নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী ট্রাইব্যুনালেও জামিন পাননি। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক জাকির হোসেন আজ রোববার জামিন নামঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১০ এপ্রিল ঢাকার মহানগর হাকিমও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
আজ বোতল চৌধুরীকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাঁর পক্ষে অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু জামিনের আবেদন করেন।
শুনানিতে আইনজীবী বলেন, আশীষ রায় চৌধুরী এই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন। এরপর মামলাটি দীর্ঘদিন যাবৎ হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। পরে ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলেও হাইকোর্টের আদেশ যথাসময়ে ট্রাইব্যুনালে না পৌঁছানোর কারণে মামলার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। হঠাৎ করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে মামলার কার্যক্রম শুরু হলেও সেটা জানতেন না। ট্রাইব্যুনাল এ পর্যায়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে আশীষ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। যেহেতু তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন, সেহেতু তিনি জামিন পেতে পারেন।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘এই মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ার সময় আশীষ চৌধুরী যে ঠিকানায় ছিলেন, এখন সেই ঠিকানায় নেই। তিনি ঠিকানা পরিবর্তন করে অন্যত্র থাকেন। এটা ট্রাইব্যুনালকে জানাননি কেন?’
আইনজীবী বলেন, যেহেতু মামলার কার্যক্রম বন্ধ ছিল, সেহেতু সেটা কাকে জানাবেন?
ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘যা হোক, তিনি হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করেছেন। কাজেই তাঁকে জামিন দিচ্ছি না।’
পরে ট্রাইব্যুনাল জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। আগামী ২৪ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
কেস ডকেটের হদিস নেই:
এদিকে এই মামলার কেস ডকেটের (মামলার যাবতীয় তথ্যাদির সংরক্ষিত নথিপত্র) হদিস মেলেনি। এ জন্য মামলা বিচারের জন্য এখনো প্রস্তুত করা সম্ভব হচ্ছে না।
ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ২ জুন তৎকালীন ডিবির এসআই ফরিদ উদ্দিন কেস ডকেট গ্রহণ করেন। গত ১১ এপ্রিল ফরিদ উদ্দিনকে কেস ডকেটের বিষয়ে অবহিত করার জন্য ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দেন। আজ রোববার চকবাজার থানার সাবেক পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে ট্রাইব্যুনালকে জানান, তিনি যেদিন কেস ডকেট গ্রহণ করেছেন, সেদিনই তৎকালীন ডিবির ডিসি শহিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করেন। শহিদুল ইসলাম উক্ত কেস ডকেট কী করেছেন, এরপর তিনি আর জানেন না।
ট্রাইব্যুনাল ফরিদ উদ্দিনকে বলেন, ‘কেস ডকেট আপনি গ্রহণ করেছেন। আগামী সাত দিনের ভেতর আপনি সেটা সংগ্রহ করে ট্রাইব্যুনালে জমা দেবেন। কীভাবে সংগ্রহ করবেন, সেটা আপনি জানেন।’
অন্যদিকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মালখানা থেকে মামলার আলামত ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনাল সেটা গ্রহণ করেন।
এই মামলায় কারাগারে রয়েছেন আসামি তারিক সাঈদ মামুন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী। আসামি ফারুক আব্বাসী ও আদনান সিদ্দিকী জামিনে আছেন। হাইকোর্ট থেকে জামিনে থাকা আসামি হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ও আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী কোনো রকম পদক্ষেপ ছাড়া কয়েকটি তারিখ অনুপস্থিত থাকায় গত ২৮ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। পরে আশিষ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে এ মামলার অন্যতম আসামি ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও সেলিম খান অনুপস্থিত থাকার কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে গত ২০ মার্চ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন এই মামলায় প্রথম থেকেই পলাতক রয়েছেন।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ঘটনার পর সোহেলের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে বাদানুবাদই এই হত্যার নেপথ্য কারণ বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন:
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী ট্রাইব্যুনালেও জামিন পাননি। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক জাকির হোসেন আজ রোববার জামিন নামঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১০ এপ্রিল ঢাকার মহানগর হাকিমও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
আজ বোতল চৌধুরীকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাঁর পক্ষে অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু জামিনের আবেদন করেন।
শুনানিতে আইনজীবী বলেন, আশীষ রায় চৌধুরী এই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন। এরপর মামলাটি দীর্ঘদিন যাবৎ হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। পরে ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলেও হাইকোর্টের আদেশ যথাসময়ে ট্রাইব্যুনালে না পৌঁছানোর কারণে মামলার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। হঠাৎ করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে মামলার কার্যক্রম শুরু হলেও সেটা জানতেন না। ট্রাইব্যুনাল এ পর্যায়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে আশীষ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। যেহেতু তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন, সেহেতু তিনি জামিন পেতে পারেন।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘এই মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ার সময় আশীষ চৌধুরী যে ঠিকানায় ছিলেন, এখন সেই ঠিকানায় নেই। তিনি ঠিকানা পরিবর্তন করে অন্যত্র থাকেন। এটা ট্রাইব্যুনালকে জানাননি কেন?’
আইনজীবী বলেন, যেহেতু মামলার কার্যক্রম বন্ধ ছিল, সেহেতু সেটা কাকে জানাবেন?
ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘যা হোক, তিনি হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করেছেন। কাজেই তাঁকে জামিন দিচ্ছি না।’
পরে ট্রাইব্যুনাল জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। আগামী ২৪ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
কেস ডকেটের হদিস নেই:
এদিকে এই মামলার কেস ডকেটের (মামলার যাবতীয় তথ্যাদির সংরক্ষিত নথিপত্র) হদিস মেলেনি। এ জন্য মামলা বিচারের জন্য এখনো প্রস্তুত করা সম্ভব হচ্ছে না।
ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ২ জুন তৎকালীন ডিবির এসআই ফরিদ উদ্দিন কেস ডকেট গ্রহণ করেন। গত ১১ এপ্রিল ফরিদ উদ্দিনকে কেস ডকেটের বিষয়ে অবহিত করার জন্য ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দেন। আজ রোববার চকবাজার থানার সাবেক পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে ট্রাইব্যুনালকে জানান, তিনি যেদিন কেস ডকেট গ্রহণ করেছেন, সেদিনই তৎকালীন ডিবির ডিসি শহিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করেন। শহিদুল ইসলাম উক্ত কেস ডকেট কী করেছেন, এরপর তিনি আর জানেন না।
ট্রাইব্যুনাল ফরিদ উদ্দিনকে বলেন, ‘কেস ডকেট আপনি গ্রহণ করেছেন। আগামী সাত দিনের ভেতর আপনি সেটা সংগ্রহ করে ট্রাইব্যুনালে জমা দেবেন। কীভাবে সংগ্রহ করবেন, সেটা আপনি জানেন।’
অন্যদিকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মালখানা থেকে মামলার আলামত ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনাল সেটা গ্রহণ করেন।
এই মামলায় কারাগারে রয়েছেন আসামি তারিক সাঈদ মামুন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী। আসামি ফারুক আব্বাসী ও আদনান সিদ্দিকী জামিনে আছেন। হাইকোর্ট থেকে জামিনে থাকা আসামি হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ও আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী কোনো রকম পদক্ষেপ ছাড়া কয়েকটি তারিখ অনুপস্থিত থাকায় গত ২৮ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। পরে আশিষ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে এ মামলার অন্যতম আসামি ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও সেলিম খান অনুপস্থিত থাকার কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে গত ২০ মার্চ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন এই মামলায় প্রথম থেকেই পলাতক রয়েছেন।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ঘটনার পর সোহেলের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে বাদানুবাদই এই হত্যার নেপথ্য কারণ বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন:
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৩ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৪ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
২১ দিন আগে