Ajker Patrika

কাজ না করায় শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
Thumbnail image

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় ইটভাটায় কাজ না করায় শ্রমিক আনোয়ার হোসেনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে নিহতের বাবা আব্দুস সহিদ বাদী হয়ে রামগতি থানায় তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে আটক খবির মাঝিকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে খবির মাঝি ও তাঁর ভাই ইটভাটার মালিক খলিল মাঝিকে আটক করা হয়। ঘটনার সঙ্গে সম্পর্ক না থাকায় খলিল মাঝিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয় পুলিশ। আজকে দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত খবির মাঝি ও তাঁর ছেলে হৃদয় হোসেন রয়েছেন। 

এ বিষয়ে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আটক খবির মাঝিকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’ 

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রামগতি উপজেলার চর আলমগীর হাসান হোসাইন এলাকার হতদরিদ্র আব্দুস সহিদের ছেলে আনোয়ার হোসেন ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। খাগড়াছড়ির দীঘিনালার কে বি ব্রিকফিল্ডে খলিল মাঝির ভাই খবির মাঝির সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক কাজ করতেন আনোয়ার। চুক্তি অনুযায়ী ছয় মাস কাজ করার কথা থাকলেও আনোয়ার ৫ মাস কাজ করেন। এরপর তিনি বাড়িতে চলে যান। মাস খানেক আগে আবারও জোর করে আনোয়ারকে খাগড়াছড়ি দীঘিনালা কে বি ব্রিকফিল্ডে পাঠায়। এরপর গত ১ মে আনোয়ার হোসেন আবারও বাড়িতে চলে যান। পরের দিন খবির মাঝি তাঁর ভাই খলিল মাঝির চরআলগীর নিজস্ব মালিকানাধীন ইটভাটার অফিসে ডেকে নেয়। সেখানে আনোয়ারকে আটকে রেখে হাত পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করেন। 

আরও জানা যায়, এ ঘটনার খবর শুনে স্বজনরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে গেলে ইটভাটা মালিকের ভয়ে কোনো হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে পারেনি আনোয়ার হোসেন। একপর্যায়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। গত মঙ্গলবার রাতে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়া কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁকে ঢাকায় পাঠান। কিন্তু পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ থাকায় আনোয়ার হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি না করে বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনেরা। এরপরদিন বুধবার রাতেই মৃত্যু হয় আনোয়ারের। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত