Ajker Patrika

হত্যার উদ্দেশ্যে ভুট্টাখেতে নিয়ে বন্ধুকে মৃত ভেবে ফেলে যাওয়ার অভিযোগ

শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ মে ২০২২, ২১: ৪২
Thumbnail image

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে মফিজুল নামে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে পারভেজ নামে তাঁর এক বন্ধুর বিরুদ্ধে। হাতুড়িপেটা ও ছুরিকাঘাত করে মৃত ভেবে ফেলে যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন মফিজুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় আজ সোমবার মফিজুলের শ্বশুর আব্দুর রহমান বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত পারভেজের বাড়ি শ্রীনগর উপজেলা বীর তারা এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক বলে জানা গেছে। 

স্থানীয় লোকজন বলেছেন, গত শনিবার রাতে উপজেলার বীর তারা ইউনিয়নের সালেপুর এলাকায় একটি ভুট্টাখেত থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় মফিজুলকে উদ্ধার করেন এলাকাবাসী। পরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে বলেন। 

মফিজুলের শাশুড়ি বলেন, ‘মফিজুল বিয়ের পর থেকে আমাদের বাড়িতেই থাকে। তাদের সংসারে ছয় বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। মফিজ বীর তারা এলাকার পারভেজের সাথে সহকারী হিসেবে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। কাজের সুবাদে মফিজের সাথে পারভেজের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর সুবাদে পারভেজ প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত।’ 

এ বিষয়ে মফিজুলের স্ত্রী রুপা বেগম বলেন, ‘বীর তারা গ্রামের তৈয়ব আলী ফকিরের ছেলে পারভেজের সাথে আমার স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করে। সেই সুবাদে পারভেজ প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসত। শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে সে ফোন করে আমার স্বামীকে বড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় মফিজ আমাকে বলে যায় পারভেজ ভাইয়ের সাথে আমি এক জায়গায় পাওনা টাকা আনতে যাচ্ছি। পরে রাত ৯টার দিকে আমি তাকে ফোন দিয়ে তার ফোন বন্ধ পাই। তখন আমার বাবাকে পারভেজের বাড়িতে পাঠাই। সে সময় পারভেজও আমার স্বামীকে খুঁজতে বাজারে যায়। রাত সাড়ে নয়টার দিকে আমার স্বামী আমাকে ফোন দিয়ে বলে, রুপা আমাকে মাফ করে দিস আমি মরে যাচ্ছি। পারলে আমাকে বাঁচা। কোথায় আছে জানতে চাইলে সে বলে, ভুট্টাখেতের মাঝখানে। এটা বলেই ফোন রেখে দেয়।’

রুপা আরও বলেন, ‘বিষয়টি আমি আমার বাবাকে ফোন করে জানানোর পরপরই পারভেজ সিগারেট কেনার কথা বলে পালিয়ে যায়। আমরা লোকজন নিয়ে তাকে খুঁজতে বের হই। অনেকগুলো খেতে খোঁজার পরে মোকলেস মেম্বারের বাড়ি বরাবর সালেপুর চকের একটি খেতে মফিজকে লাশের মতো পড়ে থাকতে দেখি। সবাই মিলে ধরাধরি করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখনো তাঁর অবস্থা খারাপ। তাঁকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়েছে। ছুরি দিয়ে আঘাত করার পর পারভেজ তাঁকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। আমার স্বামীর অবস্থা বেশি ভালো না। মাথায় ১২৬টা সেলাই পড়েছে। বাঁচবে কি না, বলতে পারছি না। আমি পারভেজের বিচার চাই।’ 

এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার ওসি (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত