নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়নে কৃষকদের জমিতে বালু রাখার জন্য পাইপ স্থাপন করা হচ্ছিল। কৃষকেরা এ কাজে বাধা দেন। এতে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সংসদ সদস্য আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দিন নদভীর শ্যালক মো. রুহুল্লাহ চৌধুরীসহ কয়েকজনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় কৃষকদের। সংঘর্ষে অন্তত সাতজন গুলিবিদ্ধ এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আব্দুল মালেক সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার এস এস ড্রেজার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড উত্তর চরতীর তুলাতুলি কেশুয়ারচর সেনেরচর ঘাটসংলগ্ন সাঙ্গু নদীতে শ্রমিক দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিল। উত্তোলন করা বালু রুহুল্লাহর সহযোগিতায় কৃষকের জমিতে রাখা নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। কৃষকেরা ফসল নষ্ট হয়ে যাবে এ জন্য জমিতে বালু রাখতে নিষেধ করেন। কিন্তু রুহুল্লার সহযোগিতায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কৃষকের জমির ওপর বালু রাখার চেষ্টা করে।
এজাহারে মামলার বাদী রুহুল্লাহকে প্রধান আসামি করে মোট ১৬ জনের নাম উল্লেখ করেন। কিন্তু পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র থেকে বাদ যায় এমপির শ্যালকসহ ৯ জনের নাম। বাকি ছয়জনের বিরুদ্ধে দেওয়া হয় অভিযোগপত্র।
অব্যাহতি দিতে আবেদন করা ৯ জন হলেন মো. রুহুল্লাহ চৌধুরী (৪২), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মুন্না (২৮), দেলোয়ার হোসেন ওরফে ডাকাত দেলু (৩৫), আজিজুর রহমান ওরফে সাদেক (৪৬), কায়ছার উদ্দিন (২১), মো. শামাউন চৌধুরী (৫৮), সৈয়দ নূর (৫০), মো. সেলিম (৩৭) ও মো. জাহেদুল ইসলাম (৩০)।
যে ছয়জনকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হয় তাঁরা হলেন মাঈনুদ্দিন হাসান (২২), মোহাম্মদ মোহায়মেনুল ইসলাম চৌধুরী ফাহিম (২৪), মো. হাফিজুর রহমান (৩৫), মো. শাহিন আলম (২৩), মো. জয়নুল ইসলাম (৩১) ও মো. জহিরুল ইসলাম (২৩)।
সেদিনের ঘটনায় গুলিতে একজনের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া কারও হাতে, কারও মাথায় এবং বুকে গুলি লাগে। মোট সাতজন গুলিবিদ্ধ হন। মামলার এজাহারেও এসব কথা বলা হয়। যদিও ঘটনায় ব্যবহৃত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনো ঘটনায় যখন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়, তখন বিশেষ আইন তথা অস্ত্র আইনে মামলা নিতে হয়। কিন্তু এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা নেওয়া হয় সাধারণ দণ্ডবিধি আইনে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও উল্লেখ করেছেন এ ঘটনায় অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে। চিকিৎসকেরা সনদে উল্লেখ করেছেন, আহতরা অস্ত্রের গুলির দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। এত কিছুর পরও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দিয়েছেন দণ্ডবিধি আইনে।
পুলিশের অভিযোগপত্রে আসামিদের নাম বাদ দেওয়ার কারণও স্পষ্ট নয়। শুধু ৯ আসামিকে মামলার দায় থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে অনেকটা গোপনে আদালতে জমা দেওয়া হয় অভিযোগপত্র।
পুলিশ সূত্র জানায়, মামলা রুজুর আগে পুলিশ ঘটনাটি প্রাথমিক তদন্ত করে। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা থাকায় পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। এরপর তৎকালীন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু রুহুল্লাহকে গ্রেপ্তারে একাধিক অভিযান পরিচালনা করেন। ওই সময় রুহুল্লাহ পলাতক ছিলেন। শ্যালককে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে নদভী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকুকে পুলিশ সদর দপ্তরে তদবির করে বদলি করে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এরপর রুহুল্লাহকে গ্রেপ্তারে আর অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়নি। পলাতক থাকা অবস্থায় তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সবশেষ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাতকানিয়া থানার এসআই মো. দুলাল হোসেন রুহুল্লাহকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। গত বছরের ১ ডিসেম্বর অভিযোগপত্রটি আদালতে জমা দেওয়া হয়। আলোচিত এ ঘটনায় এতগুলো আসামিকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দেওয়া হলেও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নীরব ছিলেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, এই মামলার জখমি সনদ প্রদান করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. জামশেদ গিয়াস উদ্দিন। তিনি উল্লেখ করেন, আসামিদের গুলিতে হাফেজ আহমেদ ওরফে আব্দুল হাফেজের বুকে ও মুখে, মোহাম্মদ কায়সারের বুকে ও মুখে, আবু তাহেরের মুখে, ঘাড়ে, মাথায়, বাঁ হাতে, আব্দুল মালেকের মাথা, মুখে ও ঘাড়ে গুলি লাগে।
মামলার বাদী আবদুল মালেক ক্ষোভ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ওই দিন মারা যেতে পারতাম। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাই। কেউ কেউ পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। এমন একটি মামলায় আমি বাদী। কিন্তু মামলা হওয়ার পর থেকে একটিবারের জন্যও পুলিশের কেউ আমাকে ডাকেনি। চার্জশিট দেওয়ার বিষয়েও জানানো হয়নি। আমি এই চার্জশিটের বিষয়ে নারাজি দেব। আসামিদের উপযুক্ত বিচার চাই।’
সাতকানিয়া থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. দুলাল হোসেন বলেন, ‘কেউ সাক্ষী না দেওয়ায় আসামিদের বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। মামলার বাদীর সঙ্গে অসংখ্যবার কথা হয়েছে। মামলার সব আপডেট বাদী ও সাক্ষীদের জানিয়েছেন।’
চরতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই সময় ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম না। রাজনৈতিক কারণে আমাকে জড়ানো হয়েছে। হয়তো তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে সম্পৃক্ততা পাননি, তাই মামলা থেকে বাদ দিয়েছেন।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আকতার কবির চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনা থেকে বোঝা যাচ্ছে, এখানে মামলায় প্রভাব বিস্তার করা হয়েছে। প্রভাবশালী হওয়ায় প্রধান অভিযুক্তকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটি অন্যায়।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রুহুল্লাহ চৌধুরী জামায়াতের সাবেক কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা মমিনুল হক চৌধুরীর ছেলে। ছাত্রজীবনে রুহুল্লাহ শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁর বোন ও নদভীর স্ত্রী জামায়াতের ছাত্রীদের সংগঠনে জড়িত ছিলেন। নদভী নিজেও জামায়াতের লোকজনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে শিক্ষকতা করতেন। তৎকালীন আমির গোলাম আযমসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল নদভীর। একপর্যায়ে জামায়াতের সঙ্গে নদভীর মনোমালিন্য হয়। এরপর ২০১৪ সালে নদভী আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পান।
এমপি হওয়ার পর থেকে নদভী তাঁর পরিবার ও আত্মীয়স্বজনকে জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগ বানানোর মিশনে নামেন। স্ত্রীকে দিয়ে এ মিশন শুরু হয়। একে একে তাঁর নিকটাত্মীয়দের জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগ বানান তিনি। সবশেষ ২০২২ সালে চরতী ইউনিয়ন থেকে নৌকা প্রতীক পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন রুহুল্লাহ চৌধুরী।
এসব বিষয়ে জানতে এমপি নদভীর মুঠোফোনে পাঁচ দিন চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মো. ইরফান উদ্দিনের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়নে কৃষকদের জমিতে বালু রাখার জন্য পাইপ স্থাপন করা হচ্ছিল। কৃষকেরা এ কাজে বাধা দেন। এতে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সংসদ সদস্য আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দিন নদভীর শ্যালক মো. রুহুল্লাহ চৌধুরীসহ কয়েকজনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় কৃষকদের। সংঘর্ষে অন্তত সাতজন গুলিবিদ্ধ এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আব্দুল মালেক সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার এস এস ড্রেজার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড উত্তর চরতীর তুলাতুলি কেশুয়ারচর সেনেরচর ঘাটসংলগ্ন সাঙ্গু নদীতে শ্রমিক দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিল। উত্তোলন করা বালু রুহুল্লাহর সহযোগিতায় কৃষকের জমিতে রাখা নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। কৃষকেরা ফসল নষ্ট হয়ে যাবে এ জন্য জমিতে বালু রাখতে নিষেধ করেন। কিন্তু রুহুল্লার সহযোগিতায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কৃষকের জমির ওপর বালু রাখার চেষ্টা করে।
এজাহারে মামলার বাদী রুহুল্লাহকে প্রধান আসামি করে মোট ১৬ জনের নাম উল্লেখ করেন। কিন্তু পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র থেকে বাদ যায় এমপির শ্যালকসহ ৯ জনের নাম। বাকি ছয়জনের বিরুদ্ধে দেওয়া হয় অভিযোগপত্র।
অব্যাহতি দিতে আবেদন করা ৯ জন হলেন মো. রুহুল্লাহ চৌধুরী (৪২), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মুন্না (২৮), দেলোয়ার হোসেন ওরফে ডাকাত দেলু (৩৫), আজিজুর রহমান ওরফে সাদেক (৪৬), কায়ছার উদ্দিন (২১), মো. শামাউন চৌধুরী (৫৮), সৈয়দ নূর (৫০), মো. সেলিম (৩৭) ও মো. জাহেদুল ইসলাম (৩০)।
যে ছয়জনকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হয় তাঁরা হলেন মাঈনুদ্দিন হাসান (২২), মোহাম্মদ মোহায়মেনুল ইসলাম চৌধুরী ফাহিম (২৪), মো. হাফিজুর রহমান (৩৫), মো. শাহিন আলম (২৩), মো. জয়নুল ইসলাম (৩১) ও মো. জহিরুল ইসলাম (২৩)।
সেদিনের ঘটনায় গুলিতে একজনের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া কারও হাতে, কারও মাথায় এবং বুকে গুলি লাগে। মোট সাতজন গুলিবিদ্ধ হন। মামলার এজাহারেও এসব কথা বলা হয়। যদিও ঘটনায় ব্যবহৃত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনো ঘটনায় যখন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়, তখন বিশেষ আইন তথা অস্ত্র আইনে মামলা নিতে হয়। কিন্তু এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা নেওয়া হয় সাধারণ দণ্ডবিধি আইনে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও উল্লেখ করেছেন এ ঘটনায় অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে। চিকিৎসকেরা সনদে উল্লেখ করেছেন, আহতরা অস্ত্রের গুলির দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। এত কিছুর পরও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দিয়েছেন দণ্ডবিধি আইনে।
পুলিশের অভিযোগপত্রে আসামিদের নাম বাদ দেওয়ার কারণও স্পষ্ট নয়। শুধু ৯ আসামিকে মামলার দায় থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে অনেকটা গোপনে আদালতে জমা দেওয়া হয় অভিযোগপত্র।
পুলিশ সূত্র জানায়, মামলা রুজুর আগে পুলিশ ঘটনাটি প্রাথমিক তদন্ত করে। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা থাকায় পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। এরপর তৎকালীন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু রুহুল্লাহকে গ্রেপ্তারে একাধিক অভিযান পরিচালনা করেন। ওই সময় রুহুল্লাহ পলাতক ছিলেন। শ্যালককে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে নদভী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকুকে পুলিশ সদর দপ্তরে তদবির করে বদলি করে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এরপর রুহুল্লাহকে গ্রেপ্তারে আর অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়নি। পলাতক থাকা অবস্থায় তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সবশেষ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাতকানিয়া থানার এসআই মো. দুলাল হোসেন রুহুল্লাহকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। গত বছরের ১ ডিসেম্বর অভিযোগপত্রটি আদালতে জমা দেওয়া হয়। আলোচিত এ ঘটনায় এতগুলো আসামিকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দেওয়া হলেও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নীরব ছিলেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, এই মামলার জখমি সনদ প্রদান করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. জামশেদ গিয়াস উদ্দিন। তিনি উল্লেখ করেন, আসামিদের গুলিতে হাফেজ আহমেদ ওরফে আব্দুল হাফেজের বুকে ও মুখে, মোহাম্মদ কায়সারের বুকে ও মুখে, আবু তাহেরের মুখে, ঘাড়ে, মাথায়, বাঁ হাতে, আব্দুল মালেকের মাথা, মুখে ও ঘাড়ে গুলি লাগে।
মামলার বাদী আবদুল মালেক ক্ষোভ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ওই দিন মারা যেতে পারতাম। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাই। কেউ কেউ পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। এমন একটি মামলায় আমি বাদী। কিন্তু মামলা হওয়ার পর থেকে একটিবারের জন্যও পুলিশের কেউ আমাকে ডাকেনি। চার্জশিট দেওয়ার বিষয়েও জানানো হয়নি। আমি এই চার্জশিটের বিষয়ে নারাজি দেব। আসামিদের উপযুক্ত বিচার চাই।’
সাতকানিয়া থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. দুলাল হোসেন বলেন, ‘কেউ সাক্ষী না দেওয়ায় আসামিদের বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। মামলার বাদীর সঙ্গে অসংখ্যবার কথা হয়েছে। মামলার সব আপডেট বাদী ও সাক্ষীদের জানিয়েছেন।’
চরতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই সময় ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম না। রাজনৈতিক কারণে আমাকে জড়ানো হয়েছে। হয়তো তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে সম্পৃক্ততা পাননি, তাই মামলা থেকে বাদ দিয়েছেন।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আকতার কবির চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনা থেকে বোঝা যাচ্ছে, এখানে মামলায় প্রভাব বিস্তার করা হয়েছে। প্রভাবশালী হওয়ায় প্রধান অভিযুক্তকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটি অন্যায়।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রুহুল্লাহ চৌধুরী জামায়াতের সাবেক কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা মমিনুল হক চৌধুরীর ছেলে। ছাত্রজীবনে রুহুল্লাহ শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁর বোন ও নদভীর স্ত্রী জামায়াতের ছাত্রীদের সংগঠনে জড়িত ছিলেন। নদভী নিজেও জামায়াতের লোকজনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে শিক্ষকতা করতেন। তৎকালীন আমির গোলাম আযমসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল নদভীর। একপর্যায়ে জামায়াতের সঙ্গে নদভীর মনোমালিন্য হয়। এরপর ২০১৪ সালে নদভী আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পান।
এমপি হওয়ার পর থেকে নদভী তাঁর পরিবার ও আত্মীয়স্বজনকে জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগ বানানোর মিশনে নামেন। স্ত্রীকে দিয়ে এ মিশন শুরু হয়। একে একে তাঁর নিকটাত্মীয়দের জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগ বানান তিনি। সবশেষ ২০২২ সালে চরতী ইউনিয়ন থেকে নৌকা প্রতীক পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন রুহুল্লাহ চৌধুরী।
এসব বিষয়ে জানতে এমপি নদভীর মুঠোফোনে পাঁচ দিন চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মো. ইরফান উদ্দিনের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়নে কৃষকদের জমিতে বালু রাখার জন্য পাইপ স্থাপন করা হচ্ছিল। কৃষকেরা এ কাজে বাধা দেন। এতে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সংসদ সদস্য আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দিন নদভীর শ্যালক মো. রুহুল্লাহ চৌধুরীসহ কয়েকজনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় কৃষকদের। সংঘর্ষে অন্তত সাতজন গুলিবিদ্ধ এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আব্দুল মালেক সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার এস এস ড্রেজার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড উত্তর চরতীর তুলাতুলি কেশুয়ারচর সেনেরচর ঘাটসংলগ্ন সাঙ্গু নদীতে শ্রমিক দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিল। উত্তোলন করা বালু রুহুল্লাহর সহযোগিতায় কৃষকের জমিতে রাখা নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। কৃষকেরা ফসল নষ্ট হয়ে যাবে এ জন্য জমিতে বালু রাখতে নিষেধ করেন। কিন্তু রুহুল্লার সহযোগিতায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কৃষকের জমির ওপর বালু রাখার চেষ্টা করে।
এজাহারে মামলার বাদী রুহুল্লাহকে প্রধান আসামি করে মোট ১৬ জনের নাম উল্লেখ করেন। কিন্তু পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র থেকে বাদ যায় এমপির শ্যালকসহ ৯ জনের নাম। বাকি ছয়জনের বিরুদ্ধে দেওয়া হয় অভিযোগপত্র।
অব্যাহতি দিতে আবেদন করা ৯ জন হলেন মো. রুহুল্লাহ চৌধুরী (৪২), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মুন্না (২৮), দেলোয়ার হোসেন ওরফে ডাকাত দেলু (৩৫), আজিজুর রহমান ওরফে সাদেক (৪৬), কায়ছার উদ্দিন (২১), মো. শামাউন চৌধুরী (৫৮), সৈয়দ নূর (৫০), মো. সেলিম (৩৭) ও মো. জাহেদুল ইসলাম (৩০)।
যে ছয়জনকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হয় তাঁরা হলেন মাঈনুদ্দিন হাসান (২২), মোহাম্মদ মোহায়মেনুল ইসলাম চৌধুরী ফাহিম (২৪), মো. হাফিজুর রহমান (৩৫), মো. শাহিন আলম (২৩), মো. জয়নুল ইসলাম (৩১) ও মো. জহিরুল ইসলাম (২৩)।
সেদিনের ঘটনায় গুলিতে একজনের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া কারও হাতে, কারও মাথায় এবং বুকে গুলি লাগে। মোট সাতজন গুলিবিদ্ধ হন। মামলার এজাহারেও এসব কথা বলা হয়। যদিও ঘটনায় ব্যবহৃত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনো ঘটনায় যখন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়, তখন বিশেষ আইন তথা অস্ত্র আইনে মামলা নিতে হয়। কিন্তু এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা নেওয়া হয় সাধারণ দণ্ডবিধি আইনে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও উল্লেখ করেছেন এ ঘটনায় অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে। চিকিৎসকেরা সনদে উল্লেখ করেছেন, আহতরা অস্ত্রের গুলির দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। এত কিছুর পরও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দিয়েছেন দণ্ডবিধি আইনে।
পুলিশের অভিযোগপত্রে আসামিদের নাম বাদ দেওয়ার কারণও স্পষ্ট নয়। শুধু ৯ আসামিকে মামলার দায় থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে অনেকটা গোপনে আদালতে জমা দেওয়া হয় অভিযোগপত্র।
পুলিশ সূত্র জানায়, মামলা রুজুর আগে পুলিশ ঘটনাটি প্রাথমিক তদন্ত করে। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা থাকায় পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। এরপর তৎকালীন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু রুহুল্লাহকে গ্রেপ্তারে একাধিক অভিযান পরিচালনা করেন। ওই সময় রুহুল্লাহ পলাতক ছিলেন। শ্যালককে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে নদভী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকুকে পুলিশ সদর দপ্তরে তদবির করে বদলি করে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এরপর রুহুল্লাহকে গ্রেপ্তারে আর অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়নি। পলাতক থাকা অবস্থায় তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সবশেষ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাতকানিয়া থানার এসআই মো. দুলাল হোসেন রুহুল্লাহকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। গত বছরের ১ ডিসেম্বর অভিযোগপত্রটি আদালতে জমা দেওয়া হয়। আলোচিত এ ঘটনায় এতগুলো আসামিকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দেওয়া হলেও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নীরব ছিলেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, এই মামলার জখমি সনদ প্রদান করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. জামশেদ গিয়াস উদ্দিন। তিনি উল্লেখ করেন, আসামিদের গুলিতে হাফেজ আহমেদ ওরফে আব্দুল হাফেজের বুকে ও মুখে, মোহাম্মদ কায়সারের বুকে ও মুখে, আবু তাহেরের মুখে, ঘাড়ে, মাথায়, বাঁ হাতে, আব্দুল মালেকের মাথা, মুখে ও ঘাড়ে গুলি লাগে।
মামলার বাদী আবদুল মালেক ক্ষোভ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ওই দিন মারা যেতে পারতাম। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাই। কেউ কেউ পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। এমন একটি মামলায় আমি বাদী। কিন্তু মামলা হওয়ার পর থেকে একটিবারের জন্যও পুলিশের কেউ আমাকে ডাকেনি। চার্জশিট দেওয়ার বিষয়েও জানানো হয়নি। আমি এই চার্জশিটের বিষয়ে নারাজি দেব। আসামিদের উপযুক্ত বিচার চাই।’
সাতকানিয়া থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. দুলাল হোসেন বলেন, ‘কেউ সাক্ষী না দেওয়ায় আসামিদের বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। মামলার বাদীর সঙ্গে অসংখ্যবার কথা হয়েছে। মামলার সব আপডেট বাদী ও সাক্ষীদের জানিয়েছেন।’
চরতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই সময় ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম না। রাজনৈতিক কারণে আমাকে জড়ানো হয়েছে। হয়তো তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে সম্পৃক্ততা পাননি, তাই মামলা থেকে বাদ দিয়েছেন।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আকতার কবির চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনা থেকে বোঝা যাচ্ছে, এখানে মামলায় প্রভাব বিস্তার করা হয়েছে। প্রভাবশালী হওয়ায় প্রধান অভিযুক্তকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটি অন্যায়।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রুহুল্লাহ চৌধুরী জামায়াতের সাবেক কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা মমিনুল হক চৌধুরীর ছেলে। ছাত্রজীবনে রুহুল্লাহ শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁর বোন ও নদভীর স্ত্রী জামায়াতের ছাত্রীদের সংগঠনে জড়িত ছিলেন। নদভী নিজেও জামায়াতের লোকজনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে শিক্ষকতা করতেন। তৎকালীন আমির গোলাম আযমসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল নদভীর। একপর্যায়ে জামায়াতের সঙ্গে নদভীর মনোমালিন্য হয়। এরপর ২০১৪ সালে নদভী আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পান।
এমপি হওয়ার পর থেকে নদভী তাঁর পরিবার ও আত্মীয়স্বজনকে জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগ বানানোর মিশনে নামেন। স্ত্রীকে দিয়ে এ মিশন শুরু হয়। একে একে তাঁর নিকটাত্মীয়দের জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগ বানান তিনি। সবশেষ ২০২২ সালে চরতী ইউনিয়ন থেকে নৌকা প্রতীক পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন রুহুল্লাহ চৌধুরী।
এসব বিষয়ে জানতে এমপি নদভীর মুঠোফোনে পাঁচ দিন চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মো. ইরফান উদ্দিনের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়নে কৃষকদের জমিতে বালু রাখার জন্য পাইপ স্থাপন করা হচ্ছিল। কৃষকেরা এ কাজে বাধা দেন। এতে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সংসদ সদস্য আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দিন নদভীর শ্যালক মো. রুহুল্লাহ চৌধুরীসহ কয়েকজনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় কৃষকদের। সংঘর্ষে অন্তত সাতজন গুলিবিদ্ধ এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আব্দুল মালেক সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার এস এস ড্রেজার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড উত্তর চরতীর তুলাতুলি কেশুয়ারচর সেনেরচর ঘাটসংলগ্ন সাঙ্গু নদীতে শ্রমিক দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিল। উত্তোলন করা বালু রুহুল্লাহর সহযোগিতায় কৃষকের জমিতে রাখা নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। কৃষকেরা ফসল নষ্ট হয়ে যাবে এ জন্য জমিতে বালু রাখতে নিষেধ করেন। কিন্তু রুহুল্লার সহযোগিতায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কৃষকের জমির ওপর বালু রাখার চেষ্টা করে।
এজাহারে মামলার বাদী রুহুল্লাহকে প্রধান আসামি করে মোট ১৬ জনের নাম উল্লেখ করেন। কিন্তু পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র থেকে বাদ যায় এমপির শ্যালকসহ ৯ জনের নাম। বাকি ছয়জনের বিরুদ্ধে দেওয়া হয় অভিযোগপত্র।
অব্যাহতি দিতে আবেদন করা ৯ জন হলেন মো. রুহুল্লাহ চৌধুরী (৪২), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মুন্না (২৮), দেলোয়ার হোসেন ওরফে ডাকাত দেলু (৩৫), আজিজুর রহমান ওরফে সাদেক (৪৬), কায়ছার উদ্দিন (২১), মো. শামাউন চৌধুরী (৫৮), সৈয়দ নূর (৫০), মো. সেলিম (৩৭) ও মো. জাহেদুল ইসলাম (৩০)।
যে ছয়জনকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হয় তাঁরা হলেন মাঈনুদ্দিন হাসান (২২), মোহাম্মদ মোহায়মেনুল ইসলাম চৌধুরী ফাহিম (২৪), মো. হাফিজুর রহমান (৩৫), মো. শাহিন আলম (২৩), মো. জয়নুল ইসলাম (৩১) ও মো. জহিরুল ইসলাম (২৩)।
সেদিনের ঘটনায় গুলিতে একজনের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া কারও হাতে, কারও মাথায় এবং বুকে গুলি লাগে। মোট সাতজন গুলিবিদ্ধ হন। মামলার এজাহারেও এসব কথা বলা হয়। যদিও ঘটনায় ব্যবহৃত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনো ঘটনায় যখন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়, তখন বিশেষ আইন তথা অস্ত্র আইনে মামলা নিতে হয়। কিন্তু এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা নেওয়া হয় সাধারণ দণ্ডবিধি আইনে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও উল্লেখ করেছেন এ ঘটনায় অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে। চিকিৎসকেরা সনদে উল্লেখ করেছেন, আহতরা অস্ত্রের গুলির দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। এত কিছুর পরও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দিয়েছেন দণ্ডবিধি আইনে।
পুলিশের অভিযোগপত্রে আসামিদের নাম বাদ দেওয়ার কারণও স্পষ্ট নয়। শুধু ৯ আসামিকে মামলার দায় থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে অনেকটা গোপনে আদালতে জমা দেওয়া হয় অভিযোগপত্র।
পুলিশ সূত্র জানায়, মামলা রুজুর আগে পুলিশ ঘটনাটি প্রাথমিক তদন্ত করে। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা থাকায় পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। এরপর তৎকালীন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু রুহুল্লাহকে গ্রেপ্তারে একাধিক অভিযান পরিচালনা করেন। ওই সময় রুহুল্লাহ পলাতক ছিলেন। শ্যালককে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে নদভী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকুকে পুলিশ সদর দপ্তরে তদবির করে বদলি করে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এরপর রুহুল্লাহকে গ্রেপ্তারে আর অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়নি। পলাতক থাকা অবস্থায় তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সবশেষ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাতকানিয়া থানার এসআই মো. দুলাল হোসেন রুহুল্লাহকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। গত বছরের ১ ডিসেম্বর অভিযোগপত্রটি আদালতে জমা দেওয়া হয়। আলোচিত এ ঘটনায় এতগুলো আসামিকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দেওয়া হলেও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নীরব ছিলেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, এই মামলার জখমি সনদ প্রদান করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. জামশেদ গিয়াস উদ্দিন। তিনি উল্লেখ করেন, আসামিদের গুলিতে হাফেজ আহমেদ ওরফে আব্দুল হাফেজের বুকে ও মুখে, মোহাম্মদ কায়সারের বুকে ও মুখে, আবু তাহেরের মুখে, ঘাড়ে, মাথায়, বাঁ হাতে, আব্দুল মালেকের মাথা, মুখে ও ঘাড়ে গুলি লাগে।
মামলার বাদী আবদুল মালেক ক্ষোভ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ওই দিন মারা যেতে পারতাম। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাই। কেউ কেউ পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। এমন একটি মামলায় আমি বাদী। কিন্তু মামলা হওয়ার পর থেকে একটিবারের জন্যও পুলিশের কেউ আমাকে ডাকেনি। চার্জশিট দেওয়ার বিষয়েও জানানো হয়নি। আমি এই চার্জশিটের বিষয়ে নারাজি দেব। আসামিদের উপযুক্ত বিচার চাই।’
সাতকানিয়া থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. দুলাল হোসেন বলেন, ‘কেউ সাক্ষী না দেওয়ায় আসামিদের বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। মামলার বাদীর সঙ্গে অসংখ্যবার কথা হয়েছে। মামলার সব আপডেট বাদী ও সাক্ষীদের জানিয়েছেন।’
চরতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই সময় ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম না। রাজনৈতিক কারণে আমাকে জড়ানো হয়েছে। হয়তো তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে সম্পৃক্ততা পাননি, তাই মামলা থেকে বাদ দিয়েছেন।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আকতার কবির চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনা থেকে বোঝা যাচ্ছে, এখানে মামলায় প্রভাব বিস্তার করা হয়েছে। প্রভাবশালী হওয়ায় প্রধান অভিযুক্তকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটি অন্যায়।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রুহুল্লাহ চৌধুরী জামায়াতের সাবেক কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা মমিনুল হক চৌধুরীর ছেলে। ছাত্রজীবনে রুহুল্লাহ শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁর বোন ও নদভীর স্ত্রী জামায়াতের ছাত্রীদের সংগঠনে জড়িত ছিলেন। নদভী নিজেও জামায়াতের লোকজনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে শিক্ষকতা করতেন। তৎকালীন আমির গোলাম আযমসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল নদভীর। একপর্যায়ে জামায়াতের সঙ্গে নদভীর মনোমালিন্য হয়। এরপর ২০১৪ সালে নদভী আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পান।
এমপি হওয়ার পর থেকে নদভী তাঁর পরিবার ও আত্মীয়স্বজনকে জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগ বানানোর মিশনে নামেন। স্ত্রীকে দিয়ে এ মিশন শুরু হয়। একে একে তাঁর নিকটাত্মীয়দের জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগ বানান তিনি। সবশেষ ২০২২ সালে চরতী ইউনিয়ন থেকে নৌকা প্রতীক পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন রুহুল্লাহ চৌধুরী।
এসব বিষয়ে জানতে এমপি নদভীর মুঠোফোনে পাঁচ দিন চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মো. ইরফান উদ্দিনের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়নর কৃষকদের জমিতে বালু রাখার জন্য পাইপ স্থাপন করা হচ্ছিল। কৃষকেরা এ কাজে বাধা দেন। এতে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সংসদ সদস্য আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দিন নদভীর শ্যালক রুহুল্লাহ চৌধুরীসহ কয়েকজনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় কৃষকদের।
২২ মার্চ ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়নর কৃষকদের জমিতে বালু রাখার জন্য পাইপ স্থাপন করা হচ্ছিল। কৃষকেরা এ কাজে বাধা দেন। এতে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সংসদ সদস্য আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দিন নদভীর শ্যালক রুহুল্লাহ চৌধুরীসহ কয়েকজনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় কৃষকদের।
২২ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়নর কৃষকদের জমিতে বালু রাখার জন্য পাইপ স্থাপন করা হচ্ছিল। কৃষকেরা এ কাজে বাধা দেন। এতে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সংসদ সদস্য আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দিন নদভীর শ্যালক রুহুল্লাহ চৌধুরীসহ কয়েকজনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় কৃষকদের।
২২ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়নর কৃষকদের জমিতে বালু রাখার জন্য পাইপ স্থাপন করা হচ্ছিল। কৃষকেরা এ কাজে বাধা দেন। এতে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সংসদ সদস্য আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দিন নদভীর শ্যালক রুহুল্লাহ চৌধুরীসহ কয়েকজনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় কৃষকদের।
২২ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে