নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রিং আইডির ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন। যে কেউ চাইলেই নিজের আইডি থেকে মাসে ৭ থেকে ১৫ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আয়ের এমন লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজার হাজার মানুষ রিং আইডির সদস্য হয়ে যান। গোল্ড, সিলভার, প্রবাসী সদস্যপদ নিতে খরচ পড়ত ১০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। ধারণা করা হচ্ছে, রিং আইডিতে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ৫০ লাখের বেশি।
রাজধানীর ভাটারা থানায় এক ভুক্তভোগীর করা মামলায় শুক্রবার রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে রিং আইডির পরিচালক সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে এসব তথ্য। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বলছে, ইভ্যালির মতো ই-কমার্সে যাওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ করেছিল রিং আইডি।
সিআইডির সাইবার শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ আজকের পত্রিকাকে জানান, গত মে, জুন ও জুলাই —এই তিন মাসে ২১৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রিং আইডি। তাদের ব্যাংক হিসাবে বর্তমানে দেড় শ কোটি টাকা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলো ইতিমধ্যেই স্থগিত করা হয়েছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, রিং আইডি প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এর মধ্যে দেড় শ কোটি ব্যাংকে থাকলেও বাকি টাকার কোনো হদিস মিলছে না।
২০১৫ সালে রিং আইডি প্রাথমিকভাবে একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে যাত্রা শুরু করে। পরে তারা এই প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন সার্ভিস যোগ করে জনগণের কাছে থেকে বিপুল পরিমাণ আমানত সংগ্রহ করে। এসব সার্ভিসের ভেতরে রয়েছে বৈদেশিক বিনিয়োগ, কমিউনিটি জবস, পণ্য ক্রয়-বিক্রয় ইত্যাদি। করোনাকালে তহবিল সংগ্রহের মাধ্যমেও জনগণের কাছে টাকা নিয়েছিল রিং আইডি।
প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক জাহিদ হোসেন জানান, গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২২ হাজার টাকায় প্রতিষ্ঠানটির সদস্যপদ কেনেন তিনি। পরিবারের আরও দুজনকে দিয়েও তিনি সদস্যপদ কেনান। সদস্য হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিজ্ঞাপন দেখে টাকা আয়ের কথা বলা হলেও তাঁরা এখন পর্যন্ত কিছুই পাননি।
রিং আইডির আরেক গ্রাহক রুবেল আহমেদ বলেন, ‘আমরা দুজন মিলে সদস্যপদ কিনেছিলাম। একজন ঘুমালে আরেকজন বিজ্ঞাপন দেখতাম কিছু টাকা পাওয়ার আশায়। এখন সেই টাকা তুলতে পারছি না।’
রিং আইডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) আইরিন ইসলাম বর্তমানে কানাডায় রয়েছেন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে এই দম্পতির বিরুদ্ধে টেলিটকের নম্বর সিরিজ ব্যবহার করে কল জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
শুক্রবার গ্রেপ্তারের পর শনিবার দুপুরে সাইফুল ইসলামকে ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির উপপরিদর্শক সোহেল রানা পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে রিং আইডির বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা পাচারের তথ্য পাওয়া গেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ছাড়াও সাইফুলের বিরুদ্ধে ৪২০ ধারায় প্রতারণা এবং ৪০৬ ধারায় অর্থ আত্মসাৎ মামলা হয়েছে।
রিং আইডির ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন। যে কেউ চাইলেই নিজের আইডি থেকে মাসে ৭ থেকে ১৫ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আয়ের এমন লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজার হাজার মানুষ রিং আইডির সদস্য হয়ে যান। গোল্ড, সিলভার, প্রবাসী সদস্যপদ নিতে খরচ পড়ত ১০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। ধারণা করা হচ্ছে, রিং আইডিতে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ৫০ লাখের বেশি।
রাজধানীর ভাটারা থানায় এক ভুক্তভোগীর করা মামলায় শুক্রবার রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে রিং আইডির পরিচালক সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে এসব তথ্য। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বলছে, ইভ্যালির মতো ই-কমার্সে যাওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ করেছিল রিং আইডি।
সিআইডির সাইবার শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ আজকের পত্রিকাকে জানান, গত মে, জুন ও জুলাই —এই তিন মাসে ২১৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রিং আইডি। তাদের ব্যাংক হিসাবে বর্তমানে দেড় শ কোটি টাকা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলো ইতিমধ্যেই স্থগিত করা হয়েছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, রিং আইডি প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এর মধ্যে দেড় শ কোটি ব্যাংকে থাকলেও বাকি টাকার কোনো হদিস মিলছে না।
২০১৫ সালে রিং আইডি প্রাথমিকভাবে একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে যাত্রা শুরু করে। পরে তারা এই প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন সার্ভিস যোগ করে জনগণের কাছে থেকে বিপুল পরিমাণ আমানত সংগ্রহ করে। এসব সার্ভিসের ভেতরে রয়েছে বৈদেশিক বিনিয়োগ, কমিউনিটি জবস, পণ্য ক্রয়-বিক্রয় ইত্যাদি। করোনাকালে তহবিল সংগ্রহের মাধ্যমেও জনগণের কাছে টাকা নিয়েছিল রিং আইডি।
প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক জাহিদ হোসেন জানান, গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২২ হাজার টাকায় প্রতিষ্ঠানটির সদস্যপদ কেনেন তিনি। পরিবারের আরও দুজনকে দিয়েও তিনি সদস্যপদ কেনান। সদস্য হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিজ্ঞাপন দেখে টাকা আয়ের কথা বলা হলেও তাঁরা এখন পর্যন্ত কিছুই পাননি।
রিং আইডির আরেক গ্রাহক রুবেল আহমেদ বলেন, ‘আমরা দুজন মিলে সদস্যপদ কিনেছিলাম। একজন ঘুমালে আরেকজন বিজ্ঞাপন দেখতাম কিছু টাকা পাওয়ার আশায়। এখন সেই টাকা তুলতে পারছি না।’
রিং আইডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) আইরিন ইসলাম বর্তমানে কানাডায় রয়েছেন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে এই দম্পতির বিরুদ্ধে টেলিটকের নম্বর সিরিজ ব্যবহার করে কল জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
শুক্রবার গ্রেপ্তারের পর শনিবার দুপুরে সাইফুল ইসলামকে ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির উপপরিদর্শক সোহেল রানা পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে রিং আইডির বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা পাচারের তথ্য পাওয়া গেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ছাড়াও সাইফুলের বিরুদ্ধে ৪২০ ধারায় প্রতারণা এবং ৪০৬ ধারায় অর্থ আত্মসাৎ মামলা হয়েছে।
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
২ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪