নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। আজ শুক্রবার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আয়েশা হোসেন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিকেলে বিমানবন্দরের কাছে হামলার শিকার হন আনোয়ার হোসেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ৫ আগস্ট বিকেল ৪টার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে ‘কিছু ডানপন্থী ধর্মান্ধের’ দ্বারা নৃশংসভাবে আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছে পরিবার।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা–৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইলেও পাননি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। একাদশ সংসদে ওই আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন তাঁর ছোট ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীর প্রতীক। তাঁরা দুজনই প্রয়াত কর্নেল তাহেরের ভাই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ৭৫ বছর বয়সী এই অধ্যাপক সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরকারের চালানো নির্বিচার হামলার তীব্র সমালোচক ছিলেন। যে আন্দোলনে শত শত নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
হামলার ঘটনা বর্ণনা দিয়ে বিবৃতিতে আয়েশা হোসেন বলেন, ‘সোমবার বিকেলে আমার ছেলে তার বন্ধু এবং সহকর্মীদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য শাহবাগে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যেখানে উল্লাসমুখর ছাত্ররা জড়ো হয়েছিল। আমার স্বামী ছাত্রদের এই অভূতপূর্ব গণ–আন্দোলন প্রত্যক্ষ করতে চেয়েছিলেন। আমরা আমার স্বামী, ছেলে, পুত্রবধূ এবং আমি দুটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় বেলা ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে বাড়ি থেকে রওনা দিই। উত্তরা থেকে বিমানবন্দরের দিকে যাওয়ার প্রধান সড়কটি তখন শত শত মানুষে পরিপূর্ণ ছিল।
‘বিমানবন্দরের কাছে এসে আমরা বুঝতে পারলাম যে রিকশায় আর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আমরা নেমে রাস্তার মানুষদের সঙ্গে হাঁটা শুরু করলাম। কয়েকজন ছাত্র আমার স্বামীকে দেখে হাসল এবং তাঁর সঙ্গে হাত মেলাল। বিমানবন্দরের ঠিক সামনে পৌঁছানোর সময়, ৪০ বছরের কাছাকাছি বয়সের একজন অচেনা ব্যক্তি হঠাৎ আমার স্বামীর কাছে এগিয়ে এসে চিৎকার করে বলতে শুরু করল, “আমি আপনাকে চিনি। আপনি সেই প্রফেসর যিনি ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের বিরুদ্ধে ছিলেন। আমরা আপনাকে টিভিতে দেখেছি।”
‘ওই ব্যক্তি জোর করে আমার স্বামীকে বিমানবন্দরের বিপরীতে একটি সরু গলিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। আমার পরিবারের সদস্যরা এবং আমি শক্তভাবে এর প্রতিবাদ করি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আরও কয়েকজন (তিন থেকে চারজন) আমার স্বামীর চারপাশে জড়ো হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা “নারায়ে তাকবির” ধ্বনি দিতে শুরু করে। তাদের একজন বলল, “তুমি জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বলেছ। আমরা তোমার গলা কাটব।” ক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা বিভিন্ন বস্তু দিয়ে আমার স্বামীর ওপর নির্মম আক্রমণ চালাতে থাকে। তাদের একজন বলল, “তার মাথায় আঘাত করো। মেরে ফেলো।”
‘আমাদের মরিয়া প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, আমরা বলতে পারছিলাম না কী ধরনের বস্তু ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে, আমার স্বামী মনে করতে পারেন যে তাঁর মনে হয়েছিল একটি বড় পাথর বা ইট এবং একটি তীক্ষ্ণ লৌহ বস্তু দিয়ে তাঁর মুখ, কপাল, মাথার ওপরের অংশ এবং পেছনে ও বুকের ওপর বারবার আঘাত করা হয়েছিল। আমার পুত্রবধূ সামরিক জিপে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকজন ইউনিফর্মধারী সেনাসদস্যের কাছে সাহায্য চেয়ে যান, কিন্তু প্রায় ভয়ে কেউই জিপ থেকে নামেনি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘প্রাণঘাতী আক্রমণ কয়েক মিনিট ধরে চলছিল, এর মধ্যে আমার ছেলে, আমার পুত্রবধূ এবং আমি আমার স্বামীর মাথাকে রক্ষা করার চেষ্টা করছিলাম। এতে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লাগে। আমাদের চেষ্টা ব্যর্থ হতে শুরু করছিল। কারণ, আমরা বুঝতে পারছিলাম যে আমার স্বামী প্রায় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। আমরা তখন বুঝতে পারি যে আক্রমণকারীদের কাছ থেকে তাঁকে বাঁচিয়ে নিয়ে গিয়ে বিমানবন্দরের প্রবেশপথে একটি সেনাবাহিনীর ব্যারিকেডের দিকে নিয়ে যেতে হবে। তখন, দুজন অচেনা ব্যক্তি আমাদের সাহায্য করতে আসেন। তাঁদের মধ্যে একজন ছিল লম্বা, কালো পোশাক পরিহিত। দ্বিতীয় ব্যক্তির চেহারা মনে করতে পারছি না। তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে আমার স্বামীর দেহকে রক্ষা করতে থাকে। কালো টি–শার্ট পরিহিত ব্যক্তি চিৎকার করে বলছিল, “আপনারা কী করছেন?! তিনি একজন মানুষ! তিনি একজন মানুষ!”
‘আমরা কোনোমতে আমার স্বামীকে আক্রমণকারীদের কাছ থেকে বাঁচিয়ে বিমানবন্দরের সামনের সেনাবাহিনীর ব্যারিকেডের দিকে নিয়ে যেতে সক্ষম হই। ব্যারিকেডে পৌঁছে আমি দেখতে পাই যে সেনাসদস্যরা আমার স্বামীর রক্তাক্ত দেহ দেখে হতভম্ব হয়ে গেছে। আমরা যখন তাদের বললাম যে আমার স্বামী কে। তখন তারা দ্রুত প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠে তাঁকে এবং আমাদের সবাইকে ব্যারিকেডের ভেতরে নিয়ে গেল। বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মী এবং বিমানবাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় আমরা বিমানবন্দরে প্রবেশ করি। সেখানে আমার স্বামীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।’
বিবৃতিতে স্ত্রী আয়েশা হোসেন বলেন, ‘আমার স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান এবং অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য। তিনি একজন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী এবং বিশ্বখ্যাত বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রথম লেখক হিসেবে বহু প্রকাশনা রয়েছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সরকারবিহীন অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা ও অরাজকতায় নিমজ্জিত হওয়ায়, অনেক স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে বলে বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে, যার মধ্যে কট্টরপন্থী উগ্রপন্থীরাও অন্তর্ভুক্ত।’
জামায়াতের বক্তব্য
আজ শুক্রবার জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলার বিষয়ে জামায়াতকে অভিযুক্ত করা একটি রাজনৈতিক অপবাদ ছাড়া আর কিছুই নয়। আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলা হয়ে থাকলে জামায়াত তাঁর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। আজ শুক্রবার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আয়েশা হোসেন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিকেলে বিমানবন্দরের কাছে হামলার শিকার হন আনোয়ার হোসেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ৫ আগস্ট বিকেল ৪টার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে ‘কিছু ডানপন্থী ধর্মান্ধের’ দ্বারা নৃশংসভাবে আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছে পরিবার।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা–৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইলেও পাননি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। একাদশ সংসদে ওই আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন তাঁর ছোট ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীর প্রতীক। তাঁরা দুজনই প্রয়াত কর্নেল তাহেরের ভাই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ৭৫ বছর বয়সী এই অধ্যাপক সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরকারের চালানো নির্বিচার হামলার তীব্র সমালোচক ছিলেন। যে আন্দোলনে শত শত নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
হামলার ঘটনা বর্ণনা দিয়ে বিবৃতিতে আয়েশা হোসেন বলেন, ‘সোমবার বিকেলে আমার ছেলে তার বন্ধু এবং সহকর্মীদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য শাহবাগে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যেখানে উল্লাসমুখর ছাত্ররা জড়ো হয়েছিল। আমার স্বামী ছাত্রদের এই অভূতপূর্ব গণ–আন্দোলন প্রত্যক্ষ করতে চেয়েছিলেন। আমরা আমার স্বামী, ছেলে, পুত্রবধূ এবং আমি দুটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় বেলা ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে বাড়ি থেকে রওনা দিই। উত্তরা থেকে বিমানবন্দরের দিকে যাওয়ার প্রধান সড়কটি তখন শত শত মানুষে পরিপূর্ণ ছিল।
‘বিমানবন্দরের কাছে এসে আমরা বুঝতে পারলাম যে রিকশায় আর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আমরা নেমে রাস্তার মানুষদের সঙ্গে হাঁটা শুরু করলাম। কয়েকজন ছাত্র আমার স্বামীকে দেখে হাসল এবং তাঁর সঙ্গে হাত মেলাল। বিমানবন্দরের ঠিক সামনে পৌঁছানোর সময়, ৪০ বছরের কাছাকাছি বয়সের একজন অচেনা ব্যক্তি হঠাৎ আমার স্বামীর কাছে এগিয়ে এসে চিৎকার করে বলতে শুরু করল, “আমি আপনাকে চিনি। আপনি সেই প্রফেসর যিনি ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের বিরুদ্ধে ছিলেন। আমরা আপনাকে টিভিতে দেখেছি।”
‘ওই ব্যক্তি জোর করে আমার স্বামীকে বিমানবন্দরের বিপরীতে একটি সরু গলিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। আমার পরিবারের সদস্যরা এবং আমি শক্তভাবে এর প্রতিবাদ করি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আরও কয়েকজন (তিন থেকে চারজন) আমার স্বামীর চারপাশে জড়ো হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা “নারায়ে তাকবির” ধ্বনি দিতে শুরু করে। তাদের একজন বলল, “তুমি জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বলেছ। আমরা তোমার গলা কাটব।” ক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা বিভিন্ন বস্তু দিয়ে আমার স্বামীর ওপর নির্মম আক্রমণ চালাতে থাকে। তাদের একজন বলল, “তার মাথায় আঘাত করো। মেরে ফেলো।”
‘আমাদের মরিয়া প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, আমরা বলতে পারছিলাম না কী ধরনের বস্তু ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে, আমার স্বামী মনে করতে পারেন যে তাঁর মনে হয়েছিল একটি বড় পাথর বা ইট এবং একটি তীক্ষ্ণ লৌহ বস্তু দিয়ে তাঁর মুখ, কপাল, মাথার ওপরের অংশ এবং পেছনে ও বুকের ওপর বারবার আঘাত করা হয়েছিল। আমার পুত্রবধূ সামরিক জিপে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকজন ইউনিফর্মধারী সেনাসদস্যের কাছে সাহায্য চেয়ে যান, কিন্তু প্রায় ভয়ে কেউই জিপ থেকে নামেনি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘প্রাণঘাতী আক্রমণ কয়েক মিনিট ধরে চলছিল, এর মধ্যে আমার ছেলে, আমার পুত্রবধূ এবং আমি আমার স্বামীর মাথাকে রক্ষা করার চেষ্টা করছিলাম। এতে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লাগে। আমাদের চেষ্টা ব্যর্থ হতে শুরু করছিল। কারণ, আমরা বুঝতে পারছিলাম যে আমার স্বামী প্রায় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। আমরা তখন বুঝতে পারি যে আক্রমণকারীদের কাছ থেকে তাঁকে বাঁচিয়ে নিয়ে গিয়ে বিমানবন্দরের প্রবেশপথে একটি সেনাবাহিনীর ব্যারিকেডের দিকে নিয়ে যেতে হবে। তখন, দুজন অচেনা ব্যক্তি আমাদের সাহায্য করতে আসেন। তাঁদের মধ্যে একজন ছিল লম্বা, কালো পোশাক পরিহিত। দ্বিতীয় ব্যক্তির চেহারা মনে করতে পারছি না। তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে আমার স্বামীর দেহকে রক্ষা করতে থাকে। কালো টি–শার্ট পরিহিত ব্যক্তি চিৎকার করে বলছিল, “আপনারা কী করছেন?! তিনি একজন মানুষ! তিনি একজন মানুষ!”
‘আমরা কোনোমতে আমার স্বামীকে আক্রমণকারীদের কাছ থেকে বাঁচিয়ে বিমানবন্দরের সামনের সেনাবাহিনীর ব্যারিকেডের দিকে নিয়ে যেতে সক্ষম হই। ব্যারিকেডে পৌঁছে আমি দেখতে পাই যে সেনাসদস্যরা আমার স্বামীর রক্তাক্ত দেহ দেখে হতভম্ব হয়ে গেছে। আমরা যখন তাদের বললাম যে আমার স্বামী কে। তখন তারা দ্রুত প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠে তাঁকে এবং আমাদের সবাইকে ব্যারিকেডের ভেতরে নিয়ে গেল। বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মী এবং বিমানবাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় আমরা বিমানবন্দরে প্রবেশ করি। সেখানে আমার স্বামীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।’
বিবৃতিতে স্ত্রী আয়েশা হোসেন বলেন, ‘আমার স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান এবং অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য। তিনি একজন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী এবং বিশ্বখ্যাত বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রথম লেখক হিসেবে বহু প্রকাশনা রয়েছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সরকারবিহীন অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা ও অরাজকতায় নিমজ্জিত হওয়ায়, অনেক স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে বলে বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে, যার মধ্যে কট্টরপন্থী উগ্রপন্থীরাও অন্তর্ভুক্ত।’
জামায়াতের বক্তব্য
আজ শুক্রবার জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলার বিষয়ে জামায়াতকে অভিযুক্ত করা একটি রাজনৈতিক অপবাদ ছাড়া আর কিছুই নয়। আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলা হয়ে থাকলে জামায়াত তাঁর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। আজ শুক্রবার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আয়েশা হোসেন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিকেলে বিমানবন্দরের কাছে হামলার শিকার হন আনোয়ার হোসেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ৫ আগস্ট বিকেল ৪টার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে ‘কিছু ডানপন্থী ধর্মান্ধের’ দ্বারা নৃশংসভাবে আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছে পরিবার।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা–৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইলেও পাননি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। একাদশ সংসদে ওই আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন তাঁর ছোট ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীর প্রতীক। তাঁরা দুজনই প্রয়াত কর্নেল তাহেরের ভাই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ৭৫ বছর বয়সী এই অধ্যাপক সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরকারের চালানো নির্বিচার হামলার তীব্র সমালোচক ছিলেন। যে আন্দোলনে শত শত নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
হামলার ঘটনা বর্ণনা দিয়ে বিবৃতিতে আয়েশা হোসেন বলেন, ‘সোমবার বিকেলে আমার ছেলে তার বন্ধু এবং সহকর্মীদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য শাহবাগে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যেখানে উল্লাসমুখর ছাত্ররা জড়ো হয়েছিল। আমার স্বামী ছাত্রদের এই অভূতপূর্ব গণ–আন্দোলন প্রত্যক্ষ করতে চেয়েছিলেন। আমরা আমার স্বামী, ছেলে, পুত্রবধূ এবং আমি দুটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় বেলা ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে বাড়ি থেকে রওনা দিই। উত্তরা থেকে বিমানবন্দরের দিকে যাওয়ার প্রধান সড়কটি তখন শত শত মানুষে পরিপূর্ণ ছিল।
‘বিমানবন্দরের কাছে এসে আমরা বুঝতে পারলাম যে রিকশায় আর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আমরা নেমে রাস্তার মানুষদের সঙ্গে হাঁটা শুরু করলাম। কয়েকজন ছাত্র আমার স্বামীকে দেখে হাসল এবং তাঁর সঙ্গে হাত মেলাল। বিমানবন্দরের ঠিক সামনে পৌঁছানোর সময়, ৪০ বছরের কাছাকাছি বয়সের একজন অচেনা ব্যক্তি হঠাৎ আমার স্বামীর কাছে এগিয়ে এসে চিৎকার করে বলতে শুরু করল, “আমি আপনাকে চিনি। আপনি সেই প্রফেসর যিনি ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের বিরুদ্ধে ছিলেন। আমরা আপনাকে টিভিতে দেখেছি।”
‘ওই ব্যক্তি জোর করে আমার স্বামীকে বিমানবন্দরের বিপরীতে একটি সরু গলিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। আমার পরিবারের সদস্যরা এবং আমি শক্তভাবে এর প্রতিবাদ করি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আরও কয়েকজন (তিন থেকে চারজন) আমার স্বামীর চারপাশে জড়ো হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা “নারায়ে তাকবির” ধ্বনি দিতে শুরু করে। তাদের একজন বলল, “তুমি জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বলেছ। আমরা তোমার গলা কাটব।” ক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা বিভিন্ন বস্তু দিয়ে আমার স্বামীর ওপর নির্মম আক্রমণ চালাতে থাকে। তাদের একজন বলল, “তার মাথায় আঘাত করো। মেরে ফেলো।”
‘আমাদের মরিয়া প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, আমরা বলতে পারছিলাম না কী ধরনের বস্তু ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে, আমার স্বামী মনে করতে পারেন যে তাঁর মনে হয়েছিল একটি বড় পাথর বা ইট এবং একটি তীক্ষ্ণ লৌহ বস্তু দিয়ে তাঁর মুখ, কপাল, মাথার ওপরের অংশ এবং পেছনে ও বুকের ওপর বারবার আঘাত করা হয়েছিল। আমার পুত্রবধূ সামরিক জিপে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকজন ইউনিফর্মধারী সেনাসদস্যের কাছে সাহায্য চেয়ে যান, কিন্তু প্রায় ভয়ে কেউই জিপ থেকে নামেনি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘প্রাণঘাতী আক্রমণ কয়েক মিনিট ধরে চলছিল, এর মধ্যে আমার ছেলে, আমার পুত্রবধূ এবং আমি আমার স্বামীর মাথাকে রক্ষা করার চেষ্টা করছিলাম। এতে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লাগে। আমাদের চেষ্টা ব্যর্থ হতে শুরু করছিল। কারণ, আমরা বুঝতে পারছিলাম যে আমার স্বামী প্রায় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। আমরা তখন বুঝতে পারি যে আক্রমণকারীদের কাছ থেকে তাঁকে বাঁচিয়ে নিয়ে গিয়ে বিমানবন্দরের প্রবেশপথে একটি সেনাবাহিনীর ব্যারিকেডের দিকে নিয়ে যেতে হবে। তখন, দুজন অচেনা ব্যক্তি আমাদের সাহায্য করতে আসেন। তাঁদের মধ্যে একজন ছিল লম্বা, কালো পোশাক পরিহিত। দ্বিতীয় ব্যক্তির চেহারা মনে করতে পারছি না। তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে আমার স্বামীর দেহকে রক্ষা করতে থাকে। কালো টি–শার্ট পরিহিত ব্যক্তি চিৎকার করে বলছিল, “আপনারা কী করছেন?! তিনি একজন মানুষ! তিনি একজন মানুষ!”
‘আমরা কোনোমতে আমার স্বামীকে আক্রমণকারীদের কাছ থেকে বাঁচিয়ে বিমানবন্দরের সামনের সেনাবাহিনীর ব্যারিকেডের দিকে নিয়ে যেতে সক্ষম হই। ব্যারিকেডে পৌঁছে আমি দেখতে পাই যে সেনাসদস্যরা আমার স্বামীর রক্তাক্ত দেহ দেখে হতভম্ব হয়ে গেছে। আমরা যখন তাদের বললাম যে আমার স্বামী কে। তখন তারা দ্রুত প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠে তাঁকে এবং আমাদের সবাইকে ব্যারিকেডের ভেতরে নিয়ে গেল। বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মী এবং বিমানবাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় আমরা বিমানবন্দরে প্রবেশ করি। সেখানে আমার স্বামীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।’
বিবৃতিতে স্ত্রী আয়েশা হোসেন বলেন, ‘আমার স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান এবং অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য। তিনি একজন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী এবং বিশ্বখ্যাত বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রথম লেখক হিসেবে বহু প্রকাশনা রয়েছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সরকারবিহীন অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা ও অরাজকতায় নিমজ্জিত হওয়ায়, অনেক স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে বলে বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে, যার মধ্যে কট্টরপন্থী উগ্রপন্থীরাও অন্তর্ভুক্ত।’
জামায়াতের বক্তব্য
আজ শুক্রবার জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলার বিষয়ে জামায়াতকে অভিযুক্ত করা একটি রাজনৈতিক অপবাদ ছাড়া আর কিছুই নয়। আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলা হয়ে থাকলে জামায়াত তাঁর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। আজ শুক্রবার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আয়েশা হোসেন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিকেলে বিমানবন্দরের কাছে হামলার শিকার হন আনোয়ার হোসেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ৫ আগস্ট বিকেল ৪টার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে ‘কিছু ডানপন্থী ধর্মান্ধের’ দ্বারা নৃশংসভাবে আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছে পরিবার।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা–৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইলেও পাননি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। একাদশ সংসদে ওই আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন তাঁর ছোট ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীর প্রতীক। তাঁরা দুজনই প্রয়াত কর্নেল তাহেরের ভাই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ৭৫ বছর বয়সী এই অধ্যাপক সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরকারের চালানো নির্বিচার হামলার তীব্র সমালোচক ছিলেন। যে আন্দোলনে শত শত নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
হামলার ঘটনা বর্ণনা দিয়ে বিবৃতিতে আয়েশা হোসেন বলেন, ‘সোমবার বিকেলে আমার ছেলে তার বন্ধু এবং সহকর্মীদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য শাহবাগে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যেখানে উল্লাসমুখর ছাত্ররা জড়ো হয়েছিল। আমার স্বামী ছাত্রদের এই অভূতপূর্ব গণ–আন্দোলন প্রত্যক্ষ করতে চেয়েছিলেন। আমরা আমার স্বামী, ছেলে, পুত্রবধূ এবং আমি দুটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় বেলা ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে বাড়ি থেকে রওনা দিই। উত্তরা থেকে বিমানবন্দরের দিকে যাওয়ার প্রধান সড়কটি তখন শত শত মানুষে পরিপূর্ণ ছিল।
‘বিমানবন্দরের কাছে এসে আমরা বুঝতে পারলাম যে রিকশায় আর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আমরা নেমে রাস্তার মানুষদের সঙ্গে হাঁটা শুরু করলাম। কয়েকজন ছাত্র আমার স্বামীকে দেখে হাসল এবং তাঁর সঙ্গে হাত মেলাল। বিমানবন্দরের ঠিক সামনে পৌঁছানোর সময়, ৪০ বছরের কাছাকাছি বয়সের একজন অচেনা ব্যক্তি হঠাৎ আমার স্বামীর কাছে এগিয়ে এসে চিৎকার করে বলতে শুরু করল, “আমি আপনাকে চিনি। আপনি সেই প্রফেসর যিনি ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের বিরুদ্ধে ছিলেন। আমরা আপনাকে টিভিতে দেখেছি।”
‘ওই ব্যক্তি জোর করে আমার স্বামীকে বিমানবন্দরের বিপরীতে একটি সরু গলিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। আমার পরিবারের সদস্যরা এবং আমি শক্তভাবে এর প্রতিবাদ করি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আরও কয়েকজন (তিন থেকে চারজন) আমার স্বামীর চারপাশে জড়ো হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা “নারায়ে তাকবির” ধ্বনি দিতে শুরু করে। তাদের একজন বলল, “তুমি জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বলেছ। আমরা তোমার গলা কাটব।” ক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা বিভিন্ন বস্তু দিয়ে আমার স্বামীর ওপর নির্মম আক্রমণ চালাতে থাকে। তাদের একজন বলল, “তার মাথায় আঘাত করো। মেরে ফেলো।”
‘আমাদের মরিয়া প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, আমরা বলতে পারছিলাম না কী ধরনের বস্তু ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে, আমার স্বামী মনে করতে পারেন যে তাঁর মনে হয়েছিল একটি বড় পাথর বা ইট এবং একটি তীক্ষ্ণ লৌহ বস্তু দিয়ে তাঁর মুখ, কপাল, মাথার ওপরের অংশ এবং পেছনে ও বুকের ওপর বারবার আঘাত করা হয়েছিল। আমার পুত্রবধূ সামরিক জিপে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকজন ইউনিফর্মধারী সেনাসদস্যের কাছে সাহায্য চেয়ে যান, কিন্তু প্রায় ভয়ে কেউই জিপ থেকে নামেনি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘প্রাণঘাতী আক্রমণ কয়েক মিনিট ধরে চলছিল, এর মধ্যে আমার ছেলে, আমার পুত্রবধূ এবং আমি আমার স্বামীর মাথাকে রক্ষা করার চেষ্টা করছিলাম। এতে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লাগে। আমাদের চেষ্টা ব্যর্থ হতে শুরু করছিল। কারণ, আমরা বুঝতে পারছিলাম যে আমার স্বামী প্রায় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। আমরা তখন বুঝতে পারি যে আক্রমণকারীদের কাছ থেকে তাঁকে বাঁচিয়ে নিয়ে গিয়ে বিমানবন্দরের প্রবেশপথে একটি সেনাবাহিনীর ব্যারিকেডের দিকে নিয়ে যেতে হবে। তখন, দুজন অচেনা ব্যক্তি আমাদের সাহায্য করতে আসেন। তাঁদের মধ্যে একজন ছিল লম্বা, কালো পোশাক পরিহিত। দ্বিতীয় ব্যক্তির চেহারা মনে করতে পারছি না। তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে আমার স্বামীর দেহকে রক্ষা করতে থাকে। কালো টি–শার্ট পরিহিত ব্যক্তি চিৎকার করে বলছিল, “আপনারা কী করছেন?! তিনি একজন মানুষ! তিনি একজন মানুষ!”
‘আমরা কোনোমতে আমার স্বামীকে আক্রমণকারীদের কাছ থেকে বাঁচিয়ে বিমানবন্দরের সামনের সেনাবাহিনীর ব্যারিকেডের দিকে নিয়ে যেতে সক্ষম হই। ব্যারিকেডে পৌঁছে আমি দেখতে পাই যে সেনাসদস্যরা আমার স্বামীর রক্তাক্ত দেহ দেখে হতভম্ব হয়ে গেছে। আমরা যখন তাদের বললাম যে আমার স্বামী কে। তখন তারা দ্রুত প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠে তাঁকে এবং আমাদের সবাইকে ব্যারিকেডের ভেতরে নিয়ে গেল। বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মী এবং বিমানবাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় আমরা বিমানবন্দরে প্রবেশ করি। সেখানে আমার স্বামীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।’
বিবৃতিতে স্ত্রী আয়েশা হোসেন বলেন, ‘আমার স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান এবং অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য। তিনি একজন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী এবং বিশ্বখ্যাত বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রথম লেখক হিসেবে বহু প্রকাশনা রয়েছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সরকারবিহীন অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা ও অরাজকতায় নিমজ্জিত হওয়ায়, অনেক স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে বলে বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে, যার মধ্যে কট্টরপন্থী উগ্রপন্থীরাও অন্তর্ভুক্ত।’
জামায়াতের বক্তব্য
আজ শুক্রবার জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলার বিষয়ে জামায়াতকে অভিযুক্ত করা একটি রাজনৈতিক অপবাদ ছাড়া আর কিছুই নয়। আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলা হয়ে থাকলে জামায়াত তাঁর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছে।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। আজ শুক্রবার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আয়েশা হোসেন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিকেলে বিমানবন্দরের কাছে হামলার শিকার হন আনোয়ার হোসেন।
০৯ আগস্ট ২০২৪
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। আজ শুক্রবার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আয়েশা হোসেন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিকেলে বিমানবন্দরের কাছে হামলার শিকার হন আনোয়ার হোসেন।
০৯ আগস্ট ২০২৪
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। আজ শুক্রবার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আয়েশা হোসেন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিকেলে বিমানবন্দরের কাছে হামলার শিকার হন আনোয়ার হোসেন।
০৯ আগস্ট ২০২৪
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। আজ শুক্রবার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আয়েশা হোসেন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিকেলে বিমানবন্দরের কাছে হামলার শিকার হন আনোয়ার হোসেন।
০৯ আগস্ট ২০২৪
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে