Ajker Patrika

দিনে টার্গেট করে রাতে ট্রান্সফরমার চুরি, চক্রের ১৩ সদস্য গ্রেপ্তার 

কুমিল্লা প্রতিনিধি
দিনে টার্গেট করে রাতে ট্রান্সফরমার চুরি, চক্রের ১৩ সদস্য গ্রেপ্তার 

কুমিল্লাসহ আশপাশের জেলা থেকে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চোর চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, গ্রেপ্তার করা হয় পাঁচজনকে। গত রোববার থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

কুমিল্লা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান জানান, সম্প্রতি তিন শতাধিক বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়। বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির অন্তত ১৩টি অভিযোগ পাওয়া যায়। সেই অভিযোগের সূত্র ধরে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান করে। এ সময় কুমিল্লার বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রান্সফরমার চোর চক্রের মোট ১৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় তামার তার ৬৬ কেজি, স্টিলের পাত ৮৩ কেজি, ৪৪ কেজি ওজনের তামার কয়েল, লোহার তার সাড়ে ১৪ কেজি, সাতটি ঢাকনা, ট্রান্সফরমারের তিনটি বক্স উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া একটি চোরাই কাজে ব্যবহৃত অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার মো. কবির হোসেন (৩০), সদর উপজেলার বড় দৌলতপুর এলাকার জহিরুল ইসলাম (২৮), সদর দক্ষিণের দূর্গাপুর এলাকার রুবেল (২৬), লালমাই উপজেলার ভুচ্চি (নুরপুর) এলাকার মাসুদ রানা (২৩), একই উপজেলার চেংহাটা গ্রামের মেহেদী হাসান শাকিল (২৩), রবিউল আলম রফিক (২৬), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রুবেল (২৮) ও পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার পায়না এলাকার মো. রফিকুল ইসলাম মনছুর (৪৮)।

এর আগে, গত রোববার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় পাঁচজনকে। এরা হলেন, কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল এলাকার মো. মনির হোসেন (৩২), চান্দিনা উপজেলার আইলকামারা গ্রামের মো. সোহেল (৩০), কুমিল্লা নগরীর ভাটপাড়া এলাকার কামরুল হাসান (৩২), তিতাস উপজেলার দক্ষিণ দুর্গাপুর গ্রামের মাঈন উদ্দিন (২৮) ও বুড়িচং উপজেলার দক্ষিণ গ্রামের রুবেল আহমেদ ওরফে মিন্টু।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ বড়ুয়া জানান, তাঁরা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। গত ৩–৪ বছর যাবৎ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, দেবীদ্বার, সদর দক্ষিণ থানাসহ বিভিন্ন থানা এলাকায় এবং পার্শ্ববর্তী জেলা চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় ট্রান্সফরমারের তামার তার চুরি করে আসছে। তাঁরা দিনের বেলায় টার্গেট ট্রান্সফরমারের স্থানে রেকি করে এবং রাতে গিয়ে ট্রান্সফরমারের ঢাকনা খুলে তামার তার নিয়ে চলে আসে। 

ট্রান্সফরমার থেকে তামার তার চুরি করতে তাঁদের মাত্র ২০–২৫ মিনিট সময় লাগে। চুরি করার পরে ট্রান্সফরমারের খালি বক্স সাধারণত ঘটনাস্থলেই ফেলে দেয়। গ্রেপ্তারকৃত অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক, চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত