Ajker Patrika

কিশোরগঞ্জে কলেজছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে অটোচালকসহ গ্রেপ্তার ৩ 

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১: ২৮
কিশোরগঞ্জে কলেজছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে অটোচালকসহ গ্রেপ্তার ৩ 

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অটোচালকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

তিনজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার জাহান। 

পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলার ভৈরবের দুর্জয় মোড় থেকে প্রধান আসামি অটোচালক শাহ আলমকে (২৮) এবং জেলার আকবরনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তানভীরকে (২৩)। শুক্রবার দুপুরে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে কামাল নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কুলিয়ারচর উপজেলার বড়খারচর গ্রাম থেকে। শাহ আলম ভৈরবের আকবরনগর মিরেরবাগ এলাকার বাসিন্দা। আকবরনগর বাসস্ট্যান্ডে মোবাইল ফোনে রিচার্জের দোকান রয়েছে তানভীরের। 

পুলিশ আরও জানায়, ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী বরিশালের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশোনা করেন। তাঁর বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়। গত বুধবার রাতে তিনি বরিশাল থেকে বিভিন্ন বাহনে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এসে পৌঁছান। সেখান থেকে অটোরিকশায় বাড়িতে যাওয়ার পথে তিনি ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী। 

এজাহারে বলা হয়েছে, কলেজছাত্রী বরিশাল থেকে কিশোরগঞ্জে বাড়িতে আসার জন্য গত বুধবার বেলা ২টার দিকে ঢাকার বাসে ওঠেন। রাত ৯টার দিকে ঢাকার সায়েদাবাস বাসস্ট্যান্ডে আসেন। সায়েদাবাদ থেকে বাসে ভৈরবে পৌঁছান রাত ১২টায়। ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জে যাওয়ার বাস না থাকায় তিনি একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। সেটিতে দুই পুরুষ ও এক নারী যাত্রী ছিলেন। অনেকটা পথ যাওয়ার পর চালক ফোন দিয়ে তাঁর এক সহযোগীকে গাড়িতে তুলে নেন। দীর্ঘপথ ভ্রমণের কারণে কলেজছাত্রী ক্লান্ত থাকায় একপর্যায়ে গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। এর মধ্যে গাড়ির অন্য যাত্রীরা নেমে যান। ঘুম থেকে উঠে বাদী দেখেন, গাড়িতে তিনি, চালক ও ফোন করে আনা সহযোগী। রাত পৌনে ২টার দিকে কুলিয়ারচরের কলাকুপার চম্পাকান্দা এলাকায় মেয়েটিকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে একটি বাঁশঝাড়ের কাছে নিয়ে যান। সেখানে দুজন মিলে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে তাঁর কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও টাকা কেড়ে নেন তাঁরা। গভীর রাতে তিনি একা হেঁটে যাওয়ার সময় পথে একজনের সঙ্গে দেখা হয়। তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে। 

ওসি সারোয়ার জাহান জানান, মামলার প্রধান আসামি এবং তাঁর এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মেয়েটির ছিনতাই হওয়া মোবাইল তানভীরের দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া শুক্রবার দুপুরে প্রধান আসামির আরেক সহযোগী কামালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত