আল-আমিন রাজু, ঢাকা

ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কেউ হাত হারিয়েছেন, কেউ পা। কেউ আবার পঙ্গু হয়ে গেছেন। কাটা অঙ্গের বীভৎস ছবি ও ভিডিও আবার টিকটকে শেয়ার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে তাঁদের এমন অবস্থা হয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ও হামলাকারী সবাই মূলত গ্যাংয়ের সদস্য। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে মাঝেমধ্যেই অস্ত্রবাজি করেন তাঁরা। এ নিয়ে থানায় মামলাও হয়েছে। তবে পুলিশ দু-তিনজন ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এই গ্যাংয়ের তৎপরতা রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার নবীনগর এলাকায়। গ্যাংয়ের ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানা গেছে এসব ভয়ংকর তথ্য।
এর মধ্যে নবীনগর হাউজিং এলাকার ৩ নম্বর রোডের বাসিন্দা আরমান হোসেন (২৮)। পেশায় গাড়িচালক বলে পরিচয় দেন তিনি। গত ২৫ আগস্ট রাত সোয়া ৮টার দিকে নবোদয় হাউজিং বি-ব্লকের ১ নম্বর রোডে ওয়াসা পানির পাম্পের পাশে সাত-আটজনের একটি দল চাপাতি ও ছুরি নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা আরমানের বাঁহাতের কবজি পর্যন্ত কেটে নিয়ে যায়। ডান হাত ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরমানের সঙ্গে গত ২৭ আগস্ট কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ‘২৬ আগস্ট গ্রামের বাড়িতে অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে যাওয়ার কথা ছিল। খরচের জন্য ২০ হাজার টাকা পকেটে ছিল। এই টাকা ছিনিয়ে নিতেই আমাকে কুপিয়েছে। টাকা নিতে বাধা দেওয়ায় আমার হাত কেটে নিয়ে গেছে।’
হামলায় কারা জড়িত ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাত থেকে আটজনের একটি দল হঠাৎ হামলা করেছে। তাদের মধ্যে রাফাত, তুষার ও ইউনুসকে চিনতে পেরেছি।’ হামলাকারীদের সঙ্গে তাঁর কোনো বিরোধ ছিল না বলে দাবি করেন আরমান।
তবে আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে জানা গেছে, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে নয়, পূর্ববিরোধ ও মাদক কারবারের টাকার ভাগাভাগি নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। আরমানও এলাকায় একটি মাদকের স্পট নিয়ন্ত্রণ করতেন।
ছেলের ওপর হামলার খবরে শরীয়তপুর থেকে ঢাকায় ছুটে এসেছেন আরমানের মা রেহানা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমার তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলেটি প্রতিবন্ধী। আরমানের আয়ে সংসার চলত। এখন প্রতিদিন চিকিৎসা ও রক্তের খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছি।’
মামলা করবেন কি না জানতে চাইলে আরমান ও তাঁর মা বলেন, ‘আমরা মামলা করতে চাই না। মামলা করে কী হবে? চিকিৎসা খরচ চালাতে পারছি না। মামলা চালাব কী দিয়ে!’
তবে ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চিকিৎসাধীন আরমান গত ২৭ আগস্টই মোহাম্মদপুর থানায় বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাতনামা দু-তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ১৫২। মামলায় আরমানের স্বাক্ষর না থাকলেও একটি টিপসই রয়েছে।
মামলায় আসামিরা হলেন ইউনুস, তুষার, রাফাত, শাকিল, নুর আলম ওরফে নুরা, আহম্মেদ ও শাহাদাৎ ব্যাপারী। তাঁদের মধ্যে শাকিল, নুর আলম ওরফে নুরা ও শাহাদাৎ ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে আনোয়ারকেও গ্রেপ্তারের তথ্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়লেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে তিনি আত্মগোপনে।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ১ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টার দিকে আরমানের মা রেহেনা বেগম মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কোনো মামলা করিনি। আমার ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালেই আছি। সাংবাদিক, র্যাব, পুলিশ এসেছিল, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু এখন আমরা শুনছি, পুলিশ নাকি মামলা করেছে। আমরা মামলার বিষয় কিছু জানি না।’
মামলায় চিকিৎসাধীন আরমানের টিপসই থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুলিশ এক দিন রাত ৩টার দিকে এসে একটা কাগজে আরমানের ডান হাতের টিপসই নিয়ে যায়। কিন্তু কাগজে কী লেখা ছিল সেটা আমরা জানি না। পরে শুনেছি, সেটাই মামলার কাগজ ছিল। কিন্তু মামলা চালানোর মতো অবস্থা আমার নেই।’
চলতি বছরের ২৪ জুন সন্ধ্যায় বাসার সামনে হামলার শিকার হন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পরিচয় দেওয়া সেন্টু। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে সেন্টুকে কুপিয়ে রেখে যায়। প্রাণে বাঁচলেও সেন্টুর একটি আঙুল কেটে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। স্বাভাবিক চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়েছেন সেন্টু।
এই ঘটনায় সেন্টুর ভাই জাহাজীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন আনোয়ার ওরফে শ্যুটার আনোয়ার (৩২), রাফাত (২৮), তুষার (২৬), নাছির ওরফে পাগলা নাসির (২৬), বাবু ওরফে টুন্ডা বাবু (২৮), নাঈম ওরফে ভাগ্নে নাঈম (২৭), রবিউল ওরফে হাতিয়ার রবিউল (২৯)।
মামলায় বাবু ওরফে টুন্ডা বাবু, নাসির ওরফে পাগলা নাসির গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে সেটিও হয়েছে বাদীর চেষ্টায়। হামলার কিছুদিন পরে ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার হন এই আসামি। পরে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছেন, একসময় সেন্টু আসামিদের সঙ্গে মাদকের কারবার করতেন। পরে কারবার ছেড়ে দিতে চাইলে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়।
একই গ্যাং আদাবর ৭ নম্বর এলাকার বাসিন্দা রাকিব আলমগীরের ওপর গত ২৯ জুলাই হামলা চালায়। ঘটনার দিন নবোদয় হাউজিং এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর গতিরোধ করেন তাঁরা। এরপর অন্য একটি রাস্তায় নিয়ে গিয়ে মাথা, হাত, পিঠসহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে ফেলে যান।
এ ঘটনায় চিকিৎসা গ্রহণ শেষে রাকিব বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় আসামি আনোয়ার ওরফে শ্যুটার আনোয়ার (৩২), তুষার (২৬), আহমেদ (২৩), ইউনুসসহ (২৭) আরও চার-পাঁচজন। মামলায় বাবু ওরফে পেপার বাবু ও শাকিল নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে বাকিরা।
হামলার বিষয়ে রাকিব বলেন, ‘ঘটনার কয়েক মাস আগে বাসার সামনে থেকে অস্ত্রের মুখে আসামিরা আমার মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় আদাবর থানায় জিডি করি। এরপরই তারা আমাকে কুপিয়ে সুজুকি জিক্সার মডেলের মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এই মোটরসাইকেল দিয়ে আমি পাঠাও চালাতাম। মোটরসাইকেলটা ওরা এখনো ব্যবহার করছে। কিন্তু পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বারবার হুমকি দিচ্ছে। বাইক ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও দিচ্ছে না। আয় বন্ধ থাকায় বাবা-মা-ভাই-বোন ও স্ত্রীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছি।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মোহাম্মদপুরের নবীনগর, ঢাকা উদ্যান, নবোদয় হাউজিং ও আদাবর থানার শেখেরটেক এলাকায় দাপিয়ে বেড়ানো এই গ্যাংটির হাতে গত তিন মাসে হামলার শিকার হয়েছেন অন্তত আটজন। এর মধ্যে পাঁচজন পঙ্গু হয়ে গেছেন। এই পাঁচজনের মধ্যে দুজনের হাত কেটে নিয়ে গেছে তারা। একজনের হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। একজনের পায়ের রগ ও অপর একজনের হাতের আঙুল কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্যাংটির ধারালো অস্ত্রের হামলায় পঙ্গু হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানের আলমঙ্গীর মণ্ডল ওরফে পষু, শাকিল ওরফে সেন্টু, নবীনগর হাউজিংয়ের মনির ও আরমান হোসেন ও আদাবর ৭ নম্বর এলাকার লিটন।
এসব ঘটনায় আহত তিনজনের মাধ্যে আদাবর এলাকার জনি ও লিটনের নাম জানা গেছে। গ্যাংটির হাতে আহত হয়েছে এক স্কুলছাত্রও। তবে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই আটটি ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে তিনটি।
গত ৩ জুন রাতে গ্যাংয়ের হামলায় বাঁহাতের কবজি পর্যন্ত হারান আলমঙ্গীর মণ্ডল ওরফে পষু। তিনি থানায় মামলা করেননি। পষুর ঠিকানায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে তিনি কারাগারে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হামলাকারীদের সঙ্গে ছিনতাই করলেও পষু গোপনে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। আনোয়ারের গ্যাংয়ের সদস্যদের ধরিয়ে দেওয়ায় তারা তাঁর বাঁহাত কেটে নিয়েছে। সেই বিচ্ছিন্ন হাত নিয়ে টিকটকে ভিডিও বানিয়েছে তারা। সেই ভিডিও এখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও গোচরে আছে সেই ঘটনা।
আজকের পত্রিকার হাতে আসা তিনটি মামলার এজাহারে দেখা গেছে, পাঁচ থেকে সাতজনের এই দলটির অধিকাংশ সদস্যই এসব ঘটনায় জড়িত। প্রতিটি ঘটনায় আনোয়ার, রাফাত, তুষার, ইউনুস, আহমেদ সামনে থেকে হামলায় অংশ নিয়েছেন। একাধিক সিসিটিভি ফুটেজেও তাঁদের উপস্থিতি দেখা গেছে। তাঁরাই কাটা হাত ও হামলায় আহতদের ছবি দিয়ে টিকটক ভিডিও বানিয়ে সেগুলো আবার ফেসবুকেও পোস্ট করেন।
মোহাম্মদপুরে একটি গ্যাংয়ের হাতে তিন মাসে পাঁচজন পঙ্গু হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাগুলো আমাদের নজরে আছে। প্রতিটি ঘটনার পরে মামলা ও জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সর্বশেষ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আমরা কাজ করছি। সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এসব ঘটনা জানে র্যাবও। মাত্র তিন মাসের মধ্যে পাঁচজনকে কুপিয়ে পঙ্গু করার বিষয়টি জানা থাকলেও অভিযোগ না পাওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন র্যাব-২-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি আনোয়ার হোসাইন। হাত কেটে নিয়ে টিকটক ভিডিও তৈরি করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো পক্ষই মামলা করেনি। যত দূর শুনেছি তারা সবাই পলাতক।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখে জুনের হামলাকারীরা পলাতক। অথচ জুনের পরও চক্রটি চারজনকে কুপিয়ে পঙ্গু করেছে।

ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কেউ হাত হারিয়েছেন, কেউ পা। কেউ আবার পঙ্গু হয়ে গেছেন। কাটা অঙ্গের বীভৎস ছবি ও ভিডিও আবার টিকটকে শেয়ার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে তাঁদের এমন অবস্থা হয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ও হামলাকারী সবাই মূলত গ্যাংয়ের সদস্য। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে মাঝেমধ্যেই অস্ত্রবাজি করেন তাঁরা। এ নিয়ে থানায় মামলাও হয়েছে। তবে পুলিশ দু-তিনজন ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এই গ্যাংয়ের তৎপরতা রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার নবীনগর এলাকায়। গ্যাংয়ের ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানা গেছে এসব ভয়ংকর তথ্য।
এর মধ্যে নবীনগর হাউজিং এলাকার ৩ নম্বর রোডের বাসিন্দা আরমান হোসেন (২৮)। পেশায় গাড়িচালক বলে পরিচয় দেন তিনি। গত ২৫ আগস্ট রাত সোয়া ৮টার দিকে নবোদয় হাউজিং বি-ব্লকের ১ নম্বর রোডে ওয়াসা পানির পাম্পের পাশে সাত-আটজনের একটি দল চাপাতি ও ছুরি নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা আরমানের বাঁহাতের কবজি পর্যন্ত কেটে নিয়ে যায়। ডান হাত ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরমানের সঙ্গে গত ২৭ আগস্ট কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ‘২৬ আগস্ট গ্রামের বাড়িতে অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে যাওয়ার কথা ছিল। খরচের জন্য ২০ হাজার টাকা পকেটে ছিল। এই টাকা ছিনিয়ে নিতেই আমাকে কুপিয়েছে। টাকা নিতে বাধা দেওয়ায় আমার হাত কেটে নিয়ে গেছে।’
হামলায় কারা জড়িত ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাত থেকে আটজনের একটি দল হঠাৎ হামলা করেছে। তাদের মধ্যে রাফাত, তুষার ও ইউনুসকে চিনতে পেরেছি।’ হামলাকারীদের সঙ্গে তাঁর কোনো বিরোধ ছিল না বলে দাবি করেন আরমান।
তবে আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে জানা গেছে, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে নয়, পূর্ববিরোধ ও মাদক কারবারের টাকার ভাগাভাগি নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। আরমানও এলাকায় একটি মাদকের স্পট নিয়ন্ত্রণ করতেন।
ছেলের ওপর হামলার খবরে শরীয়তপুর থেকে ঢাকায় ছুটে এসেছেন আরমানের মা রেহানা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমার তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলেটি প্রতিবন্ধী। আরমানের আয়ে সংসার চলত। এখন প্রতিদিন চিকিৎসা ও রক্তের খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছি।’
মামলা করবেন কি না জানতে চাইলে আরমান ও তাঁর মা বলেন, ‘আমরা মামলা করতে চাই না। মামলা করে কী হবে? চিকিৎসা খরচ চালাতে পারছি না। মামলা চালাব কী দিয়ে!’
তবে ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চিকিৎসাধীন আরমান গত ২৭ আগস্টই মোহাম্মদপুর থানায় বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাতনামা দু-তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ১৫২। মামলায় আরমানের স্বাক্ষর না থাকলেও একটি টিপসই রয়েছে।
মামলায় আসামিরা হলেন ইউনুস, তুষার, রাফাত, শাকিল, নুর আলম ওরফে নুরা, আহম্মেদ ও শাহাদাৎ ব্যাপারী। তাঁদের মধ্যে শাকিল, নুর আলম ওরফে নুরা ও শাহাদাৎ ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে আনোয়ারকেও গ্রেপ্তারের তথ্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়লেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে তিনি আত্মগোপনে।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ১ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টার দিকে আরমানের মা রেহেনা বেগম মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কোনো মামলা করিনি। আমার ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালেই আছি। সাংবাদিক, র্যাব, পুলিশ এসেছিল, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু এখন আমরা শুনছি, পুলিশ নাকি মামলা করেছে। আমরা মামলার বিষয় কিছু জানি না।’
মামলায় চিকিৎসাধীন আরমানের টিপসই থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুলিশ এক দিন রাত ৩টার দিকে এসে একটা কাগজে আরমানের ডান হাতের টিপসই নিয়ে যায়। কিন্তু কাগজে কী লেখা ছিল সেটা আমরা জানি না। পরে শুনেছি, সেটাই মামলার কাগজ ছিল। কিন্তু মামলা চালানোর মতো অবস্থা আমার নেই।’
চলতি বছরের ২৪ জুন সন্ধ্যায় বাসার সামনে হামলার শিকার হন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পরিচয় দেওয়া সেন্টু। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে সেন্টুকে কুপিয়ে রেখে যায়। প্রাণে বাঁচলেও সেন্টুর একটি আঙুল কেটে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। স্বাভাবিক চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়েছেন সেন্টু।
এই ঘটনায় সেন্টুর ভাই জাহাজীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন আনোয়ার ওরফে শ্যুটার আনোয়ার (৩২), রাফাত (২৮), তুষার (২৬), নাছির ওরফে পাগলা নাসির (২৬), বাবু ওরফে টুন্ডা বাবু (২৮), নাঈম ওরফে ভাগ্নে নাঈম (২৭), রবিউল ওরফে হাতিয়ার রবিউল (২৯)।
মামলায় বাবু ওরফে টুন্ডা বাবু, নাসির ওরফে পাগলা নাসির গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে সেটিও হয়েছে বাদীর চেষ্টায়। হামলার কিছুদিন পরে ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার হন এই আসামি। পরে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছেন, একসময় সেন্টু আসামিদের সঙ্গে মাদকের কারবার করতেন। পরে কারবার ছেড়ে দিতে চাইলে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়।
একই গ্যাং আদাবর ৭ নম্বর এলাকার বাসিন্দা রাকিব আলমগীরের ওপর গত ২৯ জুলাই হামলা চালায়। ঘটনার দিন নবোদয় হাউজিং এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর গতিরোধ করেন তাঁরা। এরপর অন্য একটি রাস্তায় নিয়ে গিয়ে মাথা, হাত, পিঠসহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে ফেলে যান।
এ ঘটনায় চিকিৎসা গ্রহণ শেষে রাকিব বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় আসামি আনোয়ার ওরফে শ্যুটার আনোয়ার (৩২), তুষার (২৬), আহমেদ (২৩), ইউনুসসহ (২৭) আরও চার-পাঁচজন। মামলায় বাবু ওরফে পেপার বাবু ও শাকিল নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে বাকিরা।
হামলার বিষয়ে রাকিব বলেন, ‘ঘটনার কয়েক মাস আগে বাসার সামনে থেকে অস্ত্রের মুখে আসামিরা আমার মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় আদাবর থানায় জিডি করি। এরপরই তারা আমাকে কুপিয়ে সুজুকি জিক্সার মডেলের মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এই মোটরসাইকেল দিয়ে আমি পাঠাও চালাতাম। মোটরসাইকেলটা ওরা এখনো ব্যবহার করছে। কিন্তু পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বারবার হুমকি দিচ্ছে। বাইক ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও দিচ্ছে না। আয় বন্ধ থাকায় বাবা-মা-ভাই-বোন ও স্ত্রীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছি।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মোহাম্মদপুরের নবীনগর, ঢাকা উদ্যান, নবোদয় হাউজিং ও আদাবর থানার শেখেরটেক এলাকায় দাপিয়ে বেড়ানো এই গ্যাংটির হাতে গত তিন মাসে হামলার শিকার হয়েছেন অন্তত আটজন। এর মধ্যে পাঁচজন পঙ্গু হয়ে গেছেন। এই পাঁচজনের মধ্যে দুজনের হাত কেটে নিয়ে গেছে তারা। একজনের হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। একজনের পায়ের রগ ও অপর একজনের হাতের আঙুল কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্যাংটির ধারালো অস্ত্রের হামলায় পঙ্গু হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানের আলমঙ্গীর মণ্ডল ওরফে পষু, শাকিল ওরফে সেন্টু, নবীনগর হাউজিংয়ের মনির ও আরমান হোসেন ও আদাবর ৭ নম্বর এলাকার লিটন।
এসব ঘটনায় আহত তিনজনের মাধ্যে আদাবর এলাকার জনি ও লিটনের নাম জানা গেছে। গ্যাংটির হাতে আহত হয়েছে এক স্কুলছাত্রও। তবে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই আটটি ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে তিনটি।
গত ৩ জুন রাতে গ্যাংয়ের হামলায় বাঁহাতের কবজি পর্যন্ত হারান আলমঙ্গীর মণ্ডল ওরফে পষু। তিনি থানায় মামলা করেননি। পষুর ঠিকানায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে তিনি কারাগারে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হামলাকারীদের সঙ্গে ছিনতাই করলেও পষু গোপনে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। আনোয়ারের গ্যাংয়ের সদস্যদের ধরিয়ে দেওয়ায় তারা তাঁর বাঁহাত কেটে নিয়েছে। সেই বিচ্ছিন্ন হাত নিয়ে টিকটকে ভিডিও বানিয়েছে তারা। সেই ভিডিও এখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও গোচরে আছে সেই ঘটনা।
আজকের পত্রিকার হাতে আসা তিনটি মামলার এজাহারে দেখা গেছে, পাঁচ থেকে সাতজনের এই দলটির অধিকাংশ সদস্যই এসব ঘটনায় জড়িত। প্রতিটি ঘটনায় আনোয়ার, রাফাত, তুষার, ইউনুস, আহমেদ সামনে থেকে হামলায় অংশ নিয়েছেন। একাধিক সিসিটিভি ফুটেজেও তাঁদের উপস্থিতি দেখা গেছে। তাঁরাই কাটা হাত ও হামলায় আহতদের ছবি দিয়ে টিকটক ভিডিও বানিয়ে সেগুলো আবার ফেসবুকেও পোস্ট করেন।
মোহাম্মদপুরে একটি গ্যাংয়ের হাতে তিন মাসে পাঁচজন পঙ্গু হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাগুলো আমাদের নজরে আছে। প্রতিটি ঘটনার পরে মামলা ও জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সর্বশেষ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আমরা কাজ করছি। সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এসব ঘটনা জানে র্যাবও। মাত্র তিন মাসের মধ্যে পাঁচজনকে কুপিয়ে পঙ্গু করার বিষয়টি জানা থাকলেও অভিযোগ না পাওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন র্যাব-২-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি আনোয়ার হোসাইন। হাত কেটে নিয়ে টিকটক ভিডিও তৈরি করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো পক্ষই মামলা করেনি। যত দূর শুনেছি তারা সবাই পলাতক।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখে জুনের হামলাকারীরা পলাতক। অথচ জুনের পরও চক্রটি চারজনকে কুপিয়ে পঙ্গু করেছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কেউ হাত হারিয়েছেন, কেউ পা। কেউ আবার পঙ্গু হয়ে গেছেন। কাটা অঙ্গের বীভৎস ছবি ও ভিডিও আবার টিকটকে শেয়ার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে তাঁদের এমন অবস্থা হয়েছে।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কেউ হাত হারিয়েছেন, কেউ পা। কেউ আবার পঙ্গু হয়ে গেছেন। কাটা অঙ্গের বীভৎস ছবি ও ভিডিও আবার টিকটকে শেয়ার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে তাঁদের এমন অবস্থা হয়েছে।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কেউ হাত হারিয়েছেন, কেউ পা। কেউ আবার পঙ্গু হয়ে গেছেন। কাটা অঙ্গের বীভৎস ছবি ও ভিডিও আবার টিকটকে শেয়ার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে তাঁদের এমন অবস্থা হয়েছে।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কেউ হাত হারিয়েছেন, কেউ পা। কেউ আবার পঙ্গু হয়ে গেছেন। কাটা অঙ্গের বীভৎস ছবি ও ভিডিও আবার টিকটকে শেয়ার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে তাঁদের এমন অবস্থা হয়েছে।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে