লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
‘ওরা আমার বুকের মানিককে কেড়ে নিলো রে? আমি কী করে বাঁচুম রে? আমার ছেলের কী অপরাধ ছিল রে? তোরা আমার মানিক রে ফিরাইয়া দে, আমার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে রে।’ এভাবে বিলাপ করেন কোটা আন্দোলনের সময় ঢাকায় গুলিতে নিহত দোকান কর্মচারী মো. ইউনূছ আলী শাওনের (১৭) মা কুলসুম বেগম।
পরিবারের দাবি, ইউনূছ আলী শাওন কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে ঢাকার শনির আখড়ায় একটি প্রসাধনী দোকানের কর্মচারী ছিল। ২০ জুলাই দুপুরে সে দোকান থেকে বাসায় ভাত খেতে আসছিল। এ সময় কোটা আন্দোলন নিয়ে চলা সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় শাওন।
শাওন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মাগুরী গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে। আজ সোমবার সকালে নিহত শাওনের গ্রামের বাড়িতে গেলে পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের সঙ্গে কথা হয়।
শাওনের প্রতিবেশী স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা হারুনুর রশিদ পাটওয়ারী ও সমাজকর্মী আনোয়ার হোসেন পাটওয়ারীসহ অনেকে তার স্মৃতিচারণা করেন। তাঁরা বলেন, শাওন ভদ্র ছেলে। ঈদে বা বিভিন্ন উৎসবে বাড়িতে বেড়াতে এলেও দোকানে আড্ডা দিত না সে। দোকানে চা খেতে এলে মুরব্বিদের সালাম দিয়ে উঠে জায়গা করে দিত। আর সেই ছেলে গুলিতে প্রাণ যাবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আবুল বাশারের দ্বিতীয় স্ত্রী কুলসুম বেগমের একমাত্র সন্তান শাওন। প্রথম পক্ষের স্ত্রী দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে মারা গেলে আবুল বাশার কুলসুমকে বিয়ে করেন। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর বড় ছেলে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকায় থাকেন। যে বেতন পান তা দিয়ে স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণ আর বাসা ভাড়া দিয়ে চলেন তিনি। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর আরেক ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। শাওনের বাবা গ্রামের রাস্তায় সবজি লাগিয়ে ও অন্যের জমি বর্গা চাষ করে যা পান তা দিয়ে চলে পরিবার।
পরিবারে অভাবের কারণে শাওনের পড়ালেখা করা সম্ভব হয়নি। গ্রামের মাদ্রাসা থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করার পর ফুপাতো বোনের জামাইয়ের সঙ্গে ঢাকায় চলে যায় সে। শনির আখড়া এলাকায় সেই বোনজামাইয়ের প্রসাধনীর দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে ছিল শাওন। আট বছর ধরে সে এই দোকানে কাজ করত।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০ জুলাই দুপুরে প্রতিদিনের মতো শাওন দোকান বন্ধ করে খাবার খেতে বাসায় ফিরছিল। দোকানের বাইরে আসার পরপরই দুটি গুলি এসে লাগে শাওনের বুকে ও পেটে। বুকের গুলিটি শরীর ভেদ করে বেরিয়ে যায়। শাওন লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। গুলিবর্ষণ বন্ধ হলে উপস্থিত লোকজন শাওনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের সদস্যরা আরও জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগে শাওন নিজের পকেটে থাকা মোবাইল ফোন দেখিয়ে দিয়ে উদ্ধারকারী একজনকে বলে, ‘আব্বু নামে আমার বাবার মোবাইল নম্বর সেভ করা আছে, আমার খবরটি বাবাকে জানিয়ে দিন।’ শাওনের কথামতো ওই ব্যক্তি আবুল বাশারকে তাঁর ছেলে গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর জানান। পরে জানতে পারেন শাওন আর বেঁচে নেই। ঘটনার দুদিন পর বাড়ির সামনে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে শাওনকে।
শাওনের মা কুলসুম বেগম বলেন, ‘ওরা আমার বুকের মানিক শাওনকে কেড়ে নিল রে? আমি কী করে বাঁচুম রে? আমার ছেলের কী অপরাধ ছিল রে? তোরা আমার মানিক রে ফিরিয়ে দে, আমার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে রে।’
আবুল বাশার জানান, ঘটনার দিন শাওনের মোবাইল ফোন থেকে কল পেয়ে তাঁর মনে আনন্দ দেখা দিলেও মৃত্যুর খবর শুনে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তিনি আরও জানান, শাওন কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে পরিবারে টাকা পাঠিয়ে সহযোগিতা করত।
‘ওরা আমার বুকের মানিককে কেড়ে নিলো রে? আমি কী করে বাঁচুম রে? আমার ছেলের কী অপরাধ ছিল রে? তোরা আমার মানিক রে ফিরাইয়া দে, আমার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে রে।’ এভাবে বিলাপ করেন কোটা আন্দোলনের সময় ঢাকায় গুলিতে নিহত দোকান কর্মচারী মো. ইউনূছ আলী শাওনের (১৭) মা কুলসুম বেগম।
পরিবারের দাবি, ইউনূছ আলী শাওন কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে ঢাকার শনির আখড়ায় একটি প্রসাধনী দোকানের কর্মচারী ছিল। ২০ জুলাই দুপুরে সে দোকান থেকে বাসায় ভাত খেতে আসছিল। এ সময় কোটা আন্দোলন নিয়ে চলা সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় শাওন।
শাওন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মাগুরী গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে। আজ সোমবার সকালে নিহত শাওনের গ্রামের বাড়িতে গেলে পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের সঙ্গে কথা হয়।
শাওনের প্রতিবেশী স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা হারুনুর রশিদ পাটওয়ারী ও সমাজকর্মী আনোয়ার হোসেন পাটওয়ারীসহ অনেকে তার স্মৃতিচারণা করেন। তাঁরা বলেন, শাওন ভদ্র ছেলে। ঈদে বা বিভিন্ন উৎসবে বাড়িতে বেড়াতে এলেও দোকানে আড্ডা দিত না সে। দোকানে চা খেতে এলে মুরব্বিদের সালাম দিয়ে উঠে জায়গা করে দিত। আর সেই ছেলে গুলিতে প্রাণ যাবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আবুল বাশারের দ্বিতীয় স্ত্রী কুলসুম বেগমের একমাত্র সন্তান শাওন। প্রথম পক্ষের স্ত্রী দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে মারা গেলে আবুল বাশার কুলসুমকে বিয়ে করেন। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর বড় ছেলে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকায় থাকেন। যে বেতন পান তা দিয়ে স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণ আর বাসা ভাড়া দিয়ে চলেন তিনি। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর আরেক ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। শাওনের বাবা গ্রামের রাস্তায় সবজি লাগিয়ে ও অন্যের জমি বর্গা চাষ করে যা পান তা দিয়ে চলে পরিবার।
পরিবারে অভাবের কারণে শাওনের পড়ালেখা করা সম্ভব হয়নি। গ্রামের মাদ্রাসা থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করার পর ফুপাতো বোনের জামাইয়ের সঙ্গে ঢাকায় চলে যায় সে। শনির আখড়া এলাকায় সেই বোনজামাইয়ের প্রসাধনীর দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে ছিল শাওন। আট বছর ধরে সে এই দোকানে কাজ করত।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০ জুলাই দুপুরে প্রতিদিনের মতো শাওন দোকান বন্ধ করে খাবার খেতে বাসায় ফিরছিল। দোকানের বাইরে আসার পরপরই দুটি গুলি এসে লাগে শাওনের বুকে ও পেটে। বুকের গুলিটি শরীর ভেদ করে বেরিয়ে যায়। শাওন লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। গুলিবর্ষণ বন্ধ হলে উপস্থিত লোকজন শাওনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের সদস্যরা আরও জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগে শাওন নিজের পকেটে থাকা মোবাইল ফোন দেখিয়ে দিয়ে উদ্ধারকারী একজনকে বলে, ‘আব্বু নামে আমার বাবার মোবাইল নম্বর সেভ করা আছে, আমার খবরটি বাবাকে জানিয়ে দিন।’ শাওনের কথামতো ওই ব্যক্তি আবুল বাশারকে তাঁর ছেলে গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর জানান। পরে জানতে পারেন শাওন আর বেঁচে নেই। ঘটনার দুদিন পর বাড়ির সামনে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে শাওনকে।
শাওনের মা কুলসুম বেগম বলেন, ‘ওরা আমার বুকের মানিক শাওনকে কেড়ে নিল রে? আমি কী করে বাঁচুম রে? আমার ছেলের কী অপরাধ ছিল রে? তোরা আমার মানিক রে ফিরিয়ে দে, আমার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে রে।’
আবুল বাশার জানান, ঘটনার দিন শাওনের মোবাইল ফোন থেকে কল পেয়ে তাঁর মনে আনন্দ দেখা দিলেও মৃত্যুর খবর শুনে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তিনি আরও জানান, শাওন কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে পরিবারে টাকা পাঠিয়ে সহযোগিতা করত।
গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
৯ ঘণ্টা আগেচাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
৩ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪