নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর দারুসসালাম থানার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীর কাছ থেকে স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর বিভাগ। এই ঘটনায় জড়িত রূপনগর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জাহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আগেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার জাহিদুল রূপনগর থানার মোটরসাইকেল টহল টিমের সদস্য ছিলেন।
ওই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে রূপনগর থানার এএসআই জাহিদুলের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ডিবি পুলিশ বলছে, আইন সবার জন্য সমান। বাংলাদেশ পুলিশের ২ লাখের বেশি সদস্য। পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত দায় বাহিনী নেবে না। জড়িত পুলিশ সদস্যদের অপরাধ অনুযায়ী তাঁরা শাস্তি পাবেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ।
হারুন-অর-রশিদ বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনাল টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দারুসসালাম থানা এলাকায় স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গতকাল বুধবার ঢাকার সদরঘাট ও মেরাদিয়ায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন মো. সোহেল আহম্মেদ পল্লব (৪৮), পুলিশের সোর্স পলাশ শেখ (৩৪), মো. মাসুদ রানা (৪৬) ও রবিন হালদার পরেশ (৫০)। গ্রেপ্তারকালে তাঁদের কাছ থেকে ডাকাতির ২০ ভরি স্বর্ণ ও স্বর্ণ বিক্রির ৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
ঘটনা সম্পর্কে ডিবি পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী টিটু প্রধানীয়া রাজধানীর তাঁতীবাজারের ধানসিঁড়ি চেইন অ্যান্ড বল হাউজ নামের স্বর্ণের দোকানের একজন কর্মচারী। তিনি দোকানের গহনা দেশের বিভিন্ন জুয়েলারি দোকানে ডেলিভারি দিয়ে থাকেন। ১৬ জুলাই সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ৩৮ ভরি ১৪ আনা স্বর্ণ একটি ব্যাগে নিয়ে টাঙ্গাইল যাওয়ার উদ্দেশে মোটরসাইকেলে করে গাবতলীতে আসেন। এমন সময় এক ব্যক্তি নিজেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে টিটুর ব্যাগে কী আছে জানতে চান। পুলিশ পরিচয় পেয়ে টিটু ব্যাগে স্বর্ণ থাকার কথা জানান। এরপর মালামালের বৈধতা প্রমাণের জন্য কাগজপত্র দেখতে চান ওই ব্যক্তি। টিটু কাগজ দেখালে আরও চার-পাঁচজন অপরিচিত ব্যক্তি ঘটনাস্থলে আসেন। টিটু বুঝতে পারেন তাঁরা প্রথম ব্যক্তির সঙ্গের লোক। একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে টিটুর কাছ থেকে স্বর্ণের ব্যাগ, স্বর্ণের ভাউচার, দোকানের ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট, স্মার্টফোন এবং ৮ হাজার ৮০০ টাকা ছিনিয়ে নেয় দলটি।
এরপর থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে টিটুকে একটি সিএনজি অটোরিকশাতে তোলেন ওই ব্যক্তিরা। এরপর তেজগাঁও থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বিজয় সরণি মোড়ে টিটুকে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা।
ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তাররা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য। আসামিরা ভুক্তভোগী টিটুর পথরোধ করে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে দারুসসালাম থানায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা আরও বেশ কয়েকজনের নাম জেনেছি। তাঁদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। লুণ্ঠন করা বাকি স্বর্ণ উদ্ধারেও চেষ্টা চলছে।’
ডাকাতির ওই ঘটনায় রূপনগর থানার এএসআই পুলিশ সদস্যের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে জানতে চাইলে হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত করে বলা যাবে। তবে পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় পুলিশ নেবে না। আগেও নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।’
হারুন-অর-রশিদ আরও বলেন, ‘মামলায় আসামি রূপনগর থানার এএসআই জাহিদুল জেলে আছেন। ডাকাতির ঘটনায় এএসআই জাহিদুলের সংশ্লিষ্টতা ছিল বলেই তো তিনি জেলে আছেন। পলাশ শেখ ছিল পুলিশের সোর্স। তাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব, পুলিশের আর কেউ জড়িত ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’
রাজধানীর দারুসসালাম থানার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীর কাছ থেকে স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর বিভাগ। এই ঘটনায় জড়িত রূপনগর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জাহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আগেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার জাহিদুল রূপনগর থানার মোটরসাইকেল টহল টিমের সদস্য ছিলেন।
ওই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে রূপনগর থানার এএসআই জাহিদুলের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ডিবি পুলিশ বলছে, আইন সবার জন্য সমান। বাংলাদেশ পুলিশের ২ লাখের বেশি সদস্য। পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত দায় বাহিনী নেবে না। জড়িত পুলিশ সদস্যদের অপরাধ অনুযায়ী তাঁরা শাস্তি পাবেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ।
হারুন-অর-রশিদ বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনাল টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দারুসসালাম থানা এলাকায় স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গতকাল বুধবার ঢাকার সদরঘাট ও মেরাদিয়ায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন মো. সোহেল আহম্মেদ পল্লব (৪৮), পুলিশের সোর্স পলাশ শেখ (৩৪), মো. মাসুদ রানা (৪৬) ও রবিন হালদার পরেশ (৫০)। গ্রেপ্তারকালে তাঁদের কাছ থেকে ডাকাতির ২০ ভরি স্বর্ণ ও স্বর্ণ বিক্রির ৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
ঘটনা সম্পর্কে ডিবি পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী টিটু প্রধানীয়া রাজধানীর তাঁতীবাজারের ধানসিঁড়ি চেইন অ্যান্ড বল হাউজ নামের স্বর্ণের দোকানের একজন কর্মচারী। তিনি দোকানের গহনা দেশের বিভিন্ন জুয়েলারি দোকানে ডেলিভারি দিয়ে থাকেন। ১৬ জুলাই সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ৩৮ ভরি ১৪ আনা স্বর্ণ একটি ব্যাগে নিয়ে টাঙ্গাইল যাওয়ার উদ্দেশে মোটরসাইকেলে করে গাবতলীতে আসেন। এমন সময় এক ব্যক্তি নিজেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে টিটুর ব্যাগে কী আছে জানতে চান। পুলিশ পরিচয় পেয়ে টিটু ব্যাগে স্বর্ণ থাকার কথা জানান। এরপর মালামালের বৈধতা প্রমাণের জন্য কাগজপত্র দেখতে চান ওই ব্যক্তি। টিটু কাগজ দেখালে আরও চার-পাঁচজন অপরিচিত ব্যক্তি ঘটনাস্থলে আসেন। টিটু বুঝতে পারেন তাঁরা প্রথম ব্যক্তির সঙ্গের লোক। একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে টিটুর কাছ থেকে স্বর্ণের ব্যাগ, স্বর্ণের ভাউচার, দোকানের ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট, স্মার্টফোন এবং ৮ হাজার ৮০০ টাকা ছিনিয়ে নেয় দলটি।
এরপর থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে টিটুকে একটি সিএনজি অটোরিকশাতে তোলেন ওই ব্যক্তিরা। এরপর তেজগাঁও থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বিজয় সরণি মোড়ে টিটুকে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা।
ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তাররা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য। আসামিরা ভুক্তভোগী টিটুর পথরোধ করে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে দারুসসালাম থানায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা আরও বেশ কয়েকজনের নাম জেনেছি। তাঁদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। লুণ্ঠন করা বাকি স্বর্ণ উদ্ধারেও চেষ্টা চলছে।’
ডাকাতির ওই ঘটনায় রূপনগর থানার এএসআই পুলিশ সদস্যের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে জানতে চাইলে হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত করে বলা যাবে। তবে পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় পুলিশ নেবে না। আগেও নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।’
হারুন-অর-রশিদ আরও বলেন, ‘মামলায় আসামি রূপনগর থানার এএসআই জাহিদুল জেলে আছেন। ডাকাতির ঘটনায় এএসআই জাহিদুলের সংশ্লিষ্টতা ছিল বলেই তো তিনি জেলে আছেন। পলাশ শেখ ছিল পুলিশের সোর্স। তাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব, পুলিশের আর কেউ জড়িত ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’
গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
২ দিন আগেচাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
৫ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪