চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্যের বাসভবন, বাসসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দুই মামলায় সাতজন করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা দুটির এজাহার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১৪ জন আসামির অন্তত ১২ জন শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন উপগ্রুপের নেতা–কর্মী। তাঁদের মধ্যে সিএফসি গ্রুপের ৫ জন, সিক্সটি নাইন গ্রুপের ৬ জন ও বিজয় গ্রুপের ১ জন অনুসারী রয়েছেন বলে ছাত্রলীগ সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া মামলার এজাহারে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে মামলা দুটির এজাহারের কপি আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। এর আগে গত শনিবার রাতে উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মো. আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে একটি মামলা ও পরিবহন দপ্তরে ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কেএমনুর আহমদ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন।
উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুরের ঘটনায় দণ্ডবিধি ১৪৩,৪৪৭, ৪৪৮,৩৮৫, ৩২৩,৩০৭, ৩৭৯,৪২৭, ৪৩৫ ও ৫০৬ (২) / ৩৪ ধারায় করা মামলাটিতে চবির সাত ছাত্রকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় আসামিরা হলেন—ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল হোসেন আইমুন, সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থী দীপন বণিক দীপ্ত, শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রিয়াদ হাসান রাব্বি, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নুর মোহাম্মদ মান্না, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভ ভূঁইয়া, পালি বিভাগের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম এবং পদার্থবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম। মামলাটিতে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০০ থেকে ৬০০ চবি শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে।
এই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা গত ৪ সেপ্টেম্বর উপাচার্যের বাসভবনে যান। সেখানে উপাচার্যকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বাসার কেয়ারটেকার মেহেদী হাসানকে জানান, চবিতে চলমান উন্নয়নমূলক প্রকল্প থেকে তাঁদের ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। এই টাকা না পেয়ে আসামিরা চবির শাটল ট্রেনের দুর্ঘটনাকে পুঁজি করে গত ৭ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসে তাণ্ডব চালিয়ে ক্ষয়ক্ষতি করেন। এ সময় তাঁরা উপাচার্যের বাসভবনের নিরাপত্তা প্রহরীদেরও মারধর করেন।
পরিবহন দপ্তরে ভাঙচুরের ঘটনায় দণ্ডবিধি ১৪৩,৩৪১, ৪৪৭,৪৪৮, ৩৮৫,৪২৭, ৪৩৫,৩৭৯, ৫০৬ (২) / ৩৪ ধারায় হওয়া মামলাটিতে সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এই মামলায় আসামিরা হলেন—দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন, পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ইমরান নাজির ইমন, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আনিছুর রহমান, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী নাসির উদ্দিন মো. সিফাত উল্লাহ, সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থী অনিক দাশ, বাংলা বিভাগের দুই শিক্ষার্থী অনিরুদ্ধ বিশ্বাস ও মো. আজিমুজ্জামান। এ মামলাটিতেও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪০০ থেকে ৫০০ শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ৫ সেপ্টেম্বর পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক মো. আশরাফ উদ্দিনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এই টাকা না পেয়ে তাঁরা চবির শাটল ট্রেনের দুর্ঘটনাকে পুঁজি করে গত ৭ সেপ্টেম্বর চবিতে তাণ্ডব চালিয়ে ক্ষয়ক্ষতি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ইকবাল হোসেন টিপু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে অনেকে জানিয়েছে, তারা আন্দোলনে ছিল, আন্দোলন থামিয়েছে, তাদেরও আসামি করা হয়েছে। আবার অনেকে অপরাধ করেছে, কিন্তু তাদের আসামি করা হয় নাই। এটা প্রশাসনের একটা গ্যাম্বলিংয়ের (পাশা খেলা) অংশ। অনেকে মাস্ক পরে হামলা করেছে। তাদের খুঁজে বের করা হয়নি। এটা অন্য মতাদর্শের কাউকে ছাড় দেওয়ার জন্য করা হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটা নিয়ে একটা ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনে সব সময় পাশে থাকে। এখানে যৌক্তিক আন্দোলনে থাকতে গিয়ে যদি ছাত্রলীগকে ভুক্তভোগী হতে হয় তাহলে সেখানে অবশ্যই আমরা প্রতিবাদ করব।’
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘যারা ভাঙচুর করেছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিরপরাধ কাউকে ভিকটিম করা হলে শিক্ষার্থীরা মেনে নিবে না।’
ভাঙচুর জড়িতদের শাস্তি চান শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও সিএফসি গ্রুপের একাংশের নেতা সাদাফ খানও। তিনি বলেন, ‘যারা জিরো পয়েন্টে আন্দোলনে গেছে সেটা কোনো অন্যায় না। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ ভাঙচুর করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু আমাদের দাবি সঠিক তদন্ত করা হোক, সিসিটিভি ফুটেজগুলো প্রকাশ করা হোক।’
শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিজয় গ্রুপের নেতা মো. ইলিয়াস বলেন, ‘আমার যে অনুসারীর নাম মামলায় দেওয়া হয়েছে, সে রোগী নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে গিয়েছে। সেখানে সিসি ফুটেজ দেখলে এটা প্রমাণ হবে। আমার মনে হয়, ভুলে করে না হয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে ফাঁসানোর জন্য তার নাম দেওয়া হয়েছে।’
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। মামলার অন্যান্য কার্যক্রম চলছে।’
গত বৃহস্পতিবার রাতে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী রাত সাড়ে ৮টার শাটল ট্রেনের ছাদে হেলে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কায় ১৭ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে পৌঁছানোর পর শিক্ষার্থীরা ফটক আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু চেয়ার ও পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালাতে দেখা যায়। পরে একজনের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের দিকে যান। একপর্যায়ে উপাচার্যের তিনতলা বাসভবনে ভাঙচুর শুরু করেন। ফুলের টব থেকে শুরু করে বিভিন্ন আসবাব, কক্ষ, জানালা ভেঙে ফেলেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। আসবাব বের করে উঠানে জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।
উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর করার পরপরই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পরিবহন দপ্তরে মিছিল নিয়ে যান। সেখানে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য রাখা অন্তত ৭০টি বাস ভাঙচুর করেন। পরে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক ক্লাবের কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্যের বাসভবন, বাসসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দুই মামলায় সাতজন করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা দুটির এজাহার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১৪ জন আসামির অন্তত ১২ জন শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন উপগ্রুপের নেতা–কর্মী। তাঁদের মধ্যে সিএফসি গ্রুপের ৫ জন, সিক্সটি নাইন গ্রুপের ৬ জন ও বিজয় গ্রুপের ১ জন অনুসারী রয়েছেন বলে ছাত্রলীগ সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া মামলার এজাহারে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে মামলা দুটির এজাহারের কপি আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। এর আগে গত শনিবার রাতে উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মো. আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে একটি মামলা ও পরিবহন দপ্তরে ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কেএমনুর আহমদ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন।
উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুরের ঘটনায় দণ্ডবিধি ১৪৩,৪৪৭, ৪৪৮,৩৮৫, ৩২৩,৩০৭, ৩৭৯,৪২৭, ৪৩৫ ও ৫০৬ (২) / ৩৪ ধারায় করা মামলাটিতে চবির সাত ছাত্রকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় আসামিরা হলেন—ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল হোসেন আইমুন, সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থী দীপন বণিক দীপ্ত, শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রিয়াদ হাসান রাব্বি, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নুর মোহাম্মদ মান্না, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভ ভূঁইয়া, পালি বিভাগের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম এবং পদার্থবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম। মামলাটিতে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০০ থেকে ৬০০ চবি শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে।
এই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা গত ৪ সেপ্টেম্বর উপাচার্যের বাসভবনে যান। সেখানে উপাচার্যকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বাসার কেয়ারটেকার মেহেদী হাসানকে জানান, চবিতে চলমান উন্নয়নমূলক প্রকল্প থেকে তাঁদের ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। এই টাকা না পেয়ে আসামিরা চবির শাটল ট্রেনের দুর্ঘটনাকে পুঁজি করে গত ৭ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসে তাণ্ডব চালিয়ে ক্ষয়ক্ষতি করেন। এ সময় তাঁরা উপাচার্যের বাসভবনের নিরাপত্তা প্রহরীদেরও মারধর করেন।
পরিবহন দপ্তরে ভাঙচুরের ঘটনায় দণ্ডবিধি ১৪৩,৩৪১, ৪৪৭,৪৪৮, ৩৮৫,৪২৭, ৪৩৫,৩৭৯, ৫০৬ (২) / ৩৪ ধারায় হওয়া মামলাটিতে সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এই মামলায় আসামিরা হলেন—দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন, পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ইমরান নাজির ইমন, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আনিছুর রহমান, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী নাসির উদ্দিন মো. সিফাত উল্লাহ, সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থী অনিক দাশ, বাংলা বিভাগের দুই শিক্ষার্থী অনিরুদ্ধ বিশ্বাস ও মো. আজিমুজ্জামান। এ মামলাটিতেও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪০০ থেকে ৫০০ শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ৫ সেপ্টেম্বর পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক মো. আশরাফ উদ্দিনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এই টাকা না পেয়ে তাঁরা চবির শাটল ট্রেনের দুর্ঘটনাকে পুঁজি করে গত ৭ সেপ্টেম্বর চবিতে তাণ্ডব চালিয়ে ক্ষয়ক্ষতি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ইকবাল হোসেন টিপু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে অনেকে জানিয়েছে, তারা আন্দোলনে ছিল, আন্দোলন থামিয়েছে, তাদেরও আসামি করা হয়েছে। আবার অনেকে অপরাধ করেছে, কিন্তু তাদের আসামি করা হয় নাই। এটা প্রশাসনের একটা গ্যাম্বলিংয়ের (পাশা খেলা) অংশ। অনেকে মাস্ক পরে হামলা করেছে। তাদের খুঁজে বের করা হয়নি। এটা অন্য মতাদর্শের কাউকে ছাড় দেওয়ার জন্য করা হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটা নিয়ে একটা ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনে সব সময় পাশে থাকে। এখানে যৌক্তিক আন্দোলনে থাকতে গিয়ে যদি ছাত্রলীগকে ভুক্তভোগী হতে হয় তাহলে সেখানে অবশ্যই আমরা প্রতিবাদ করব।’
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘যারা ভাঙচুর করেছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিরপরাধ কাউকে ভিকটিম করা হলে শিক্ষার্থীরা মেনে নিবে না।’
ভাঙচুর জড়িতদের শাস্তি চান শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও সিএফসি গ্রুপের একাংশের নেতা সাদাফ খানও। তিনি বলেন, ‘যারা জিরো পয়েন্টে আন্দোলনে গেছে সেটা কোনো অন্যায় না। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ ভাঙচুর করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু আমাদের দাবি সঠিক তদন্ত করা হোক, সিসিটিভি ফুটেজগুলো প্রকাশ করা হোক।’
শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিজয় গ্রুপের নেতা মো. ইলিয়াস বলেন, ‘আমার যে অনুসারীর নাম মামলায় দেওয়া হয়েছে, সে রোগী নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে গিয়েছে। সেখানে সিসি ফুটেজ দেখলে এটা প্রমাণ হবে। আমার মনে হয়, ভুলে করে না হয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে ফাঁসানোর জন্য তার নাম দেওয়া হয়েছে।’
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। মামলার অন্যান্য কার্যক্রম চলছে।’
গত বৃহস্পতিবার রাতে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী রাত সাড়ে ৮টার শাটল ট্রেনের ছাদে হেলে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কায় ১৭ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে পৌঁছানোর পর শিক্ষার্থীরা ফটক আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু চেয়ার ও পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালাতে দেখা যায়। পরে একজনের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের দিকে যান। একপর্যায়ে উপাচার্যের তিনতলা বাসভবনে ভাঙচুর শুরু করেন। ফুলের টব থেকে শুরু করে বিভিন্ন আসবাব, কক্ষ, জানালা ভেঙে ফেলেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। আসবাব বের করে উঠানে জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।
উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর করার পরপরই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পরিবহন দপ্তরে মিছিল নিয়ে যান। সেখানে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য রাখা অন্তত ৭০টি বাস ভাঙচুর করেন। পরে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক ক্লাবের কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করেন।
রাজধানীর মিরপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইমরান খান সাকিব ওরফে শাকিল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। ডিএমপি জানায়, শাকিল পেশাদার ছিনতাইকারী। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে গাজীপুরের পুবাইল থানার কুদাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
৬ দিন আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘আপন কফি হাউসে’ তরুণীকে মারধরের ঘটনায় কফি হাউসের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
৯ দিন আগেক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ল অমানবিক দৃশ্য— মেয়েটিকে বেশ কিছুক্ষণ ধমকানো হলো। এরপর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে যেন মানুষ নয়, পথের ধুলো। এর মধ্যেই এক কর্মচারী হঠাৎ মোটা লাঠি নিয়ে আঘাত করে তাঁর ছোট্ট পায়ে। শিশুটি কাতরাতে কাতরাতে পাশের দুটি গাড়ির ফাঁকে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নির্যাতন থামে না, সেই লাঠি আব
১০ দিন আগেটিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপরাধকে লঘু করার কোনো...
১৬ মার্চ ২০২৫