নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দেনা প্রায় ৯৫০ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটির কাছে গ্রাহকেরা ৭০০ কোটি আর পণ্য সরবরাহকারীরা ২৫০ কোটি টাকা পাবেন। তবে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার ঘটনায় গুলশান থানার মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ প্রমাণ করা যাবে না। কোনো দোষও তিনি করেননি। তদন্ত কর্মকর্তাদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ মঙ্গলবার রাসেল দম্পতিকে আদালতে হাজির করা হবে। আপাতত তাঁদের আর রিমান্ড চাইবে না পুলিশ।
রিমান্ডে তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে। পরে প্রয়োজন হলে আবার রিমান্ডের আবেদন করবে পুলিশ।
তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, রিমান্ডে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য দেননি রাসেল। তিনি, তাঁর স্ত্রী ও তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যদের দেশ-বিদেশে থাকা সম্পদের হিসাব জানতে চেয়েছিল পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল তদন্ত কর্মকর্তাদের বলেন, আইনি লড়াইয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ প্রমাণ করা যাবে না। অনেক কম দামে, বেশি ছাড়ে তিনি পণ্য বিক্রি করেছেন। সবাই যে পণ্য পাননি, বিষয়টি এমন নয়। এখন সবাই বলছেন, আমি এত টাকা কী করেছি। ছাড়ে পণ্য বিক্রি, ইভ্যালির প্রচার-বিজ্ঞাপনেও অনেক অর্থ খরচ হয়েছে।
পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) নিউটন দাস বলেন, ‘তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ মঙ্গলবার রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে আদালতে তোলা হবে। অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার ঘটনায় আমরা তাঁদের কাছ থেকে কিছু তথ্য পেয়েছি। এগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।’
ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ধানমন্ডি থানায় ব্যবসায়ীর করা মামলায় মোহাম্মদ রাসেল ও ইভ্যালির চেয়ারপারসন শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। এই মামলায় আদালত গ্রেপ্তারের অনুমতি দিলে তাঁদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।
মুক্তি দাবি
রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর মুক্তির দাবিতে আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিতে পারে বাংলাদেশ ই-কমার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (বেকওয়া)।
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাকিব হাসান আজকের পত্রিকাকে এ কথা জানিয়েছেন।
এর আগে গত রোববার বিকেলে ইভ্যালির ধানমন্ডি কার্যালয়ের সামনে স্মারকলিপিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেন প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারীদের একাংশ। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ২ হাজারের বেশি গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বেকওয়া।
গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ইভ্যালির পণ্য সরবরাহকারী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমার ৭ লাখ টাকা পাওনা আছে। আমি মোহাম্মদ রাসেলের মুক্তি চাই। কারণ, তিনি ছাড়া আমাদের টাকা আর কেউ ফেরত দিতে পারবে না।’
ইভ্যালির গ্রাহক প্রান্ত বলেন, ডেসটিনিসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, মালিকদের আটকে রাখা হয়েছে। কিন্তু গ্রাহকেরা টাকা পাননি। ইভ্যালির ক্ষেত্রেও সেটি হোক, তা কেউ চান না।
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দেনা প্রায় ৯৫০ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটির কাছে গ্রাহকেরা ৭০০ কোটি আর পণ্য সরবরাহকারীরা ২৫০ কোটি টাকা পাবেন। তবে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার ঘটনায় গুলশান থানার মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ প্রমাণ করা যাবে না। কোনো দোষও তিনি করেননি। তদন্ত কর্মকর্তাদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ মঙ্গলবার রাসেল দম্পতিকে আদালতে হাজির করা হবে। আপাতত তাঁদের আর রিমান্ড চাইবে না পুলিশ।
রিমান্ডে তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে। পরে প্রয়োজন হলে আবার রিমান্ডের আবেদন করবে পুলিশ।
তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, রিমান্ডে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য দেননি রাসেল। তিনি, তাঁর স্ত্রী ও তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যদের দেশ-বিদেশে থাকা সম্পদের হিসাব জানতে চেয়েছিল পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল তদন্ত কর্মকর্তাদের বলেন, আইনি লড়াইয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ প্রমাণ করা যাবে না। অনেক কম দামে, বেশি ছাড়ে তিনি পণ্য বিক্রি করেছেন। সবাই যে পণ্য পাননি, বিষয়টি এমন নয়। এখন সবাই বলছেন, আমি এত টাকা কী করেছি। ছাড়ে পণ্য বিক্রি, ইভ্যালির প্রচার-বিজ্ঞাপনেও অনেক অর্থ খরচ হয়েছে।
পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) নিউটন দাস বলেন, ‘তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ মঙ্গলবার রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে আদালতে তোলা হবে। অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার ঘটনায় আমরা তাঁদের কাছ থেকে কিছু তথ্য পেয়েছি। এগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।’
ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ধানমন্ডি থানায় ব্যবসায়ীর করা মামলায় মোহাম্মদ রাসেল ও ইভ্যালির চেয়ারপারসন শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। এই মামলায় আদালত গ্রেপ্তারের অনুমতি দিলে তাঁদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।
মুক্তি দাবি
রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর মুক্তির দাবিতে আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিতে পারে বাংলাদেশ ই-কমার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (বেকওয়া)।
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাকিব হাসান আজকের পত্রিকাকে এ কথা জানিয়েছেন।
এর আগে গত রোববার বিকেলে ইভ্যালির ধানমন্ডি কার্যালয়ের সামনে স্মারকলিপিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেন প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারীদের একাংশ। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ২ হাজারের বেশি গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বেকওয়া।
গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ইভ্যালির পণ্য সরবরাহকারী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমার ৭ লাখ টাকা পাওনা আছে। আমি মোহাম্মদ রাসেলের মুক্তি চাই। কারণ, তিনি ছাড়া আমাদের টাকা আর কেউ ফেরত দিতে পারবে না।’
ইভ্যালির গ্রাহক প্রান্ত বলেন, ডেসটিনিসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, মালিকদের আটকে রাখা হয়েছে। কিন্তু গ্রাহকেরা টাকা পাননি। ইভ্যালির ক্ষেত্রেও সেটি হোক, তা কেউ চান না।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৪ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৩ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫