জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম

৬৯ লাখ ৭ হাজার ৪৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার আসামি ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন ‘অবৈধ অর্থে গড়া’ পাঁচতলা বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন। সম্পদ বিক্রি করে তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। কাউন্টার টেররিজমের হাতে মঙ্গলবার রাতে তিনি গ্রেপ্তার হন।
২০২১ সালে জেল থেকে বের হওয়ার পর মাঝেমধ্যে অফিসেও যেতেন সাময়িক চাকরিচ্যুত জয়নাল। প্রতি মাসে ১৪ হাজার টাকা বেতনও পেতেন। যোগাযোগ ছিল নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, কাউন্সিলর ও পাসপোর্ট অফিসের চক্রের সঙ্গে, যাঁদের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে করতেন ভোটার, পাসপোর্ট ও জন্মনিবন্ধন।
অবৈধ সুযোগ নিয়ে দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জয়নালকে তাঁর সম্পদ বিক্রির সুযোগ দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে এত অবৈধ সম্পদ পেয়েও সেসব কেন দুদক জব্দ করেনি, সেই প্রশ্ন সামনে আসছে এখন। এমনকি জয়নালের তিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বারবার বদলি হওয়া নিয়ে দুদকের ওপর ক্ষোভ ঝাড়ছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী।
আখতার কবির বলেন, ‘১৬৪ ধারায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি জয়নাল স্বীকার করেছেন বলে মিডিয়ায় এসেছে। তাঁর তো জামিন হওয়ারও কথা না। দুদকের মামলায় অবৈধ সম্পদের টাকায় পাঁচতলা বাড়ি করার প্রমাণও মিলেছে। ব্যাংকের অবৈধ টাকা ফ্রিজ না করে বাড়িসহ অবৈধ আয়ে অর্জিত স্থাবর সম্পদ দুদক হেফাজতে না নিয়ে মারাত্মক গাফিলতি করেছে। এই মামলায় তৎপর না হওয়া মানে দুদকের কর্মকর্তারাই দুর্নীতিতে জড়িত। দুদকের এখনই উচিত জয়নাল যাতে বিদেশ যেতে না পারেন, সে জন্য পাসপোর্ট জব্দ করা। যেহেতু মামলা চলমান, তাই আদালত থেকে সম্পদ হেফাজতের আদেশ দ্রুত নিয়ে দুদকের উচিত তাঁর সব সম্পদ ক্রোক করা।’
২০১৯ সালে রোহিঙ্গা নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে দুদক তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটিতে তাঁকে এক নম্বর আসামি করা হয়। মামলা দুটি হলো—দুদক চট্টগ্রাম ২, মামলা নম্বর ১, ১ (১২) ১৯। এই মামলার বাদী তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী, যাকে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম থেকে বদলি করা হয়।
এরপর মামলার তদন্তভার পান চট্টগ্রাম দুদকের আরেক কর্মকর্তা রতন কুমার দাশ। তাঁকেও বদলি করা হয়। আরেকটি মামলা হলো ৪৭/ ১৯। এটির বাদী ছিলেন দুদক থেকে রাঘববোয়ালের রোষে চাকরি হারানো আলোচিত কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন। এখন এই মামলার তদন্ত করছেন দুদকের সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুদক চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার পৌর এলাকার আশকরিয়াপাড়ায় তার পাঁচতলা ভবনের সন্ধান পায়, যেটি অবৈধ টাকায় তৈরি বলে দুদকের মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের ১ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় চট্টগ্রামে এমএলএসএস পদে যোগদান করেন জয়নাল। তখন মাসিক বেতন পেতেন ৫ হাজার ৯৬০ টাকা। ২০১৯ সালে গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত তিনি বেতন পেতেন ১৩ হাজার ৯০০ টাকা। চাকরিতে যোগদান থেকে শুরু করে ২০১৯ সালের মামলার আগ পর্যন্ত বেতন পান ২২ লাখ ৪৬ হাজার ৯০০ টাকা। ওই বেতনই জয়নালের একমাত্র আয়ের উৎস। তাঁর নামে কোনো আয়কর নথিও নেই। বেতনের ৮০ ভাগ পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য খরচ বাদ দিলে খরচ হয় ১৭ লাখ ৯৭ হাজার ৫২০ টাকা। তাঁর কাছে থাকার কথা ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৩৮০ টাকা।
কিন্তু দুদকের মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলীর অনুসন্ধানে জয়নালের লাখ লাখ টাকার হদিস মেলে। ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই বাঁশখালীর গ্রামের বাড়িতে সাড়ে ৫ লাখ টাকায় পাঁচ শতক নাল জমি কেনেন। ওই জমিতে পাঁচতলার ভিত্তি দিয়ে চারতলা তোলেন। এতে খরচ হয় ৬৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে আরেকটি জায়গা কেনেন। এভাবে জয়নালের স্থাবর-অস্থাবর ৭৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮২২ টাকার সম্পদের হদিস পায় দুদক। এর মধ্যে বেতনের সাড়ে ৪ লাখ টাকা বাদ দিলে ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৪৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায় জয়নালের।
কয়েক কোটি টাকার বাড়িটি তড়িঘড়ি করে বিক্রি
এর আগে জয়নালকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁর পাঁচতলা ভবনটি নির্মাণাধীন ছিল। ওই সময় তিনতলা পর্যন্ত কাঠ-বাঁশ দিয়ে ঢালাইয়ের জন্য রেখেছিলেন।
আজ মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে চারতলা পর্যন্ত। তোলা হয়নি রুমের দেয়াল। ভবনের অনেক জায়গায় রং করেছেন, ফিনিশিং করেছেন। এমনকি নিচতলায় তিন পরিবার ভাড়াও থাকে। ২০২১ সালে জয়নাল জেল থেকে বের হয়ে বাড়িটি রেডি করে বিক্রি করেছেন বলে দাবি তাঁর।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে বাঁশখালীর পৌর সদরের বাসিন্দা আব্দুল হামিদের ছেলে আব্দুল মোনাফের কাছে কোটি টাকার বাড়িটি তড়িঘড়ি করে ৪৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন বলে স্বীকার করেন জয়নাল। যার কাছে বিক্রি করেছেন, তিনি তাঁর বাবা।
জমির অংশটিও আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দেন বলে জানান জয়নাল। বাড়ি ও জমিটি এখন তাঁর নামে নেই। যাঁদের কাছে বিক্রি করেছেন, তাঁদের নামে নামজারিও হয়ে গেছে। গ্রেপ্তারের আগে এমন তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
ওই সময়ে দুদক তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার পর বাড়িটি সরকারি হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছিল বলে তদন্ত করা হয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে আদালত জয়নালের সম্পদ সরকারের হেফাজতে নেওয়ার পর আদেশ দিয়েছেন কি না, তা জানাতে পারেননি দুদকের আইনজীবী মুজিবুল হক চৌধুরী।
চট্টগ্রাম আদালতে চট্টগ্রাম-১-এর দুদকের সহকারী পরিদর্শক এম এ লতিফ (জিআরও) অফিসে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জয়নালের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা ৪৭/ ১৯ এখনো তদন্তাধীন পর্যায়ে। এই মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়নি। তবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় দুদকের মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছেন। একইভাবে রতন কুমার দাশও তদন্ত করে ওই প্রতিবেদন দিয়ে মামলার চার্জশিট দিয়েছেন। তবে সেখানে জয়নালের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রীকেও আসামি করা হয়েছে, যেটি এখন নিষ্পত্তির পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে দুদকের শরীফের করা মানি লন্ডারিং মামলায় জয়নালকে এক নম্বর আসামি করা হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয়, জয়নাল আবেদীন রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দিতেন। এখান থেকে অর্জিত অবৈধ টাকা ঢাকায় এই মামলায় আরেক আসামি সত্য সুন্দর দের কাছে পাঠাতেন। সত্য সুন্দর দে নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে টেকনিক্যাল এক্সপার্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি আল-আরাফাহ ব্যাংকে ১ লাখ ৯৭ হাজার, ইসলামী ব্যাংকে ১ লাখ ৫০ হাজার, কুরিয়ারে ৩ লাখ ৫০ হাজারসহ মোট ৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা অবৈধ উপায়ে গ্রহণ করেন। আরেক আসামি মো. জাফর ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখায় জয়নালের হিসাবটিতে ৬০ হাজার টাকা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক শাখায় ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ মোট ১০ লাখ ১০ হাজার টাকা জমা দেন। একই সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় ৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক শাখায় ৬ লাখ টাকাসহ মোট ১৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা অবৈধভাবে কমিশন পান। এ ছাড়া আসামি ঋষিকেশ দাশ আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক শাখায় মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা, ইসলামী ব্যাংকে ৭০ হাজার টাকা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ৩ লাখসহ মোট ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা আদান-প্রদানে সহায়তা করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
জেল থেকে বের হয়েও আগের পেশায় জয়নাল
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং মামলায় ২০১৯ সালে জেলে যান জয়নাল। পরে সাময়িক চাকরিচ্যুতও হন, যেটি গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত বহাল রাখেন। যাওয়া-আসা ছিল চট্টগ্রাম ও ঢাকার নির্বাচন কমিশন অফিসে। ১০ আত্মীয় ছাড়াও তাঁর হয়ে কাজ করেন অন্তত ৫০ জন অপারেটর, যাদের মাধ্যমে এখনো অবৈধভাবে এনআইডি ও পাসপোর্ট পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। চাকরিচ্যুত হলেও তিনি কর্মস্থলে যান বলে আজকের পত্রিকাকে নিজেই স্বীকার করেন জয়নাল।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চট্টগ্রামে জয়নালের নেতৃত্বে এখনো একটি প্রতারক চক্র সক্রিয়। এখন প্রায় সময় অফিস করেন ডবলমুরিং থানা অফিসের কার্যালয়ে। যাতায়াত আছে নগরের লাভ লেইনের সামনে আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসেও। কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ে ডেটা এন্ট্রি অফিসার পদে রয়েছেন তাঁর খালাতো ভাই মোজাফ্ফের আহমেদ। তাঁর বোনের জামাই নুর আহমেদ চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি হাটহাজারীতে বদলি হন। এই দুজন যে আত্মীয়, তা স্বীকার করেন জয়নাল। ২০১৯ সালে দুদকের মামলায় তাঁর আত্মীয় খালাতো ভাই মোজাফ্ফের আহমেদ, তাঁর বোনের জামাই নুর আহমেদকে দিয়ে জয়নাল অবৈধ কাজ করাতেন বলে দুদক মামলায় উল্লেখ করেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে কম সময়ে এনআইডি পাইয়ে দেবেন বলে এক ভুক্তভোগী থেকে ৬ হাজার টাকা নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই ভুক্তভোগী কাজ করেন আবার আরেকজনের মাধ্যমে। যাঁর এনআইডির কাজ করেন, তাঁর নাম নোমান ইবনে জামাল।
এ ছাড়া কাগজপত্র ছাড়া জন্মনিবন্ধন পেতে ৫০ হাজার টাকা নিতেন তিনি। শুধু নাম সংশোধনীর জন্য দুটি জন্মনিবন্ধনের কাজ করে দিতে ৪৫ হাজার টাকা চান। কিন্তু ডবলমুরিং হাজিপাড়া এলাকার দুজন বাসিন্দা বেশি টাকা চাওয়ায় আর দেননি। ঘটনাটি দুই মাস আগের। নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, জয়নালের চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ ও মনসুরাবাদ পাসপোর্ট অফিসে ছয়জন কর্মচারী রয়েছেন, যাঁরা জয়নালের হয়ে অবৈধভাবে পাসপোর্ট তৈরির কাজে সহযোগিতা করতেন। ভুয়া জন্মনিবন্ধন ও জন্মনিবন্ধন সংশোধনের জন্য রামপুরা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসের দুজন কর্মচারী, চট্টগ্রামের চান্দগাঁও কাউন্সিলর অফিস, কোতোয়ালির ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিস, বাঁশখালীর একজন মহিলা কাউন্সিলর, রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালীতে বেশ কয়েকজন তাঁর হয়ে কাজ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জয়নাল আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, ‘সাময়িক চাকরিচ্যুত হলেও মাঝেমধ্যে আমি অফিসে যাই, কাজ করি। পাঁচতলা বাড়িটি ৪৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। তবে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।’
এদিকে অফিসে জয়নালের কাজ করার বিষয়টি আজকের পত্রিকার কাছে অস্বীকার করেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু ডবলমুরিং নয়, জয়নাল আবেদীন বিভিন্নজনের কাজ নিয়ে লাভ লেইন এলাকার চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসেও যাতায়াত করেন।
দুদকের চট্টগ্রাম-২ উপপরিচালক মো. আতিকুর আলমের অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তিনি কোনো বক্তব্য দেননি। দুদকের সূত্র জানিয়েছে, ২০১৯ সালে করা মামলাটির চার্জশিট সর্বোচ্চ ১৮০ দিনের মধ্যে আদালতে উপস্থাপন করার আইন রয়েছে। তিনটি মামলার মধ্যে মাত্র একটির চার্জশিট দিতে পেরেছে দুদক।
চট্টগ্রাম দুদকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তদন্ত শেষে চার্জশিটের জন্য মামলাটি কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তারা চার্জশিট দেওয়ার জন্য এখনো অনুমোদন দেয়নি, তাই আদালতে জমা দিতে পারিনি।’

৬৯ লাখ ৭ হাজার ৪৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার আসামি ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন ‘অবৈধ অর্থে গড়া’ পাঁচতলা বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন। সম্পদ বিক্রি করে তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। কাউন্টার টেররিজমের হাতে মঙ্গলবার রাতে তিনি গ্রেপ্তার হন।
২০২১ সালে জেল থেকে বের হওয়ার পর মাঝেমধ্যে অফিসেও যেতেন সাময়িক চাকরিচ্যুত জয়নাল। প্রতি মাসে ১৪ হাজার টাকা বেতনও পেতেন। যোগাযোগ ছিল নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, কাউন্সিলর ও পাসপোর্ট অফিসের চক্রের সঙ্গে, যাঁদের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে করতেন ভোটার, পাসপোর্ট ও জন্মনিবন্ধন।
অবৈধ সুযোগ নিয়ে দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জয়নালকে তাঁর সম্পদ বিক্রির সুযোগ দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে এত অবৈধ সম্পদ পেয়েও সেসব কেন দুদক জব্দ করেনি, সেই প্রশ্ন সামনে আসছে এখন। এমনকি জয়নালের তিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বারবার বদলি হওয়া নিয়ে দুদকের ওপর ক্ষোভ ঝাড়ছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী।
আখতার কবির বলেন, ‘১৬৪ ধারায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি জয়নাল স্বীকার করেছেন বলে মিডিয়ায় এসেছে। তাঁর তো জামিন হওয়ারও কথা না। দুদকের মামলায় অবৈধ সম্পদের টাকায় পাঁচতলা বাড়ি করার প্রমাণও মিলেছে। ব্যাংকের অবৈধ টাকা ফ্রিজ না করে বাড়িসহ অবৈধ আয়ে অর্জিত স্থাবর সম্পদ দুদক হেফাজতে না নিয়ে মারাত্মক গাফিলতি করেছে। এই মামলায় তৎপর না হওয়া মানে দুদকের কর্মকর্তারাই দুর্নীতিতে জড়িত। দুদকের এখনই উচিত জয়নাল যাতে বিদেশ যেতে না পারেন, সে জন্য পাসপোর্ট জব্দ করা। যেহেতু মামলা চলমান, তাই আদালত থেকে সম্পদ হেফাজতের আদেশ দ্রুত নিয়ে দুদকের উচিত তাঁর সব সম্পদ ক্রোক করা।’
২০১৯ সালে রোহিঙ্গা নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে দুদক তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটিতে তাঁকে এক নম্বর আসামি করা হয়। মামলা দুটি হলো—দুদক চট্টগ্রাম ২, মামলা নম্বর ১, ১ (১২) ১৯। এই মামলার বাদী তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী, যাকে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম থেকে বদলি করা হয়।
এরপর মামলার তদন্তভার পান চট্টগ্রাম দুদকের আরেক কর্মকর্তা রতন কুমার দাশ। তাঁকেও বদলি করা হয়। আরেকটি মামলা হলো ৪৭/ ১৯। এটির বাদী ছিলেন দুদক থেকে রাঘববোয়ালের রোষে চাকরি হারানো আলোচিত কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন। এখন এই মামলার তদন্ত করছেন দুদকের সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুদক চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার পৌর এলাকার আশকরিয়াপাড়ায় তার পাঁচতলা ভবনের সন্ধান পায়, যেটি অবৈধ টাকায় তৈরি বলে দুদকের মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের ১ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় চট্টগ্রামে এমএলএসএস পদে যোগদান করেন জয়নাল। তখন মাসিক বেতন পেতেন ৫ হাজার ৯৬০ টাকা। ২০১৯ সালে গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত তিনি বেতন পেতেন ১৩ হাজার ৯০০ টাকা। চাকরিতে যোগদান থেকে শুরু করে ২০১৯ সালের মামলার আগ পর্যন্ত বেতন পান ২২ লাখ ৪৬ হাজার ৯০০ টাকা। ওই বেতনই জয়নালের একমাত্র আয়ের উৎস। তাঁর নামে কোনো আয়কর নথিও নেই। বেতনের ৮০ ভাগ পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য খরচ বাদ দিলে খরচ হয় ১৭ লাখ ৯৭ হাজার ৫২০ টাকা। তাঁর কাছে থাকার কথা ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৩৮০ টাকা।
কিন্তু দুদকের মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলীর অনুসন্ধানে জয়নালের লাখ লাখ টাকার হদিস মেলে। ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই বাঁশখালীর গ্রামের বাড়িতে সাড়ে ৫ লাখ টাকায় পাঁচ শতক নাল জমি কেনেন। ওই জমিতে পাঁচতলার ভিত্তি দিয়ে চারতলা তোলেন। এতে খরচ হয় ৬৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে আরেকটি জায়গা কেনেন। এভাবে জয়নালের স্থাবর-অস্থাবর ৭৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮২২ টাকার সম্পদের হদিস পায় দুদক। এর মধ্যে বেতনের সাড়ে ৪ লাখ টাকা বাদ দিলে ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৪৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায় জয়নালের।
কয়েক কোটি টাকার বাড়িটি তড়িঘড়ি করে বিক্রি
এর আগে জয়নালকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁর পাঁচতলা ভবনটি নির্মাণাধীন ছিল। ওই সময় তিনতলা পর্যন্ত কাঠ-বাঁশ দিয়ে ঢালাইয়ের জন্য রেখেছিলেন।
আজ মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে চারতলা পর্যন্ত। তোলা হয়নি রুমের দেয়াল। ভবনের অনেক জায়গায় রং করেছেন, ফিনিশিং করেছেন। এমনকি নিচতলায় তিন পরিবার ভাড়াও থাকে। ২০২১ সালে জয়নাল জেল থেকে বের হয়ে বাড়িটি রেডি করে বিক্রি করেছেন বলে দাবি তাঁর।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে বাঁশখালীর পৌর সদরের বাসিন্দা আব্দুল হামিদের ছেলে আব্দুল মোনাফের কাছে কোটি টাকার বাড়িটি তড়িঘড়ি করে ৪৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন বলে স্বীকার করেন জয়নাল। যার কাছে বিক্রি করেছেন, তিনি তাঁর বাবা।
জমির অংশটিও আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দেন বলে জানান জয়নাল। বাড়ি ও জমিটি এখন তাঁর নামে নেই। যাঁদের কাছে বিক্রি করেছেন, তাঁদের নামে নামজারিও হয়ে গেছে। গ্রেপ্তারের আগে এমন তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
ওই সময়ে দুদক তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার পর বাড়িটি সরকারি হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছিল বলে তদন্ত করা হয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে আদালত জয়নালের সম্পদ সরকারের হেফাজতে নেওয়ার পর আদেশ দিয়েছেন কি না, তা জানাতে পারেননি দুদকের আইনজীবী মুজিবুল হক চৌধুরী।
চট্টগ্রাম আদালতে চট্টগ্রাম-১-এর দুদকের সহকারী পরিদর্শক এম এ লতিফ (জিআরও) অফিসে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জয়নালের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা ৪৭/ ১৯ এখনো তদন্তাধীন পর্যায়ে। এই মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়নি। তবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় দুদকের মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছেন। একইভাবে রতন কুমার দাশও তদন্ত করে ওই প্রতিবেদন দিয়ে মামলার চার্জশিট দিয়েছেন। তবে সেখানে জয়নালের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রীকেও আসামি করা হয়েছে, যেটি এখন নিষ্পত্তির পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে দুদকের শরীফের করা মানি লন্ডারিং মামলায় জয়নালকে এক নম্বর আসামি করা হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয়, জয়নাল আবেদীন রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দিতেন। এখান থেকে অর্জিত অবৈধ টাকা ঢাকায় এই মামলায় আরেক আসামি সত্য সুন্দর দের কাছে পাঠাতেন। সত্য সুন্দর দে নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে টেকনিক্যাল এক্সপার্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি আল-আরাফাহ ব্যাংকে ১ লাখ ৯৭ হাজার, ইসলামী ব্যাংকে ১ লাখ ৫০ হাজার, কুরিয়ারে ৩ লাখ ৫০ হাজারসহ মোট ৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা অবৈধ উপায়ে গ্রহণ করেন। আরেক আসামি মো. জাফর ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখায় জয়নালের হিসাবটিতে ৬০ হাজার টাকা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক শাখায় ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ মোট ১০ লাখ ১০ হাজার টাকা জমা দেন। একই সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় ৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক শাখায় ৬ লাখ টাকাসহ মোট ১৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা অবৈধভাবে কমিশন পান। এ ছাড়া আসামি ঋষিকেশ দাশ আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক শাখায় মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা, ইসলামী ব্যাংকে ৭০ হাজার টাকা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ৩ লাখসহ মোট ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা আদান-প্রদানে সহায়তা করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
জেল থেকে বের হয়েও আগের পেশায় জয়নাল
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং মামলায় ২০১৯ সালে জেলে যান জয়নাল। পরে সাময়িক চাকরিচ্যুতও হন, যেটি গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত বহাল রাখেন। যাওয়া-আসা ছিল চট্টগ্রাম ও ঢাকার নির্বাচন কমিশন অফিসে। ১০ আত্মীয় ছাড়াও তাঁর হয়ে কাজ করেন অন্তত ৫০ জন অপারেটর, যাদের মাধ্যমে এখনো অবৈধভাবে এনআইডি ও পাসপোর্ট পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। চাকরিচ্যুত হলেও তিনি কর্মস্থলে যান বলে আজকের পত্রিকাকে নিজেই স্বীকার করেন জয়নাল।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চট্টগ্রামে জয়নালের নেতৃত্বে এখনো একটি প্রতারক চক্র সক্রিয়। এখন প্রায় সময় অফিস করেন ডবলমুরিং থানা অফিসের কার্যালয়ে। যাতায়াত আছে নগরের লাভ লেইনের সামনে আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসেও। কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ে ডেটা এন্ট্রি অফিসার পদে রয়েছেন তাঁর খালাতো ভাই মোজাফ্ফের আহমেদ। তাঁর বোনের জামাই নুর আহমেদ চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি হাটহাজারীতে বদলি হন। এই দুজন যে আত্মীয়, তা স্বীকার করেন জয়নাল। ২০১৯ সালে দুদকের মামলায় তাঁর আত্মীয় খালাতো ভাই মোজাফ্ফের আহমেদ, তাঁর বোনের জামাই নুর আহমেদকে দিয়ে জয়নাল অবৈধ কাজ করাতেন বলে দুদক মামলায় উল্লেখ করেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে কম সময়ে এনআইডি পাইয়ে দেবেন বলে এক ভুক্তভোগী থেকে ৬ হাজার টাকা নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই ভুক্তভোগী কাজ করেন আবার আরেকজনের মাধ্যমে। যাঁর এনআইডির কাজ করেন, তাঁর নাম নোমান ইবনে জামাল।
এ ছাড়া কাগজপত্র ছাড়া জন্মনিবন্ধন পেতে ৫০ হাজার টাকা নিতেন তিনি। শুধু নাম সংশোধনীর জন্য দুটি জন্মনিবন্ধনের কাজ করে দিতে ৪৫ হাজার টাকা চান। কিন্তু ডবলমুরিং হাজিপাড়া এলাকার দুজন বাসিন্দা বেশি টাকা চাওয়ায় আর দেননি। ঘটনাটি দুই মাস আগের। নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, জয়নালের চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ ও মনসুরাবাদ পাসপোর্ট অফিসে ছয়জন কর্মচারী রয়েছেন, যাঁরা জয়নালের হয়ে অবৈধভাবে পাসপোর্ট তৈরির কাজে সহযোগিতা করতেন। ভুয়া জন্মনিবন্ধন ও জন্মনিবন্ধন সংশোধনের জন্য রামপুরা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসের দুজন কর্মচারী, চট্টগ্রামের চান্দগাঁও কাউন্সিলর অফিস, কোতোয়ালির ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিস, বাঁশখালীর একজন মহিলা কাউন্সিলর, রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালীতে বেশ কয়েকজন তাঁর হয়ে কাজ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জয়নাল আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, ‘সাময়িক চাকরিচ্যুত হলেও মাঝেমধ্যে আমি অফিসে যাই, কাজ করি। পাঁচতলা বাড়িটি ৪৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। তবে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।’
এদিকে অফিসে জয়নালের কাজ করার বিষয়টি আজকের পত্রিকার কাছে অস্বীকার করেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু ডবলমুরিং নয়, জয়নাল আবেদীন বিভিন্নজনের কাজ নিয়ে লাভ লেইন এলাকার চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসেও যাতায়াত করেন।
দুদকের চট্টগ্রাম-২ উপপরিচালক মো. আতিকুর আলমের অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তিনি কোনো বক্তব্য দেননি। দুদকের সূত্র জানিয়েছে, ২০১৯ সালে করা মামলাটির চার্জশিট সর্বোচ্চ ১৮০ দিনের মধ্যে আদালতে উপস্থাপন করার আইন রয়েছে। তিনটি মামলার মধ্যে মাত্র একটির চার্জশিট দিতে পেরেছে দুদক।
চট্টগ্রাম দুদকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তদন্ত শেষে চার্জশিটের জন্য মামলাটি কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তারা চার্জশিট দেওয়ার জন্য এখনো অনুমোদন দেয়নি, তাই আদালতে জমা দিতে পারিনি।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন অবৈধ উপায়ে কয়েক কোটি টাকায় তোলা পাঁচতলা বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন। এই বাড়িটি অবৈধ টাকায় নির্মাণ করেন বলে দুদক মামলার এজাহারে বলা হয়। দুদক সব মিলিয়ে ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৪৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পায় জয়নালের। এখন এসব সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন অবৈধ উপায়ে কয়েক কোটি টাকায় তোলা পাঁচতলা বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন। এই বাড়িটি অবৈধ টাকায় নির্মাণ করেন বলে দুদক মামলার এজাহারে বলা হয়। দুদক সব মিলিয়ে ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৪৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পায় জয়নালের। এখন এসব সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন অবৈধ উপায়ে কয়েক কোটি টাকায় তোলা পাঁচতলা বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন। এই বাড়িটি অবৈধ টাকায় নির্মাণ করেন বলে দুদক মামলার এজাহারে বলা হয়। দুদক সব মিলিয়ে ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৪৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পায় জয়নালের। এখন এসব সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন অবৈধ উপায়ে কয়েক কোটি টাকায় তোলা পাঁচতলা বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন। এই বাড়িটি অবৈধ টাকায় নির্মাণ করেন বলে দুদক মামলার এজাহারে বলা হয়। দুদক সব মিলিয়ে ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৪৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পায় জয়নালের। এখন এসব সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে