ফেনী প্রতিনিধি
গত শনিবার (৩ নভেম্বর) সকালে ফেনী মডেল থানায় ডিএসবি শাখার উপপরিদর্শকের (এসআই) মো. আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন এক শিক্ষিকা। মামলার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন ওই পুলিশের এসআই। মামলার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, পুলিশে চাকরি করার সুবাদে আসামিকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসআই আলা উদ্দিন কক্সবাজার সদরের লামাছি পাড়ার কাশেম উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকার উত্তরা এসবি শাখায় একটি প্রশিক্ষণে যোগদান করার কথা থাকলেও সেখানে তিনি নেই। পাশাপাশি তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে আইনের আওতায় আনতে সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। কিন্তু তাঁর খোঁজ মিলছে না।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘পুলিশে চাকরি করার সুবাদে আসামিকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। মামলার পরই পুলিশ চাইলে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারত কিন্তু করেনি। এখন আমি জানতে পেরেছি এসআই আলাউদ্দিন ঢাকাতেই রয়েছেন এবং বিদেশ পাড়ি দিতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তাকেও জানিয়েছি। আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় আতঙ্কে আছি এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
তবে এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘মামলাটি হওয়ার পর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আইনে যা রয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ওই শিক্ষিকার মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মামলা তদন্তাধীন থাকায় এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারছি না।’
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। আইন সবার জন্য সমান, তাই পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর ছাড় পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালে একটি যৌন হয়রানির ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা। এ ঘটনায় তৎকালীন সময়ে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার হয় ফেনী মডেল থানার এসআই আলাউদ্দিনকে। এরপর শিক্ষিকার সঙ্গে এসআইয়ের নিয়মিত যোগাযোগ রাখার সুবাদে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর এসআই আলাউদ্দিন প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের একটি কাজী অফিসে ওই শিক্ষিকাকে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ে করলেও স্ত্রী মর্যাদা দিতেন না এসআই। স্ত্রীর মর্যাদা এবং সামাজিক স্বীকৃতির কথা বললে বিভিন্ন টালবাহানা দেখাতেন।
দাম্পত্য জীবন চলমান থাকা অবস্থায় ২০২১ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই নারী বুঝতে পারেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি জানালে রেগে গিয়ে এসআই আলাউদ্দিন তাঁকে মারধর করেন। এ ছাড়া ওষুধ সেবন পর গর্ভপাত করেন। এতে ওই নারীকে বাচ্চার মা হওয়া থেকে বঞ্চিত হন। এই ঘটনার পর তিনি মানসিক এবং শারীরিকভাবে পুরোপুরি ভেঙে পড়েন। পরে স্ত্রীর স্বীকৃতির জন্য বেশি চাপ দিলে এসআই আলাউদ্দিন বিগত ২১ সালের ৩ মার্চ চট্টগ্রামের সেই কাজী অফিসে গিয়ে তালাক দেন। এ ব্যাপারে প্রতিবাদ না করে মানসম্মানের ভয়ে চুপ থাকেন ওই নারী।
কিন্তু গত এক থেকে দেড় মাস পর ওই শিক্ষিকাকে আবারও বিরক্ত করা শুরু করেন আলাউদ্দিন। এরই মধ্যে তাঁর সঙ্গে সকল যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেন ওই নারী। কিন্তু ওই নারী বাসা থেকে বের হলে তাঁর পেছনে বাইক নিয়ে ফলো করেন ওই আলাউদ্দিন। এরপর ওই নারীর ঠিকানা নেওয়া, কললিস্ট বের করা এবং রাস্তায় চলার সময় রিকশা থামিয়ে রিকশাওয়ালাকে গালমন্দ করেন। ওই নারীর বাসার সামনে এসে দাঁড়িয়ে থাকা শুরু করে এবং তাঁকে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকেন। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তা ভেবে তিনি নিরুপায় ছিলেন।
চলতি বছরের ১২ নভেম্বর রাত ১০টার সময় জোর করে ওই নারীর শহরের বাসায় প্রবেশ করে নারীকে ধর্ষণ করেন আলাউদ্দিন। একপর্যায়ে বিষয়টি কাউকে বললে প্রাণে মারার এবং মোবাইলে ভিডিও তুলে সেটি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দেন। একইভাবে ২৩ নভেম্বর দুপুর ৩টায় ওই নারীর স্থানান্তরকৃত নতুন বাসার ১১ তলার ফ্ল্যাটে এসে জোর করে ঘরে ঢোকেন। এ সময় ভুক্তভোগী চিৎকার করলে গলা টিপে ধরেন এবং হত্যার ভয় দেখিয়ে ফের ধর্ষণ করেন। এ সময় আত্মরক্ষার্থে ওই নারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে আবারও ধর্ষণের ঘটনা কাউকে বললে আবারও হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দেন এসআই আলাউদ্দিন। এরপর গত শনিবার (৩ নভেম্বর) সকালে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ওই শিক্ষিকা।
গত শনিবার (৩ নভেম্বর) সকালে ফেনী মডেল থানায় ডিএসবি শাখার উপপরিদর্শকের (এসআই) মো. আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন এক শিক্ষিকা। মামলার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন ওই পুলিশের এসআই। মামলার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, পুলিশে চাকরি করার সুবাদে আসামিকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসআই আলা উদ্দিন কক্সবাজার সদরের লামাছি পাড়ার কাশেম উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকার উত্তরা এসবি শাখায় একটি প্রশিক্ষণে যোগদান করার কথা থাকলেও সেখানে তিনি নেই। পাশাপাশি তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে আইনের আওতায় আনতে সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। কিন্তু তাঁর খোঁজ মিলছে না।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘পুলিশে চাকরি করার সুবাদে আসামিকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। মামলার পরই পুলিশ চাইলে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারত কিন্তু করেনি। এখন আমি জানতে পেরেছি এসআই আলাউদ্দিন ঢাকাতেই রয়েছেন এবং বিদেশ পাড়ি দিতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তাকেও জানিয়েছি। আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় আতঙ্কে আছি এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
তবে এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘মামলাটি হওয়ার পর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আইনে যা রয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ওই শিক্ষিকার মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মামলা তদন্তাধীন থাকায় এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারছি না।’
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। আইন সবার জন্য সমান, তাই পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর ছাড় পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালে একটি যৌন হয়রানির ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা। এ ঘটনায় তৎকালীন সময়ে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার হয় ফেনী মডেল থানার এসআই আলাউদ্দিনকে। এরপর শিক্ষিকার সঙ্গে এসআইয়ের নিয়মিত যোগাযোগ রাখার সুবাদে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর এসআই আলাউদ্দিন প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের একটি কাজী অফিসে ওই শিক্ষিকাকে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ে করলেও স্ত্রী মর্যাদা দিতেন না এসআই। স্ত্রীর মর্যাদা এবং সামাজিক স্বীকৃতির কথা বললে বিভিন্ন টালবাহানা দেখাতেন।
দাম্পত্য জীবন চলমান থাকা অবস্থায় ২০২১ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই নারী বুঝতে পারেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি জানালে রেগে গিয়ে এসআই আলাউদ্দিন তাঁকে মারধর করেন। এ ছাড়া ওষুধ সেবন পর গর্ভপাত করেন। এতে ওই নারীকে বাচ্চার মা হওয়া থেকে বঞ্চিত হন। এই ঘটনার পর তিনি মানসিক এবং শারীরিকভাবে পুরোপুরি ভেঙে পড়েন। পরে স্ত্রীর স্বীকৃতির জন্য বেশি চাপ দিলে এসআই আলাউদ্দিন বিগত ২১ সালের ৩ মার্চ চট্টগ্রামের সেই কাজী অফিসে গিয়ে তালাক দেন। এ ব্যাপারে প্রতিবাদ না করে মানসম্মানের ভয়ে চুপ থাকেন ওই নারী।
কিন্তু গত এক থেকে দেড় মাস পর ওই শিক্ষিকাকে আবারও বিরক্ত করা শুরু করেন আলাউদ্দিন। এরই মধ্যে তাঁর সঙ্গে সকল যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেন ওই নারী। কিন্তু ওই নারী বাসা থেকে বের হলে তাঁর পেছনে বাইক নিয়ে ফলো করেন ওই আলাউদ্দিন। এরপর ওই নারীর ঠিকানা নেওয়া, কললিস্ট বের করা এবং রাস্তায় চলার সময় রিকশা থামিয়ে রিকশাওয়ালাকে গালমন্দ করেন। ওই নারীর বাসার সামনে এসে দাঁড়িয়ে থাকা শুরু করে এবং তাঁকে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকেন। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তা ভেবে তিনি নিরুপায় ছিলেন।
চলতি বছরের ১২ নভেম্বর রাত ১০টার সময় জোর করে ওই নারীর শহরের বাসায় প্রবেশ করে নারীকে ধর্ষণ করেন আলাউদ্দিন। একপর্যায়ে বিষয়টি কাউকে বললে প্রাণে মারার এবং মোবাইলে ভিডিও তুলে সেটি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দেন। একইভাবে ২৩ নভেম্বর দুপুর ৩টায় ওই নারীর স্থানান্তরকৃত নতুন বাসার ১১ তলার ফ্ল্যাটে এসে জোর করে ঘরে ঢোকেন। এ সময় ভুক্তভোগী চিৎকার করলে গলা টিপে ধরেন এবং হত্যার ভয় দেখিয়ে ফের ধর্ষণ করেন। এ সময় আত্মরক্ষার্থে ওই নারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে আবারও ধর্ষণের ঘটনা কাউকে বললে আবারও হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দেন এসআই আলাউদ্দিন। এরপর গত শনিবার (৩ নভেম্বর) সকালে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ওই শিক্ষিকা।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৫ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৪ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫