আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

রাজধানীর গাবতলী থেকে সোয়ারীঘাট। মাত্র ১৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সড়ক। এই পথটুকু ঘিরে গড়ে উঠেছে বিশাল এক ছিনতাইকারী চক্র। সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয়—পুরো সময়টা এ সড়ক থাকে ছিনতাইকারীদের দখলে। তারা বেড়িবাঁধ সড়ক ও সংলগ্ন থানা এলাকায় সারা বছর ছিনতাই করে। নির্বিঘ্নে ছিনতাই করতে নিজেরাই অকেজো করে রাখে সড়কবাতি। গত এক বছরে এই সড়ক ও সংলগ্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ৮৮৮ ছিনতাইকারীকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যাদের সবারই বসবাস ও যাতায়াত ছিল বেড়িবাঁধকেন্দ্রিক। এতসংখ্যক ছিনতাইকারী গ্রেপ্তারের পরও ছিনতাই কমেনি।
অভিযোগ রয়েছে, ছিনতাইয়ের ঘটনায় ভুক্তভোগীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা পান খুবই কম। ছিনতাইকারীরা দিনে বেড়িবাঁধঘেঁষা ঝুপড়ি বস্তিঘর, ট্যানারিপল্লি, অটোস্ট্যান্ড-লেগুনাস্ট্যান্ড-ট্রাকস্ট্যান্ড ও রায়েরবাজার কবরস্থান এলাকায় ঘাপটি মেরে থাকে। সেখানে বসে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। কেউ কেউ বুড়িগঙ্গা পার হয়ে কেরানীগঞ্জেও চলে যায়।
গত ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার বধ্যভূমি পরিদর্শনে যান দুই জাপানি নাগরিক। তাঁরা সেখানে ছবি তোলেন এবং ঘুরে দেখেন। এ সময় একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাঁদের সবকিছু ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে হোটেলে চলে যান ওই দুই জাপানি নাগরিক। পরদিন ২৫ এপ্রিল দুপুরে হোটেলের ম্যানেজার তারেক আহমেদ মোহাম্মদপুর থানায় ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। বিদেশি দুই নাগরিকের বিষয়ে পুলিশ নড়েচড়ে বসে। ঢাকা, কক্সবাজার ও সীতাকুণ্ডে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় তাঁদের পাসপোর্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও ফোন।
বিদেশি নাগরিক হওয়ায় দেশের ভাবমূর্তির কথা চিন্তা করে এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্দেশ দেওয়ার পর দ্রুত ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করে থানা-পুলিশ। তবে ভুক্তভোগী সবার ভাগ্য এমন হয় না। দ্রুত কাজও করে না পুলিশ। গত ২৫ ডিসেম্বর বেড়িবাঁধ নবীনগর হাউজিংয়ের বাসা থেকে রিকশায় মোহাম্মদপুরের তিনরাস্তার দিকে যাচ্ছিলেন প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ। পথে বেড়িবাঁধের চাঁদ উদ্যানে ছিনতাইয়ের শিকার হন তিনি। ছিনতাইকারীরা দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে তাঁর স্মার্টফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তবে চার মাসেও তাঁর ফোন উদ্ধার হয়নি।
আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে জানা গেছে, গাবতলী থেকে সোয়ারীঘাট পর্যন্ত প্রতিদিনই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। বেড়িবাঁধকেন্দ্রিক এই ছিনতাইকারী চক্র দারুস সালাম, আদাবর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীরচর, চকবাজার, নিউমার্কেট, শেরেবাংলা নগর, কলাবাগান, তেজগাঁও ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় গিয়েও ছিনতাই করে।
র্যাব-২-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘এটি রিমোট এলাকা, উন্নয়ন চলমান। অপরাধীরা অপরাধ করেই দ্রুত গা ঢাকা দিতে পারে। তারা বিভিন্ন পেশার আড়ালে ছিনতাই করে থাকে। র্যাব প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে।’
গত এক বছরে বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে যেসব ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের কেউ ব্যাটারিচালিত অটোচালক, কেউ রাজমিস্ত্রির সহযোগী, কেউ বাসচালকের সহকারী, কেউ সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আবার কেউ ট্রাক ও লেগুনার সহকারী। এদের বেশির ভাগ মাদকসেবী। তারা সুযোগ পেলেই ছিনতাই করে। গত চার মাসে বেড়িবাঁধসংলগ্ন এই এলাকা থেকে ২৫৬ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২। র্যাব জানায়, ছিনতাইকারীরা রায়েরবাজার বিশাল কবরস্থানকে তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত করেছে।
র্যাব-২-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘এটি রিমোট এলাকা, উন্নয়ন চলমান। অপরাধীরা অপরাধ করেই দ্রুত গা ঢাকা দিতে পারে। তারা বিভিন্ন পেশার আড়ালে ছিনতাই করে থাকে। র্যাব প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে।’
কেন এত ছিনতাইকারী বেড়িবাঁধে
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বেড়িবাঁধকে অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ছিনতাই, হত্যা ও ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটায় এটি রাজধানীর অপরাধপ্রবণ এলাকার মধ্যে একটি বলে জানিয়েছে ডিএমপি সদর দপ্তরের ক্রাইম বিভাগ। সদর দপ্তরের দাবি, গাবতলী থেকে সোয়ারীঘাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধের দুই পাশে অবৈধ দেড় শতাধিক লেগুনা, ট্রাক, বাস, অটোরিকশা ও রিকশাস্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। কাগজপত্র ও ফিটনেসবিহীন এসব গাড়ি এই সড়কে চলাচল করে। এদের চালক ও হেলপার—সবাই এই বেড়িবাঁধসংলগ্ন বস্তিতে থাকেন। বেড়িবাঁধের বাইরে ও ভেতরে ছোট ছোট বস্তি গড়ে উঠেছে। সেখানে থাকা অপরাধীরাই এসব ছিনতাই করছে। এরা সুযোগ পেলেই ছিনতাই করে। বেড়িবাঁধ সড়কের বাতি ছিনতাইকারীরা নিজেরাই ভেঙে রাখে, যাতে অন্ধকারে ছিনতাই করা যায়।
বেড়িবাঁধে ছিনতাইয়ের হট স্পট হিসেবে পরিচিত গাবতলী বালুরঘাট, স্লুইসগেট, ঢাকা উদ্যান, নবীনগর, চাঁদ উদ্যান, ভাঙা মসজিদ, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, ট্যানারি মোড়, সেকশন, কামরাঙ্গীরচর ২ নম্বর ব্রিজ ও সোয়ারীঘাট। এসব এলাকায় র্যাব-পুলিশ টহলে থাকলেও ছিনতাই কমছে না।
গত চার মাসে এই বেড়িবাঁধ ও এর আশপাশের এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৯টি থানায় ১৮৪টি মামলা করেছে র্যাব-২। সবচেয়ে বেশি ১০৯টি ছিনতাই মামলা হয়েছে মোহাম্মদপুর থানায়। এরপর হাজারীবাগে ২৪টি এবং আদাবরে ২১টি। এ ছাড়া ধানমন্ডিতে পাঁচটি, নিউমার্কেটে সাতটি, শেরেবাংলা নগরে নয়টি, কলাবাগানে পাঁচটি, তেজগাঁও থানায় দুটি এবং তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় দুটি মামলা হয়। তবে বেশির ভাগ ভুক্তভোগী মামলা করেন না। কারণ, অনেকেই যাত্রাপথে ছিনতাইয়ের শিকার হন। তাঁরা আর থানায় যান না। কেউ কেউ ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মোবাইল ফোন হারানোর জিডি করেন।
ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হওয়া থানাগুলোর পাঁচটিই ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের মধ্যে রয়েছে। তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার আজিমুল হক ছিনতাইয়ের বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছিনতাইয়ের অভিযোগ পেলেই আমরা অভিযান পরিচালনা করি। বেড়িবাঁধ এলাকায় পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।’

রাজধানীর গাবতলী থেকে সোয়ারীঘাট। মাত্র ১৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সড়ক। এই পথটুকু ঘিরে গড়ে উঠেছে বিশাল এক ছিনতাইকারী চক্র। সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয়—পুরো সময়টা এ সড়ক থাকে ছিনতাইকারীদের দখলে। তারা বেড়িবাঁধ সড়ক ও সংলগ্ন থানা এলাকায় সারা বছর ছিনতাই করে। নির্বিঘ্নে ছিনতাই করতে নিজেরাই অকেজো করে রাখে সড়কবাতি। গত এক বছরে এই সড়ক ও সংলগ্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ৮৮৮ ছিনতাইকারীকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যাদের সবারই বসবাস ও যাতায়াত ছিল বেড়িবাঁধকেন্দ্রিক। এতসংখ্যক ছিনতাইকারী গ্রেপ্তারের পরও ছিনতাই কমেনি।
অভিযোগ রয়েছে, ছিনতাইয়ের ঘটনায় ভুক্তভোগীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা পান খুবই কম। ছিনতাইকারীরা দিনে বেড়িবাঁধঘেঁষা ঝুপড়ি বস্তিঘর, ট্যানারিপল্লি, অটোস্ট্যান্ড-লেগুনাস্ট্যান্ড-ট্রাকস্ট্যান্ড ও রায়েরবাজার কবরস্থান এলাকায় ঘাপটি মেরে থাকে। সেখানে বসে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। কেউ কেউ বুড়িগঙ্গা পার হয়ে কেরানীগঞ্জেও চলে যায়।
গত ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার বধ্যভূমি পরিদর্শনে যান দুই জাপানি নাগরিক। তাঁরা সেখানে ছবি তোলেন এবং ঘুরে দেখেন। এ সময় একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাঁদের সবকিছু ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে হোটেলে চলে যান ওই দুই জাপানি নাগরিক। পরদিন ২৫ এপ্রিল দুপুরে হোটেলের ম্যানেজার তারেক আহমেদ মোহাম্মদপুর থানায় ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। বিদেশি দুই নাগরিকের বিষয়ে পুলিশ নড়েচড়ে বসে। ঢাকা, কক্সবাজার ও সীতাকুণ্ডে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় তাঁদের পাসপোর্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও ফোন।
বিদেশি নাগরিক হওয়ায় দেশের ভাবমূর্তির কথা চিন্তা করে এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্দেশ দেওয়ার পর দ্রুত ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করে থানা-পুলিশ। তবে ভুক্তভোগী সবার ভাগ্য এমন হয় না। দ্রুত কাজও করে না পুলিশ। গত ২৫ ডিসেম্বর বেড়িবাঁধ নবীনগর হাউজিংয়ের বাসা থেকে রিকশায় মোহাম্মদপুরের তিনরাস্তার দিকে যাচ্ছিলেন প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ। পথে বেড়িবাঁধের চাঁদ উদ্যানে ছিনতাইয়ের শিকার হন তিনি। ছিনতাইকারীরা দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে তাঁর স্মার্টফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তবে চার মাসেও তাঁর ফোন উদ্ধার হয়নি।
আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে জানা গেছে, গাবতলী থেকে সোয়ারীঘাট পর্যন্ত প্রতিদিনই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। বেড়িবাঁধকেন্দ্রিক এই ছিনতাইকারী চক্র দারুস সালাম, আদাবর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীরচর, চকবাজার, নিউমার্কেট, শেরেবাংলা নগর, কলাবাগান, তেজগাঁও ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় গিয়েও ছিনতাই করে।
র্যাব-২-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘এটি রিমোট এলাকা, উন্নয়ন চলমান। অপরাধীরা অপরাধ করেই দ্রুত গা ঢাকা দিতে পারে। তারা বিভিন্ন পেশার আড়ালে ছিনতাই করে থাকে। র্যাব প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে।’
গত এক বছরে বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে যেসব ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের কেউ ব্যাটারিচালিত অটোচালক, কেউ রাজমিস্ত্রির সহযোগী, কেউ বাসচালকের সহকারী, কেউ সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আবার কেউ ট্রাক ও লেগুনার সহকারী। এদের বেশির ভাগ মাদকসেবী। তারা সুযোগ পেলেই ছিনতাই করে। গত চার মাসে বেড়িবাঁধসংলগ্ন এই এলাকা থেকে ২৫৬ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২। র্যাব জানায়, ছিনতাইকারীরা রায়েরবাজার বিশাল কবরস্থানকে তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত করেছে।
র্যাব-২-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘এটি রিমোট এলাকা, উন্নয়ন চলমান। অপরাধীরা অপরাধ করেই দ্রুত গা ঢাকা দিতে পারে। তারা বিভিন্ন পেশার আড়ালে ছিনতাই করে থাকে। র্যাব প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে।’
কেন এত ছিনতাইকারী বেড়িবাঁধে
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বেড়িবাঁধকে অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ছিনতাই, হত্যা ও ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটায় এটি রাজধানীর অপরাধপ্রবণ এলাকার মধ্যে একটি বলে জানিয়েছে ডিএমপি সদর দপ্তরের ক্রাইম বিভাগ। সদর দপ্তরের দাবি, গাবতলী থেকে সোয়ারীঘাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধের দুই পাশে অবৈধ দেড় শতাধিক লেগুনা, ট্রাক, বাস, অটোরিকশা ও রিকশাস্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। কাগজপত্র ও ফিটনেসবিহীন এসব গাড়ি এই সড়কে চলাচল করে। এদের চালক ও হেলপার—সবাই এই বেড়িবাঁধসংলগ্ন বস্তিতে থাকেন। বেড়িবাঁধের বাইরে ও ভেতরে ছোট ছোট বস্তি গড়ে উঠেছে। সেখানে থাকা অপরাধীরাই এসব ছিনতাই করছে। এরা সুযোগ পেলেই ছিনতাই করে। বেড়িবাঁধ সড়কের বাতি ছিনতাইকারীরা নিজেরাই ভেঙে রাখে, যাতে অন্ধকারে ছিনতাই করা যায়।
বেড়িবাঁধে ছিনতাইয়ের হট স্পট হিসেবে পরিচিত গাবতলী বালুরঘাট, স্লুইসগেট, ঢাকা উদ্যান, নবীনগর, চাঁদ উদ্যান, ভাঙা মসজিদ, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, ট্যানারি মোড়, সেকশন, কামরাঙ্গীরচর ২ নম্বর ব্রিজ ও সোয়ারীঘাট। এসব এলাকায় র্যাব-পুলিশ টহলে থাকলেও ছিনতাই কমছে না।
গত চার মাসে এই বেড়িবাঁধ ও এর আশপাশের এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৯টি থানায় ১৮৪টি মামলা করেছে র্যাব-২। সবচেয়ে বেশি ১০৯টি ছিনতাই মামলা হয়েছে মোহাম্মদপুর থানায়। এরপর হাজারীবাগে ২৪টি এবং আদাবরে ২১টি। এ ছাড়া ধানমন্ডিতে পাঁচটি, নিউমার্কেটে সাতটি, শেরেবাংলা নগরে নয়টি, কলাবাগানে পাঁচটি, তেজগাঁও থানায় দুটি এবং তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় দুটি মামলা হয়। তবে বেশির ভাগ ভুক্তভোগী মামলা করেন না। কারণ, অনেকেই যাত্রাপথে ছিনতাইয়ের শিকার হন। তাঁরা আর থানায় যান না। কেউ কেউ ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মোবাইল ফোন হারানোর জিডি করেন।
ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হওয়া থানাগুলোর পাঁচটিই ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের মধ্যে রয়েছে। তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার আজিমুল হক ছিনতাইয়ের বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছিনতাইয়ের অভিযোগ পেলেই আমরা অভিযান পরিচালনা করি। বেড়িবাঁধ এলাকায় পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর গাবতলী থেকে সোয়ারীঘাট। মাত্র ১৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সড়ক। এই পথটুকু ঘিরে গড়ে উঠেছে বিশাল এক ছিনতাইকারী চক্র। সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পুরো সময়টা এ সড়ক থাকে ছিনতাইকারীদের দখলে। তারা বেড়িবাঁধ সড়ক ও সংলগ্ন থানা এলাকায় সারা বছর ছিনতাই করে। নির্বিঘ্নে ছিনতাই করতে নিজেরাই অকেজো করে রাখে সড়কবাতি।
১০ মে ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

রাজধানীর গাবতলী থেকে সোয়ারীঘাট। মাত্র ১৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সড়ক। এই পথটুকু ঘিরে গড়ে উঠেছে বিশাল এক ছিনতাইকারী চক্র। সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পুরো সময়টা এ সড়ক থাকে ছিনতাইকারীদের দখলে। তারা বেড়িবাঁধ সড়ক ও সংলগ্ন থানা এলাকায় সারা বছর ছিনতাই করে। নির্বিঘ্নে ছিনতাই করতে নিজেরাই অকেজো করে রাখে সড়কবাতি।
১০ মে ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

রাজধানীর গাবতলী থেকে সোয়ারীঘাট। মাত্র ১৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সড়ক। এই পথটুকু ঘিরে গড়ে উঠেছে বিশাল এক ছিনতাইকারী চক্র। সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পুরো সময়টা এ সড়ক থাকে ছিনতাইকারীদের দখলে। তারা বেড়িবাঁধ সড়ক ও সংলগ্ন থানা এলাকায় সারা বছর ছিনতাই করে। নির্বিঘ্নে ছিনতাই করতে নিজেরাই অকেজো করে রাখে সড়কবাতি।
১০ মে ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

রাজধানীর গাবতলী থেকে সোয়ারীঘাট। মাত্র ১৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সড়ক। এই পথটুকু ঘিরে গড়ে উঠেছে বিশাল এক ছিনতাইকারী চক্র। সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পুরো সময়টা এ সড়ক থাকে ছিনতাইকারীদের দখলে। তারা বেড়িবাঁধ সড়ক ও সংলগ্ন থানা এলাকায় সারা বছর ছিনতাই করে। নির্বিঘ্নে ছিনতাই করতে নিজেরাই অকেজো করে রাখে সড়কবাতি।
১০ মে ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে