Ajker Patrika

বাবুগঞ্জে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ জুন ২০২২, ১৬: ০০
বাবুগঞ্জে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

বাবুগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বামী মো. নান্টু সিকদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

লাশ উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত মো. নান্টু সিকদার উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণদিয়া গ্রামের চানমদ্দিন সিকদারের ছোট ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. নূরে আলম বাদী হয়ে বাবুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বাবুগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে নান্টু সিকদার তাঁর স্ত্রী মাহমুদাকে কোপাতে শুরু করেন। এ সময় তিনি চিৎকার করে বাইরে চলে যান। চিৎকার শুনে তাঁর শ্বশুর ও স্বামীর বড় ভাই মিন্টু সিকদার এগিয়ে এলে তাঁদেরও দা দিয়ে কোপ দেন নান্টু সিকদার। স্বামীর হাত থেকে বাঁচতে বাড়ির পাশে একটি বাগানে দৌড়ে পালান মাহমুদা বেগম। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাঁর। সেখানে গিয়েও তাঁকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করেন স্বামী নান্টু সিকদার।

পরে স্থানীয় জনতা নান্টু সিকদারকে ধাওয়া করে আটক করে থানার পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে নান্টু সিকদারকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

নিহতের ভাই ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, নান্টু সিকদারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গৌরনদী থানার শরিকল ইউনিয়নের কুরিরচর গ্রামের মো. খলিলুর রহমানের মেয়ে মাহমুদা বেগমের পাঁচ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তাঁদের দাম্পত্য জীবন ভালোভাবেই চলছিল। বিয়ের কয়েক বছর পরে স্বামী নান্টু সিকদার ঠিকমতো কাজ না করায় সংসারে অভাব-অনটন দেখা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত এক সপ্তাহ আগে মাহমুদা বেগম তাঁর বাবার বাড়িতে চলে যান। 

এরপর বাড়িতে না আসায় অনেকবার মাহমুদাকে অনুরোধ করেন নান্টু। কিন্তু স্ত্রী না এসে তাঁকে বারবার কাজের তাগাদা দেন। অনেক অনুরোধের পরে বুধবার বিকেলে মাহমুদা বেগম বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে আসেন। ওই দিন রাতেই নান্টু সিকদার স্ত্রী মাহমুদাকে কুপিয়ে হত্যা করেন।

বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, পারিবারিক কলহের জের, সন্তান না হওয়া এবং কাজকর্ম না করায় মানসিকভাবে অসহায় হয়ে পড়ার কারণে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। এ ঘটনায় নিহত মাহমুদা বেগমের বড় ভাই মো. নূরে আলম বাদী হয়ে নান্টু সিকদারকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামি নান্টু সিকদারকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত