আল-আমিন রাজু, ঢাকা
পুলিশের পাঁচ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে আদালতে ডাকাতির মামলা করেছেন সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তা ও জমি ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। আসামিরা রাজধানীর কদমতলী থানার মুরাদপুর এলাকায় বিক্রমপুর গার্ডেন সিটি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের আলমারির তালা ভেঙে নগদ ৩০ লাখ টাকা ও ৪০০ শতাংশ জমির মূল দলিলসহ মূল্যবান আসবাবপত্র লুট করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
গত ২৪ আগস্ট এ ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাসহ বহিরাগত আরও দুজন জড়িত ছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, চিকিৎসার প্রয়োজনে সপরিবারে ভারতে যাওয়ার সুযোগে অফিসের তালা ভেঙে টাকা-পয়সা ও কাগজপত্রসহ মূল্যবান আসবাবপত্র নিয়ে যান অভিযুক্তরা। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে তা গ্রহণ করা হয়নি। থানার পুলিশ তাঁকে আদালতে মামলার পরামর্শ দেয়।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী আদালতে মামলা করেন। মামলা নম্বর ৩৭৭ / ২০২৩।
মামলায় আসামিরা হলেন—বিষ্ণুব্রত মল্লিক (৪৮) নৌ-পুলিশ, ঢাকা; মো. মিজানুর রহমান (৫৭) শিল্প পুলিশ (পুলিশ বিভাগ থেকে একাধিক সাজাপ্রাপ্ত), নারায়ণগঞ্জ; মো. মনিরুজ্জামান (৪৮), বিশেষ শাখা (এসবি), ঢাকা; মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ (৫৫), সিআইডি (বর্তমানে প্রেষণে পুলিশ সদর দপ্তরে), ঢাকা; প্রশান্ত কুমার দেবনাথ (৫১), সিআইডি, ঢাকা। অপর দুই বহিরাগত হলেন—মির্জা আব্দুস ছামাদ (৬০) এবং মো. মিজানুর রহমান।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে করা মামলায় ভুক্তভোগী পুলিশের সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান উল্লেখ করেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে গত ২৩ আগস্ট সপরিবারে চিকিৎসার জন্য ভারতের ভেলরে সিএমসি হাসপাতালের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন। এর এক দিন পর ২৪ আগস্ট দেশ থেকে ফোনে জানতে পারেন তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। দেশে ফিরে স্থানীয় লোকজন ও সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করে আসামিদের শনাক্ত করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, দুই কক্ষবিশিষ্ট অফিসের গেটে তালা মারা ছিল। অফিসরুমে স্টিলের আলমারির ভেতরে ৪০০ শতাংশ জমির ১৫টি মূল দলিল, ১৫টি সার্টিফায়েড কপি, ৬টি দেওয়ানি মামলার মূল নথি এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল। এ ছাড়া আলমারির ড্রয়ারে ফ্ল্যাট বিক্রির ৩০ লাখ টাকা ছিল। আসামিরা সব লুট করেছেন। ২৫ লাখ টাকার এফডিআর, শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সার্টিফিকেট, রাজউকের ভবন নির্মাণের প্ল্যানও নথিপত্রের মধ্যে ছিল। আসামিরা গত ২৪ আগস্ট রাতে তালা ভেঙে এসব নিয়ে যান।
এ ঘটনায় কদমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই ঘটনা আমি থানায় জানাই। পরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগটি থানার পুলিশ গ্রহণ না করলেও থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহাসহ দুজন উপপরিদর্শক (এসআই) চার দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু ঘটনায় জড়িতরা ওসির ব্যাচমেট হওয়ায় তিনি অভিযোগ না নিয়ে আদালতে যেতে বলেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা বলেন, ‘ঘটনাটি জেনে আমি একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে আমরা দেখেছি, অফিসটি একটি বাসার নিচের গ্যারেজে। এটা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী যে টাকা পয়সা ও দলিলপত্র চুরির অভিযোগ করেছেন, এর কোনো সত্যতা আমরা পাইনি।’
ওসি আরও বলেন, ‘বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী থানায় মামলা নেওয়া হয়নি। এখন আদালত যদি নির্দেশনা দেন, তখন আমরা তদন্ত করে দেখব। তবে বাদী টাকা-পয়সা লুটসহ যে অভিযোগ করেছেন, তার তথ্যপ্রমাণ আমরা পাইনি।’
পুলিশের পাঁচ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে আদালতে ডাকাতির মামলা করেছেন সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তা ও জমি ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। আসামিরা রাজধানীর কদমতলী থানার মুরাদপুর এলাকায় বিক্রমপুর গার্ডেন সিটি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের আলমারির তালা ভেঙে নগদ ৩০ লাখ টাকা ও ৪০০ শতাংশ জমির মূল দলিলসহ মূল্যবান আসবাবপত্র লুট করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
গত ২৪ আগস্ট এ ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাসহ বহিরাগত আরও দুজন জড়িত ছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, চিকিৎসার প্রয়োজনে সপরিবারে ভারতে যাওয়ার সুযোগে অফিসের তালা ভেঙে টাকা-পয়সা ও কাগজপত্রসহ মূল্যবান আসবাবপত্র নিয়ে যান অভিযুক্তরা। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে তা গ্রহণ করা হয়নি। থানার পুলিশ তাঁকে আদালতে মামলার পরামর্শ দেয়।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী আদালতে মামলা করেন। মামলা নম্বর ৩৭৭ / ২০২৩।
মামলায় আসামিরা হলেন—বিষ্ণুব্রত মল্লিক (৪৮) নৌ-পুলিশ, ঢাকা; মো. মিজানুর রহমান (৫৭) শিল্প পুলিশ (পুলিশ বিভাগ থেকে একাধিক সাজাপ্রাপ্ত), নারায়ণগঞ্জ; মো. মনিরুজ্জামান (৪৮), বিশেষ শাখা (এসবি), ঢাকা; মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ (৫৫), সিআইডি (বর্তমানে প্রেষণে পুলিশ সদর দপ্তরে), ঢাকা; প্রশান্ত কুমার দেবনাথ (৫১), সিআইডি, ঢাকা। অপর দুই বহিরাগত হলেন—মির্জা আব্দুস ছামাদ (৬০) এবং মো. মিজানুর রহমান।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে করা মামলায় ভুক্তভোগী পুলিশের সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান উল্লেখ করেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে গত ২৩ আগস্ট সপরিবারে চিকিৎসার জন্য ভারতের ভেলরে সিএমসি হাসপাতালের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন। এর এক দিন পর ২৪ আগস্ট দেশ থেকে ফোনে জানতে পারেন তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। দেশে ফিরে স্থানীয় লোকজন ও সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করে আসামিদের শনাক্ত করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, দুই কক্ষবিশিষ্ট অফিসের গেটে তালা মারা ছিল। অফিসরুমে স্টিলের আলমারির ভেতরে ৪০০ শতাংশ জমির ১৫টি মূল দলিল, ১৫টি সার্টিফায়েড কপি, ৬টি দেওয়ানি মামলার মূল নথি এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল। এ ছাড়া আলমারির ড্রয়ারে ফ্ল্যাট বিক্রির ৩০ লাখ টাকা ছিল। আসামিরা সব লুট করেছেন। ২৫ লাখ টাকার এফডিআর, শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সার্টিফিকেট, রাজউকের ভবন নির্মাণের প্ল্যানও নথিপত্রের মধ্যে ছিল। আসামিরা গত ২৪ আগস্ট রাতে তালা ভেঙে এসব নিয়ে যান।
এ ঘটনায় কদমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই ঘটনা আমি থানায় জানাই। পরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগটি থানার পুলিশ গ্রহণ না করলেও থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহাসহ দুজন উপপরিদর্শক (এসআই) চার দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু ঘটনায় জড়িতরা ওসির ব্যাচমেট হওয়ায় তিনি অভিযোগ না নিয়ে আদালতে যেতে বলেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা বলেন, ‘ঘটনাটি জেনে আমি একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে আমরা দেখেছি, অফিসটি একটি বাসার নিচের গ্যারেজে। এটা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী যে টাকা পয়সা ও দলিলপত্র চুরির অভিযোগ করেছেন, এর কোনো সত্যতা আমরা পাইনি।’
ওসি আরও বলেন, ‘বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী থানায় মামলা নেওয়া হয়নি। এখন আদালত যদি নির্দেশনা দেন, তখন আমরা তদন্ত করে দেখব। তবে বাদী টাকা-পয়সা লুটসহ যে অভিযোগ করেছেন, তার তথ্যপ্রমাণ আমরা পাইনি।’
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৪ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৬ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৭ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১০ দিন আগে