ঘাটাইল(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার মারপিটের শিকার হয়েছেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষক। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও দুজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে গতকাল বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়টির সকল শিক্ষক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বুধবার বিকেলে উপজেলার শালিয়াবহ চৌরাস্তা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন করতে সভা ডাকেন প্রধান শিক্ষক আবু হানিফ। ওই সভায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম, রসুলপুর ও লক্ষিন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান যথাক্রমে মো. এমদাদ সরকার একাব্বর আলীসহ বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত হন। সভার শুরুতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সরকারি বিধি মোতাবেক কীভাবে সভাপতি নির্বাচিত হবেন এ নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। আলোচনার একপর্যায়ে স্থানীয় পেচারআটা মাটিয়াআটা দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী ও রসুলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একাংশের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ওরফে চুন্নু তাঁর কথা থামিয়ে দেন। তিনি হাজী আব্দুল মজিদকে সভাপতি নির্বাচিত করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।
এ সময় সভায় উপস্থিত আব্দুল কুদ্দুস মিয়া তার কথায় সাড়া না দিয়ে বিধি মোতাবেক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করার প্রস্তাব দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে মাদ্রাসার অফিস সহকারী চুন্নু ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের টেবিলে থাকা ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সংক্রান্ত কাগজপত্রসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করেন। এতে প্রধান শিক্ষক বাধা দিলে তাকে মারপিট করেন এবং নির্বাচন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ছিঁড়ে ফেলেন। এ নিয়ে এলাকায় স্থানীয় দুটি পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এ অবস্থায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার স্থানীয় ইউএনও কে বিষয়টি অবহিত করেন এবং সভাপতি নির্বাচন স্থগিত করে চলে আসেন।
এ ব্যাপারে রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদ সরকারের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমার উপস্থিতিতে ঘটেছে। আমি বিষয়টি উপজেলা নিবার্হী অফিসারকে জানিয়েছি।
ঘটনার ব্যাপারে অভিযুক্ত অফিস সহকারী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ চুন্নুর মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে তিনি রিসিভ করেননি।
প্রধান শিক্ষক আবু হানিফ জানান, অফিসের কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলা ও আমাকে মারপিটের ঘটনাটি সত্য। এ বিষয়ে ঘাটাইল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারও বিষয়টি অবগত আছেন।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ঘাটাইল উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার মারপিটের শিকার হয়েছেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষক। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও দুজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে গতকাল বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়টির সকল শিক্ষক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বুধবার বিকেলে উপজেলার শালিয়াবহ চৌরাস্তা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন করতে সভা ডাকেন প্রধান শিক্ষক আবু হানিফ। ওই সভায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম, রসুলপুর ও লক্ষিন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান যথাক্রমে মো. এমদাদ সরকার একাব্বর আলীসহ বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত হন। সভার শুরুতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সরকারি বিধি মোতাবেক কীভাবে সভাপতি নির্বাচিত হবেন এ নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। আলোচনার একপর্যায়ে স্থানীয় পেচারআটা মাটিয়াআটা দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী ও রসুলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একাংশের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ওরফে চুন্নু তাঁর কথা থামিয়ে দেন। তিনি হাজী আব্দুল মজিদকে সভাপতি নির্বাচিত করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।
এ সময় সভায় উপস্থিত আব্দুল কুদ্দুস মিয়া তার কথায় সাড়া না দিয়ে বিধি মোতাবেক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করার প্রস্তাব দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে মাদ্রাসার অফিস সহকারী চুন্নু ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের টেবিলে থাকা ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সংক্রান্ত কাগজপত্রসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করেন। এতে প্রধান শিক্ষক বাধা দিলে তাকে মারপিট করেন এবং নির্বাচন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ছিঁড়ে ফেলেন। এ নিয়ে এলাকায় স্থানীয় দুটি পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এ অবস্থায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার স্থানীয় ইউএনও কে বিষয়টি অবহিত করেন এবং সভাপতি নির্বাচন স্থগিত করে চলে আসেন।
এ ব্যাপারে রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদ সরকারের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমার উপস্থিতিতে ঘটেছে। আমি বিষয়টি উপজেলা নিবার্হী অফিসারকে জানিয়েছি।
ঘটনার ব্যাপারে অভিযুক্ত অফিস সহকারী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ চুন্নুর মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে তিনি রিসিভ করেননি।
প্রধান শিক্ষক আবু হানিফ জানান, অফিসের কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলা ও আমাকে মারপিটের ঘটনাটি সত্য। এ বিষয়ে ঘাটাইল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারও বিষয়টি অবগত আছেন।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ঘাটাইল উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৫ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৭ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৮ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১১ দিন আগে