Ajker Patrika

বাবুল আক্তারের ফাঁসি চান না মিতুর মা

আপডেট : ১২ মে ২০২১, ১৪: ৪৪
বাবুল আক্তারের ফাঁসি চান না মিতুর মা

ঢাকা: বড় মেয়েকে হারিয়েছেন পাঁচ বছর। মেয়ে মাহমুদা খানম মিতু খুন হওয়ার পর সাড়ে তিন বছর ধরে দেখা নেই নাতি-নাতনিদের সঙ্গেও। বুকে চাপা কষ্ট নিয়ে প্রতিটা দিন শুরু হয় শাহিদা মোশাররফের।

চট্টগ্রামে খুন হওয়া পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুর বাবা-মা ও ছোট বোন থাকেন মেরাদিয়ার ভূইয়াপাড়ায়। মিতু হত্যার পরপর বাবুল আক্তার এ বাসাতেই ছিলেন দীর্ঘদিন।

প্রথমে তার প্রতি সহানুভুতি থাকলেও এক সময় সন্দেহ হতে থাকে শ্বশুর-শাশুড়ির। ২০১৭ সালের শুরুর দিকে মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন দাবি করেন, স্ত্রী হত্যায় দায় আছে বাবুলের। তাকে গ্রেপ্তারেরও দাবি করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। কিন্তু সে সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব থাকা বাবুল নিজের একেকটি দুই/তিন হাজার শব্দের স্ট্যাটাসে এসব অভিযোগ খণ্ডন করেন।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে পুলিশি হেফাজতে আছেন বাবুল আক্তার। মিতুর পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেন সবাই। কিন্তু বাসায় ছিলেন না মোশাররফ হোসেন।

আজ বুধবার সকালে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাংবাদিকদের জানায়, মিতু হত্যায় বাবুলের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। খুন হওয়া মেয়ের স্বামীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি হিসেবে মঙ্গলবারই চট্টগ্রামে পৌঁছেন মিতুর বাবা। আজ দুপুরের দিকে পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারকে এক নম্বর আসামি করে আট জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন তার মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।

ভূইয়াপাড়ার বাড়িতে কথা হয়, মিতুর মা শাহিদার সাথে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমরা তো আশা ছাইড়াই দিছিলাম। যখন মিতুর আব্বা জানাইল, মামলা করতে পুলিশ ডাকছে, মনে হইলো আমার মাইয়াডার আত্মা একটু শান্তি পাইবো।

মেয়ের হত্যাকারী বাবুল আক্তারের ফাঁসি চান না মিতুর মা। তার দাবি, সারাজীবন জেলে আটকে রাখা হোক স্ত্রী হন্তারক বাবুলকে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ফাঁসি দিলে তো মইরাই গেল, কষ্ট কম হইল। জেলে ধুঁইকা ধুঁইকা মরুক।’

একথা বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন শাহিদা মোশাররফ। বাবুল আক্তার মামলার আসামি হওয়ায় এখন মেয়ের দুই সন্তান অভিভাবকহীন হয়ে পড়ল বলে দুঃখ করেন শাহিদা। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন, যেন তার নাতি-নাতনিদের তার কাছে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত