নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার এক নারী কর কর্মকর্তার কাছে নগদ টাকা আছে জেনেই তাঁকে অপহরণ করা হয়। সেদিন তার কাছে থাকা দেড় লাখ টাকা নেওয়ার পর মুক্তিপণ হিসেবে আরও ৫০ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে না চাওয়ায় গাড়িসহ গ্যারেজে ঢুকিয়ে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। প্রায় ১৮ ঘণ্টা জিম্মি দশা থেকে পালিয়ে এসে রমনা থানায় মামলা করেন এনবিআরের ওই যুগ্ম কমিশনার।
পুলিশ এ ঘটনায় অপহরণের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে এসব তথ্য দিয়েছেন। তবে এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেক প্রশ্নেরই উত্তর মিলছে না।
অপহরণকারী চক্রের হোতা হিসেবে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা ওই নারী কর্মকর্তার চাকরিচ্যুত গাড়িচালক মো. মাসুদকে এখনো খুঁজে পায়নি পুলিশ। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাসুদকে গ্রেপ্তার করার পরই আসল তথ্য জানা যাবে।
তবে গত ১৭ আগস্ট ঘটনার রাতে এনবিআরের ওই কর্মকর্তা দেড় লাখ টাকা নিয়ে কেন বের হয়েছিলেন—তার কোনো জবাব এখনো মেলেনি। তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলছেন, ভুক্তভোগীর সঙ্গে একাধিকবার কথা বলা পরও নগদ টাকার বিষয়ে সঠিক কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর স্বামী আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, নতুন একটি বাসা ভাড়া নেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন তাঁরা। সেটিরই অগ্রিম ভাড়া দেওয়ার জন্য নগদ টাকা নিয়ে বের হয়েছিলেন তিনি।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ নম্বর ফটক থেকে অপহরণ ৪৮ বছর বয়সী ওই নারী কর্মকর্তা। তখন তিনি মাইক্রোবাসে করে মগবাজার থেকে সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি মাইক্রোবাস থামিয়ে চালককে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে গাড়ি থেকে চালককে নামিয়ে মাইক্রোবাসসহ ওই নারীকে অপহরণ করে তারা।
জনাকীর্ণ এলাকা থেকে প্রকাশ্যে একজন সরকারি কর্মকর্তাকে অপহরণের ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কোনো খোঁজ ছিল না। পরদিন বেলা ২টার দিকে ওই নারী কৌশলে একটি গাড়ি থেকে নেমে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন ঢাকার সবুজবাগ এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন। পাশাপাশি তিন অপহরণকারীকে আটকও করেন।
যখন ওই নারী কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয়, তখন তার বাঁ পা ভাঙা, চোখে ও মাথায় মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন ছিল। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাসায় ফিরেছেন তিনি।
এ ঘটনায় তিনি ঢাকার রমনা থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে অপহরণ মামলা করেছেন। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে মো. মাসুদ নামের এক ব্যক্তিকে। তিনি গত জুলাই মাসে ওই নারীর ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ছিলেন। গত ১ আগস্ট তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়। যদিও তাঁর স্বামী আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, এই চালক নিজেই চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চালক মাসুদের সঙ্গে ওই নারীর স্বামীর ব্যক্তিগত বিষয়ে ঝামেলা ছিল। সে কারণেই তিনি চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। তবে সেই ঝামেলার কারণ সম্পর্কে কেউ কথা বলতে চাচ্ছেন না।
নারী কর কর্মকর্তার পরিবারের লোকজন মনে করছে, গাড়িচালক মাসুদকে চাকরিচ্যুত করার কারণেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে না। যেভাবে তাঁকে মারধর করা হয়েছে, হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে—এর পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। এ ঘটনার পেছনে ওই কর কর্মকর্তা ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো বিরোধও থাকতে পারে বলে ধারণা তাঁদের।
মামলাটি তদন্ত করছেন রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সহিদুল ওসমান মাসুম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে কয়েকটি বিষয় সামনে রেখে তদন্ত আগানো হচ্ছে। ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া, এই কর্মকর্তার স্বামীর সঙ্গে গাড়িচালক মাসুদের দ্বন্দ্ব, কাছে থাকা নগদ দেড় লাখ টাকা। মাসুদকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার এক নারী কর কর্মকর্তার কাছে নগদ টাকা আছে জেনেই তাঁকে অপহরণ করা হয়। সেদিন তার কাছে থাকা দেড় লাখ টাকা নেওয়ার পর মুক্তিপণ হিসেবে আরও ৫০ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে না চাওয়ায় গাড়িসহ গ্যারেজে ঢুকিয়ে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। প্রায় ১৮ ঘণ্টা জিম্মি দশা থেকে পালিয়ে এসে রমনা থানায় মামলা করেন এনবিআরের ওই যুগ্ম কমিশনার।
পুলিশ এ ঘটনায় অপহরণের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে এসব তথ্য দিয়েছেন। তবে এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেক প্রশ্নেরই উত্তর মিলছে না।
অপহরণকারী চক্রের হোতা হিসেবে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা ওই নারী কর্মকর্তার চাকরিচ্যুত গাড়িচালক মো. মাসুদকে এখনো খুঁজে পায়নি পুলিশ। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাসুদকে গ্রেপ্তার করার পরই আসল তথ্য জানা যাবে।
তবে গত ১৭ আগস্ট ঘটনার রাতে এনবিআরের ওই কর্মকর্তা দেড় লাখ টাকা নিয়ে কেন বের হয়েছিলেন—তার কোনো জবাব এখনো মেলেনি। তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলছেন, ভুক্তভোগীর সঙ্গে একাধিকবার কথা বলা পরও নগদ টাকার বিষয়ে সঠিক কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর স্বামী আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, নতুন একটি বাসা ভাড়া নেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন তাঁরা। সেটিরই অগ্রিম ভাড়া দেওয়ার জন্য নগদ টাকা নিয়ে বের হয়েছিলেন তিনি।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ নম্বর ফটক থেকে অপহরণ ৪৮ বছর বয়সী ওই নারী কর্মকর্তা। তখন তিনি মাইক্রোবাসে করে মগবাজার থেকে সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি মাইক্রোবাস থামিয়ে চালককে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে গাড়ি থেকে চালককে নামিয়ে মাইক্রোবাসসহ ওই নারীকে অপহরণ করে তারা।
জনাকীর্ণ এলাকা থেকে প্রকাশ্যে একজন সরকারি কর্মকর্তাকে অপহরণের ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কোনো খোঁজ ছিল না। পরদিন বেলা ২টার দিকে ওই নারী কৌশলে একটি গাড়ি থেকে নেমে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন ঢাকার সবুজবাগ এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন। পাশাপাশি তিন অপহরণকারীকে আটকও করেন।
যখন ওই নারী কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয়, তখন তার বাঁ পা ভাঙা, চোখে ও মাথায় মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন ছিল। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাসায় ফিরেছেন তিনি।
এ ঘটনায় তিনি ঢাকার রমনা থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে অপহরণ মামলা করেছেন। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে মো. মাসুদ নামের এক ব্যক্তিকে। তিনি গত জুলাই মাসে ওই নারীর ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ছিলেন। গত ১ আগস্ট তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়। যদিও তাঁর স্বামী আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, এই চালক নিজেই চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চালক মাসুদের সঙ্গে ওই নারীর স্বামীর ব্যক্তিগত বিষয়ে ঝামেলা ছিল। সে কারণেই তিনি চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। তবে সেই ঝামেলার কারণ সম্পর্কে কেউ কথা বলতে চাচ্ছেন না।
নারী কর কর্মকর্তার পরিবারের লোকজন মনে করছে, গাড়িচালক মাসুদকে চাকরিচ্যুত করার কারণেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে না। যেভাবে তাঁকে মারধর করা হয়েছে, হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে—এর পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। এ ঘটনার পেছনে ওই কর কর্মকর্তা ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো বিরোধও থাকতে পারে বলে ধারণা তাঁদের।
মামলাটি তদন্ত করছেন রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সহিদুল ওসমান মাসুম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে কয়েকটি বিষয় সামনে রেখে তদন্ত আগানো হচ্ছে। ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া, এই কর্মকর্তার স্বামীর সঙ্গে গাড়িচালক মাসুদের দ্বন্দ্ব, কাছে থাকা নগদ দেড় লাখ টাকা। মাসুদকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।’
ধর্ষণের শিকার নারীর ছবি বা পরিচয় সংবাদ মাধ্যম কিংবা ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে কেউ প্রকাশ করলেই পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করতে পারবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারায় বর্ণিত এই অপরাধ আমলযোগ্য হওয়ায় জড়িত অভিযোগে কোনো ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে আটক করা যাবে।
৪ দিন আগেসাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
১৩ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
২২ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫