কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে জমির সীমানায় গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাই-বোনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।
গতকাল শনিবার সকালে লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে মো. ইমরানকে (২৬) ও কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলা থেকে আরমান মিয়াকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আরেক আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৬) হওয়ায় তার নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। এর আগে গত শুক্রবার এ মামলার আসামি ফরিদা ইয়াসমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের কুড়িমারা গ্রামের মো. আব্দুল কাদিরের ছেলে। অন্যদিকে নিহতেরা হলেন একই এলাকার শামসুল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল হাসান আলমগীর ও মেয়ে নাদিরা খাতুন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, শামসুল ইসলাম ও আব্দুল কাদির সম্পর্কে ভাই হয়। তাঁদের মধ্যে কিছুদিন ধরে জমির সীমানায় গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিল। গত বুধবার বিকেলে আব্দুল কাদির বিরোধীপূর্ণ জমির কয়েকটি চারাগাছ কেটে নতুন গাছের চারা রোপণ করেন। এর জেরে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে আসামিরা আবার জমিতে চারাগাছ রোপণ করতে গিয়ে দেখে আগের দিনের গাছগুলো উপড়ে ফেলে দিয়েছে। তখন আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে শামসুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে গালি দেন।
এ সময় শামসুল ইসলাম, বড় ছেলে মাহমুদুল হাসান আলমগীর, স্ত্রী শাহিদা, মেয়ে নাদিরা, মেজো ছেলে হুমায়ন কবির ও ছোট ছেলে সালমান ঘর থেকে বের হয়ে তাদের গালি দিতে বারণ করেন। পরে শামসুল ইসলামের পরিবারের ওপর হামলা চালায় আসামিরা।
পুলিশ সুপার জানান, হামলার সময় আসামি ইমরান চাচাতো ভাই আলমগীরের ঘাড় চাকু দিয়ে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আলমগীরকে বাঁচাতে তার মা ও ভাই–বোনেরা এগিয়ে গেলে আসামি ইমরান নাদিরার পেটে ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাস্থলে আলমগীর মারা যান। হামলায় আলমগীরের মা, ভাই ও বোন গুরুতর আহত হন। এ সময় ঘটনাস্থলেই আলমগীর মারা যান। অন্যদিকে নাদিরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে মারা যান।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ আরও জানান, আব্দুল কাদিরের পরিবারের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে শামসুল ইসলামের পরিবারের দীর্ঘদিনের বিরোধ। গ্রেপ্তাররা আমাদের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করছেন। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়াল, কোদাল, লোহার খুন্তি, দা ও চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মোস্তাক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিসএবি) নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ আল আমিন হোসাইন, হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার ও হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান টিটু প্রমুখ।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে জমির সীমানায় গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাই-বোনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।
গতকাল শনিবার সকালে লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে মো. ইমরানকে (২৬) ও কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলা থেকে আরমান মিয়াকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আরেক আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৬) হওয়ায় তার নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। এর আগে গত শুক্রবার এ মামলার আসামি ফরিদা ইয়াসমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের কুড়িমারা গ্রামের মো. আব্দুল কাদিরের ছেলে। অন্যদিকে নিহতেরা হলেন একই এলাকার শামসুল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল হাসান আলমগীর ও মেয়ে নাদিরা খাতুন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, শামসুল ইসলাম ও আব্দুল কাদির সম্পর্কে ভাই হয়। তাঁদের মধ্যে কিছুদিন ধরে জমির সীমানায় গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিল। গত বুধবার বিকেলে আব্দুল কাদির বিরোধীপূর্ণ জমির কয়েকটি চারাগাছ কেটে নতুন গাছের চারা রোপণ করেন। এর জেরে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে আসামিরা আবার জমিতে চারাগাছ রোপণ করতে গিয়ে দেখে আগের দিনের গাছগুলো উপড়ে ফেলে দিয়েছে। তখন আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে শামসুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে গালি দেন।
এ সময় শামসুল ইসলাম, বড় ছেলে মাহমুদুল হাসান আলমগীর, স্ত্রী শাহিদা, মেয়ে নাদিরা, মেজো ছেলে হুমায়ন কবির ও ছোট ছেলে সালমান ঘর থেকে বের হয়ে তাদের গালি দিতে বারণ করেন। পরে শামসুল ইসলামের পরিবারের ওপর হামলা চালায় আসামিরা।
পুলিশ সুপার জানান, হামলার সময় আসামি ইমরান চাচাতো ভাই আলমগীরের ঘাড় চাকু দিয়ে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আলমগীরকে বাঁচাতে তার মা ও ভাই–বোনেরা এগিয়ে গেলে আসামি ইমরান নাদিরার পেটে ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাস্থলে আলমগীর মারা যান। হামলায় আলমগীরের মা, ভাই ও বোন গুরুতর আহত হন। এ সময় ঘটনাস্থলেই আলমগীর মারা যান। অন্যদিকে নাদিরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে মারা যান।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ আরও জানান, আব্দুল কাদিরের পরিবারের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে শামসুল ইসলামের পরিবারের দীর্ঘদিনের বিরোধ। গ্রেপ্তাররা আমাদের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করছেন। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়াল, কোদাল, লোহার খুন্তি, দা ও চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মোস্তাক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিসএবি) নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ আল আমিন হোসাইন, হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার ও হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান টিটু প্রমুখ।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৪ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৬ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৭ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১০ দিন আগে