জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর বনশ্রীর একটি মেসে থাকেন বুশরা। ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের সপ্তম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বনশ্রীর ওই বাসায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁর রুমমেটরা সবাই পরীক্ষায় দিতে ইউনিভার্সিটিতে ছিলেন বলে জানা গেছে।
বাড়িটির নিরাপত্তারক্ষী মো. মাসুদ আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি চার মাস ধরে এই বাসা আছেন। বুশরাসহ ছয়জন ভবনের সবচেয়ে ওপরের ফ্লোরে পেছনের ফ্ল্যাটে থাকেন। আসা যাওয়ার পথে সালাম বিনিময় হতো। আর কিছু তিনি জানেন না। ফারদিনকে কখনো এই বাসার নিচে আসতে দেখেননি তিনি।
গত সোমবার (৭ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের পর কয়েক দফা পুলিশ, ডিবি, র্যাব ওই বাসায় গেছে। বুশরাকে পুলিশ ও ডিবি ডেকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও জানান নিরাপত্তারক্ষী মাসুদ।
মেয়েকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গত ৭ নভেম্বর রাতে হেফাজতে নিয়েছে এমন খবর শুনে বুশরার বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম ঢাকায় আসেন। তবে তখন একটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেন। এখনো তিনি তাঁদের হেফাজতে আছেন। কিশোরগঞ্জের বয়লা এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকেন তিনি। সেখানে বুশরার মা ও ছোট বোন থাকেন। মেয়েকে নির্দোষ দাবি করেছেন মা ইয়াসমিন।
ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুশরা কিশোরগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও ওয়ালীনেওয়াজ খান কলেজে পড়ার সময় থেকেই বিভিন্ন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিত। সে সুবাদে একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে ফারদিনের সঙ্গে পরিচয়। বিতর্ক প্রতিযোগিতার স্বার্থে ফারদিনের সঙ্গে যোগাযোগ হতো। একসময় সেটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে রূপ নেয়।’ বুশরার মায়ের দাবি, মেয়ের সঙ্গে ফারদিনের কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না।
বুশরার মা আরও বলেন, ‘এমন একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তাদের মধ্যে ছিল যে, আমার মেয়ে কোনো ভাবেই এমন ঘটনা (ফারদিনকে হত্যা) ঘটাতে পারে না।’
তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকেরা জানান তাঁর শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টায় ফারদিনের বাবা নূর উদ্দীন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় বুশরাসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বুশরাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
রাজধানীর বনশ্রীর একটি মেসে থাকেন বুশরা। ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের সপ্তম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বনশ্রীর ওই বাসায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁর রুমমেটরা সবাই পরীক্ষায় দিতে ইউনিভার্সিটিতে ছিলেন বলে জানা গেছে।
বাড়িটির নিরাপত্তারক্ষী মো. মাসুদ আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি চার মাস ধরে এই বাসা আছেন। বুশরাসহ ছয়জন ভবনের সবচেয়ে ওপরের ফ্লোরে পেছনের ফ্ল্যাটে থাকেন। আসা যাওয়ার পথে সালাম বিনিময় হতো। আর কিছু তিনি জানেন না। ফারদিনকে কখনো এই বাসার নিচে আসতে দেখেননি তিনি।
গত সোমবার (৭ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের পর কয়েক দফা পুলিশ, ডিবি, র্যাব ওই বাসায় গেছে। বুশরাকে পুলিশ ও ডিবি ডেকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও জানান নিরাপত্তারক্ষী মাসুদ।
মেয়েকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গত ৭ নভেম্বর রাতে হেফাজতে নিয়েছে এমন খবর শুনে বুশরার বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম ঢাকায় আসেন। তবে তখন একটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেন। এখনো তিনি তাঁদের হেফাজতে আছেন। কিশোরগঞ্জের বয়লা এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকেন তিনি। সেখানে বুশরার মা ও ছোট বোন থাকেন। মেয়েকে নির্দোষ দাবি করেছেন মা ইয়াসমিন।
ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুশরা কিশোরগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও ওয়ালীনেওয়াজ খান কলেজে পড়ার সময় থেকেই বিভিন্ন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিত। সে সুবাদে একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে ফারদিনের সঙ্গে পরিচয়। বিতর্ক প্রতিযোগিতার স্বার্থে ফারদিনের সঙ্গে যোগাযোগ হতো। একসময় সেটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে রূপ নেয়।’ বুশরার মায়ের দাবি, মেয়ের সঙ্গে ফারদিনের কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না।
বুশরার মা আরও বলেন, ‘এমন একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তাদের মধ্যে ছিল যে, আমার মেয়ে কোনো ভাবেই এমন ঘটনা (ফারদিনকে হত্যা) ঘটাতে পারে না।’
তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকেরা জানান তাঁর শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টায় ফারদিনের বাবা নূর উদ্দীন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় বুশরাসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বুশরাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৫ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৭ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৮ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১১ দিন আগে