নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার নবীনগর হাউজিং এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান। অন্যদিনের মতো স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আড়াইটার দিকে বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। উঠে দেখেন, ছোট মেয়ের গায়ের ওপর জানালার কাচ ভেঙে পড়েছে। মেয়ের গায়ে কম্বল থাকায় বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেছে। এরপর দোতলা থেকে নিচে রাস্তায় তাকিয়ে দেখেন বিপুলসংখ্যক কিশোরের মহড়া। প্রত্যেকের হাতে দেশীয় অস্ত্র। কারও হাতে চাপাতি, ছুরি, চাকু, লোহার পাইপ। দল বেঁধে এগিয়ে যাচ্ছে আর ধর ধর বলছে। হাতের কাছে যা পাচ্ছে ভাঙচুর করছে। রাস্তার দুই পাশের বাড়ির জানালার কাচ, দোকানের শাটার, এসি, মোটরসাইকেল, পিকআপ—কিছুই বাদ যাচ্ছে না।
মিজানুর রহমানের মতো সে রাতে নবীনগর হাউজিংয়ের ৬ থেকে ৮ নম্বর রোডের প্রতিটি বাড়ির বাসিন্দাই আচমকা ঘুম থেকে উঠে দেখেন অস্ত্রধারী কিশোরদের তাণ্ডব। তাদের মুখে হুমকি-ধমকি আর ‘ধর ধর’ শব্দ। হট্টগোল দেখে কেউ কেউ রাস্তায় বের হওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু কিশোরেরা বাসা থেকে বের হলে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল। তারা বলছিল, ‘বাসায় থাকেন, ঘুমান। রাস্তায় বের হলে মেরে ফেলব।’
সকালে উঠে মধ্যরাতের তাণ্ডবের চিহ্ন দেখে আঁতকে ওঠেন স্থানীয়রা। আজ শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে দেখা যায়, ৬ নম্বর রোডের বেড়িবাঁধ থেকে ৮ নম্বর সড়ক পর্যন্ত প্রতিটি বাড়ির জানালার কাচ ভাঙা। নিচতলা, দ্বিতীয় তলার জানালার কাচে হামলার চিহ্ন স্পষ্ট। বাদ যায়নি রাস্তায় রাখা ভ্যান গাড়ি, পিকআপ, মোটরসাইকেল, দোকানের শাটার, এমনকি পিঠা বিক্রেতার মাটির চুলা, সবজি বিক্রেতার ভ্যান গাড়ি, হোটেলের চুলাও!
৬ নম্বর রোডের ভাঙচুর হওয়া বাড়ির বাসিন্দাদের কাছে এই হামলার কারণ জানতে চাইলে সবাই বলেন, ‘আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না, কেন হামলা হলো, কারাই বা হামলা করল।’
রফিক, বিপুলসহ বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মধ্যরাতে শতাধিক কিশোরের এমন হামলার কারণ বুঝতে পারছিলেন না তাঁরা। কিশোরদের সঙ্গে দু-একজনের শত্রুতা থাকতে পারে, তাই বলে একটি আবাসিক এলাকায় মধ্যরাতে রাস্তার এক মাথা থেকে আরেক মাথা পর্যন্ত ভাঙচুর চালাবে!
ঘটনার পরপরই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দেন বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। কিশোরেরা চলে যাওয়ার পরে পুলিশ আসে। তারা তাণ্ডবের চিহ্ন দেখে যায়। থানায় গিয়ে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে চলে যায় তারা।
বাসিন্দারা আরও জানান, কিশোরের দল তাণ্ডব চালিয়ে চলে যাওয়ার পরে পাঁচ থেকে সাতটি মোটরসাইকেল এলাকায় এসে ঘুরে যায়। তাদের দেখে মনে হয়েছে, তারা কাউকে খুঁজতে এসেছিল। কিন্তু তাঁদেরও কাউকে স্থানীয়রা চেনেন না।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। যাদের বাসায় ভাঙচুর করা হয়েছে তাদের থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। এরপর কী হয়েছে বলতে পারছি না। আমি নাইট ডিউটি করেছি।’
জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। এমন কিছু ঘটেছে কি না, জানা নেই। আপনি থানার ডিউটি অফিসারকে কল দেন। সে হয়তো বিস্তারিত জানাতে পারবে।’
আজকের পত্রিকার হাতে কিশোরদের তাণ্ডবের বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে। তাতে দেখা যায়, দল বেঁধে কিশোরের দল ৬ নম্বর সড়কে ঢুকছে। প্রত্যেকের হাতে চাপাতি, লোহার রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র। কেউ হাতের অস্ত্র দিয়ে সড়কের পাশে থাকা বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর চালাচ্ছে। শব্দ শুনে রাস্তায় বের হওয়ার চেষ্টা করায় এক নারীকে ধাওয়া দেয় কিশোরেরা। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে নবীনগর হাউজিং মালিক সমিতির সহ-সভাপতি নাজমুল আহসান বলেন, ‘মধ্যরাতে হামলার পরে আমরা ৯৯৯-এ কল দেই। পরে থানা থেকে রফিক নামে একজন এসআই আসেন। তিনি দেখে গেছেন। কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তিনি আমাদের মামলার পরামর্শ দিয়ে চলে যান। হাউজিংয়ের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে কি না জানতে চাইলে নাজমুল বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। থানায় মামলার বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে একটি দাওয়াত শেষে মোটরসাইকেলযোগে বাসায় ফিরছিলেন মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। তাঁরা মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিং এলাকায় আসার পর কয়েকজন অস্ত্রধারী ছিনতাইকারী তাঁদের পথরোধ করে অতর্কে হামলা করে। এতে মোটরসাইকেলে থাকা বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। খবর পেয়ে তাঁদের উদ্ধার করতে আসেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। উদ্ধার শেষে আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে পাঠানোর পর ছিনতাই চক্রের সদস্যদের খোঁজে নামেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। শখানেক অস্ত্রধারী কিশোর নিয়ে তাঁরা নবোদয় হাউজিং, নবীনগর হাউজিংসহ বিভিন্ন এলাকায় শোডাউন দেন। এই শোডাউন দেওয়ার সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা নবীনগর হাউজিংয়ের ৬ নম্বর রোডের ৬০-৭০টি বাড়ির জানালার গ্লাস, রাস্তায় রাখা মোটরসাইকেল, পিকআপ, দোকানের শাটারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সাধারণ সম্পাদক অমিক বলেন, ‘গতকাল নবোদয়ে তার দলের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- মিজান (২৬), নাদিম(২৭), শফিক(৩০), রবিন(২৫)। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। একজনের শরীরে ৩৫টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। টাকা পয়সা ও মোবাইল ছিনতাই হয়েছে।’ এই ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।
এদিকে নববর্ষ উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। নববর্ষের প্রথম রাতেই রাজধানীজুড়ে মারামারির তথ্য দিয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে এমন ২৫ থেকে ৩০টি কল পেয়েছেন জরুরি সেবা সেলের কর্মীরা।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার নবীনগর হাউজিং এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান। অন্যদিনের মতো স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আড়াইটার দিকে বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। উঠে দেখেন, ছোট মেয়ের গায়ের ওপর জানালার কাচ ভেঙে পড়েছে। মেয়ের গায়ে কম্বল থাকায় বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেছে। এরপর দোতলা থেকে নিচে রাস্তায় তাকিয়ে দেখেন বিপুলসংখ্যক কিশোরের মহড়া। প্রত্যেকের হাতে দেশীয় অস্ত্র। কারও হাতে চাপাতি, ছুরি, চাকু, লোহার পাইপ। দল বেঁধে এগিয়ে যাচ্ছে আর ধর ধর বলছে। হাতের কাছে যা পাচ্ছে ভাঙচুর করছে। রাস্তার দুই পাশের বাড়ির জানালার কাচ, দোকানের শাটার, এসি, মোটরসাইকেল, পিকআপ—কিছুই বাদ যাচ্ছে না।
মিজানুর রহমানের মতো সে রাতে নবীনগর হাউজিংয়ের ৬ থেকে ৮ নম্বর রোডের প্রতিটি বাড়ির বাসিন্দাই আচমকা ঘুম থেকে উঠে দেখেন অস্ত্রধারী কিশোরদের তাণ্ডব। তাদের মুখে হুমকি-ধমকি আর ‘ধর ধর’ শব্দ। হট্টগোল দেখে কেউ কেউ রাস্তায় বের হওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু কিশোরেরা বাসা থেকে বের হলে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল। তারা বলছিল, ‘বাসায় থাকেন, ঘুমান। রাস্তায় বের হলে মেরে ফেলব।’
সকালে উঠে মধ্যরাতের তাণ্ডবের চিহ্ন দেখে আঁতকে ওঠেন স্থানীয়রা। আজ শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে দেখা যায়, ৬ নম্বর রোডের বেড়িবাঁধ থেকে ৮ নম্বর সড়ক পর্যন্ত প্রতিটি বাড়ির জানালার কাচ ভাঙা। নিচতলা, দ্বিতীয় তলার জানালার কাচে হামলার চিহ্ন স্পষ্ট। বাদ যায়নি রাস্তায় রাখা ভ্যান গাড়ি, পিকআপ, মোটরসাইকেল, দোকানের শাটার, এমনকি পিঠা বিক্রেতার মাটির চুলা, সবজি বিক্রেতার ভ্যান গাড়ি, হোটেলের চুলাও!
৬ নম্বর রোডের ভাঙচুর হওয়া বাড়ির বাসিন্দাদের কাছে এই হামলার কারণ জানতে চাইলে সবাই বলেন, ‘আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না, কেন হামলা হলো, কারাই বা হামলা করল।’
রফিক, বিপুলসহ বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মধ্যরাতে শতাধিক কিশোরের এমন হামলার কারণ বুঝতে পারছিলেন না তাঁরা। কিশোরদের সঙ্গে দু-একজনের শত্রুতা থাকতে পারে, তাই বলে একটি আবাসিক এলাকায় মধ্যরাতে রাস্তার এক মাথা থেকে আরেক মাথা পর্যন্ত ভাঙচুর চালাবে!
ঘটনার পরপরই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দেন বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। কিশোরেরা চলে যাওয়ার পরে পুলিশ আসে। তারা তাণ্ডবের চিহ্ন দেখে যায়। থানায় গিয়ে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে চলে যায় তারা।
বাসিন্দারা আরও জানান, কিশোরের দল তাণ্ডব চালিয়ে চলে যাওয়ার পরে পাঁচ থেকে সাতটি মোটরসাইকেল এলাকায় এসে ঘুরে যায়। তাদের দেখে মনে হয়েছে, তারা কাউকে খুঁজতে এসেছিল। কিন্তু তাঁদেরও কাউকে স্থানীয়রা চেনেন না।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। যাদের বাসায় ভাঙচুর করা হয়েছে তাদের থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। এরপর কী হয়েছে বলতে পারছি না। আমি নাইট ডিউটি করেছি।’
জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। এমন কিছু ঘটেছে কি না, জানা নেই। আপনি থানার ডিউটি অফিসারকে কল দেন। সে হয়তো বিস্তারিত জানাতে পারবে।’
আজকের পত্রিকার হাতে কিশোরদের তাণ্ডবের বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে। তাতে দেখা যায়, দল বেঁধে কিশোরের দল ৬ নম্বর সড়কে ঢুকছে। প্রত্যেকের হাতে চাপাতি, লোহার রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র। কেউ হাতের অস্ত্র দিয়ে সড়কের পাশে থাকা বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর চালাচ্ছে। শব্দ শুনে রাস্তায় বের হওয়ার চেষ্টা করায় এক নারীকে ধাওয়া দেয় কিশোরেরা। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে নবীনগর হাউজিং মালিক সমিতির সহ-সভাপতি নাজমুল আহসান বলেন, ‘মধ্যরাতে হামলার পরে আমরা ৯৯৯-এ কল দেই। পরে থানা থেকে রফিক নামে একজন এসআই আসেন। তিনি দেখে গেছেন। কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তিনি আমাদের মামলার পরামর্শ দিয়ে চলে যান। হাউজিংয়ের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে কি না জানতে চাইলে নাজমুল বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। থানায় মামলার বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে একটি দাওয়াত শেষে মোটরসাইকেলযোগে বাসায় ফিরছিলেন মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। তাঁরা মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিং এলাকায় আসার পর কয়েকজন অস্ত্রধারী ছিনতাইকারী তাঁদের পথরোধ করে অতর্কে হামলা করে। এতে মোটরসাইকেলে থাকা বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। খবর পেয়ে তাঁদের উদ্ধার করতে আসেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। উদ্ধার শেষে আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে পাঠানোর পর ছিনতাই চক্রের সদস্যদের খোঁজে নামেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। শখানেক অস্ত্রধারী কিশোর নিয়ে তাঁরা নবোদয় হাউজিং, নবীনগর হাউজিংসহ বিভিন্ন এলাকায় শোডাউন দেন। এই শোডাউন দেওয়ার সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা নবীনগর হাউজিংয়ের ৬ নম্বর রোডের ৬০-৭০টি বাড়ির জানালার গ্লাস, রাস্তায় রাখা মোটরসাইকেল, পিকআপ, দোকানের শাটারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সাধারণ সম্পাদক অমিক বলেন, ‘গতকাল নবোদয়ে তার দলের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- মিজান (২৬), নাদিম(২৭), শফিক(৩০), রবিন(২৫)। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। একজনের শরীরে ৩৫টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। টাকা পয়সা ও মোবাইল ছিনতাই হয়েছে।’ এই ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।
এদিকে নববর্ষ উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। নববর্ষের প্রথম রাতেই রাজধানীজুড়ে মারামারির তথ্য দিয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে এমন ২৫ থেকে ৩০টি কল পেয়েছেন জরুরি সেবা সেলের কর্মীরা।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

মিজানুর রহমানের মতো সে রাতে নবীনগর হাউজিংয়ের ৬ থেকে ৮ নম্বর রোডের প্রতিটি বাড়ির বাসিন্দাই আচমকা ঘুম থেকে উঠে দেখেন অস্ত্রধারী কিশোরদের তাণ্ডব। তাদের মুখে হুমকি-ধমকি আর ‘ধর ধর’ শব্দ।
০১ জানুয়ারি ২০২২
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

মিজানুর রহমানের মতো সে রাতে নবীনগর হাউজিংয়ের ৬ থেকে ৮ নম্বর রোডের প্রতিটি বাড়ির বাসিন্দাই আচমকা ঘুম থেকে উঠে দেখেন অস্ত্রধারী কিশোরদের তাণ্ডব। তাদের মুখে হুমকি-ধমকি আর ‘ধর ধর’ শব্দ।
০১ জানুয়ারি ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

মিজানুর রহমানের মতো সে রাতে নবীনগর হাউজিংয়ের ৬ থেকে ৮ নম্বর রোডের প্রতিটি বাড়ির বাসিন্দাই আচমকা ঘুম থেকে উঠে দেখেন অস্ত্রধারী কিশোরদের তাণ্ডব। তাদের মুখে হুমকি-ধমকি আর ‘ধর ধর’ শব্দ।
০১ জানুয়ারি ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

মিজানুর রহমানের মতো সে রাতে নবীনগর হাউজিংয়ের ৬ থেকে ৮ নম্বর রোডের প্রতিটি বাড়ির বাসিন্দাই আচমকা ঘুম থেকে উঠে দেখেন অস্ত্রধারী কিশোরদের তাণ্ডব। তাদের মুখে হুমকি-ধমকি আর ‘ধর ধর’ শব্দ।
০১ জানুয়ারি ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে