শাহজাহান সাজু, কিশোরগঞ্জ
দশ লাখ টাকা হলে ছেলেকে ব্যাংকে চাকরি দেবেন ঊর্ধ্বতন বস। বসের কাছ থেকে এমন আশার বাণী শুনে বাবা তাঁর ছেলের জন্য নিজের অফিসের বসের কাছে দশ লাখ টাকা জমা দেন। কিন্তু তিন বছরেও চাকরি না হওয়ায় এবং টাকা ফেরত না পাওয়ায়, হতাশায় চিরকুটে সবকিছু লিখে আত্মহত্যা করেন এমদাদুল হক।
ভুক্তভোগী পরিবার এ ঘটনায় থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা দায়ের করার ১৫ দিন পার হয়ে গেলেও, গ্রেপ্তার হয়নি অভিযুক্ত ছারওয়ার জাহান। ঘটনাটি কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার।
উপজেলার হালিমপুর ইউনিয়নের হালিমপুর পাঁচ আনি গ্রামের এমদাদুল হক। পেশায় ছিলেন ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক এবং বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। ওই চাকরির সুবাদে সাবেক বাজিতপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মো. ছারওয়ার জাহানের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালে মো. ছারওয়ার জাহান দশ লাখ টাকা হলে ছেলের চাকরি ব্যাংকে হবে বলে এমদাদুল হককে আশ্বাস দেন। পরে এমদাদুল হক ২০১৮ সালে জুলাই মাসে পাঁচ লাখ এবং একই বছরের অক্টোবর মাসে আরও পাঁচ লাখ টাকা দেন। কিন্তু প্রায় তিন বছরে চাকরি না হওয়ায় এবং টাকা ফেরত না পাওয়ায় হতাশায় মৃত্যুর আগে চিরকুটে সবকিছু লিখে আত্মহত্যা করেন এমদাদুল হক।
পরিবারের অভিযোগ, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মো. ছারওয়ার জাহান টাকা ফেরত না দেওয়ায় ঋণের চাপে গত ১৯ আগস্ট সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
এ ঘটনায় লাশ ময়নাতদন্ত করে দাফন করার পর, আত্মহত্যার আগে লিখে রেখে যাওয়া চিরকুটের ওপর ভিত্তি করে গত ২১ আগস্ট বাজিতপুর থানায় একটি আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন নিহতের ছেলে মোহাম্মদ রাজীবুল হক।
অভিযুক্ত ছারওয়ার জাহান (৫৯) জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের টুপকারচর পুরান গ্রামের মো. হজরত আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি চাকরি থেকে পিআরএল এ আছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মো. ছারওয়ার জাহানের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছেন এলাকাবাসীসহ এমদাদুল হকের স্ত্রী, ছেলে ও কন্যারা।
নিহত এমদাদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ রাজীবুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বাবা ২০১৮ সালে টাকা দেওয়ার সময় আমাকে জানায়। তখন আমি রাজি না হয়ে বাবাকে বলি, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছি আমি এভাবে টাকা দিয়ে চাকরি নিবোনা। তবুও বাবা তাঁর বসের আশ্বাসে টাকা দিয়ে দেয়। পরে, তিন বছরেও চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত নিতে ব্যর্থ হয়ে টাকার শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েন বাবা। অবশেষে চিরকুটে সবকিছু লিখে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।’
মৃত্যুর আগে চিরকুট লিখে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে, মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামি ধরতে চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে আজকের পত্রিকাকে জানান বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছারওয়ার জাহানের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
দশ লাখ টাকা হলে ছেলেকে ব্যাংকে চাকরি দেবেন ঊর্ধ্বতন বস। বসের কাছ থেকে এমন আশার বাণী শুনে বাবা তাঁর ছেলের জন্য নিজের অফিসের বসের কাছে দশ লাখ টাকা জমা দেন। কিন্তু তিন বছরেও চাকরি না হওয়ায় এবং টাকা ফেরত না পাওয়ায়, হতাশায় চিরকুটে সবকিছু লিখে আত্মহত্যা করেন এমদাদুল হক।
ভুক্তভোগী পরিবার এ ঘটনায় থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা দায়ের করার ১৫ দিন পার হয়ে গেলেও, গ্রেপ্তার হয়নি অভিযুক্ত ছারওয়ার জাহান। ঘটনাটি কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার।
উপজেলার হালিমপুর ইউনিয়নের হালিমপুর পাঁচ আনি গ্রামের এমদাদুল হক। পেশায় ছিলেন ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক এবং বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। ওই চাকরির সুবাদে সাবেক বাজিতপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মো. ছারওয়ার জাহানের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালে মো. ছারওয়ার জাহান দশ লাখ টাকা হলে ছেলের চাকরি ব্যাংকে হবে বলে এমদাদুল হককে আশ্বাস দেন। পরে এমদাদুল হক ২০১৮ সালে জুলাই মাসে পাঁচ লাখ এবং একই বছরের অক্টোবর মাসে আরও পাঁচ লাখ টাকা দেন। কিন্তু প্রায় তিন বছরে চাকরি না হওয়ায় এবং টাকা ফেরত না পাওয়ায় হতাশায় মৃত্যুর আগে চিরকুটে সবকিছু লিখে আত্মহত্যা করেন এমদাদুল হক।
পরিবারের অভিযোগ, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মো. ছারওয়ার জাহান টাকা ফেরত না দেওয়ায় ঋণের চাপে গত ১৯ আগস্ট সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
এ ঘটনায় লাশ ময়নাতদন্ত করে দাফন করার পর, আত্মহত্যার আগে লিখে রেখে যাওয়া চিরকুটের ওপর ভিত্তি করে গত ২১ আগস্ট বাজিতপুর থানায় একটি আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন নিহতের ছেলে মোহাম্মদ রাজীবুল হক।
অভিযুক্ত ছারওয়ার জাহান (৫৯) জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের টুপকারচর পুরান গ্রামের মো. হজরত আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি চাকরি থেকে পিআরএল এ আছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মো. ছারওয়ার জাহানের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছেন এলাকাবাসীসহ এমদাদুল হকের স্ত্রী, ছেলে ও কন্যারা।
নিহত এমদাদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ রাজীবুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বাবা ২০১৮ সালে টাকা দেওয়ার সময় আমাকে জানায়। তখন আমি রাজি না হয়ে বাবাকে বলি, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছি আমি এভাবে টাকা দিয়ে চাকরি নিবোনা। তবুও বাবা তাঁর বসের আশ্বাসে টাকা দিয়ে দেয়। পরে, তিন বছরেও চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত নিতে ব্যর্থ হয়ে টাকার শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েন বাবা। অবশেষে চিরকুটে সবকিছু লিখে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।’
মৃত্যুর আগে চিরকুট লিখে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে, মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামি ধরতে চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে আজকের পত্রিকাকে জানান বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছারওয়ার জাহানের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
২ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪