ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসে খুন হয় কিশোর জাহিদুল ইসলাম (১৬)। পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জাহিদুলের বড় ভাই এর আগে এক আসামিকে নারী নির্যাতনের মামলায় পুলিশকে ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তারই প্রতিশোধ নিতে জাহিদকে হত্যা করেন তাঁরা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইকবাল হোছাইন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইকবাল হোছাইন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের দক্ষিণ জাগৎসার গ্রামের এলাছ মিয়ার চার ছেলের মধ্যে জাহিদুলসহ তিন ছেলে চট্টগ্রামের একটি বেকারিতে কাজ করেন। ১৭ রমজানে ছুটিতে বাড়িতে আসে জাহিদুল। ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন সকালে সুলতানপুরে একটি পুকুরে জাহিদুলের বীভৎস মরদেহ পাওয়া যায়। জাহিদুলকে গলা কেটে, বুক ও পেটে ছুরিকাঘাত করে ভুঁড়ি বের করে ফেলা হয়। দুই হাতের কবজির রগ ও গোপনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়। দুই কানের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত কেটে ফেলা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইকবাল হোছাইন জানান, লাশ উদ্ধারের তদন্তে নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা-পুলিশ। প্রযুক্তির সহায়তায় দক্ষিণ জগৎসার গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন হোসেন। তাঁর দেওয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে পলাতক একই গ্রামের নজরুল ইসলাম (৪৪) ও সিয়াম (১৫) নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের আজ বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, মূলত পূর্ববিরোধের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড। প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছেন, জাহিদুলের পরিবারের সঙ্গে পূর্ববিরোধ ছিল মোহাম্মদ হোসেনের। দীর্ঘদিন আগে একটি নারী নির্যাতনের মামলায় মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। মোহাম্মদ হোসেনকে পুলিশ খুঁজছিল। হোসেনকে ধরতে জাহিদুলের বড় ভাই সানাউল পুলিশকে সহায়তা করেছিলেন। এ থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন মোহাম্মদ হোসেন। ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্থানীয় কিশোর মো. সিয়ামকে দিয়ে কৌশলে সানাউলের ছোট ভাই জাহিদুলকে ডেকে আনেন মোহাম্মদ হোসেন। পরে সুলতানপুরের একটি পুকুরের পাড়ে নিয়ে মোহাম্মদ হোসেন ও তাঁর বন্ধু নজরুল ইসলামসহ আরও দুজন মিলে জাহিদুল ইসলামকে নির্মমভাবে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসে খুন হয় কিশোর জাহিদুল ইসলাম (১৬)। পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জাহিদুলের বড় ভাই এর আগে এক আসামিকে নারী নির্যাতনের মামলায় পুলিশকে ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তারই প্রতিশোধ নিতে জাহিদকে হত্যা করেন তাঁরা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইকবাল হোছাইন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইকবাল হোছাইন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের দক্ষিণ জাগৎসার গ্রামের এলাছ মিয়ার চার ছেলের মধ্যে জাহিদুলসহ তিন ছেলে চট্টগ্রামের একটি বেকারিতে কাজ করেন। ১৭ রমজানে ছুটিতে বাড়িতে আসে জাহিদুল। ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন সকালে সুলতানপুরে একটি পুকুরে জাহিদুলের বীভৎস মরদেহ পাওয়া যায়। জাহিদুলকে গলা কেটে, বুক ও পেটে ছুরিকাঘাত করে ভুঁড়ি বের করে ফেলা হয়। দুই হাতের কবজির রগ ও গোপনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়। দুই কানের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত কেটে ফেলা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইকবাল হোছাইন জানান, লাশ উদ্ধারের তদন্তে নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা-পুলিশ। প্রযুক্তির সহায়তায় দক্ষিণ জগৎসার গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন হোসেন। তাঁর দেওয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে পলাতক একই গ্রামের নজরুল ইসলাম (৪৪) ও সিয়াম (১৫) নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের আজ বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, মূলত পূর্ববিরোধের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড। প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছেন, জাহিদুলের পরিবারের সঙ্গে পূর্ববিরোধ ছিল মোহাম্মদ হোসেনের। দীর্ঘদিন আগে একটি নারী নির্যাতনের মামলায় মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। মোহাম্মদ হোসেনকে পুলিশ খুঁজছিল। হোসেনকে ধরতে জাহিদুলের বড় ভাই সানাউল পুলিশকে সহায়তা করেছিলেন। এ থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন মোহাম্মদ হোসেন। ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্থানীয় কিশোর মো. সিয়ামকে দিয়ে কৌশলে সানাউলের ছোট ভাই জাহিদুলকে ডেকে আনেন মোহাম্মদ হোসেন। পরে সুলতানপুরের একটি পুকুরের পাড়ে নিয়ে মোহাম্মদ হোসেন ও তাঁর বন্ধু নজরুল ইসলামসহ আরও দুজন মিলে জাহিদুল ইসলামকে নির্মমভাবে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগেবৈবাহিক জীবনে টানাপোড়েন, তাতে যুক্ত হয় সন্দেহ। সেই সন্দেহই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাসলিমা আক্তারের জীবনে। রাজধানীর কলাবাগানে স্বামীর দায়ের কোপে হয়েছেন খুন। হত্যার পর স্ত্রীর লাশ ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন নজরুল ইসলাম।
৫ দিন আগেদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা নিষ্পত্তির আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলার শুনানি শেষে ২০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রায়ের দিন নির্ধারণ করেন।
৭ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে প্রতারণা, ভারতে সোনা চোরাচালান এবং ৬০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সিআইডি। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় এই মামলা করে।
১৯ দিন আগে