Ajker Patrika

মিতু হত্যায় বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে: পিবিআই

আপডেট : ১২ মে ২০২১, ১৪: ৪৭
মিতু হত্যায় বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে: পিবিআই

ঢাকা: মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে তার স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে। রাজধানীর ধানমণ্ডিতে পিবিআই সদরদপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান সংস্থাটির প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে মিতু হত্যার তদন্তভার পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরপর বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করে সংস্থাটি। বনজ কুমার জানান, হত্যায় কামরুল ইসলাম মুছার চেহারা ও কর্মকাণ্ড পরিষ্কার বোঝা গেলেও তাকে না চেনার ভান করেন বাবুল। অথচ মুছা নিয়মিত তার বাসায় যেতেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে মুছা বাজারও করে দিতেন। এ বিষয়টিই তদন্ত কর্মকর্তাদের সন্দেহ বাড়ায়।

কাজী আল মামুন ও সাইফুল হক নামের দুই বন্ধুকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পিবিআই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে, এ ঘটনায় বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

পিবিআই প্রধান বলেন, মামলায় বাদী বাবুল আক্তার যে অভিযোগ করেছেন তার প্রমাণ না মেলায় আজ বুধবার চট্টগ্রামের আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে। আর মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের পাঁচলাইশ থানার মামলা করতে গেছেন। সেই মামলায় এক নম্বর আসামি হবেন বাবুল আক্তার।

২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। বাবুলকে তখন চট্টগ্রাম থেকে বদলি করে ঢাকায় পুলিশ সদরদপ্তরে এসপি (পুলিশ সুপার) পদে সংযুক্ত করা হয়।

মিতু হত্যাকাণ্ডের মোড় ঘুরতে শুরু করে ২০১৬ সালের ২৪ জুন ডিবি কার্যালয়ে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের পর। এসময় হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বাবুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত