Ajker Patrika

১১ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে জেকেজির আরিফের আপিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২২, ১৬: ০৪
১১ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে জেকেজির আরিফের আপিল

করোনার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণার দায়ে ১১ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা শারমিন হোসাইন ওরফে সাবরিনা চৌধুরীর স্বামী আরিফুল হক চৌধুরী আপিল করেছেন। আজ মঙ্গলবার আরিফের পক্ষে তাঁর আইনজীবী ফারুক আহমেদ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন। ভারপ্রাপ্ত মহানগর দায়রা জজ হাফসা জুমা আপিলের গ্রহণযোগ্যতা শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করবেন বলে জানিয়েছেন।

এর আগে গত ১৯ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন রায় ঘোষণা করেন। এতে ডা. সাবরিনা ও তাঁর স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট আসামিকে ১১ বছর করে কারাদণ্ড দেন।

সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা রিমা।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেককে অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়। আসামিদের প্রত্যেককে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাঁদের প্রত্যেককে অতিরিক্ত ১১ মাস কারা ভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়।

রায়ে বলা হয়, আসামিদের দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় প্রত্যেককে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৩০০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে অতিরিক্ত আরও তিন মাস কারা ভোগ করতে হবে। দণ্ডবিধির ৪৬৬ ধারায় প্রত্যেককে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই ধারায় জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে প্রত্যেকে আরও চার মাসের কারা ভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়। দণ্ডবিধির ৪৭১ ধারায় প্রত্যেককে আরও চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ৪ হাজার টাকা করে প্রত্যেকটা জরিমানা করা হয়। এ ক্ষেত্রেও জরিমানা টাকা দিতে ব্যর্থ হলে প্রত্যেককে আরও চার মাসের কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

আদালতের রায়ে আরও বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে প্রদত্ত সাজা একটির পর আরেকটি চলবে। এ কারণে প্রত্যেকের ১১ বছর করে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। তবে আসামিরা যত দিন কারাগারে রয়েছেন, সাজার মেয়াদ থেকে ওই দিনগুলো বাদ যাবে।

উল্লেখ্য, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথ কেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশির ভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এই অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের করেন রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বাসিন্দা মো. কামাল হোসেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জেকেজিকে ৪৪টি বুথ স্থাপন করে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছিল। তদন্তে জানা যায়, শুরুর দিকে চুক্তি অনুযায়ী তারা বিনা মূল্যে নমুনা সংগ্রহ করে তা সরকারনির্ধারিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করাচ্ছিল। তবে কিছুদিন পর তারা ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে পরীক্ষা করতে শুরু করে। একপর্যায়ে নমুনা পরীক্ষা না করেই তারা প্রতিবেদন দেয়। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা ল্যাপটপে এমন ১৫ হাজার ভুয়া সনদ পায় পুলিশ।

২০২০ সালের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। একই বছরের ২০ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আগামী ১১ দিন নৈরাজ্যের আশঙ্কা, ঠেকাতে এসপিদের এসবির চিঠি

টেলিগ্রামে সংগঠিত হচ্ছে আ.লীগ, হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে টাকা নিচ্ছেন ওবায়দুল কাদের

প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি কাল, পরীক্ষা তিন ইউনিটে

ম্যানহোলে পড়ে নারী নিখোঁজ: ‘‎মব’ তৈরি করে হামলার চেষ্টা, উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ

বাংলাদেশসহ ৯৮ দেশে ভূমিকম্পের আগাম বার্তা অ্যান্ড্রয়েড ফোনে, সক্রিয় করবেন যেভাবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত