সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদা না দেওয়ায় একটি কাপড়ের দোকানের ম্যানেজারকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। দোকানে হামলা ও মারধর করে লুটপাটের অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত তানজিম কবির সজুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা।
এর আগে বুধবার (৮ মার্চ) রাতে ভুক্তভোগী আবদুল মমিন সানা হেলাল বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন কদমতলী এলাকার মৃত হুমায়ুন কবিরের ছেলে তানজিম কবির সজু (৩৫), একই এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রনি (৪৫), মনির হোসেনের ছেলে আল-আমীন (৩২), জাহাঙ্গীরের ছেলে জাকারিয়া (২২), জাকির মোল্লার ছেলে হজরত আলী (২০), আমান (৩৫), জাকির মোল্লার ছেলে জুবায়ের (২০), রাজন (১৯), মিজমিজি পাগলাবাড়ি এলাকার মৃত সুন্দর আলীর ছেলে শরীফ (৩৮) এবং একই এলাকার আন ইসলামের ছেলে লিমন (৩০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) ৭ নম্বর ওয়ার্ড কদমতলী এলাকার একটি কাপড়ের দোকানের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন হেলাল। দাবি করা চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ১ মার্চ রাতে তাঁকে দোকান থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যান তানজিম কবির সজু ও তাঁর লোকজন। এ সময় দোকানে থাকা তাঁর ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও নগদ টাকা হাতিয়ে নেন। পরবর্তীকালে লোকজনকে দিয়ে কদমতলী পুকুরপাড় এলাকায় নিয়ে সজুর নির্দেশে চোখমুখ বেঁধে লোহার রড ও কাঠ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। একপর্যায়ে আহত অবস্থায় হেলালকে তাঁর কর্মস্থল আমিনুল হকের দোকানের ম্যানেজারের চাকরি ছেড়ে না দিলে কদমতলী এলাকায় থাকতে দেওয়া হবে না বলা হয়। তাঁদের কথা অনুযায়ী চাকরি না ছাড়লে মেরে লাশ গুম করারও হুমকি দেয় তারা। পরে তাকে তুলে নেওয়া নিয়ে একটি ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দিতে চাইলে ভুক্তভোগী তাদের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাওয়ায় তাঁকে হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারটি এলাকায় জানাজানি হলে হেলালের স্ত্রী সিদ্ধিরগঞ্জ থানা-পুলিশের সহায়তায় চান। পরে পুলিশের সহায়তায় অচেতন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে মামলা বাদী আবদুল মমিন সানা হেলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন কদমতলী এলাকায় ওই দোকানের পাশাপাশি একটি ভবনের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে আসছি আমি। ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং লিডার তানজিম কবির সজু প্রায় সময়ই আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। তাদের দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে নগদ অর্থ, ল্যাপটপসহ মূল্যবান জিনিস তারা নিয়ে যায়। পাশাপাশি আমিনুল হক টুটুল নামক ব্যবসায়ীর ম্যানেজারি ছেড়ে না দিলে আমাকে হত্যার হুমকি দেয় তারা।’
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এ ঘটনাটির বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছিলাম। পরবর্তীকালে তদন্ত করে সত্যতা নিশ্চিত হয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামিদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদা না দেওয়ায় একটি কাপড়ের দোকানের ম্যানেজারকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। দোকানে হামলা ও মারধর করে লুটপাটের অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত তানজিম কবির সজুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা।
এর আগে বুধবার (৮ মার্চ) রাতে ভুক্তভোগী আবদুল মমিন সানা হেলাল বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন কদমতলী এলাকার মৃত হুমায়ুন কবিরের ছেলে তানজিম কবির সজু (৩৫), একই এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রনি (৪৫), মনির হোসেনের ছেলে আল-আমীন (৩২), জাহাঙ্গীরের ছেলে জাকারিয়া (২২), জাকির মোল্লার ছেলে হজরত আলী (২০), আমান (৩৫), জাকির মোল্লার ছেলে জুবায়ের (২০), রাজন (১৯), মিজমিজি পাগলাবাড়ি এলাকার মৃত সুন্দর আলীর ছেলে শরীফ (৩৮) এবং একই এলাকার আন ইসলামের ছেলে লিমন (৩০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) ৭ নম্বর ওয়ার্ড কদমতলী এলাকার একটি কাপড়ের দোকানের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন হেলাল। দাবি করা চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ১ মার্চ রাতে তাঁকে দোকান থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যান তানজিম কবির সজু ও তাঁর লোকজন। এ সময় দোকানে থাকা তাঁর ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও নগদ টাকা হাতিয়ে নেন। পরবর্তীকালে লোকজনকে দিয়ে কদমতলী পুকুরপাড় এলাকায় নিয়ে সজুর নির্দেশে চোখমুখ বেঁধে লোহার রড ও কাঠ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। একপর্যায়ে আহত অবস্থায় হেলালকে তাঁর কর্মস্থল আমিনুল হকের দোকানের ম্যানেজারের চাকরি ছেড়ে না দিলে কদমতলী এলাকায় থাকতে দেওয়া হবে না বলা হয়। তাঁদের কথা অনুযায়ী চাকরি না ছাড়লে মেরে লাশ গুম করারও হুমকি দেয় তারা। পরে তাকে তুলে নেওয়া নিয়ে একটি ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দিতে চাইলে ভুক্তভোগী তাদের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাওয়ায় তাঁকে হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারটি এলাকায় জানাজানি হলে হেলালের স্ত্রী সিদ্ধিরগঞ্জ থানা-পুলিশের সহায়তায় চান। পরে পুলিশের সহায়তায় অচেতন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে মামলা বাদী আবদুল মমিন সানা হেলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন কদমতলী এলাকায় ওই দোকানের পাশাপাশি একটি ভবনের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে আসছি আমি। ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং লিডার তানজিম কবির সজু প্রায় সময়ই আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। তাদের দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে নগদ অর্থ, ল্যাপটপসহ মূল্যবান জিনিস তারা নিয়ে যায়। পাশাপাশি আমিনুল হক টুটুল নামক ব্যবসায়ীর ম্যানেজারি ছেড়ে না দিলে আমাকে হত্যার হুমকি দেয় তারা।’
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এ ঘটনাটির বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছিলাম। পরবর্তীকালে তদন্ত করে সত্যতা নিশ্চিত হয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামিদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
৯ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১০ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
১৭ দিন আগেমালয়েশিয়ায় জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পর তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ উর রহমান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১৭ দিন আগে