নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান রয়েল ও জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার অফিসার শামসুল হক শ্যামল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
আজ শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তারের কাছে তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষ হওয়ার পর আদালত দুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মুক্তারুজ্জামান রয়েল আদালতে বলেছেন, ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি এবং নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের সমস্ত দায়-দায়িত্ব ছিল আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান। প্রশ্নপত্র তৈরি করার দায়িত্ব ছিল তাঁর ওপর। তিনি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অন্যদের সহযোগিতায় পরীক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্নপত্র ছড়িয়েছিলেন।
জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা শামসুল হক শ্যামল আদালতকে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি কর্মকর্তা মুক্তারুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি টাকার বিনিময় প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন।
আজ দুপুরের পর পুলিশের তেজগাঁও জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী বাড্ডা থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে এই দুজনসহ গ্রেপ্তারকৃত ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করেন। তাঁদের মধ্যে দুজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হলে জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করা হয়। অন্য চারজনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্য চারজনের মধ্যে একজন হলেন-পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান মিলন। বাকি তিনজনের নাম জানা যায়নি।
এই মামলায় জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার এমদাদুল হক খোকন, সোহেল রানা ও আব্দুল্লাহ আল জাবেদ জাহিদকে গত বৃহস্পতিবার তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আরও দুই আসামি রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলন ও চাকরিপ্রার্থী রাইসুল ইসলাম স্বপনকে গত বুধবার কারাগারে পাঠানো হয়।
পাঁচটি ব্যাংকে অফিসার (ক্যাশ) পদে ১ হাজার ৫১১ জন জনকে নিয়োগ দিতে ৬ নভেম্বর বিকেলে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে এমসিকিউ পদ্ধতিতে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র তৈরি ও পরীক্ষা সম্পাদনের দায়িত্বে ছিল আহছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হবে ৫ নভেম্বর রাতে-এমন তথ্য আসে ডিবির কাছে। ডিবি টিমের সদস্যরা পরীক্ষার্থী সেজে ৬ নভেম্বর সকাল ৭টার দিকে প্রশ্নপত্রসহ উত্তর পাওয়ার জন্য চক্রের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অগ্রিম টাকা পরিশোধের পর প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র ফাঁস চক্রের অন্যতম হোতা রাইসুল ইসলাম স্বপন ডিবির ছদ্মবেশী পরীক্ষার্থীকে নিয়ে যান। এরপর পরীক্ষার উত্তরপত্রসহ স্বপনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। গত ৬ নভেম্বর পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের সঙ্গে সকালে পাওয়া প্রশ্ন ও উত্তর হুবহু মিলে গেলে স্বপনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রূপালী ব্যাংকের সাভার শাখার শ্রীনগর থেকে জানে আলম মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র সরবরাহকারী শামসুল হক শ্যামলকে ধরতে প্রথমে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অভিযান চালানো হয়। পরে জানা যায়, শ্যামল ঢাকায় অবস্থান করছেন। এরপর ঢাকার দক্ষিণ বাড্ডা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান রয়েল ও জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার অফিসার শামসুল হক শ্যামল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
আজ শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তারের কাছে তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষ হওয়ার পর আদালত দুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মুক্তারুজ্জামান রয়েল আদালতে বলেছেন, ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি এবং নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের সমস্ত দায়-দায়িত্ব ছিল আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান। প্রশ্নপত্র তৈরি করার দায়িত্ব ছিল তাঁর ওপর। তিনি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অন্যদের সহযোগিতায় পরীক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্নপত্র ছড়িয়েছিলেন।
জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা শামসুল হক শ্যামল আদালতকে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি কর্মকর্তা মুক্তারুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি টাকার বিনিময় প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন।
আজ দুপুরের পর পুলিশের তেজগাঁও জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী বাড্ডা থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে এই দুজনসহ গ্রেপ্তারকৃত ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করেন। তাঁদের মধ্যে দুজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হলে জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করা হয়। অন্য চারজনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্য চারজনের মধ্যে একজন হলেন-পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান মিলন। বাকি তিনজনের নাম জানা যায়নি।
এই মামলায় জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার এমদাদুল হক খোকন, সোহেল রানা ও আব্দুল্লাহ আল জাবেদ জাহিদকে গত বৃহস্পতিবার তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আরও দুই আসামি রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলন ও চাকরিপ্রার্থী রাইসুল ইসলাম স্বপনকে গত বুধবার কারাগারে পাঠানো হয়।
পাঁচটি ব্যাংকে অফিসার (ক্যাশ) পদে ১ হাজার ৫১১ জন জনকে নিয়োগ দিতে ৬ নভেম্বর বিকেলে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে এমসিকিউ পদ্ধতিতে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র তৈরি ও পরীক্ষা সম্পাদনের দায়িত্বে ছিল আহছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হবে ৫ নভেম্বর রাতে-এমন তথ্য আসে ডিবির কাছে। ডিবি টিমের সদস্যরা পরীক্ষার্থী সেজে ৬ নভেম্বর সকাল ৭টার দিকে প্রশ্নপত্রসহ উত্তর পাওয়ার জন্য চক্রের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অগ্রিম টাকা পরিশোধের পর প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র ফাঁস চক্রের অন্যতম হোতা রাইসুল ইসলাম স্বপন ডিবির ছদ্মবেশী পরীক্ষার্থীকে নিয়ে যান। এরপর পরীক্ষার উত্তরপত্রসহ স্বপনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। গত ৬ নভেম্বর পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের সঙ্গে সকালে পাওয়া প্রশ্ন ও উত্তর হুবহু মিলে গেলে স্বপনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রূপালী ব্যাংকের সাভার শাখার শ্রীনগর থেকে জানে আলম মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র সরবরাহকারী শামসুল হক শ্যামলকে ধরতে প্রথমে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অভিযান চালানো হয়। পরে জানা যায়, শ্যামল ঢাকায় অবস্থান করছেন। এরপর ঢাকার দক্ষিণ বাড্ডা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৫ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৭ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৮ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১১ দিন আগে