ঢাকা: হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তাঁর ‘কথিত’ দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা। আজ শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় তিনি মামলাটি করেন। নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোনারগাঁ থানা পুলিশ সূত্র জানায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামুনুল হক ঝর্ণাকে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেলেও মামলায় নিজেকে মামুনুল হকের স্ত্রী বলেননি জান্নাত আরা ঝর্ণা।
মামলার এজাহারে ঝর্ণা বলেছেন, তার সাবেক স্বামী মাওলানা শহীদুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে ২০০৫ সালে মামুনুল হকের সাথে তাঁর পরিচয় হয়। স্বামীর বন্ধু হওয়ায় আমাদের বাড়িতে মামুনুলের অবাধ যাতায়াত ছিল। মামুনুলের সঙ্গে পরিচয়ের আগে আমরা সুখে–শান্তিতে বসবাস করছিলাম। আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মতানৈক্যের মধ্যে প্রবেশ করে মামুনুল হক শহীদুল ও আমার মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে মামুনুল হকের কুপরামর্শে ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর আমার অসহায়ত্বের সুযোগে মামুনুল হক আমাকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। পরে তার পরামর্শে আমি ঢাকার কলাবাগানে সাবলেট হিসেবে ভাড়া নিয়ে একটি বাড়িতে বসবাস করতে থাকি এবং একটি পার্লারে কাজ শিখতে থাকি। একপর্যায়ে তিনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। দুই বছর ধরে ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরির নাম করে বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্টে নিয়ে রাত্রীযাপন ও বিবাহের আশ্বাস দিয়ে যৌন লালসা চরিতার্থ করেন।
মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করার পর মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণা বলেন, মামুনুল হক দীর্ঘদিন ধরেই আমার সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। আমি রাষ্ট্রের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।
গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণাসহ মামুনুল হককে আটক করে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে ঝর্ণাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন মামুনুল।
এদিকে গত ২৪ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জান্নাত আরা ঝর্ণার বাবা ওলিয়ার রহমানকে হেফাজতে নেয় ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ। আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর থেকে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর ২৬ এপ্রিল মেয়েকে উদ্ধারে পুলিশের সহায়তায় চেয়ে কলাবাগান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। পরদিন মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে ঝর্ণাকে উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। উদ্ধার হওয়ার তিন দিনের মাথায় এই মামলা করলেন ঝর্ণা।
পুলিশ বলছে, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে কেবল রাজধানীতেই অন্তত ১৭টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি মামলার বাদী পুলিশ। গত ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের ১২ দিন পরে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করলেন তার কথিত এই দ্বিতীয় স্ত্রী।
ঢাকা: হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তাঁর ‘কথিত’ দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা। আজ শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় তিনি মামলাটি করেন। নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোনারগাঁ থানা পুলিশ সূত্র জানায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামুনুল হক ঝর্ণাকে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেলেও মামলায় নিজেকে মামুনুল হকের স্ত্রী বলেননি জান্নাত আরা ঝর্ণা।
মামলার এজাহারে ঝর্ণা বলেছেন, তার সাবেক স্বামী মাওলানা শহীদুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে ২০০৫ সালে মামুনুল হকের সাথে তাঁর পরিচয় হয়। স্বামীর বন্ধু হওয়ায় আমাদের বাড়িতে মামুনুলের অবাধ যাতায়াত ছিল। মামুনুলের সঙ্গে পরিচয়ের আগে আমরা সুখে–শান্তিতে বসবাস করছিলাম। আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মতানৈক্যের মধ্যে প্রবেশ করে মামুনুল হক শহীদুল ও আমার মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে মামুনুল হকের কুপরামর্শে ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর আমার অসহায়ত্বের সুযোগে মামুনুল হক আমাকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। পরে তার পরামর্শে আমি ঢাকার কলাবাগানে সাবলেট হিসেবে ভাড়া নিয়ে একটি বাড়িতে বসবাস করতে থাকি এবং একটি পার্লারে কাজ শিখতে থাকি। একপর্যায়ে তিনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। দুই বছর ধরে ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরির নাম করে বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্টে নিয়ে রাত্রীযাপন ও বিবাহের আশ্বাস দিয়ে যৌন লালসা চরিতার্থ করেন।
মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করার পর মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণা বলেন, মামুনুল হক দীর্ঘদিন ধরেই আমার সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। আমি রাষ্ট্রের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।
গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণাসহ মামুনুল হককে আটক করে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে ঝর্ণাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন মামুনুল।
এদিকে গত ২৪ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জান্নাত আরা ঝর্ণার বাবা ওলিয়ার রহমানকে হেফাজতে নেয় ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ। আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর থেকে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর ২৬ এপ্রিল মেয়েকে উদ্ধারে পুলিশের সহায়তায় চেয়ে কলাবাগান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। পরদিন মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে ঝর্ণাকে উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। উদ্ধার হওয়ার তিন দিনের মাথায় এই মামলা করলেন ঝর্ণা।
পুলিশ বলছে, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে কেবল রাজধানীতেই অন্তত ১৭টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি মামলার বাদী পুলিশ। গত ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের ১২ দিন পরে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করলেন তার কথিত এই দ্বিতীয় স্ত্রী।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৩ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৫ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
২২ দিন আগে