাপ্পড় দেয় ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এরপর অভিযুক্তের বন্ধু দিগন্ত তার বান্ধবীকে নিয়ে অন্য একটি দোকানের মধ্যে চলে যায়।’  

পরে রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় তারা অভিযুক্ত ও বাদীদের প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে আসে। 

লাঞ্ছনার শিকার আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের ভুক্তভোগী ছাত্র বলেন, ‘আমি তাকে নিয়ে কোনো রকম অসম্মানজনক শব্দ পর্যন্ত উচ্চারণ করিনি। কিন্তু মেয়েটি বারবার সকলের সামনে ঔদ্ধত আচরণ করে আসছিল। একপর্যায়ে হঠাৎ করেই আমাকে আঘাত করে বসে।’  

সেখানে অভিযুক্তের বন্ধু নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিহাব খান দিগন্ত বলেন, ‘আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে মিটমাটের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ঘটনার আকস্মিকতায় মেয়েটি চড় মারে। যা অনাকাঙ্ক্ষিত। এ জন্য আমি বিব্রতবোধ করছি।’  

সার্বিক বিষয়ে সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক তাজউদ্দীন শিকদার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২৪ ঘণ্টা সময় চেয়েছে। কোনো ঘটনার বিচার করতে একটি প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়। শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক করতে হবে। এ জন্য সময়ের দরকার। পুরো ঘটনা আমাদের জন্য অস্বস্তিকর। আশা করা যায়, এর সুষ্ঠু সুরাহা হবে। এ ব্যাপারে প্রশাসন আন্তরিক।’ 

এ সময় প্রক্টর অফিসে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি, অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, অধ্যাপক মোতাহার হোসেন, অধ্যাপক আকবার হোসেন, অধ্যাপক আয়েশা সিদ্দিকা, জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন প্রমুখ। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রী বলেন, ‘তারা অন্য রকম অঙ্গভঙ্গি করছিল, যেটা আমার কাছে অসহনীয় লাগছিল। আমাকে তেড়ে মারতে চাচ্ছিল। একপর্যায়ে তারা আমাকে নেশাখোর বলে আখ্যা দিচ্ছিল। আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে তারা। একপর্যায়ে সহ্য সীমার বাইরে চলে গেলে চড় মেরে ফেলি এবং এটা খুব দ্রুত ঘটে যায়।’

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত