শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে নামমাত্র প্রকল্প দিয়ে অর্ধকোটি টাকা লোপাট অভিযোগ উঠেছে। এ ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের ক্ষমতা খর্ব করে পরিষদকে নিজের স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয়স্থল হিসেবে গড়ে তোলার অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ সদস্যরা চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা দিয়েছেন।
গত ৬ অক্টোবর বরমী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ জন সদস্য গাজীপুর জেলা প্রশাসক বরাবর অনাস্থার আবেদন করেন। আজ রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানান অভিযোগকারী ইউপি সদস্যরা।
এই অনাস্থা আবেদনে স্বাক্ষর করেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. হারুন অর রশিদ, ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. রতন মিয়া, ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নাজমুল আকন্দ রনী, ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সুমন আহমেদ, ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হাদিউল ইসলাম, ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. নজরুল ইসলাম, ১, ২,৩ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য মনোয়ারা ইয়াসমিন, ৪, ৫,৬ নম্বর সংরক্ষিত নারী সদস্য হাসিনা আক্তার ও ৭,৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য আনোয়ারা বেগমসহ মোট ৯ জন।
অনাস্থা আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউপি চেয়ারম্যান নিজের স্বেচ্ছাচারিতা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ হরহামেশাই করে যাচ্ছেন। এ সকল বিষয়ে কোনো ইউপি সদস্য প্রতিবাদ করলে হুমকি-ধামকিসহ অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন। একজন চেয়ারম্যানের জন্য সরকারি যে সকল নীতিমালা রয়েছে তার কোনটিই মানেন না ইউপি চেয়ারম্যান। তাঁর এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ নিজ এলাকার সকল মেম্বারদের নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন প্রতিনিয়ত। তাঁর এ সকল অপকর্ম অর্থ আত্মসাতের কারণে ইউনিয়ন পরিষদের ৯ জন সদস্য স্থানীয় সরকার আইন (ইউনিয়ন পরিষদ) ২০০৯ এর ৩৯ (১) ধারা মোতাবেক অনাস্থা প্রস্তাব দায়ের করি।
অনাস্থা আবেদনে আরও উল্লেখ্য করা হয়েছে বরমী বাজার সোনালী ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ১ জুলাই ২০২১ হইতে ৩০ জুলাই ২০২২ সময়ের মধ্যে ২৩ মার্চে ৩১ লাখ টাকার দুটি প্রকল্পে দুর্নীতির পরিমাণ ৬ লাখ টাকা। সিসি পাইপ বাবদ ৩ লাখ টাকা যা কোনো ইউপি সদস্যকে দেওয়া হয়নি। সাতখামাইর মাওনা সংযোগ সড়ক হইতে বেপারী বাড়ি রাস্তার কোনো কাজ না করেই হাতিয়ে নিয়েছেন ৩ লাখ টাকা। এ ছাড়াও ২১ মার্চে পরিশোধের ব্যাংক হিসাব নম্বর থেকে ৫০ লাখ টাকা ঢুকলেও আইন অনুযায়ী কোনো সদস্যের সঙ্গে সভা না করে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে লোপাট করেছেন সেই টাকা। এ ছাড়াও শত শত অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
বরমী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, ‘এই দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানের হাত থেকে বরমীর সাধারণ জনগণকে রক্ষার জন্য আমরা সকল মেম্বারেরা একত্রিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছি। সরকারি সম্পদ লুটপাট করতে সে ইউনিয়ন পরিষদে বেসে রামরাজত্ব করছে। আমরা এ থেকে মুক্তি পেতে অনাস্থা দিয়েছি।’
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যানের দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে ইউপি সদস্যদের অনাস্থার লিখিত আবেদন করেছেন। অফিস বন্ধ থাকার কারণে এখন বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, স্থানীয় সরকার আইন (ইউনিয়ন পরিষদ) অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর ‘কাজ না করেই অর্ধ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ’-এই শিরোনামে দৈনিক আজকের পত্রিকা সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর টনক নড়ে সংশ্লিষ্টদের। তার পাশাপাশি আরও কয়েকটি গণমাধ্যমে চেয়ারম্যানের দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে নামমাত্র প্রকল্প দিয়ে অর্ধকোটি টাকা লোপাট অভিযোগ উঠেছে। এ ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের ক্ষমতা খর্ব করে পরিষদকে নিজের স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয়স্থল হিসেবে গড়ে তোলার অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ সদস্যরা চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা দিয়েছেন।
গত ৬ অক্টোবর বরমী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ জন সদস্য গাজীপুর জেলা প্রশাসক বরাবর অনাস্থার আবেদন করেন। আজ রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানান অভিযোগকারী ইউপি সদস্যরা।
এই অনাস্থা আবেদনে স্বাক্ষর করেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. হারুন অর রশিদ, ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. রতন মিয়া, ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নাজমুল আকন্দ রনী, ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সুমন আহমেদ, ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হাদিউল ইসলাম, ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. নজরুল ইসলাম, ১, ২,৩ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য মনোয়ারা ইয়াসমিন, ৪, ৫,৬ নম্বর সংরক্ষিত নারী সদস্য হাসিনা আক্তার ও ৭,৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য আনোয়ারা বেগমসহ মোট ৯ জন।
অনাস্থা আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউপি চেয়ারম্যান নিজের স্বেচ্ছাচারিতা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ হরহামেশাই করে যাচ্ছেন। এ সকল বিষয়ে কোনো ইউপি সদস্য প্রতিবাদ করলে হুমকি-ধামকিসহ অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন। একজন চেয়ারম্যানের জন্য সরকারি যে সকল নীতিমালা রয়েছে তার কোনটিই মানেন না ইউপি চেয়ারম্যান। তাঁর এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ নিজ এলাকার সকল মেম্বারদের নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন প্রতিনিয়ত। তাঁর এ সকল অপকর্ম অর্থ আত্মসাতের কারণে ইউনিয়ন পরিষদের ৯ জন সদস্য স্থানীয় সরকার আইন (ইউনিয়ন পরিষদ) ২০০৯ এর ৩৯ (১) ধারা মোতাবেক অনাস্থা প্রস্তাব দায়ের করি।
অনাস্থা আবেদনে আরও উল্লেখ্য করা হয়েছে বরমী বাজার সোনালী ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ১ জুলাই ২০২১ হইতে ৩০ জুলাই ২০২২ সময়ের মধ্যে ২৩ মার্চে ৩১ লাখ টাকার দুটি প্রকল্পে দুর্নীতির পরিমাণ ৬ লাখ টাকা। সিসি পাইপ বাবদ ৩ লাখ টাকা যা কোনো ইউপি সদস্যকে দেওয়া হয়নি। সাতখামাইর মাওনা সংযোগ সড়ক হইতে বেপারী বাড়ি রাস্তার কোনো কাজ না করেই হাতিয়ে নিয়েছেন ৩ লাখ টাকা। এ ছাড়াও ২১ মার্চে পরিশোধের ব্যাংক হিসাব নম্বর থেকে ৫০ লাখ টাকা ঢুকলেও আইন অনুযায়ী কোনো সদস্যের সঙ্গে সভা না করে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে লোপাট করেছেন সেই টাকা। এ ছাড়াও শত শত অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
বরমী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, ‘এই দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানের হাত থেকে বরমীর সাধারণ জনগণকে রক্ষার জন্য আমরা সকল মেম্বারেরা একত্রিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছি। সরকারি সম্পদ লুটপাট করতে সে ইউনিয়ন পরিষদে বেসে রামরাজত্ব করছে। আমরা এ থেকে মুক্তি পেতে অনাস্থা দিয়েছি।’
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যানের দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে ইউপি সদস্যদের অনাস্থার লিখিত আবেদন করেছেন। অফিস বন্ধ থাকার কারণে এখন বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, স্থানীয় সরকার আইন (ইউনিয়ন পরিষদ) অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর ‘কাজ না করেই অর্ধ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ’-এই শিরোনামে দৈনিক আজকের পত্রিকা সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর টনক নড়ে সংশ্লিষ্টদের। তার পাশাপাশি আরও কয়েকটি গণমাধ্যমে চেয়ারম্যানের দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
২ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪