সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
নৃশংসতার বলি আয়াতকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ পুরো পরিবার। ১৬ দিন থেকে মেয়েকে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়েছেন বাবা সোহেল রানা। ঘুমহীন চোখে শুধুই মেয়ের ছবি ভাসছে তাঁর। একমাত্র মেয়ের কতশত স্মৃতির কথা মনে ভিড় করছে, এই বুঝি বাবা বলে ডাক দিল সোহেল রানাকে।
এরই মধ্যে আজ বুধবার (৩০ নভেম্বর) ২টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রামের ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী ঘাটের সাগরপাড় সংলগ্ন স্লুইসগেট থেকে আয়াতের মরদেহের অংশবিশেষ উদ্ধার করেছে পিবিআই। মেয়ের শরীরের অংশবিশেষ পেতে ছুটে আসেন বাবা সোহেল রানা।
এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাবা সোহেল রানা বলেন, ‘ওই (আবির) আমার মেয়েকে অনেক কষ্ট দিয়ে মেরেছে। আজকে ১৫ দিন ধরে আমার মেয়ে পানিতে ভাসছে। সে কত কষ্ট পাচ্ছে...। আমার মেয়ের আরও তিনটি অংশ রয়ে গেছে (উদ্ধার হয়নি)। আমার মেয়ের মাথাটা আছে। সেটা এখনো সুরক্ষিত আছে। সেগুলো পাওয়ার জন্য পিবিআইয়ের কাছে আবেদন করছি।’
এদিকে সাগরপাড়ে আয়াতের বাবার আহাজারি দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন ভিড় করা লোকজন। ভিড় করা সকলের মুখে যেন ক্রোধের অগ্নিমশাল। অনেকে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেন।
আয়াতের বাবা সোহেল রানার একটাই দাবি, যত দ্রুত খুনির ফাঁসি দেওয়া হোক। তিনি বলেন, ‘তা না হলে ওকে (আবিরকে) আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। আমরা ওকে ফাঁসি দেব।’ এ সময় তাঁকে জড়িয়ে বেশ কয়েকজনকে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায়।
ঘটনাস্থলে থাকা পিবিআই পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পিবিআইয়ের কাছে দেওয়া আসামির স্বীকারোক্তি মতে, আয়াতের খণ্ডিত মরদেহের মাথা ও পা পৃথক দুটি প্যাকেটে স্লুইসগেট সংলগ্ন একটি নালায় এবং দেহাবশেষ বাকি দুটি অংশ সাগরপাড়ে ফেলে দেওয়া হয়।
আমাদের ধারণা, স্রোতের টানে নালায় ফেলে দেওয়া দুটি অংশ ভেসে স্লুইসগেটে এসেছে। এর মধ্যে পা সদৃশ একটি অংশ আমরা বেলা ২টা ৪৫ মিনিটে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি অংশটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এখন জোয়ার চলছে। জোয়ার শেষে আমরা আবারও উদ্ধার অভিযানে নামবে।’
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মনোজ কুমার দে বলেন, ‘আয়াতের মরদেহের বিচ্ছিন্ন দুটি পা সদৃশ প্যাকেটটি কস্টটেপ মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। আমরা কয়েক দিন ধরেই এলাকাটিতে লাশের খণ্ডাংশের খোঁজ করে আসছিলাম।’
আয়াতের লাশের খণ্ডিত অংশটি উদ্ধারের পর মামলার তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর শিশু আয়াত ইপিজেড থানাধীন নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিসের সামনে থেকে নিখোঁজ হয়। শিশুটি তাঁর বাসা থেকে বেরিয়ে স্থানীয় মক্তবে পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল। ওই ঘটনায় শিশুটির বাবা সোহেল ইপিজেড থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। শিশু আয়াতের নিখোঁজের বিষয়ে পিবিআই তদন্ত করে আবির আলী নামে ১৯ বছর বয়সী তরুণের সম্পৃক্ততা পায়। অভিযুক্ত আবের শিশু আয়াতের পরিবারের মালিকানাধীন বাসার ভাড়াটিয়া। গত ২৫ নভেম্বর পিবিআই অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
তাঁর তথ্যের বরাত দিয়ে পিবিআই বলেছেন, শিশুটিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা উদ্দেশ্য ছিল খুনির। কিন্তু ঘটনার দিন তাঁর মোবাইলে থাকা সিমটি কাজ না করায় সে শিশুটির পরিবারকে ফোন দিতে পারছিল না। একটি পর্যায়ে শিশুটির চিৎকার করেন। পরদিন ১৬ নভেম্বর সকালে ভাড়া বাসাতেই শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর শিশুটির লাশ একটি ব্যাগে ভরে আবের তাঁদের ইপিজেডের পুরোনো ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়।
সেখানে সুযোগ বুঝে বাথরুমে আয়াতের লাশটি ৬ খণ্ড করে আলাদা ৬টি প্যাকেটে ভরা হয়। পরদিন ১৭ নভেম্বর তিনটি প্যাকেট ২০ ফুট গভীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন নালায় ও বাকি তিনটি প্যাকেট প্যাকেট সাগরে ফেলে আসে অভিযুক্ত আবের আলী।
এর আগে দুদিনের রিমান্ডে শেষে ফের সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় আসামি আবিরকে। গতকাল মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) আবিরের বাবা-মা ও বোনকেও রিমান্ডে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
নৃশংসতার বলি আয়াতকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ পুরো পরিবার। ১৬ দিন থেকে মেয়েকে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়েছেন বাবা সোহেল রানা। ঘুমহীন চোখে শুধুই মেয়ের ছবি ভাসছে তাঁর। একমাত্র মেয়ের কতশত স্মৃতির কথা মনে ভিড় করছে, এই বুঝি বাবা বলে ডাক দিল সোহেল রানাকে।
এরই মধ্যে আজ বুধবার (৩০ নভেম্বর) ২টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রামের ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী ঘাটের সাগরপাড় সংলগ্ন স্লুইসগেট থেকে আয়াতের মরদেহের অংশবিশেষ উদ্ধার করেছে পিবিআই। মেয়ের শরীরের অংশবিশেষ পেতে ছুটে আসেন বাবা সোহেল রানা।
এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাবা সোহেল রানা বলেন, ‘ওই (আবির) আমার মেয়েকে অনেক কষ্ট দিয়ে মেরেছে। আজকে ১৫ দিন ধরে আমার মেয়ে পানিতে ভাসছে। সে কত কষ্ট পাচ্ছে...। আমার মেয়ের আরও তিনটি অংশ রয়ে গেছে (উদ্ধার হয়নি)। আমার মেয়ের মাথাটা আছে। সেটা এখনো সুরক্ষিত আছে। সেগুলো পাওয়ার জন্য পিবিআইয়ের কাছে আবেদন করছি।’
এদিকে সাগরপাড়ে আয়াতের বাবার আহাজারি দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন ভিড় করা লোকজন। ভিড় করা সকলের মুখে যেন ক্রোধের অগ্নিমশাল। অনেকে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেন।
আয়াতের বাবা সোহেল রানার একটাই দাবি, যত দ্রুত খুনির ফাঁসি দেওয়া হোক। তিনি বলেন, ‘তা না হলে ওকে (আবিরকে) আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। আমরা ওকে ফাঁসি দেব।’ এ সময় তাঁকে জড়িয়ে বেশ কয়েকজনকে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায়।
ঘটনাস্থলে থাকা পিবিআই পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পিবিআইয়ের কাছে দেওয়া আসামির স্বীকারোক্তি মতে, আয়াতের খণ্ডিত মরদেহের মাথা ও পা পৃথক দুটি প্যাকেটে স্লুইসগেট সংলগ্ন একটি নালায় এবং দেহাবশেষ বাকি দুটি অংশ সাগরপাড়ে ফেলে দেওয়া হয়।
আমাদের ধারণা, স্রোতের টানে নালায় ফেলে দেওয়া দুটি অংশ ভেসে স্লুইসগেটে এসেছে। এর মধ্যে পা সদৃশ একটি অংশ আমরা বেলা ২টা ৪৫ মিনিটে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি অংশটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এখন জোয়ার চলছে। জোয়ার শেষে আমরা আবারও উদ্ধার অভিযানে নামবে।’
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মনোজ কুমার দে বলেন, ‘আয়াতের মরদেহের বিচ্ছিন্ন দুটি পা সদৃশ প্যাকেটটি কস্টটেপ মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। আমরা কয়েক দিন ধরেই এলাকাটিতে লাশের খণ্ডাংশের খোঁজ করে আসছিলাম।’
আয়াতের লাশের খণ্ডিত অংশটি উদ্ধারের পর মামলার তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর শিশু আয়াত ইপিজেড থানাধীন নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিসের সামনে থেকে নিখোঁজ হয়। শিশুটি তাঁর বাসা থেকে বেরিয়ে স্থানীয় মক্তবে পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল। ওই ঘটনায় শিশুটির বাবা সোহেল ইপিজেড থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। শিশু আয়াতের নিখোঁজের বিষয়ে পিবিআই তদন্ত করে আবির আলী নামে ১৯ বছর বয়সী তরুণের সম্পৃক্ততা পায়। অভিযুক্ত আবের শিশু আয়াতের পরিবারের মালিকানাধীন বাসার ভাড়াটিয়া। গত ২৫ নভেম্বর পিবিআই অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
তাঁর তথ্যের বরাত দিয়ে পিবিআই বলেছেন, শিশুটিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা উদ্দেশ্য ছিল খুনির। কিন্তু ঘটনার দিন তাঁর মোবাইলে থাকা সিমটি কাজ না করায় সে শিশুটির পরিবারকে ফোন দিতে পারছিল না। একটি পর্যায়ে শিশুটির চিৎকার করেন। পরদিন ১৬ নভেম্বর সকালে ভাড়া বাসাতেই শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর শিশুটির লাশ একটি ব্যাগে ভরে আবের তাঁদের ইপিজেডের পুরোনো ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়।
সেখানে সুযোগ বুঝে বাথরুমে আয়াতের লাশটি ৬ খণ্ড করে আলাদা ৬টি প্যাকেটে ভরা হয়। পরদিন ১৭ নভেম্বর তিনটি প্যাকেট ২০ ফুট গভীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন নালায় ও বাকি তিনটি প্যাকেট প্যাকেট সাগরে ফেলে আসে অভিযুক্ত আবের আলী।
এর আগে দুদিনের রিমান্ডে শেষে ফের সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় আসামি আবিরকে। গতকাল মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) আবিরের বাবা-মা ও বোনকেও রিমান্ডে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
৯ ঘণ্টা আগেচাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
৩ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪