Ajker Patrika

‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুনে প্রাইভেটকার থেকে হাত–পা বাঁধা প্রবাসীকে উদ্ধার করল পুলিশ

নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা (ঢাকা) 
‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুনে প্রাইভেটকার থেকে হাত–পা বাঁধা প্রবাসীকে উদ্ধার করল পুলিশ

প্রাইভেটকারের মধ্যে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছিলেন মো. শরিফুল (৩০)। চিৎকারের শব্দ পেয়ে এগিয়ে যায় পুলিশ। প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে অপহরণকারী চক্রের চার সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম আজকের পত্রিকাকে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) মধ্যরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে দিয়াবাড়ির বৃন্দাবনে মেট্রোরেলের তিন নম্বর স্টেশনের নিচ থেকে ভুক্তভোগী প্রবাসীকে উদ্ধার করে তুরাগ থানা-পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ওই প্রবাসী চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার দমিবন আলগা গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন—আবু সাঈদ (২৮), সুবেদ (২৬), ফিরোজ আশরাফ হিমু (২৭) এবং তামিম (২৪)। গ্রেপ্তারকৃত ছিনতাইকারীরা মিরপুরের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে থানা-পুলিশ।

এ সময় ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ঢাকা মেট্রো গ ১৪-৬২৭৯ নম্বরের প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া লোহার রড, হাতুড়ি, কালো চশমাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ বিষয়ে উত্তরা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. রাইসুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাত পা বাঁধা অবস্থায় প্রবাসীকে উদ্ধার ও চার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় আগামীকাল (বুধবার) সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে। এখন কিছুই বলা সম্ভব না।’

তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মওদুত হাওলাদারের এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনিও একই কথা বলেন।

ঘটনার বর্ণনায় উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই মালয়েশিয়া প্রবাসী বাসা থেকে বের হয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। ওই সময় মিরপুরের কালশী থেকে তাঁকে ছিনতাইকারীরা গাড়িতে উঠিয়েছে। গাড়িতে তুলে তাঁর সঙ্গে থাকা পাঁচ হাজারের মতো টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে হাত-পা বেঁধে আরও দেড় লাখ টাকা দাবি করে। সেই সঙ্গে প্রবাসীর বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছিল তারা।’

ডিসি মোর্শেদ আলম আরও বলেন, ‘ওই প্রাইভেটকারটি মেট্রোরেলের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের পুলিশের চেকপোস্টে কর্তব্যরত সদস্যরা সন্দেহ করে। ওই সময় প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকারের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল। তখন পুলিশ প্রাইভেটকারটিকে চ্যালেঞ্জ করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তুরাগ থানায় একটি মামলাও হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি মোর্শেদ আলম বলেন, ‘যাত্রী বেশে গাড়িতে তুলে আটকিয়ে চোখ বেঁধে সবকিছু লুটে নিয়ে যেত এ চক্রটি। এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। চক্রটি ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত