লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে জোড়া খুনের মামলায় গ্রেপ্তার সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত আসামি আলমগীর হোসেন ওরফে কদু আলমগীর আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লক্ষ্মীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল কবিরের আদালতে এই জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত আরেক আসামি দেওয়ান ফয়সালও হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ নিয়ে এই মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি দায় স্বীকার করেছেন। এখন পর্যন্ত জোড়া খুনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ১১ জন। তবে ধরা ছোঁয়ারে বাইরে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী প্রধান আসামি আবুল কাশেম জিহাদী।
রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, ‘লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুরে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের মামলার অন্যতম আসামি কিলিংয়ে অংশ নেওয়া সিসিটিভি ফুটেজে চিহ্নিত আটজনের মধ্যে আলমগীর হোসেন ওরফে কদু আলমগীর অন্যতম। সে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালত ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল কবিরের আদালতে জবানবন্দি দেন ঘাতক দেওয়ান ফয়সাল।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘জবানবন্দিতে আসামি আলমগীর হোসেন ওরফে কদু আলমগীর জানান, আবুল কাশেম জিহাদীর নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কীভাবে গুলি করে দুজনকে হত্যা করা হয়, সে লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনাও দেন তিনি। পাশাপাশি কতজন এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ডে ছিল এবং কারা জড়িত ছিল, কত দিন আগে হত্যার পরিকল্পনা ছিল সব উঠে এসেছে তার জবানবন্দিতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই স্বীকারোক্তির মাধ্যমে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন শুরু হয়েছে। অচিরেই এই চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের রহস্য উদ্ঘাটন হবে। এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার হয়েছে। তার মধ্যে পাঁচজন রিমান্ডে রয়েছে। দুই আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। বাকিরা কারাগারে রয়েছে।’ পাশাপাশি মামলার প্রধান আসামি আবুল কাশেম জিহাদীসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ, গত ২৫ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার এলাকায় জেলা যুবলীগের নেতা নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে গুলি করে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে যায় তারা। পরে ঘটনাস্থল গিয়ে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক যুবলীগের নেতা নোমানকে মৃত ঘোষণা করেন। ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান।
পরের দিন ২৬ এপ্রিল রাত ১টার দিকে নিহত নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম জিহাদীকে প্রধান করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পর থেকে র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরে জোড়া খুনের মামলায় গ্রেপ্তার সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত আসামি আলমগীর হোসেন ওরফে কদু আলমগীর আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লক্ষ্মীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল কবিরের আদালতে এই জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত আরেক আসামি দেওয়ান ফয়সালও হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ নিয়ে এই মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি দায় স্বীকার করেছেন। এখন পর্যন্ত জোড়া খুনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ১১ জন। তবে ধরা ছোঁয়ারে বাইরে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী প্রধান আসামি আবুল কাশেম জিহাদী।
রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, ‘লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুরে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের মামলার অন্যতম আসামি কিলিংয়ে অংশ নেওয়া সিসিটিভি ফুটেজে চিহ্নিত আটজনের মধ্যে আলমগীর হোসেন ওরফে কদু আলমগীর অন্যতম। সে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালত ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল কবিরের আদালতে জবানবন্দি দেন ঘাতক দেওয়ান ফয়সাল।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘জবানবন্দিতে আসামি আলমগীর হোসেন ওরফে কদু আলমগীর জানান, আবুল কাশেম জিহাদীর নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কীভাবে গুলি করে দুজনকে হত্যা করা হয়, সে লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনাও দেন তিনি। পাশাপাশি কতজন এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ডে ছিল এবং কারা জড়িত ছিল, কত দিন আগে হত্যার পরিকল্পনা ছিল সব উঠে এসেছে তার জবানবন্দিতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই স্বীকারোক্তির মাধ্যমে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন শুরু হয়েছে। অচিরেই এই চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের রহস্য উদ্ঘাটন হবে। এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার হয়েছে। তার মধ্যে পাঁচজন রিমান্ডে রয়েছে। দুই আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। বাকিরা কারাগারে রয়েছে।’ পাশাপাশি মামলার প্রধান আসামি আবুল কাশেম জিহাদীসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ, গত ২৫ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার এলাকায় জেলা যুবলীগের নেতা নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে গুলি করে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে যায় তারা। পরে ঘটনাস্থল গিয়ে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক যুবলীগের নেতা নোমানকে মৃত ঘোষণা করেন। ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান।
পরের দিন ২৬ এপ্রিল রাত ১টার দিকে নিহত নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম জিহাদীকে প্রধান করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পর থেকে র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৩ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১২ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫